দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে আরও উচ্চতর মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অংশগ্রহণমুলক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট সোনার বাংলা গড়তে চাই আমরা। পরিকল্পিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমরা হোল অব সোসাইটি অ্যাপ্রোচে কাজ করতে চাই। সুতরাং স্মার্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গড়ার যাত্রায় আপনারাও অংশীজন।’
আরও পড়ুন: সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবাদুর মারা গেছেন
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা যে সারা বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে সম্মান পেয়েছে, সেটির একটি উল্লেখযোগ্য কারণ অংশীদার প্রতিষ্ঠানসমূহের অকুণ্ঠ সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ।
তিনি বলেন, ‘আপনারাও এই কৃতিত্বের অংশীদার। আমি আপনাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে আরও আধুনিক, কার্যকর ও জনমুখী করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা ‘আর্লি ওয়ার্নিং ফর অল’নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানলাম। এটিকে গতিশীল করতে রোড ম্যাপ প্রণয়ন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের আরও কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, কয়েকটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও প্রস্তাবনা নির্ধারণ করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। এর অন্যতম লক্ষ্য হলো- সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গড়া।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ড্রোন টেকনোলজি গ্রহণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী। এর পাশাপাশি অবকাঠামোগত পরিকল্পনা ও প্রকল্পগুলো অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকার জোড়ালোভাবে কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সেগুলোকে আধুনিক ও সম্প্রসারিত করার জন্য আমরা আরও পরামর্শ সভা করব। মোট কথা আমরা সবাই মিলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম অংশীদার হতে চাই। আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এমনভাবে গড়ে উঠবে, যাতে উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগঘটিত সব বাধা দূর হবে।’
মন্ত্রী বলেন, যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমরা প্রতিরোধ করতে পারব না, সেগুলোর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা যেন সর্বনিম্ন থাকে।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগের শিকার এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোসমূহকে দুর্যোগের ক্ষতি থেকে রক্ষা করা। আমাদের মূল উদ্দেশ্য উন্নয়নকে টেকসই করা। এর পাশাপাশি দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলাও আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ উত্তর পুনর্গঠনে প্যারাডাইম শিফটে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী