ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডাসহ তিন দেশের প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ
সাক্ষাৎকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় সুইডেনের আর্থিক সহায়তায় জাতীয় সহনশীলতা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পে বরাদ্দ প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সেফ প্লাস দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে জ্বালানির জন্য এলপিজি সরবরাহ করা হচ্ছে। সবুজায়নের জন্য ক্যাম্প এলাকায় বৃক্ষরোপণ ও শাকসবজি চাষ করা হচ্ছে। সেফ প্লাসের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটি ভাসানচরে সম্প্রসারণের জন্য প্রতিমন্ত্রী সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করলে রাষ্ট্রদূত প্রয়োজনীয় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
এছাড়া সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কক্সবাজার ও ভাসানচরে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম, কক্সবাজারের ক্যাম্পসমূহে শরণার্থীদের আহার, সুপেয় পানি, চিকিৎসা, শিক্ষা, পয়ঃনিস্কাশন এবং রাখাইন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ এবং এ বি এম শফিকুল হায়দার।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে উচ্চতর মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে আরও উচ্চতর মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অংশগ্রহণমুলক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট সোনার বাংলা গড়তে চাই আমরা। পরিকল্পিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমরা হোল অব সোসাইটি অ্যাপ্রোচে কাজ করতে চাই। সুতরাং স্মার্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গড়ার যাত্রায় আপনারাও অংশীজন।’
আরও পড়ুন: সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবাদুর মারা গেছেন
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা যে সারা বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে সম্মান পেয়েছে, সেটির একটি উল্লেখযোগ্য কারণ অংশীদার প্রতিষ্ঠানসমূহের অকুণ্ঠ সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ।
তিনি বলেন, ‘আপনারাও এই কৃতিত্বের অংশীদার। আমি আপনাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে আরও আধুনিক, কার্যকর ও জনমুখী করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা ‘আর্লি ওয়ার্নিং ফর অল’নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানলাম। এটিকে গতিশীল করতে রোড ম্যাপ প্রণয়ন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের আরও কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, কয়েকটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও প্রস্তাবনা নির্ধারণ করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। এর অন্যতম লক্ষ্য হলো- সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গড়া।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ড্রোন টেকনোলজি গ্রহণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী। এর পাশাপাশি অবকাঠামোগত পরিকল্পনা ও প্রকল্পগুলো অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকার জোড়ালোভাবে কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সেগুলোকে আধুনিক ও সম্প্রসারিত করার জন্য আমরা আরও পরামর্শ সভা করব। মোট কথা আমরা সবাই মিলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম অংশীদার হতে চাই। আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এমনভাবে গড়ে উঠবে, যাতে উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগঘটিত সব বাধা দূর হবে।’
মন্ত্রী বলেন, যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমরা প্রতিরোধ করতে পারব না, সেগুলোর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা যেন সর্বনিম্ন থাকে।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগের শিকার এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোসমূহকে দুর্যোগের ক্ষতি থেকে রক্ষা করা। আমাদের মূল উদ্দেশ্য উন্নয়নকে টেকসই করা। এর পাশাপাশি দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলাও আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ উত্তর পুনর্গঠনে প্যারাডাইম শিফটে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকার জোড়ালোভাবে কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে জোড়ালোভাবে কাজ করছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইমার্জেন্সি মাল্টিসেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স (ইএমআসিআর) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বাস্তবায়িত কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে অভিজ্ঞতা শিখন শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, রোহিঙ্গা যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষিত করা, হোম গার্ডেনিং প্রভৃতি বিষয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জোড়পূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে সরকার জোড়ালোভাবে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী এ প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক অনুদানের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পক্ষে নামিকো মোতোকাওয়া এ প্রকল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে একটি উপস্থাপনা দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবাদুর মারা গেছেন
ডব্লিউএফপির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর শিমন প্যারেজ বলেন, তারা প্রকল্পের সহযোগী হিসেবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ৫ টি কম্পোনেন্ট নিয়ে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, শরণার্থী সেলের প্রধান ও অতিরিক্ত সচিব মো. হাসান সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
দুর্যোগ উত্তর পুনর্গঠনে প্যারাডাইম শিফটে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম ধারণা থেকে সরে এসে দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তুতি, দুর্যোগকালীন সুরক্ষা ও দুর্যোগ উত্তর পুনর্গঠনে প্যারাডাইম শিফটে সরকার কাজ করছে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে দক্ষিণ সুদানের মানবিক বিষয়ক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী আলবিনো আকোল আতক মায়োম’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শতবছর পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় যুগোপযোগী ও সমন্বিত দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ও প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের নীতি পরিকল্পনায় ইতোমধ্যে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কৌশল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং সব ধরনের দুর্যোগের প্রস্তুতিতে সরকার বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। দেশবাসীকে আগাম সর্তকর্বাতা দিতে দেশের ৮টি স্থানে পরীক্ষামূলক বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ যন্ত্র বা লাইটেনিং ডিটেকটিভ সেন্সর বসানো হয়েছে। তা ছাড়া বজ্রপাতপ্রবণ ১৫টি জেলায় ৩৩৫টি বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হয়েছে। এবছর সর্বোচ্চ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় আমাদের আগাম সতর্কতা, প্রস্তুতি ও সাড়াদান আরেকটি নজির সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় দেশ গড়তে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে ৮টি জোনে ভাগ করে ঢাকাকে ভূমিকম্প সহনীয় হিসেবে গড়ে তুলতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ভূমিকম্পে কার্যকর অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্রপাতি সংগ্রহ পূর্বক সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে জরুরি সাড়াদানকারী সংস্থাসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০৭১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ভূমিকম্প সহনীয় রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনকে প্রাধান্য দিয়ে ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ প্রণয়ন করেছি। ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ এর প্রথম পর্যায়ে মোট বিনিয়োগের একটা বড় অংশ বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদীভাঙন রোধ, পানিধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও নাব্যতা বৃদ্ধির খরচ হিসেবে ধরা হয়েছে। নদী ড্রেজিং, গ্রীষ্মকালে সেচের পানি সংরক্ষণের জন্য জলাধার নির্মাণ, খাল খনন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, সংস্কারসহ নানাবিধ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি দুর্যোগ মোকাবিলায় এসব বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ ‘দুর্যোগ সহনশীল’ দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত হবে।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব মো. হাসান সারওয়ার এবং কে এম আব্দুল ওয়াদুদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবাদুর মারা গেছেন
সরকার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটর ব্যবসায়ীদের পাশে আছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছেন, কেউ কষ্ট পাবেন না।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে পুনর্বাসন করার কার্যক্রমে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল।
আরও পড়ুন: শতবছর পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এনামুর রহমান বলেন, বেশিরভাগ দোকানে দেখা যায় শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগছে। দক্ষ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ডিজাইন করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, যদি সাধারণ বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি দিয়ে যেনতেনভাবে লাইন টানা হয়, তাহলে আগুনের ঘটনা বারবার মোকাবিলা করতে হবে। কাজেই শুধু সরকার নয়, জনগণকে সচেতন করতে হবে এবং জনগণকেও কমপ্লেক্স তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে।
ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির নেতাদের কথা শুনে প্রতিমন্ত্রী ঘোষণা দেন, রবিবারের মধ্যে কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ১ হাজার বান্ডিল টিন ও ১ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
এ সময় তিনি বলেন, লাগলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চাল ও নগদ টাকা দেওয়া হবে। আগুন লাগার আগে যার যে পরিমাণ জায়গায় দোকান ছিল তারা যেন আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, কারো জায়গা কেউ যেন দখল না করে। আগের অবস্থায় কাজ শুরু হবে। কৃষি মার্কেটের মালিক যেহেতু সিটি করপোরেশন তারা এখানকার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবাদুর মারা গেছেন
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
শতবছর পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, দেশে ঝুঁকিতে থাকা শতবছরের পুরনো ভবন ভেঙে ফেলা হবে।
তিনি বলেন, ওই জায়গায় ভবন নির্মাণ সম্পর্কিত নতুন নীতিমালা অনুযায়ী জমির মালিককে সহজ শর্তে ও বিনা সুদে ঋণ দিয়ে নতুন ভবন করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত দুর্যোগ সহনশীল সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, জাপানের মতো ভূমিকম্পপ্রবণ দেশে যেসব পুরনো ভবনের নির্মাণপদ্ধতি ঠিক ছিল না, ডিজাইন ছিল না, রড সিমেন্ট ছিল না; সেসব ভবন ভূমিকম্পসহিষ্ণু ভবনে রূপান্তর করা হয়েছে। এ জন্য তাদের সময় লেগেছে ৩০ বছর।
আমরাও আশা করছি আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশকে ভূমিকম্পসহনীয় রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা ভবনের সংখ্যা অনেক। নতুন যেসব ভবন তৈরি হচ্ছে সেগুলো ভূমিকম্পসহিষ্ণু কিনা তা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে প্রকৌশলীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে দেওয়া হবে। তারা এসব ভবন পরীক্ষা করে ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলো সংশোধনের ব্যবস্থা করবে।
তিনি বলেন, শুধু কথা নয়, মানুষের জন্য সত্যিকার অর্থে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন খাতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও, ভূমিকম্প ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে আছে। আমরা সেদিকে মনোযাগ দিয়েছি। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক আহ্বান করা হচ্ছে।
এছাড়াও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, জাপানসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে বৈঠক করে প্ল্যান অব অ্যাকশন মোতাবেক কাজ করা হবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান শনিবার জানিয়েছেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ছয় জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুক্রবার (১২ মে) সকালে মোখা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এখনো উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, আশঙ্কা করছি এটি মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আঘাত হানবে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ভোলা ও বরগুনাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ডব্লিউএফপিএ'র কান্ট্রি ডিটেক্টরের সাক্ষাৎ
শনিবার (১২ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, টেকনাফ ও কক্সবাজারের জন্য সুনির্দিষ্ট করে ২-৩ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ভোলার জন্য দুই মিটারের কম উচ্চতার জন্যতে জলোচ্ছ্বাস হ পারে। এছাড়া তিন মিটারের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হলে আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনের জন্য একটি আশঙ্কা থেকে যায়।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে। এখন পর্যন্ত যে দূরত্ব আছে, রবিবার সকাল থেকেই উপকূল স্পর্শ করতে থাকবে।
এনামুর রহমান বলেন, এটির অবস্থান, গতিপথ ও গতি বিবেচনা করে আমরা স্থির করেছি, কক্সবাজার বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়ার জন্য।
আর চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি রাখা হবে। মোংলায় ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকবে।
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত কখন থেকে কার্যকর হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শনিবার (১৩ মে) দুপুর আড়াইটা থেকে এটি কার্যকর হবে। এখন সেন্টমার্টিনের সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হলেও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের শতভাগ আনা সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, যেহেতু রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১২ লাখ, সেহেতু তাদের সরিয়ে নিয়ে কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা আমাদের নেই।
এছাড়া রোহিঙ্গাদের জন্য শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের নেতৃত্বে সাড়ে চার হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে।
সেখানে যেহেতু পাহাড় তাই জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা নেই। কিন্তু বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধস হতে পারে।
এই আশঙ্কা মাথায় রেখে স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকতে বলেছি।
আরও পড়ুন: চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুসহ অনেক বড় বড় স্থাপনা নির্মাণে চীন কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে আমাদের পাশে রয়েছে।
এছাড়া বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে প্রত্যাবর্তনে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বড় ধরনের দুর্যোগে অনুসন্ধান ও উদ্ধারে সমন্বিত কার্যক্রমের জন্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (এনইওসি) প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চীন সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় শিগগিরই এর কার্যক্রম শুরু হবে।
এই লক্ষ্যে চীন সরকারের সঙ্গে শিগগিরই বাংলাদেশ সরকারের একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করছি।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ডব্লিউএফপিএ'র কান্ট্রি ডিটেক্টরের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের উপকূলে সুপার সাইক্লোন ‘সিতারাং’ আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন ‘সিতারাং’ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বুধবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে এখনও কোনো নিম্নচাপ তৈরি হয়নি।
আরও পড়ুন: নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল ফোরকাস্ট সেন্টার (জিএফএস) একটি বার্তা দিয়েছে যে সুপার সাইক্লোন ‘সিতারাং’ চলতি মাসে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
জিএফএস কে উদ্ধৃত করে তিনি আরও বলেন, ১৭ অক্টোবর উপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে এবং এটি একটি ঘূর্ণিঝড়ে ঘনীভূত হবে। এটি পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ এবং অন্ধ্র প্রদেশ হয়ে সুন্দরবনে আঘাত হানতে পারে।
এটি ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের মতো হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের আবহাওয়াবিদরা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং রিপোর্ট করেছেন যে উপসাগরে এখনও কোনও নিম্নচাপ তৈরি হয়নি।’
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এনামুর আরও বলেন, ‘যদি ঘূর্ণিঝড়টি এই অঞ্চলে আঘাত হানে। তবে এটিকে থাইল্যান্ডের নামকরণ করা ‘সিতারাং’ বলা হবে।’
জাপান ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। ‘আমরা যখন সিদ্ধান্তে আসবো তখন আমরা আমাদের প্রস্তুতির বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’
তিনি আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না থাকলেও সরকার ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতি ৮৬,৮১১ কোটি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ের সব প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
‘সাধারণত আমরা বিষণ্ণতার পরে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইক্লোন শেল্টার তৈরি করতে হবে। ‘আমরা সেখানে শুকনো খাবার, পানীয় জল এবং নগদ অর্থ প্রদান করব।’
নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, টেকসই ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।’
মঙ্গলবার ঢাকা নদী বন্দর এলাকা সদরঘাটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডে সচেতনতা বৃদ্ধি মহারায়’ তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ওয়ার্ল্ড ভিশন, একশন এইড এবং ব্র্যাকসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার আর্থিক ও বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কারিগরি সহায়তায় এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
এনামুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর মানুষের কোন হাত নেই, তবে যেকোনো দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে পূর্ব প্রস্তুতি ও সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। আর বর্তমান সরকার সে কাজটি করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্বসাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। তারই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগে দ্রুত উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অ্যাকোয়াটিক সি সার্চবোট, মেরিন রেস্কিউ বোট, মেগাফোন সাইরেনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও যানবাহন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়েছে। এ কার্যক্রম সহজ করার জন্য আরও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রায় ২৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বন্যা উপদ্রুত ১৯ টি জেলার জন্য ৬০টি মাল্টিপারপাস এক্সেসিবল রেস্কিউ বোট সরবরাহ করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হায়দার আলী, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান এবং স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুস সাত্তার মিয়াজী।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতি ৮৬,৮১১ কোটি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে শুরু করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী