জেলা কারাগার
শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ২ আসামি গ্রেপ্তার
শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১৪ সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্পের পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, নালিতাবাড়ীর নন্নী পশ্চিমপাড়ার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছলিম উদ্দিন ছলি (৭০) ও ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া গ্রামের হাজতি সোহেল মিয়া (১৯)। এদের মধ্যে সোলিমকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসানুল হক ইনু গ্রেপ্তার
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারিক হাকিম তাদের কারাগারে পাঠানোর নিদেশ দিলে বিকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের ময়মনসিংহ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
শুক্রবার র্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি পরিচালক মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৫ আগস্ট দুর্বৃত্তরা শেরপুর কারাগারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এই সুযোগে প্রায় ৫০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দি পালিয়ে যায়। পরে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১৪ সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্পের অভিযানে শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর মামলায় আরও ৪ জন গ্রেপ্তার
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গ্রেপ্তার
৩ মাস আগে
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির ‘আত্মহত্যা’
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে মেহেদী হাসান পাপ্পু (৩২) নামে এক হাজতির আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটনা ঘটে। পাপ্পু সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানবান্দি মহল্লার আবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী পলাতক
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার রেজা বলেন, ‘পাপ্পু মাদক ও মারামারির পৃথক ২টি মামলায় ১ বছর ২ মাস ধরে জেল হাজতে ছিল। শুক্রবার সকালের দিকে কারাগারের বাথরুমে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাজতি ও কারারক্ষীরা উদ্ধার করেন।’
তিনি বলেন, ‘পরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তার লাশ ওই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
আরও পড়ুন: সিলেট কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা
মাগুরায় বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
৪ মাস আগে
সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে হামলা, বেরিয়ে গেছে সব হাজতি-কয়েদি
সাতক্ষীরা জেলা কারাগার ভেঙে হাজতি ও কয়েদিরা বেরিয়ে গেছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: শেরপুর জেলা কারাগার ভাঙল দুর্বৃত্তরা, ৫০০ বন্দির পলায়ন
এসময় তারা কারারক্ষীদের জিম্মি করে জেলখানার চাবি নিয়ে জেলখানা এলাকায় সব আলো নিভিয়ে দেয়।
এরপরেই সব হাজতি ও কয়েদিরা বেরিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানায়, সন্ধ্যার পর জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে আসামিদের বের করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তবে কতজন হাজতি ও কয়েদি সেখান থেকে বেরিয়ে গেছে তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান জানাতে পারেননি পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী-আন্দোলনকারীদের তারেক রহমানের অভিনন্দন
রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান সারজিস আলমের
৪ মাস আগে
নরসিংদী জেলা কারাগারের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে: তদন্ত কমিটির প্রধান
নরসিংদী জেলা কারাগার পরিদর্শন করে সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব এবং তদন্ত কমিটির প্রধান ফারুক আহমেদ বলেন, নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলার দিন যারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের মাঠ পর্যায়ের কাজ অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
রবিবার তদন্ত কমিটির প্রধান ফারুক আহমেদসহ ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল কারাগার পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীর জেল পলাতক জঙ্গি নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার
তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজন হলে আরও সময় বাড়ানোর আবেদন করা হবে। তদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত বলা যাবে।
এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কারাগারটি ঘুরে দেখেন এবং প্রত্যক্ষদর্শী, কারা-কর্মকর্তা ও রক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় ফারুক আহমেদের সঙ্গে ছিলেন নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ, জেল সুপার শামীম ইকবালসহ অন্যানরা।
এদিকে রবিবার সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল হওয়ায় স্বাভাবিক হচ্ছে নরসিংদীর লোকজনের চলাফেরা। অফিস আদালত খোলার দিনে নরসিংদীর বিভিন্ন পয়েন্টে সাধারণ মানুষের চলাফেরা এবং গণপরিবহনের আধিক্য লক্ষ করা গেছে। শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কারাগারে বাড়তি নিরাপত্তায় স্থাপন করা হয়েছে বিজিবি ক্যাম্প।
আরও পড়ুন: ‘শিগগিরই নরসিংদী কারাগার সংস্কার করা হবে’
নরসিংদীতে সহিংসতায় ১১ মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ১৮৪: পুলিশ সুপার
৪ মাস আগে
খুলনা জেলা কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার
সাম্প্রতিক ঘটনার পর খুলনা জেলা কারাগারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শুক্রবার(২৬ জুলাই) রাতে জেল সুপার মো. রফিকুল কাদের গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘কারারক্ষীদের যে অস্ত্র রয়েছে সেগুলো আপডেট করা হয়েছে। সেখানে কর্মরত সব কারারক্ষীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবাই নিরবিচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া কারাগারের প্রধান ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
জেল সুপার বলেন, ‘বন্দিদের ওপর সার্বক্ষণিক বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। কারাবন্দিদের সঙ্গে সব ধরনের সাক্ষাৎ বন্ধ রয়েছে। কারাগারের অভ্যন্তরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, কারাগারে প্রধান ফটকসহ সব জায়গাতেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। কারাগার এলাকায় চলাচলে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
কারাগার সূত্র জানায়, খুলনা কারাগারে বন্দির ধারণ ক্ষমতা ৬৭৬ জন। বর্তমানে এ কারাগারে ১ হাজার ৪২১ বন্দি রয়েছেন।
৪ মাস আগে
জেলা কারাগারে মাদক মামলার আসামির মৃত্যু
নওগাঁয় জেলা কারাগারে মাদক মামলার আসামি সামিরুল সরদার নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সামিরুল সরদার নাটোরের সিংড়া উপজেলার তেমুখ সাপুরাপাড়া গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
নওগাঁ কারাগারের জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় করা মাদক মামলায় কারাগারে আসেন সামিরুল সরদার।
তিনি জানান, হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করলে সোমবার ভোরে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জেল সুপার আরও জানান, হাজতির লাশ বর্তমানে হাসপাতালেই রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
হবিগঞ্জে থানায় আসামির মৃত্যু: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি
৯ মাস আগে
ঝিনাইদহে কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় মিলন লস্কর নামে দণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি মারা যান।
মিলন লস্কর ঝিনাইদহ জেলা শহরের পরবহাটি গ্রামের আতিয়ার লস্করের ছেলে। কারাগারেরর চিত্রা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েদি ছিলেন মিলন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পিকনিক বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
খবরটি নিশ্চিত করেছেন জেলার মহিউদ্দিন হায়দার।
তিনি জানান, ফজরের নামাজ আদায় শেষে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত ২ জানুয়ারি মিলনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চমেকে আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে মা ও ২ ছেলেকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
৯ মাস আগে
চাঁদপুর জেলা কারাগারে বিএনপি নেতার মৃত্যু
চাঁদপুর জেলা কারাগারে থাকা সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা মো. আলম খাঁন (৫০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সোমবার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত আলম খাঁন শহরের খলিশাডুলি ওয়াপদা গেইট খান বাড়ির হাজী শামসুল হক খাঁনের ছেলে এবং পৌর এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
চাঁদপুর জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ইউসুফ জানান, সকালে আলম খান অসুস্থতাবোধ করায় তাকে সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার পরিবারের সদস্যদেরকে এ তথ্য জানানো হয়। পরিবারের সদস্যরাও তাৎক্ষণিক হাসপাতালে আসেন।
আলম খানের বাবা জানান, তার মৃত্যুতে তিনি কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুশান্ত বিশ্বাস জানান, আলম খান নামে এক ব্যক্তির ইসিজি করে দেখা গেছে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তিনি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
চাঁদপুর জেলা কারগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ মুনীর হোসাইন বলেন, গত ২১ এপ্রিল এনআই অ্যাক্টের পাঁচ মামলার আসামি ওই বিএনপি নেতাকে সাজার পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে বুকে ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে কারাগারের সহকারী সার্জনের পরামর্শক্রমে সোয়া ৮টার দিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এই ঘটনায় পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান জেলার।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
চট্টগ্রামে স্ত্রীর মামলায় আইনজীবী কারাগারে
১ বছর আগে
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে ধর্ষণচেষ্টা মামলার এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৪ মে) বিকালে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত নূর ইসলাম (৫৫) জেলার কাজিপুর উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মোহাম্মদ ইউনুস জামান বলেন, ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর ধর্ষণচেষ্টা মামলায় নূর ইসলামকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
রবিবার দুপুর ২টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌনে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
কারাগারের সহকারী সার্জন ডা. মশিউর রহমান বলেন, জেল হাজতে আসার পর থেকেই নূর ইসলাম হাইপার টেনশন রোগে ভুগছিলেন। রবিবার দুপুরে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাৎক্ষণিক আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু সেখানে ১৫ মিনিট চিকিৎসা নেওয়ার পরই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুর জেলা কারাগারের হাজতির মৃত্যু
নেত্রকোণায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
১ বছর আগে
শেরপুর জেলা কারাগারের হাজতির মৃত্যু
শেরপুর জেলা কারাগারের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
হাজতি মো. আল আমিন (২৫) নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের লয়খা গ্রামের মো. শরাফত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
তিনি মারধর ও হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় প্রায় দুই মাস ২০ দিন ধরে কারাগারে বন্দি ছিলেন।
জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার আবদুস সেলিম হাজতি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল ও জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হাজতি আল আমিন জেলা কারাগারে আটক ছিল। তার হাজতি নং ৪৫৪/২৩।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে কারাগারের ভেতরে আল আমিন হাটাহাটি করার সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় অসুস্থ হয়ে পড়লে কারারক্ষীরা তাকে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে হাজতি আল আমিন হাসপাতালের বিছানায় মারা যায়।
এ ঘটনায় শেরপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম রাসেলের উপস্থিতিতে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদী হাজতি আল আমিনের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পরিবারের সদস্যদের নিকট তার লাশ হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) খাইরুল কবীর সুমন বলেন, ওই যুবকের সম্ভবত হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তাকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
১ বছর আগে