ডিজিটাল
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমতার বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বৈষম্য হ্রাস করে সমান সুযোগের বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব। এছাড়া ডিজিটাল বিভাজনে সর্বজনীন সেতুবন্ধুন তৈরিতে প্রয়োজন ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত এক দশকে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: ৩ বছরেই সফল ইউনিকর্ন স্টার্টআপ নগদ: প্রতিমন্ত্রী পলক
রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর একটি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) আয়োজিত ‘রিজিওনাল কনসালটেশন অন গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্টের’ সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে ডিজিটাল সরকারি সেবা দিচ্ছি। সমস্ত সরকারি সেবাকে একটি একক পোর্টালের আওতায় নিয়ে এসেছি। প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করেছি ও নারীর ক্ষমতায়ন করেছি। এভাবেই আমরা স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত, দ্রুত ও দক্ষ সরকারি সেবা দিতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন জি-ব্রেইন নিয়ে কাজ করছি, যা একটি এআই-ভিত্তিক সরকারি পরিষেবা সরবরাহ ব্যবস্থা যেটি প্রথাগত ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করবে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল সেবা দেশের প্রত্যেক অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। ইন্টারনেট সহজলভ্যতার কারণে গ্রামের লোক অনলাইন সেবা পাচ্ছে।
বিমসটেকের সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, নাগরিকদের স্মার্ট পরিষেবা প্রদান ও লক্ষ্য অর্জনে হোল-অব-গ্লোব অ্যাপ্রোচ থাকা উচিত।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, জাতিসংঘের আরসিও প্রতিনিধি মিসেস গুইন লুইস।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে: পলক
বিটিসিএলের সম্পদের লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে: পলক
৫ মাস আগে
বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে ডিজিটাল বই প্রকাশের উদ্যোগ নিন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়নে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বই প্রকাশনা এবং অনুবাদের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে চাই- তাহলে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমি প্রকাশকদের অনুরোধ করব, শুধু মুদ্রিত বই নয়, ডিজিটাল বইও প্রকাশ করুন।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও সংলগ্ন এলাকায় দেশের সর্ববৃহৎ বার্ষিক বইমেলার আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি।
প্রকাশকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল প্রকাশক হলে বিদেশের সব মানুষের কাছে তাদের বই পৌঁছে যাবে। তিনি বলেন, 'অন্য ভাষাভাষীর মানুষও বইগুলো পড়তে পারবেন।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসা গবেষণা বাড়াতে বায়োব্যাংক প্রতিষ্ঠার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলা একাডেমিকে অনলাইন পাঠকদের জন্য প্রকাশিত বইয়ের ডিজিটাল সংস্করণ নিয়ে একটি ওয়েব পোর্টাল খোলার নির্দেশ দেন।
ছাপানো বইয়ের পাশাপাশি অডিও ভার্সন বই পাঠাগারে সহজলভ্য করা অপরিহার্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী অনুবাদ সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘একসময় অনেকেই বিদেশি সাহিত্য অনুবাদ না করার দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু আমি অনুবাদের পক্ষে। অন্য ভাষার সাহিত্য অনুবাদ না হলে আমরা কীভাবে অন্য জাতি, দেশ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানব?’
শেখ হাসিনা বলেন, একই সঙ্গে বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ বাংলা সাহিত্য যেমন অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করতে পারবে, তেমনি বাংলা সাহিত্য পড়ার সুযোগ পাবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের বইগুলো অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করতে পারি তাহলে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বের সর্বত্র আরও দ্রুত তুলে ধরতে পারব। সুতরাং আমাদের এটি নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিদ্যমান সম্পর্ককে উচ্চতর পর্যায়ে নিতে সম্মত বাংলাদেশ-সৌদি আরব
সরকারের ভিশন-২০৪১ এর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যা, সরকার, অর্থনীতি ও সমাজকে স্মার্ট করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে স্মার্ট হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি একটি স্মার্ট সমাজ গড়ে তুলতে চাই, তাহলে আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সবকিছুকে সমৃদ্ধ করতে হবে।’
এখন বইমেলা জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে এই বইমেলাকে উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যাবে।
১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার বক্তব্য, কর্ম এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক দরবারে নিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ১৪৬ সেবা এখন পাওয়া যাবে মাইগভে
ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে চালু করা মাইগভ র্যাপিড ডিজিটাইজেশন পদ্ধতির আওতায় এবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ১৪৬টি ডিজিটাইজড সেবা চালু হয়েছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং অ্যাসপায়ার টু ইনোভেটের (এটুআই) কারিগরি সহায়তা সেবাগুলোকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অবমুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সেবাসমূহ মাইগভ প্ল্যাটফর্মে উন্মুক্তকরণ’- বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডিজিটাইজড সেবাগুলোর উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এটুআই-এর যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) জনাব মো. ছাইফুল ইসলাম।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন সাতটি দপ্তর/সংস্থা ডিজিটাইজেশনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১৪৬টি সেবা ডিজিটাইজড করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫টি সেবা অগ্রাধিকারভিত্তিতে নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
এরই মধ্যে মাইগভ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সেবায় ১৯২টি আবেদন পাওয়া গেছে এবং এর মধ্যে ৯১টি নিষ্পন্ন হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের সেবাগুলো শতভাগ ডিজিটাইজেশনের আওতায় নিতে চাই। আমাদের সেবাগুলোকে ক্যাশলেস ও পেপারলেস এবং আরও নাগরিকবান্ধব গড়তে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়নে অবদান রাখতে চাই।
আরও পড়ুন: পণ্য রপ্তানি শুরুর মাধ্যমে পাটখাত পুনরুজ্জীবিত হয়েছে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাইগভের মাধ্যমে বস্ত্র ও পাট ব্যবসায়ীরা এখন সরকারি অফিসে না গিয়েও ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যবসায় সেবা নিতে পারবেন। স্মার্ট বাংলাদেশে সেবা মিলবে কম সময়ে, কম খরচে আর কম যাতায়াতে।’
মাইগভে নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আবেদন দ্রুততম সময়ে এবং সর্বোচ্চমানের সেবা নিশ্চিতে দপ্তর-সংস্থাদের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এটুআই-এর যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) জনাব মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, মাইগভ প্ল্যাটফর্মে অনলাইনেই রেজিস্ট্রেশন করা, সেবার আবেদন করা, পেমেন্ট করা, আবেদনের দাফতরিক প্রক্রিয়া করা এবং অনলাইনেই সেবাপ্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, মাইগভ তাই স্মার্ট সরকারের স্মার্ট সেবার প্ল্যাটফর্ম। এখন থেকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সেবাগুলো এই সমন্বিত সেবা প্ল্যাটফর্ম মাইগভে পাবেন নাগরিকরা। মন্ত্রণালয়ের সব সেবা ডিজিটাইজড করার ক্ষেত্রে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।
সমন্বিত সেবা প্রদান প্ল্যাটফর্ম (ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন) হিসেবে মাইগভে (www.mygov.bd) মন্ত্রণালয় ও দপ্তর বা সংস্থার বিদ্যমান ই-সেবার সিস্টেমগুলো ইন্টিগ্রেশনের সুযোগ রয়েছে। এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে নির্মিত মাইগভ প্ল্যাটফর্মে এ পর্যন্ত ১২০০টি নাগরিক সেবাসহ মোট এক হাজার ৮৯২টি ডিজিটাইজড সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমানে মাইগভে ৪০ লক্ষাধিক নিবন্ধিত গ্রাহক রয়েছেন। তাদের ২৭ লাখেরও বেশি সেবার আবেদনের মধ্যে ২৬ লাখের বেশি এরই মধ্যে নিষ্পন্নও করা হয়েছে।
এ ছাড়া মাইগভে নাগরিক একবার তথ্য দিলে সেবা নিতে বারবার তথ্য দিতে হয় না। প্রতিবার আবেদনেই নাগরিকের প্রোফাইলে থাকা তথ্য অটো-ফিল হয়ে যায়। এতে সময়, ব্যয় ও যাতায়াত অনেক কমেছে। মাইগভে সেবা নিয়ে নাগরিক সন্তুষ্টি ও মতামত জানাতে পারছেন।
আরও পড়ুন: বস্ত্র দিবসে সম্মাননা পাচ্ছে ৭ সংগঠন
মাইগভ র্যাপিড ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন সাতটি দপ্তর ডিজিটাইজেশনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১৪৬টি সেবা ডিজিটাইজড করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫টি সেবা অগ্রাধিকারভিত্তিতে নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১৪৬টি সেবার গ্রাহকের আনুমানিক সংখ্যা ৪৮ হাজার।
জি-টু-বি সেবায় গ্রাহকদের অধিকাংশই প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোক্তারাও রয়েছেন।
অন্যদিকে, অভ্যন্তরীণ সেবার গ্রাহক সবাই সরকারি কর্মচারী।
মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেসব দপ্তর ও সংস্থার সেবা মাইগভে পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো হলো- পাট অধিদপ্তর, বস্ত্র অধিদপ্তর, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশন, জুট ডাইভার্সিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফের সঞ্চালনায় কর্মশালায় মাইগভের মাধ্যমে সেবাদানে দপ্তরের করণীয় বিষয়ক একটি উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের চিফ ইনোভেশন অফিসার (অতিরিক্ত সচিব) মো. তরিকুল আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাইগভ র্যাপিড ডিজিটাইজেশন পদ্ধতিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ডিজিটাইজড হওয়া সেবা বিষয়ে উপস্থাপনা প্রদান করেন এটুআইয়ের প্রজেক্ট অ্যানালিস্ট (উপসচিব) মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থাপ্রধান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ও ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এটুআই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিক সেবা সহজিকরণে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কারখানা নির্মাণে কোনো অনিয়ম চলবে না: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
১ বছর আগে
সমালোচনা-উপহাস সত্ত্বেও দেশকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করেছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার কিছু মহলের কঠোর সমালোচনা, অপমান ও উপহাস সত্ত্বেও দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছি। কিন্তু শুরুতে আমাদের কঠোর সমালোচনা, অপমান ও উপহাসের সম্মুখীন হতে হয়েছে। যখনই সমস্যা বা সংকট দেখা দিয়েছে, অনেকেই আমাদের উপহাস করেছেন। বলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে এটা হয়েছে।’
শনিবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৩-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দুই দিনব্যাপছ্সিম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ফ্ল্যাগশিপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের শিক্ষার মান উন্নত করুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনী প্রচারের সময় আওয়ামী লীগ যখন তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেছিল, তখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের চরম উপহাসের সম্মুখীন হতে হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমি গর্ব করে বলতে পারি, আমরা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট বিষয়ক চিন্তাভাবনা, ব্লকচেইন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা ও সাইবার নিরাপত্তার মতো আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য তার সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে
তিনি বলেন, তারা প্রতিটি উপজেলায় বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করছে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে স্মার্ট করতে পদক্ষেপ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এ পর্যন্ত ৩০টি বিনিয়োগ সম্পন্ন করেছে এবং ‘শত বর্ষে শত আশা’প্রচারের আওতায় ১০০টি স্টার্টআপ বিনিয়োগ প্রক্রিয়াধীন।
এর মাধ্যমে ১৫ লাখের বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯২ লাখ মানুষ সেবা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন, যাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ নারী।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জাতীয় স্টার্টআপ নীতিমালা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ স্টার্টআপ ফান্ড প্রণয়ন করেছে। এর মাধ্যমে দেশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে এখন পর্যন্ত ৯২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি ইউনিকর্ন তৈরিতে সহায়তা করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫৪০টি ইউনিকর্ন তৈরি করা লক্ষ্য।
তিনি বলেন, কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি স্টার্টআপ কোম্পানিকে ইউনিকর্ন বলা হয় এবং একটি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ লাখ লাখ লোকের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ, স্মার্ট ও বুদ্ধিমান জনশক্তি তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্টার্টআপে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি তুলে ধরুন: নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
ই-কমার্স মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ এলাকার ফ্রিল্যান্সাররা ৫০ কোটি ডলারের বেশি আয় করছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে দেশের তরুণরাই হবে মূল শক্তি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণরা হবে প্রতিটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে দক্ষ জনশক্তি, গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।’
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
পুরস্কার প্রাপ্তদের পক্ষে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক এবং এসবিকে টেক ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
দুই দিনব্যাপী এই ইভেন্টের লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন দেশের স্টার্টআপ, উদ্যোগ, ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট, বিনিয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও বিশেষজ্ঞদের একত্র করা।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম উন্মোচন করেন, ভারত-বাংলাদেশ স্টার্টআপ ব্রিজ ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ স্টার্টআপ ফান্ড চালু করেন।
তিনি বিজয়ীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্রান্ট এবং বাংলাদেশ স্টার্টআপ অ্যাওয়ার্ডও তুলে দেন।অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়।
১ বছর আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা
প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাভারের তার বাসা থেকে তাকে সিআইডি সদস্যরা তুলে নেওয়ার প্রায় ১০ ঘন্টা পর বুধবার বিকালে এই মামলা দেয়া হলো।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, দেশের স্বাধীনতা দিবসে বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিআইডি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মামলার এজাহারে বলা হয়, বুধবার বেলা ১টা ৩২ মিনিটের দিকে ফার্মগেট এলাকার আল রাজি হাসপাতালের সামনে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় বাদী প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে একটি খবর পড়েন। তার ফেসবুক পেজেও খবরটি শেয়ার করা হয়েছে।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে হাতে ফুল ধরা শিশুর ছবিসহ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ছেলেটির নাম জাকির হোসেন এবং তিনি বলেন, ‘ভাত না থাকলে স্বাধীনতা দিয়ে কী করব? আমি যখন বাজারে যাই তখন আমার ঘাম হয়, আমাদের মাছ, মাংস এবং ভাতের স্বাধীনতা দরকার।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়, শামসুজ্জামানের প্রতিবেদনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় যা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এবং দেশে-বিদেশে সমালোচনার জন্ম দেয়।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে ছেলেটির নাম জাকির হোসেন থাকলেও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর ডটটিভির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ছেলেটির আসল নাম সবুজ আহমেদ এবং সে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
একাত্তর ডট টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছেলেটি এমন কিছু বলেনি যে, ‘আমার কাছে ভাত না থাকলে স্বাধীনতা দিয়ে কী করব? আর প্রতিবেদক তাকে ১০ টাকা দিয়ে তার ছবি তোলেন।
বাদী বলেন, প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল যাতে ভুয়া নাম ও উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এমন প্রতিবেদনে তার মতো দেশ-বিদেশের আরও অনেকে ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার ভোর ৪টার দিকে শামসুজ্জামান শামসকে সাভারের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সিআইডি সদস্যরা।
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সিআইডি তাকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা তিনি উল্লেখ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে পুলিশের অভিযান শুরু
তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা: চার্জ শুনানি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি
১ বছর আগে
৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে নিজের উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে অপারেটরদের সহায়তা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হুয়াওয়ের সিএসডি ফোরাম ২০২২ -এ আলোচনায় এই বিষয়টি উঠে আসে। হুয়াওয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একাধিক দেশের মন্ত্রী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বৈশ্বিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই ফোরামে হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস সল্যুশনের প্রেসিডেন্ট কাও মিং হুয়াওয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের সঙ্গে প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
৫০ কোটি মানুষ যেন ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা উপভোগ করতে পারেন এবং পাঁচ লাখ মানুষ অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন, এজন্য ২০২৫ সালের মধ্যে উন্নত আইসিটি অবকাঠামো তৈরির অন্যতম লক্ষ্য অর্জনে হুয়াওয়ে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করছে।
লিয়াং হুয়া তার মূল বক্তব্যে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
ডিজিটাল আর্থিক সেবা সাফল্যের ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে, বাংলাদেশে একটি মোবাইল ই-ওয়ালেট পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে বিকাশ এবং হুয়াওয়ের অংশীদারিত্ব এবং কীভাবে এই পরিষেবাটি বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সক্ষম করে তুলবে সে বিষয়টি লিয়াং উপস্থিত সবার সামনে তুলে ধরেন।
আলোচনায় লিয়াং বলেন, ‘মোবাইল ইন্টারনেট যুগ থেকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট যুগে ধীরে-ধীরে প্রবেশ করছি। এই যুগে সবকিছু পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং সহজ যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কানেক্টিভিটি শুধুমাত্র ডিজিটাল অর্থনীতির ভিত্তি নয় বরং এটি প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার।’
আরও পড়ুন: দেশের ক্লাউড খাতের বিকাশে হুয়াওয়ে ও রেডডট ডিজিটাল
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়গুলোকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য আমরা দু’টি ক্ষেত্রে এ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। প্রথমত, আমরা ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি এবং ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে ডিজিটাল পরিসরের উপযোগী দক্ষ প্রতিভা বিকাশে কাজ করছি। দ্বিতীয়ত, শক্তিশালী ডিজিটালএবং বাস্তব অর্থনীতির জন্য ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।’
এ লক্ষ্যে, হুয়াওয়ে ২০টি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশে (চীন ও ভারত ছাড়া) প্রায় ১ দশমিক ১ বিলিয়নমানুষ এবং ২৯৩ মিলিয়ন বাড়িতে কানেক্টিভিটি সেবা প্রদান করেছে। হুয়াওয়ে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সুদৃঢ় ট্র্যাক রেকর্ড বজায় রেখেছে।
২০২১ সালে হুয়াওয়ে এ অঞ্চলে তিন লাখেরও বেশি বেস স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণে করেছে, যা ফোরজি নেটওয়ার্ক কভারেজ জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছানোর বিষয়টিকে তরান্বিত করেছে। ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ডাউনলোডের হার এখন এ অঞ্চলে প্রতি সেকেন্ডে ১১০ মেগাবিট, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশে ইনফো সরকার প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের অবকাঠামো নেটওয়ার্ক নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে হুয়াওয়ে। বর্ষাকালে ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, হুয়াওয়ের ডেলিভারি কর্মীরা সাবট্রপিক্যাল ফরেস্ট, জলাভূমি, জলাবনসহ সরকারি প্রকল্পের অবকাঠামো নেটওয়ার্ককে ২ হাজার ৬০০ গ্রামীণ জনপদে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। যা দেশের মোট ৬০ শতাংশ এলাকায় ছড়িয়ে গেছে। এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী অনেক বাংলাদেশিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের জাতীয় ডিজিটাল সংযোগ প্রকল্পেও অংশগ্রহণ করবে, যেখানে সরকার, শিক্ষা ও আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বই মেলার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ক্লাউড সার্ভিস দিচ্ছে হুয়াওয়ে
অনলাইন শিক্ষার প্রসারে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার আশা হুয়াওয়ের সিইও
২ বছর আগে
‘বৈধ পথে আরও বেশি রেমিট্যান্সের জন্য ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি’
টেকসই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের জন্য বৈধ পথে আরও বেশি রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করার জন্য সুবিধাজনক ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বুধবার রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত 'বৈধ চ্যানেল: ডিজিটাল প্লাটফর্মের প্রসপেক্টস' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এই অভিমত দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার এবং বিশেষজ্ঞরা বৈদেশিক মুদ্রার ক্রমহ্রাসমান স্টক নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আরও বেশি রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করার জন্য আরও ভাল কৌশলের জন্য বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন।
আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে ফি দিতে হবে না প্রবাসীদের
মান্নান বলেন, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ যারা রেমিট্যান্স গ্রহণ করেন,তাঁদের ব্যাংকে গিয়ে লেনদেনের বিষয়ে এক ধরনের সামাজিক ও মনস্তাত্বিক দূরত্ব আছে। ফলে ঘরে বসেই অবৈধ পথে রেমিট্যান্স গ্রহণ করাকেও তাঁরা অপেক্ষাকৃত সহজ মনে করেন। বৈধ পথে রেমিট্যান্স আনতে যারা কাজ করছে তাদের সঙ্গে প্রবাসীদের দূরত্ব কমাতে না পারলে রেমিট্যান্স বাড়ানো যাবে না। এ জন্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যম কার্যকারী ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে সপ্তাহে তিন দিন বিদেশের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ থাকে। এ কারণে অনেকেই সুবিধাজনক বিকল্প হিসেবে হুন্ডিকে বেছে নিচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার এসব ঐতিহ্য ভেঙে একটি ধারা শুরু করতে চায়। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বাড়াতে ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘অভিবাসী শ্রমিকরা হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে বেশি আগ্রহী, যখন অবৈধ চ্যানেলগুলিতে ডলারের বিনিময় হারের পার্থক্য বৈধ উপায়ের চেয়ে বেশি হয়।’
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মওলা বলেন, দেশে প্রবাসীদের স্বজনদের কাছে টাকা পাঠানোর সমস্যা দূর হলে বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রা ও রিজার্ভ সংকট মোকাবিলা করা সহজ হবে।
তিনি বলেন, 'ডিজিটাল পদ্ধতিতে রেমিট্যান্স পাঠানো সম্ভব হলে আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেমের চেয়ারম্যান ড. বজলুল এইচ খোন্দকার এ বিষয়ে একটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শারমিন নীলরমী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিএফআইইউ'র সাবেক উপ-প্রধান ইস্কান্দার মিয়া, বিকাশ প্রধান পররাষ্ট্র ও করপোরেট বিষয়ক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম এবং অর্থনীতিবিদ খোন্দকার শাখাওয়াত আলী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ডলারের অভিন্ন দাম: রেমিট্যান্সের জন্য সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা ও রপ্তানি আয়ের জন্য ৯৯ টাকা
২৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার
২ বছর আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি-৬ ভার্সন অপরিহার্য: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন (আইপিভি)-৪ এর পরিবর্তে আইপিভি-৬ প্রচলন করা অপরিহার্য। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যব্স্থা গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর।
রবিবার ঢাকায় এক হোটেলে আইএসপিএবি আয়োজিত আইপিভি-৬ রাউটিং ডিপ্লয়মেন্ট শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
এছাড়া মন্ত্রী ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারসহ সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে সুস্থ্য ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, লাইসেন্সহীন আইএসপিদের অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে না পারলে এ খাতের বিশৃঙ্খলা বন্ধ করা যাবে না।
এ ব্যাপারে বিটিআরসি কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ খাতে যে কোন বিশৃঙ্খলা মেনে নেয়া যায় না। উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ের জন্য আইএসপি লাইসেন্স গ্রাহক চাহিদার অনুযায়ী ইস্যু করার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বিদ্যমান আইএসপি লাইসেন্স সমূহের পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে লাইসেন্স আপগ্রেডের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টদের আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুন: প্রতিটি থানায় সাইবার ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
মন্ত্রী উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মহাসড়ক উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে।
দেশে বর্তমানে তিন হাজার ৮৪০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ২০০৮ সালে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো মাত্র আট লাখ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ইন্টারনেটকে এক নম্বর জরুরি হাতিয়ার আখ্যায়িত করে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, করোনাকালে প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে থাকে না। এমনকী প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে বসেও ইন্টারনেট ব্যবহার করে হাজার হাজার ডলার আয় করছে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে।
ইন্টারনেটের বর্ধিত চাহিদা মেটাতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ খুবই তৎপর উল্লেখ করে বলেন, আমরা খুব শিগিগিরই তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করতে যাচ্ছি। এর ফলে আমরা আরও ১৩২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউদথ পাব। এছাড়া পরবর্তীতে চতুর্থ সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে আমরা দেশকে সংযুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
এর অতিরিক্ত আরও তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের জন্য লাইসেন্স দেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
সেমিনারে অংশ গ্রহণকারীদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় দক্ষ সৈনিক হিসেবে নিজেদের তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আসছেন এটিকে আমরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তিনি আইপিভি-৬ আপডেট করার জন্য দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খান, অ্যাপনিক প্রশিক্ষক আবদুল আওয়াল এবং আইএসপিএবি সেক্রেটারি নাজমুল করিম ভূঞা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তার প্রয়োজনে আইপিভি-৬ ভার্সন এর প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন। তারা এ ব্যাপারে দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজনীয়তা ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
ডিজিটাইজেসন বা পদ্ধতিগত রূপান্তরের ফলে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ দূর হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার
২ বছর আগে
আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের পথ নকশা আমরা তৈরি করছি। খুব শিগগিরই তা বাস্তবায়ন শুরু হবে। ইতোমধ্যে ১৪টি শর্টিং সেন্টার নির্মাণ ও ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রেলে চিলিং বগি ও ডাকের অন্যান্য গাড়িতে চিলিং ভ্যান চালু করার উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি কর্মরত ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীকেও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ আমরা শুরু করেছি। এর ফলে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডের ডিজিটাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে ।
শনিবার বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষ্যে দেয়া বিবৃতিতে ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের এসব কথা বলেন।
৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ দিবসটি পালন করবে। এই দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘পোস্ট ফর প্লানেট’। বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়- বিশ্বের জন্য ডাকঘর।
বিবৃতিতে মন্ত্রী বিশ্ব ডাক দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্ত ডাক সার্ভিসকে একটা ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমরা ইতোমধ্যে সেটা অনেকটা পেরেছি। ই-কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাইজেসন বা পদ্ধতিগত রূপান্তরের ফলে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ দূর হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার
দেশব্যাপী ডাকঘরের যে বিশাল অবকাঠামো ও জনবল আছে তা দেশের অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে ডাকঘরের বিকল্প নেই।
করোনাকালে কৃষকের ফল,সবজি পরিবহন থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে ডাক সেবার অবদান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জরুরি সেবার আওতায় ডাকঘর একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি। ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের অভিযাত্রায় প্রেরক ও গ্রাহকগণ ডাকদ্রব্যের সর্বশেষ অবস্থান বা বিতরণের তথ্য ট্র্যাক করেই জানতে পারছেন। ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের অভিযাত্রার ধারাবাহিকতায় পয়েন্টস অব সেলস মেশিনের মাধ্যমে ডাকদ্রব্যে সংযুক্ত বারকোড স্ক্যান করে প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুটসহ প্রেরক-প্রাপকের ঠিকানার ছবি সংযুক্ত করে বুকিং সম্পন্ন করার ফলে গ্রাহকগণ সহজেই বারকোড স্ক্যান করে তাদের ডাকদ্রব্যের অবস্থান শনাক্ত করতে পারছেন। এছাড়াও গ্রাহকদের সুবিধার্থে ঢাকা জিপিওসহ গুরুত্বপূর্ণ ডাকঘরসমূহে ডিজিটাল সিরিয়াল সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, ডাকঘর থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের লেনদেন এর পাশাপাশি সীমিত আকারে ডিজিটাল-কমার্স, মোবাইল মানি অর্ডার এবং পার্সেল সেবা প্রদানের জন্য কাউন্টার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ রাজধানীর তেজগাঁও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা সহায়ক সরঞ্জাম পিপিই, কিটস এবং গণসচেতনতা মূলক লিফলেট ইত্যাদি সামগ্রী বিনা মাশুলে দেশব্যাপী অতি দ্রুততার সঙ্গে পাঠানো হয়।
মোস্তাফা জব্বার বিশ্ব ডাক দিবস -২০২২ এর সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ১৮৭৪ সালের ৯ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে ২২টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গঠিত হয় ‘ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন’। পরবর্তীতে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে ১৯৬৯ সালে ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ডাক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ) এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্য পদ লাভ করে। এরপর থেকে দেশে প্রতিবছর বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: পৃথিবী হবে ডাটা নির্ভর: মোস্তাফা জব্বার
প্রাথমিক স্তর থেকে সকলকে প্রোগ্রামিংয়ে যুক্ত করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
২ বছর আগে
চার বিতরণ অঞ্চলে ডিজিটাল কল সেন্টার স্থাপন করবে বিপিডিবি
দেশের চারটি বিতরণ অঞ্চল চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লায় ২৪ ঘন্টা গ্রাহক সেবা দিতে ডিজিটাল কল সেন্টার স্থাপন করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি)।
রবিবার ডিজিটাল কল সেন্টার স্থাপনে বেসরকারি আউটসোর্সিং সংস্থা ডিজিকনের সঙ্গে বিপিডিবি এই চুক্তি সই করে।
এর মাধ্যমে বিপিডিবি তার ৩৬ লাখ গ্রাহককে গ্রাহক পরিষেবা দিবে।
চুক্তি অনুযায়ী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেড আগামী তিন মাসের মধ্যে ঢাকার বিদ্যুৎ ভবনে কল সেন্টার স্থাপন করবে। গ্রাহকদের সেবা প্রদানের জন্য ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কল সেন্টারটি পরিচালনা করবে বিপিডিবি।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৯ মাস ছাড়
বিপিডিবি’র কল সেন্টারটি সারা বছর ২৪ ঘন্টা চালু থাকবে এবং এটি চালু হয়ে গেলে যেকোন বিপিডিবি গ্রাহক একটি অ্যাপ ব্যবহার করে বা মোবাইল ফোন থেকে ১৬১৩১ নম্বরে কল করে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
কল সেন্টার অভিযোগটি তাৎক্ষণিক গ্রহণ করবে এবং সমস্যাটি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে অভিযোগের অবস্থা সম্পর্কে গ্রাহকের প্রতিক্রিয়াও পাঠাবে।
গ্রাহক অ্যাপ ব্যবহার করে অভিযোগের স্থিতি ট্র্যাক করতে পারেন এবং অভিযোগের সমাধান হয়ে গেলে পরিষেবাটি মূল্যায়ন করতে পারেন।
বিপিডিবি কর্মকর্তারা তাদের স্মার্ট মোবাইল ফোন থেকে একটি ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে সেবাটি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
ডিজিকন টেকনোলজিস ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য সিস্টেমটি পরিচালনা করবে। এর মধ্যে, এটি প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার তৈরি করবে এবং জনশক্তিকে প্রশিক্ষণ দেবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্রাহকসেবা প্রদানে বিপিডিবির উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
বিদ্যুৎ ভবনে এক অনুষ্ঠানে ডিজিকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরীফ এবং বিপিডিবির দাপ্তরিক ক্রয় পরিচালক রুবিনা হক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
ডিজিকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরীফ বিপিডিবিকে অন্যান্য বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির অন্য সব কল সেন্টারকে একটি সিস্টেমে একীভূত করার পদক্ষেপ নিতে বলেন, যাতে এর যেকোনো গ্রাহক সহজেই অভিযোগ করতে পারে এবং কোনো ঝামেলা ছাড়াই সেবা পেতে পারে।
আরও পড়ুন:আগস্টে রেকর্ড ৮ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা ভ্যাট সংগ্রহ
তিনি আরও বলেন, ‘কল সেন্টার এবং এর সিস্টেমটি অবশ্যই ব্যবহারকারী বান্ধব হতে হবে এবং অভিযোগ দায়েরের জন্য পাওয়ার সেক্টরের সমস্ত সংস্থার জন্য একটি অনন্য নম্বর থাকা উচিত।’ অন্যান্য বিতরণ সংস্থার মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন নম্বর মনে রাখা অসম্ভব। ইতোমধ্যে তাদের আলাদা কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বিপিডিবিকে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) অনুসরণ করার পরামর্শ দেন যাতে মনে রাখার মতো একটি সহজ অনন্য নম্বর পাওয়া যায়।
বিপিডিবি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও ডিজিকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান।
তবে ডিজিকন কীভাবে চুক্তিটি পেয়েছে এবং পরিষেবা প্রদানের জন্য কত টাকা দেয়া হবে সে সম্পর্কে অনুষ্ঠানে কিছু জানানো হয়নি।
ওয়াহিদুর রহমান জানান, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির আওতায় ডেসকো গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আসছেন তারা।
আরও পড়ুন: বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
২ বছর আগে