চক্র
মানিকগঞ্জে স্বর্ণ পাচার চক্রের ৫ জনের যাবজ্জীবন
মানিকগঞ্জে স্বর্ণ পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
এ মামলায় ১৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মধুরনাথ সরকার ও আইনজীবী নজরুল ইসলাম বাদশা।
আসামিরা হলেন- ইয়াহিয়া আমিন, শেখ আমিনুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান রনি, শেখ জাহিদুল ইসলাম ও মো. জহিরুল ইসলাম তারেক। তাদের বাড়ি সাতক্ষীরা, যশোর মুন্সীগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জ থানাধীন তরা এলাকায বেনাপোলগামী একটি বাস আটক করে।
এ সময় তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের পাঁচজনেরই দেহ তল্লাশি করে ২২৭টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। যার ওজন প্রায় ৪৪ কেজি।
এ ব্যাপারে সদর থানায় ৫ অক্টোবর সুবেধার মোকসেদ আলম বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলা: ৩৫ বছর পর ২ জনের যাবজ্জীবন
খুলনায় ২ শিশুকে ধর্ষণ মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন
৮ মাস আগে
জাল কাগজপত্র তৈরি চক্রের ২৩ সদস্য গ্রেপ্তার
রোহিঙ্গা ও কুখ্যাত অপরাধীদের অবৈধভাবে জন্ম সনদ, ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরি চক্রের ২৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
গ্রেপ্তার ২৩ জনের মধ্যে ৩ জন রোহিঙ্গা, ২ জন আনসার ফোর্সের সদস্য ও দালাল রয়েছেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৭টি পাসপোর্ট, ১৩টি ভুয়া এনআইডি, পাঁচটি কম্পিউটার, তিনটি প্রিন্টার, ২৪টি মোবাইল ফোন ও পাসপোর্ট তৈরির শতাধিক নথি উদ্ধার করা হয়।
তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে গ্রেপ্তাররা রাজশাহী, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কম্পিউটার অপারেটরের মাধ্যমে অপরাধী ও রোহিঙ্গাদের ভুয়া জন্মসনদ সংগ্রহ করত। পরে তারা এসব তথ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরি করতে।
আরও পড়ুন: জুয়ায় হারের ক্ষতি পোষাতে বিকাশ এজেন্টকে হত্যা: আসামিকে গ্রেপ্তার
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাসপোর্ট ও কম্পিউটারসহ তিন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও ১০ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার, টাঙ্গাইল ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় ডিবি। অভিযানে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি দালাল সিন্ডিকেট চক্রের দুই আনসার সদস্য এবং আট মধ্যস্থতাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রোহিঙ্গারা হলেন- উম্মে ছলিমা ছামিরা, মরিজান ও মো. রাশিদুল; রোহিঙ্গাদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত আইয়ুব আলী ও মো. মোস্তাকিম; আনসার সদস্য মো. জামসেদুল ইসলাম ও মো. রায়হান এবং বাঙালি দালাল রাজু শেখ, শাওন হোসেন ওরফে নিলয়, ফিরোজ হোসেন, তুষার মিয়া।
এ ছাড়া আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর ও উত্তরা এলাকার দালাল - শাহজাহান শেখ, শরিফুল আলম, জোবায়ের মোল্লা, শিমুল শেখ, আহমদ হোসেন, মাসুদ আলম, আব্দুল আলীম, মাসুদ রানা, ফজলে রাব্বি শাওন, রজব কুমার দাস দীপ্ত, আল-আমিন ও মো. সোহাগ।
সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান। এ সময় ডিবির লালবাগ বিভাগের ডিসি (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান বলেন, সিন্ডিকেট সদস্যরা হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষদের জন্মসনদ, এনআইডি কার্ড ও পাসপোর্ট তৈরি করে দিত। চক্রটি তিনটি ভাগে এটি করছে। তাদের একটি দল কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি থেকে রোহিঙ্গাদের ঢাকায় নিয়ে আসে। আরেক গ্রুপ তাদের জন্য জন্মসনদ, এনআইডি কার্ড তৈরি করে। সবশেষে অন্য গ্রুপটি ঢাকাসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আনসার সদস্যদের মাধ্যমে টাকা জমা, বায়োমেট্রিক ও ছবি তোলার ব্যবস্থা করে।
আরও পড়ুন: ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
তিনি বলেন, সাধারণত ছয় ঘণ্টার মধ্যে জন্মসনদের জন্য ৫ থেকে ১২ হাজার টাকা নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে তারা স্বীকার করেন, তিন দিনে এনআইডি পেতে ২৫ হাজার টাকা এবং পাসপোর্ট করতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নেওয়া হতো।
গ্রেপ্তার দালালদের মোবাইল ফোনে সংশ্লিষ্ট সফট ডকুমেন্ট, শতাধিক পাসপোর্টের ডেলিভারি স্লিপ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে গত তিন মাসে রোহিঙ্গাদের জন্য ১৪৩টি পাসপোর্ট করা হয়েছে। চক্রের সদস্যরা ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন নাম-ঠিকানায় রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অপরাধীদের পাসপোর্ট দেওয়ার কথাও স্বীকার করেছে।
ডিএমপি ডিবির এই শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তাররা ঢাকা, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রংপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল জেলার ঠিকানা ব্যবহার করে জন্মসনদ ও এনআইডি তৈরি করে পাসপোর্ট তৈরি করে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ডাটাবেজ, ডিজিটাল জন্ম সনদের ডাটা এবং স্মার্ট এনআইডি ডাটা ব্যাংক রয়েছে, যেখানে বায়োমেট্রিক্স, ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষিত থাকে। তবে এই তথ্যের কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই যে কেউ বায়োমেট্রিক জমা দিয়ে দালালের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ভিত্তিতে পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের জন্য ছবি তুলতে পারবেন। তবে পাসপোর্ট তৈরির আগে রোহিঙ্গা তথ্য, ডিজিটাল জন্মসনদের তথ্য ও স্মার্ট এনআইডির তথ্য যাচাই-বাছাই করে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশি নাগরিক ও রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের ৩৭ সদস্য গ্রেপ্তার
৮ মাস আগে
অনলাইন জালিয়াতি চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) সোমবার রাজধানীর ভাটারা ও মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে অনলাইন প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- তৌহিদ মোল্লার ছেলে মো. তুর্জাউল হোসেন তুর্জো(২২), আব্দুল মোল্লার ছেলে জুলহাস হোসেন ওরফে শায়ন(৩০), মো. বখতিয়ার গাজীর ছেলে মো. মনির হোসেন(২৪), মো. কায়েস বিশ্বাসের ছেলে মো. রাজিব বিশ্বাস (২১), আবু জার বিশ্বাসের ছেলে মো. মাহফুজ বিশ্বাস ওরফে মাহফুজ(২৭) ও আব্দুল আল মুকিত কাওসার (২১)।
আরও পড়ুন: দলিল জালিয়াতির মামলায় জাপার আহ্বায়ক গ্রেপ্তার
এটিইউ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসলাম খান (মিডিয়া ও সচেতনতা বিভাগ) বলেছেন, খবর পেয়ে এটিইউ -এর একটি দল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর ভাটারা ও মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, ১৮টি মোবাইল ফোন সেট এবং দুটি হার্ডডিস্ক উদ্ধার করেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, অনলাইন প্রতারক চক্র ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রির নামে প্রতারণা করে আসছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঋণ জালিয়াতির মামলায় রিজেন্ট সাহেদের জামিন
১ বছর আগে
সিলেটে সাইবার অপরাধ চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার: র্যাব
সিলেটে সাইবার অপরাধ চক্রের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রবিবার (২৬ মার্চ) সকালে নগরীর শামীমাবাদ এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ সাইবার অপরাধ চক্রের অন্যতম মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯।
গ্রেপ্তার মো. রুমেন হোসেনকে (২৩) সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার কুমারকান্দি এলাকার মৃত আফরোজ মিয়ার ছেলে।
র্যাব-৯ জানায়, রুমেন শামীমাবাদ এলাকার একটি তিনতলা বাসা ভাড়া করে নিচতলায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। অভিযানকালে তার কাছ থেকে সাইবার অপরাধের কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটার সিপিইউ, একটি কি-বোর্ড, একটি মাউস, একটি কম্পিউটার মনিটর, তিনটি স্মার্ট ফোন ও চারটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
র্যাব সূত্র আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার যুবক তথ্য-প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে টেলিগ্রাম আইডি ব্যবহার করে তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যক্তিগত মোবাইল কল ডাটা (সিডিআর) এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে অর্থের বিনিময়ে মানুষের নিকট সরবরাহ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
রুমেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জব্দ আলামতসহ সোমবার কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় 'প্রলয় গ্যাংয়ের' দুই সদস্য গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির গাড়িচালক হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
নাটোরে ‘ইমো হ্যাকিং’ চক্রের ৪ সদস্য আটক: র্যাব
নাটোরের লালপুরের দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ‘ইমো হ্যাকিং’ চক্রের চার সদস্যকে আটকের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রযুক্তির সাহায্যে লালপুর উপজেলার বিরোপাড়া ও বিলমারিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- আরিফ (২৪), বিজয় সরদার (২২), মোহন (২৪) ও আল-আমিন (২০)।
আরও পড়ুন: ইমোতে ছাত্রীকে প্রশ্ন দিয়ে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার ফাহাদ হোসেন বলেন, এই চক্রটি গত ২ মার্চ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকার সৌদী প্রবাসী জাকির হোসেনের ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে প্রতারণার মাধ্যমে তার স্ত্রীর কাছ থেকে ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
তিনি আরও বলেন যে ভুক্তভোগী পরিবার ঢাকায় র্যাবের কাছে অভিযোগ দিলে এ অভিযান চালানো হয়।
আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১১টি মোবাইল ও ১৭টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সার্ভার হ্যাক করে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি: ৫ জন আটক
১ বছর আগে
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার নামে প্রতারণা, চক্রের মূল হোতা আটক
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার কথা বলে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে চক্রের মূল হোতাকে আটক করেছে র্যাব-১৪।
ভুক্তভোগীদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার রাতে সদর উপজেলার বাড়ারপাড় এলাকা থেকে চক্রের মূল হোতাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গর্তের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
প্রতারক জামান মিয়া দাপুনিয়া বাড়ারপাড় এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে।
সোমবার দুপুরে নগরীর আকুয়া বাইপাস র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের-১৪ এর উপ-অধিনায়ক মেজর শিশির মো. তালুকদার।
তিনি জানান, প্রতারক জামান দীর্ঘদিন যাবত গ্রামের নিরীহ মানুষের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
এই প্রতারক এ পর্যন্ত ৪২ জন ভূমিহীন ও দুঃস্থদের কাছ থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানায় র্যাব উপ-অধিনায়ক।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প
আশ্রয়ণ প্রকল্প: ‘এহন আমাগের দিন ঘুরতে শুরু করছে’
১ বছর আগে
সেনাবাহিনীর ভুয়া নিয়োগপত্রদানকারী চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার
নওগাঁয় সেনাবাহিনীতে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতা সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৫) জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ ভোররাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার উদয়সাগর গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে শাহ আলম (৪৫) ও দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার জাংগই বাজার এলাকার আজাদ আলীর ছেলে শাহাজুল (৩০)।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে স্কুলে হেলিকপ্টার হামলা, ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ১৩
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তাররা অবৈধ নিয়োগের মিথ্যা আশ্বাস ও ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রার্থীদের চাকরি দেয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন। কিছুদিন আগে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালে শাহ আলম ও শাহাজুল নামের দুই প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং ভুয়া নিয়োগপত্র দেয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, র্যাবের গোয়েন্দা সোর্সের মাধ্যমে এমন সংবাদের পর জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানার নেতৃত্বে শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র, একটি ভুয়া সীল, একটি মোবাইল, দুইটি সিম কার্ড, একটি মেমোরি কার্ড ও দুইটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে ধামইরহাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে সড়কে স্বামীর সামনে মাদরাসা শিক্ষিকার মৃত্যু
ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
ইউরোপে মানব পাচার: কুমিল্লায় মূলহোতাসহ আটক ৩
কুমিল্লা থেকে ইউরোপে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত এক চক্রের প্রধান ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি দল।
র্যাব-১১ এর ক্রাইম প্রিভেনশন-২ কোম্পানি অধিনায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আটক ব্যক্তিরা হলেন- মূল হোতা সোহেল মজুমদার ও তার দুই সহযোগী জাকির হোসেন ও আবু নোমান।
সবাই কুমিল্লার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ৯ সেপ্টেম্বর দুলাল মিয়া নামে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রবিবার সদর দক্ষিণ উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে ‘আশ্বাস’ ও ডিজিটাল হসপিটালের অংশীদারিত্ব
র্যাব জানায়, সাইপ্রাসে সোহেলের বিরুদ্ধে নথি জালিয়াতি, জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে অন্তত আটটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সাইপ্রাস হয়ে ইউরোপে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত সোহেল।
আটকদের কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: টেকনাফে মাদক ও মানব পাচারকারী চক্রের ৭ সদস্য আটক
মানব পাচার মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সহজ স্থানান্তর চায় ঢাকা
২ বছর আগে
রাজধানীতে মানব পাচার চক্রের ‘হোতা’ টুটুলসহ গ্রেপ্তার ৮
রাজধানীর বাড্ডা থেকে বুধবার ভোরে মানব পাচারকারী চক্রের ‘হোতা’ টুটুলসহ আট জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, মেহেরপুরের সাইফুল ইসলাম ওরফে টুটুল (৩৮), জাহাঙ্গীর আলম (৩৮), লাল্টু ইসলাম (২৮), রংপুরের তৈয়ব আলী (৪৫), গোপালগঞ্জের শাহ মোহাম্মাদ জালাল উদ্দিন লিমন (৩৮), পটুয়াখালীর মারুফ হাসান (৩৭), শরীয়তপুরের আলামিন হোসেন (৩০) এবং কুষ্টিয়ার আবদুল্লাহ আল মামুন (৫৪)।
র্যাব-৪ এর একটি দল টুটুল ওভারসিজ, লিমন ওভারসিজ ও লয়াল ওভারসিজসহ চারটি ট্রাভেল এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০টি পাসপোর্ট, সাতটি ফাইল, ৪টি সিল, ১৭টি মুঠোফোন, ৫টি নিবন্ধন খাতা, ৩টি সিম কার্ড,৪টি ব্যাংকের চেক বই, ২টি কম্পিউটার এবং নগদ ১০ হাজার ৭০০ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবপাচার প্রতিরোধে সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পররাষ্ট্র সচিব
র্যাব অধিদপ্তর জানায়, মেহেরপুরের গাংনীতে মুদি দোকানদার ছিলেন টুটুল এবং মানব পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠাতেন। পরবর্তীতে তিনি তিনটি ট্রাভেল এজেন্সি খুলেছিলেন এবং মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নেয়ার পর বিভিন্ন দেশে লোক পাঠিয়েছিলেন।
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মানব পাচারের অভিযোগে ২ তরুণ আটক
৩ বছর আগে
রাজধানীতে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক ২
র্যাবের অভিযানে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা হতে অস্ত্র ও মাদকসহ শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান (৩১) ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান (৩১) এবং তার সহযোগী মো. মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানকে (৩৯) গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি অস্ত্র, ৬ রাউন্ড গুলি, ১৩,৩০০ পিস ইয়াবা, একটি ফেরারি গাড়ি, শিশার সরঞ্জামাদি, দু’টি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই ও এটিএম কার্ড, পাসপোর্ট এবং ভারতীয় জালমুদ্রা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নায়িকা পরীমণি আটক, মাদক উদ্ধার
র্যাবের দাবি, গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এই চক্রের সদস্য প্রায় ১০-১২ জন। তারা রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকা বিশেষ করে গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে মাদক সেবনসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যবস্থা করে থাকে। উক্ত পার্টিতে তারা অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকে।
অংশগ্রহণকারীরা সাধারণত উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্য। প্রতিটি পার্টিতে ১৫-২০ জন অংশগ্রহণ করত বলে জানা যায়। এছাড়া বিদেশেও প্লেজার ট্রিপের আয়োজন করত এই চক্র।
একইভাবে উচ্চবিত্ত প্রবাসীদের জন্যেও দুবাই, ইউরোপ ও আমেরিকায় এ ধরণের পার্টি আয়োজন করত। তারা ক্লাইন্টদের গোপন ছবি ধারণ করে অপব্যবহার করত বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় কারাগারে নায়িকা একা
গ্রেফতারকৃতরা তাদের এই অবৈধ আয় হতে অর্থ নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যবসায় (গাড়ির ব্যবসা, আমদানি ও গরুর ফার্ম ইত্যাদি) বিনিয়োগ করেছে। এই ব্যবসায় তাদের গ্রুপের সদস্যদের অবৈধ আয়েরও বিনিয়োগ রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ব্রান্ডের বিলাসবহুল গাড়ির ব্যবসা করে থাকে। সে বিলাসবহুল গাড়ি আমদানীর ক্ষেত্রে অনিয়ম ও ছলচাতুরির আশ্রয় নিত বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সুকৌশলে গাড়ির ট্যাক্স জালিয়াতি অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: পিয়াসা ও মৌ ৩ দিনের রিমান্ডে
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃত শরফুল হাসান ইতোপূর্বে বিভিন্ন মামলায় তিনবার গ্রেফতার হয়েছিল। তার নামে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তার সাথে বেশ কয়েকজন চিহ্নিত অপরাধীর যোগাযোগ রয়েছে। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
৩ বছর আগে