ভিডিও
সিরাজগঞ্জে ব্রিজের উপরে ভিডিও করার সময় যুবকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী ইলিয়ট ব্রিজের (বড়পুল) উপরে ছাদ খোলা গাড়ি থেকে ভিডিও করার সময় লোহার পাইপের সঙ্গে আঘাত লেগে রবিউল আজিম তনুর নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৮ জুন) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ২৯৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ২
নিহত তনু সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, শনিবার ভোরে ছাদ খোলা গাড়ি নিয়ে চার বন্ধু ঘুরতে বের হয় এবং শহরের ইলিয়ট ব্রিজের সৌন্দর্য দৃশ্য গাড়ির উপর থেকে মোবাইলে ধারণ করে তনু। এ সময় ব্রিজের উপরে থাকা লোহার পাইপের সঙ্গে মাথার পেছনের অংশের ধাক্কা লাগে। এতে রবিউল আজিম তনু গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। কোনো অভিযোগ না থাকায় দুপুরে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
৫ মাস আগে
এক্সে অডিও-ভিডিও কল করা যাবে অ্যান্ড্রয়েড থেকেও
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) ব্যবহারকারীরা এখন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) অডিও ও ভিডিও কলিং সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন। এই সুবিধা আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে গত বছরের অক্টোবরে চালু করা হয়।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মাধ্যমটির একজন ডেভেলপার এনরিক ব্যারাগান তার ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে জানান, আজ থেকে অ্যান্ড্রয়েড মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা এই সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন। এর জন্য অ্যাপ হালনাগাদ করে নিতে হবে। তবে শুধু প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবাররাই কল করতে পারবেন। আর সাধারণ ব্যবহারকারীরা শুধু কল রিসিভ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ৪০% চাকরিকে প্রভাবিত করবে এআই: আইএমএফ
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জে এসব তথ্য জানানো হয়।
যেভাবে সুবিধাটি চালু করবেন
সব অ্যান্ড্রয়েড ওএস চালিত মুঠোফোনে কবে থেকে সুবিধাটি চালু করা হবে তা নিশ্চিত করে জানানো হয়নি। তবে নিজের মুঠোফোনে এক্স অ্যাপ হালনাগাদ করে সুবিধাটি পেয়ে গেছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন ইউএনবির এই প্রতিবেদক।
আরও পড়ুন: 'ইনকগনিটো মোড' ব্যবহার সত্ত্বেও নজরদারি, ৫০০ কোটি ডলারের মামলা নিষ্পতিতে গুগলের সম্মতি
সুবিধাটি চালু বা বন্ধ করতে প্রোফাইল আইকন থেকে 'সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি' অপশনে যেতে হবে। এরপর 'প্রাইভেসি অ্যান্ড সেফটি' নির্বাচন করতে হবে। 'ডিরেক্ট মেসেজ' অপশন থেকে পেয়ে যাবেন 'এনেইবল অডিও অ্যান্ড ভিডিও কলিং' সুবিধা। এই অপশন থেকেই ঠিক কাদের থেকে কল পেতে চাচ্ছেন তাও নির্বাচন করা যাবে।
প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনটির খরচ প্রতি মাসে ৩ ডলার থেকে শুরু।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
১০ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিমে গোপন ভিডিও ধারনের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি ব্যায়ামাগারে গোপনে ভিডিও ধারণের প্রতিবাদ করায় এক নারীসহ তিনজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর ৯৯৯-এ কল করলে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস ক্লাব নামে একটি জিমে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব, জিমের ফিটনেস ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় রাতেই গ্রেপ্তার তিনজনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/৯ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন ওই নারীর ভাসুর।
লিখিত অভিযোগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ও তার বোন শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস সেন্টারে নিয়মিত ব্যায়াম করেন। সেখানে মেয়েদের ব্যায়াম করার আলাদা ব্যবস্থা থাকায় দুই বোন সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে জিমের ট্রেইনার মিতু আক্তার গোপনে ভিডিও ধারণ করেন বলে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা নিশ্চিত হন ট্রেইনার মিতু গোপনে তাদের ভিডিও ধারণ করেছে। বুধবার বিকালে তারা দুই বোন ট্রেইনার মিতুকে ভিডিও করার কথা জিজ্ঞেস করলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ট্রেইনার মিতু জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লবকে জানায়।
এই খবর পেয়ে বিপ্লব তাদের দুই বোনের কাছে যান মিতুকে নিয়ে। সেখানে মিতু ওই নারীকে মারধর শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট: কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকে অব্যাহতি
একপর্যায়ে জিমে থাকা শহরের উত্তর পৈরতলার সোহেল মিয়া তাদের বাঁচাতে এলে বিপ্লবসহ তার সহযোগীরা তাদের সবাইকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে আটকে রাখে। আশপাশের সড়কে উৎসুক মানুষ জমায়েত হয়ে ভিডিও করে ঘটনাটি ফেসবুকে দেয়।
শেষে ৯৯৯- এ কল পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে। গুরুতর আহত হওয়ায় ওই নারী ও সহায়তা করতে আসা সোহেলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এরপর জিমের পরিচালক বিপ্লব, ট্রেইনার মিতু ও সাইমকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভিডিও ধারণের বিষয়ে একজন নারীর ফোন পেয়ে ব্যায়ামাগারে যাওয়ার সময় সোহেল নামে একজন ফোন করে গালিগালাজ করে। কয়েকজন লোক নিয়ে ব্যায়ামাগারে আসেন। ব্যায়ামাগারে ভাঙচুর দেখে সোহেলকে আটক করা হয়। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নেওয়ার সময় পেছন থেকে আমাকে ছুরিকাঘাত করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, জিমে দুই বোনের ছবি উঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ওই জিমের মালিক ও ট্রেইনার পক্ষের লোকজনদের সঙ্গে ওই দুই নারীর পরিবারের লোকজনদের ঝগড়া হয়। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লবসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ২১ নেতা বহিষ্কার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম
১ বছর আগে
জনপ্রিয় ইউটিউবার এনায়েত চৌধুরী যেভাবে ভিডিওর বিষয় নির্ধারণ করেন
ইউটিউবে যারা ট্রেন্ডিং বিষয়গুলোর ব্যাখ্যা এবং ধারণা প্রদান করে এমন তথ্যপূর্ণ বিষয়বস্তু খুঁজে থাকেন তাদের কাছে একটি পরিচিত নাম এনায়েত চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) -এর একজন গবেষক ও শিক্ষাবিদ।
বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট (আইডব্লিউএফএম) এর প্রভাষক বর্তমানে ইউটিউবে অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার এবং ফেসবুকে ৬ লাখ ৪৮ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে সফল বাংলাদেশি কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠেছেন তিনি।
সম্প্রতি, এনায়েত চৌধুরীকে ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। যেখানে তিনি ব্যাখ্যামূলক ভিডিওর বিষয়বস্তু তৈরির উপর একটি বিশেষ তিন দিনের প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেছিলেন। প্রশিক্ষণটি ডিডব্লিউ একাডেমি’র সহায়তায় আয়োজন করা হয়েছিল।
ইউএনবি-র সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, এনায়েত তার বিষয়বস্তু তৈরির শুরু নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, শ্রোতারা আজকের বিশ্বের প্রধান অনুঘটক এবং তিনি তার প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য প্রধান স্টেকহোল্ডার হিসাবে তার শ্রোতাদেরও মূল্যায়ন করেন।
এনায়েত ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি ২০২০ সালের ২৭ ইউটিউব এবং ফেসবুকে আমার কন্টেন্ট তৈরির যাত্রা শুরু করেছি। এরপর ২০২১ সালের ২৭ জুলাইয়ে আমি আমার ইউটিউব চ্যানেলে ১ লাখ ফলোয়ার অর্জনের মাইলফলক ছুঁয়েছি। ২০২০ সালে যখন আমি প্রথম ভিডিও তৈরি করা শুরু করি, তখন বাংলাদেশে ইউটিউবে এত বেশি পরিমাণে এডুটেইনমেন্ট (শিক্ষা + বিনোদন) সামগ্রী ছিল না। আমি বাংলাদেশে এই ধারায় কাজ করেছি, এবং আমি আশা করি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি বিস্তৃত হতে থাকবে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মদদপুষ্ট ৩৫ ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করল ভারত
তার ব্যাখ্যাকারী ভিডিও বিষয়গুলোর নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, এনায়েত ব্যাখ্যা করেছিলেন: ‘দর্শকদের চাহিদা চিহ্নিত করা বর্তমান বিষয়বস্তু শিল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক, এবং আমি আমার শ্রোতারা আমার কাছ থেকে কী চায় তা অগ্রাধিকার দিই। আমি প্রায়ই ফেসবুক বা ইউটিউব -এর কমিউনিটি ট্যাবে আলাদা পোস্ট করি, তারা কোন বিষয়গুলোকে বৈশিষ্ট্যযুক্ত করতে চান তা জিজ্ঞাসা করি৷
‘এছাড়াও, আমার বিদ্যমান ভিডিওগুলোর মন্তব্য বিভাগে দর্শকরা প্রায়শই ভবিষ্যতের বিষয়গুলোর বিষয়ে তাদের পরামর্শ প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, বেশিরভাগ দর্শক স্টারলিংকের মতো প্রবণতামূলক বিষয়গুলোতে ব্যাখ্যাকারী ভিডিও চাইতে পারেন বা নিকোলা টেসলার মতো ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানতে চান; তাই আমি শনাক্ত করি এবং সেই অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করি এবং বিষয় নির্বাচন প্রক্রিয়া আমার জন্য এভাবেই কাজ করে।’
এনায়েত চৌধুরীর ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন প্লেলিস্ট এবং সিরিজ রয়েছে, যেমন ‘সিম্পল এক্সপ্ল্যানেশন সিরিজ’ এবং ‘থিঙ্ক অ্যান্টিক্লকওয়াইজ’। এই ভিডিওগুলোর লক্ষ্য জটিল বিষয়গুলোকে সহজ এবং বোধগম্য ধারায় ব্যাখ্যা করা।
প্লেলিস্ট এবং সিরিজ থাকার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে এনায়েত বলেন, ‘আমার চ্যানেলে আমি বই পর্যালোচনা করি এবং ফিল্ড রিপোর্টের মতো ভিডিও তৈরি করি; ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের মতো বিষয় নিয়েও ভিডিও করেছি। আমি মনে করি প্লেলিস্টগুলো বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এবং শিরোনাম সহ সিরিজ আমাকে সেগুলো মনে রাখতে এবং যখনই আমার ভিডিওগুলোর প্রয়োজন হয় তখনি পিছনে গিয়ে দেখতে সাহায্য করে।’
আরও পড়ুন: ইউটিউবের সিইও পদে দেখা যাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীল মোহনকে
এগুলো বেশিরভাগই গুরুতর বিষয়, তাই এনায়েত তার ভিডিওগুলোতে একটি সূক্ষ্ম উপায়ে হাস্যরস যোগ করে যা তার বিষয়বস্তুকে বিনোদন দেয়। কখনও কখনও তার ডেস্কটপ ওয়ালপেপারের একটি হলুদ পটভূমিতে আকর্ষণীয় বার্তাসহ আসে। কখনও কখনও রেডডিট মিমি পর্যালোচনা সহ আসে। প্রায় সব সময় তার অনন্য কথা বলার শৈলীর ‘এক্সপ্লেনার নেক্সট ডোর’ পদ্ধতি থাকে।
তার অন্য পরিচয়টি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এবং সবচেয়ে বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। তিনি কীভাবে দুটির মধ্যে অনিবার্য তুলনা পরিচালনা করেন সে বিষয়ে ইউএনবি জানতে চাইলে এনায়েত উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি যখন শিক্ষকতা শুরু করি, তখন আমি স্বপ্নেও ভাবিনি যে আমি কখনই একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হব। আমি ২০১৯ সালে শিখতে শুরু করি এবং ২০২০ সালে আমি ভিডিও তৈরি শুরু করি৷ আমি প্রথমে ভেবেছিলাম অনেক ইউটিউবার এবং টিকটকারের মতো মানুষ আমাকে অবমূল্যায়ন করবে; কিন্তু আসল বিষয়টি হলো- এখন সবাই আমার কাজের গুণমানের প্রশংসা করে এবং উপভোগ করে। আমার সহকর্মীরা এবং সহযোগীরা এখন আমাকে নিয়ে গর্বিত, যা আমাকে আনন্দিত করে।’
আরও পড়ুন: ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
১ বছর আগে
ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
শুধুমাত্র বিনোদন প্রদানের ভনিতায় আবির্ভূত ইউটিউব নামটি এখন দিনযাপনের অর্থ। তাই একে ঘিরে মৌলিক চাহিদার কথা চিন্তা করাটা যুগের সহজাত ধারণা। মুঠো ভরা তথ্যের ওপর সামাজিক মাপকাঠির নির্ভরশীলতা তথ্যকে পরিণত করেছে পণ্যে। আর এরই নিরীখেই শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে প্রজন্মের সেরা ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব কেন্দ্রিক পেশাগুলো। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ভিডিও, আর তার প্রধান কাঁচামালের যোগান দেয় স্ক্রিপ্ট রাইটাররা। তাই ইউটিউব ভিডিওর স্ক্রিপ্ট রাইটিং এবং এর প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধ। চলুন, এই সৃজনশীল পেশার নানা দিক সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
স্ক্রিপ্ট রাইটিং কী
স্ক্রিপ্ট রাইটিং বা পান্ডুলিপি লিখন হলো ভিডিওর মাধ্যমে দেখানোর জন্য নির্ধারিত তথ্যগুলো নির্দিষ্ট নিয়মে লেখা। প্রতিটি দৃশ্যে ক্রমান্বয়ে যা যা দেখানো, শোনানো এবং বোঝানো হবে, তার সামগ্রিক লিখিত রূপ হচ্ছে স্ক্রিপ্ট।
পাঠ্য, স্থির চিত্র, ও চলচ্চিত্রসহ যাবতীয় কন্টেন্টের সংমিশ্রণ স্পষ্টভাবে লেখা হয় এতে। মুলত ছকে বাঁধা লেখাগুলো অনুসরণ করেই চূড়ান্ত ভাবে নির্মাণ করা হয় কন্টেন্ট।
এর আরেক নাম চিত্রনাট্য বা স্ক্রিনরাইটিং, যেটা সাধারণত মুভি বা মঞ্চ নাটকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এর পরিধি টিভি নাটক, গেমস, তথ্যচিত্র পর্যন্ত বিস্তৃত। এমনকি রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্যও লেখা হয়ে থাকে পান্ডুলিপি।
আরও পড়ুন: হ্যাকারদের থেকে সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার
ভিডিও স্ক্রিপ্টের প্রয়োজনীয়তা
প্রতিটি তথ্যের উপস্থিতি
একটি পূর্ণাঙ্গ স্ক্রিপ্ট আপনার চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলোকে সুসংগঠিত করতে পারে। এতে করে পূর্ব পরিকল্পিত ও প্রাসঙ্গিক কোনও তথ্য বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
গুছিয়ে কথা বলা
আগে থেকে একটি স্ক্রিপ্ট ভালভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলে সেটার ওপর সময় নিয়ে কথা বলার চর্চা করা যায়। এভাবে চূড়ান্ত ভিডিওর সময় নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কথা বলার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে কন্টেন্টের গুণগত মানোন্নয়নের পাশাপাশি কথা বলা রেকর্ডিং-এও সময় কম প্রয়োজন হয়।
সময়ের হিসাব
একটি নিক্ষুত স্ক্রিপ্টে প্রতিটি দৃশ্যে নির্ধারিত কথাগুলো বলার জন্য সময় নির্দিষ্ট করা থাকে। প্রতিটি দৃশ্য আলাদা করে রেকর্ড করার সময় পুনঃ পুনঃ অনুশীলনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়টি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এতে করে পুরো কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের বেলায়ও সময়ের হেরফের হয় না।
ধারাবাহিকতা বজায়
যে কোন কন্টেন্টের ক্ষেত্রেই একটি সুস্পষ্ট কাঠামো তার গুণগত মান বৃদ্ধির পরিচায়ক। ভিডিওর ক্ষেত্রেও এর স্ক্রিপ্ট বিভিন্ন ফুটেজ, শব্দ, স্থিরচিত্র, ও স্পেশাল ইফেক্ট সহ প্রতিটি বিষয়ের মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণতা নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
ইউটিউব ভিডিওর জন্য স্ক্রিপ্ট রাইটিং
বর্তমান সময়ে সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেকটা এগিয়ে ইউটিউব। নাটক-সিনেমার মানের জন্যও এখন গুরুত্ব দেয়া হয় লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারকে, যেগুলো মুলত এই প্ল্যাটফর্মের প্যারামিটার।
নেটিজেনদের উদ্দেশ্য করে এখন মুক্তি দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের কন্টেন্ট। তাই সঙ্গত কারণেই এগুলোর জন্য স্ক্রিপ্ট রাইটারদের চাহিদা বাড়ছে। শুধুমাত্র ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম নির্ভর লেখালেখিই পরিণত হয়েছে স্বতন্ত্র এক পেশায়।
নিউজ ও পাবলিশিং কোম্পানি, তথ্যচিত্র নির্মাতা, ব্লগার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ব্র্যান্ড প্রোমোশনের জন্য তৈরি করছে ইউটিউব চ্যানেল। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে পান্ডুলিপি লেখকদের চাহিদা।
ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
সৃজনশীলতা
সৃজনশীলতা হলো সম্পূর্ণ অভিনব ধারণার অবতারণা করা। অন্যান্য চ্যানেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক চ্যানেল মালিকের নতুন নতুন কন্টেন্ট বানানোর প্রবণতা থাকে। আর তখনি তাদের সরণাপন্ন হতে হয় পান্ডুলিপি লেখকদের। নতুন ধারণা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট রাইটারদের খেয়াল রাখতে হবে যে, বিষয়বস্তু দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারছে কিনা। প্রকৃতপক্ষে, এই চিত্তাকর্ষণের জায়গাতেও তাদেরকে সৃজনশীল হতে হবে।
আরও পড়ুন: গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
গবেষণা ও বিশ্লেষণ
তথ্য হচ্ছে স্ক্রিপ্টের মুল জীবনী শক্তি। তাই লেখকদের সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিশ্লেষণী ক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে। তথ্যের নির্ভরযোগ্য উৎস খুঁজে বের করা, অতঃপর সেই তথ্যের পুঙ্ক্ষানুপুঙ্ক্ষ যাচাইও এই দক্ষতার অন্তর্ভূক্ত।
গল্প বলা
এটি এমন এক দক্ষতা যা প্রতিটি লেখকেরই থাকা আবশ্যক। লেখা পড়েই যদি কোন পাঠকের গল্প শোনার অনুভূতি সৃষ্টি হয়, তাহলেই কন্টেন্ট সফল হওয়ার অর্ধেক কাজ হয়ে যায়। বাকিটুকু থাকে কারিগরির জায়গাতে। জটিল রকেট সায়েন্স থেকে শুরু করে বিপণন বিজ্ঞাপন সবকিছুই চিত্তাকর্ষক করে তোলা যায় সুনিপুণ গল্প বলার মাধ্যমে।
সংলাপ তৈরি
পান্ডুলিপি মানেই সংলাপ আকারে পুরো ধারা বর্ণনা করা। ইউটিউবের শর্ট ফিল্ম থেকে শুরু করে মনোলগ পর্যন্ত সবকিছু হবে কথোপোকথন আকারে। এটি স্ক্রিপ্ট রাইটারদের মূল হাতিয়ার, কারণ এর মাধ্যমে একটি দৃশ্য কতটুকু প্রাণবন্ত তা ফুটে উঠে।
প্রুফরিডিং ও রিরাইটিং
যে কোন লেখা শেষ হওয়ার পর প্রতিটি লেখকের উচিত তা কয়েকবার পড়ে দেখা। এ সময় ব্যাকরণজনিত নানা ছোট খাটো ভুল ধরা পড়ে। অনেক কষ্ট করে একটি পান্ডুলিপি শেষ করার পরেও ক্লায়েন্টের কাছে তা নির্ভুলভাবে পরিবেশন না করা গেলে সব কষ্টই বৃথা। অনেক ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট নতুন শর্ত জুড়ে দিলে সামগ্রিক লেখায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিবর্তন আনতে হয়। তাই লেখককে রিরাইটিং-এ দক্ষ হওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষে সফল সবজি বিক্রেতা
ধৈর্যশক্তি
যে মাধ্যমের জন্যই হোক না কেন; পুরো একটি পান্ডুলিপি শেষ করা বেশ ধৈর্য্যের কাজ। প্রথমত সৃজনশীল এই কাজে জোর-জবরদস্তির কোনও সুযোগ নেই। এরপর শেষ করার পর পুনরায় তার মান যাচাই করাতেও যথেষ্ট অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। তাই লেখার কাজে ধৈর্য্যশীলতার কোনও বিকল্প নেই।
১ বছর আগে
গয়েশ্বরের ডিবি অফিসে দুপুরের খাবার খাওয়ার ভিডিও ছড়ানোতে কোনো দোষ দেখেন না কাদের
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দুপুরের খাবার খাওয়ানোর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অসুবিধা দেখছেন না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দুপুরের খবার খাওয়ানোর ভিডিও প্রকাশের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘তো হয়েছে কী? যা সত্য, সেটা আসছে; অসুবিধা কী? যেটা সত্য এটা আসছে, সেটা তো আর কিছু বলার নেই।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উনি কেন খেলেন এটা জিজ্ঞেস করেন। এত ক্ষুধা রাজনীতিক নেতার? কীসের রাজনীতিক? তিন দিনও খাইনি আমরা একসঙ্গে। আন্দোলনে হয়তো উনার ক্ষুধা লাগছে। ক্ষুধা লাগছে উনি খেয়েছেন। আমানের বিষয়টা সৌজন্য। তিনি একজন রাজনৈতিক কর্মী, তার কাছে নেত্রী কিছু ফল পাঠিয়েছেন, এটি পাঠাতেই পারেন। রাজনীতিতে সৌজন্যতা তো বিদায় নেবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
এ ধরনের ভিডিও প্রকাশের রাজনৈতিক শিষ্টাচার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা কি রাজনৈতিকরা করছে? গোয়েন্দার কাজই তো এটা। গোয়েন্দা গোয়েন্দাই। সে তো তথ্য নিয়ে বের করার জন্য বসে আছে। বিপ্লব বড়ুয়া বা আরাফাত গিয়ে তো করেনি।’
শনিবার ডিবি অফিসের প্রধান হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে গয়েশ্বর দুপুরের খাবার খাচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের সময় ধোলাইখাল থেকে ওই বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
রবিবার নয়াপল্টন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গয়েশ্বর বলেন, ডিবি কার্যালয়ে তার দুপুরের খাবারের ভিডিও ও ছবি মানুষকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া একটি নিম্নরুচির পরিচায়ক এবং অত্যন্ত লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য কাজ।
আরও পড়ুন: খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
আন্দোলনে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে দায় বিএনপিকেই নিতে হবে: কাদের
১ বছর আগে
ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে জাহিদুল ইসলাম (১৮) নামের এক যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) কণিকা বিশ্বাস।
দণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলামের বাড়ি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জেএমবি কমান্ডার এরশাদের ২০ বছর কারাদণ্ড
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী গোপাল চন্দ্র পাল মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি সকালে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কলেজে যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে (১৬) তুলে নিয়ে যায় আসামি জাহিদুল ইসলাম।
এরপর একটি বাড়িতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করে রাখে আসামি জাহিদুল। এরপর সে ওই ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন জনের মোবাইলে পাঠিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারকে ব্লেকমেইল শুরু করে।
এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর মা বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় ২৯ জুলাই মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ২৯)। তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আজিজুল একই বছরের ৩১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এরপর আইসিটি আইনের অংশটুকু খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য পাঠানো হয় (নম্বর-সাইবার ৯/২১)। এছাড়া কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অপরাধের অংশ সাতক্ষীরা আদালতে বিচারিক কার্যক্রম হবে।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এম এম সাজ্জাদ আলী জানান, আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ সাক্ষ্য গ্রহণসহ যাবতীয় তথ্য প্রমাণ সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত ওই আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, এই ধরণের অপরাধের সাজা যদি নিশ্চিত করা যায়, তাহলে অপরাধের মাত্রা কিছুটা কমে যাবে এবং সেক্ষেত্রে অপরাধীরা ভয় পাবে।
আরও পড়ুন: ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের ৫ বছরের কারাদণ্ড বহাল
ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে
অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিতে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা!
বগুড়ার শেরপুরে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিতে আত্মহত্যা করেছে এক স্কুলছাত্রী।
এ ঘটনায় আব্দুল মানিক নামে একজনকে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বগুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, স্থানীয় স্কুলের নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে আব্দুল মানিক প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের দৃশ্য গোপনে ধারণ করে মানিক।
আরও পড়ুন: হাজারীবাগে ২ সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা!
এছাড়াও ১৮ নভেম্বর মানিক ওই ছাত্রীর বাড়িতে গোপনে এসে আবারও মেলামেশা করতে চায় এবং ওই ছাত্রী বাধা দিলে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে ও বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়।
মানিকের এমন ব্যবহারে মানসম্মানের ভয়ে ওই ছাত্রী ১৮ নভেম্বর বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বগুড়ার শেরপুর থানায় ২৯ নভেম্বর মামলা করেন এবং র্যাব-১২ বগুড়া অফিসে অভিযোগ করেন।
পরে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সারিয়াকান্দি থানা এলাকা থেকে মূল অভিযুক্ত আব্দুল মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আব্দুল মানিক জিজ্ঞাসাবাদকালে ওই ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলেও নজরুল ইসলাম জানান।
আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা, ৯৯৯-এ কল পেয়ে উদ্ধার
১ বছর আগে
বন্যার্তদের সহযোগিতায় অনন্ত জলিল
পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বর্ষণের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি এখন আরও ভয়াবহ। সরকারের পাশাপাশি অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন অভিনেতা-প্রযোজক অনন্ত জলিল।অনন্ত জলিল তার ভিডিওতে বলেন, ‘সিলেটের বন্যার ভয়াবহতার কারণে এবার আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ১০-১২টা গরু কোরবানি না দিয়ে শুধুমাত্র ১টা বা দুইটি গরু কোরবানি দেবো। এই কোরবানির যত টাকা আছে তা দিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবো। শুধু কোরবানির টাকাই না, আমার ব্যবসার টাকা এবং আমি যে মুভি (দিন: দ্য ডে) মুক্তি দিচ্ছি, সেটা থেকেও যে টাকা আসবে- সবকিছু দিয়েই সিলেটের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবো ইনশাআল্লাহ।’তিনি আরও বলেন, ‘যখন যেখানে দুর্যোগ হয় আমি পাশে দাঁড়াই। আমাদের যাদের অর্থ-কড়ি আছে, আমরা কেউ টাকা কবরে নিয়ে যেতে পারব না। আমরা যেটা আয় করি সেটা মানুষের কাজে খরচ করতে হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কারণ আপনি-আমি একদিন পৃথিবীতে থাকব না।’যতটুকু সম্ভব বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে অনন্ত জলিল আরও বলেন, ‘আমরা নিজেরা ভোগ না করে, যদি মানুষের কল্যাণে টাকা খরচ করতে পারি, তাহলে আল্লাহ্ আমাদের এই দান কবুল করবেন। মরার পর আমাদের পাশে মানুষের দোয়া ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। যে যতটুকু পারেন মানুষের পাশে দাঁড়ান। সবাই মিলে একটু একটু করলেও তাদের অনেক সহায়তা হবে। ’
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সাহায্যের আহ্বান তারকাদের
জায়েদ খান সত্যিই আম্মুকে ডিস্টার্ব করেন: মৌসুমীর ছেলে ফারদিন
২ বছর আগে
শরীয়তপুরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ
সম্প্রতি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছে অভিযুক্তরা।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করলেও আসামিদের হুমকির কারণে বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত তারা।
ভুক্তভোগী জানায়, অভিযুক্তরা তার সহপাঠী। তারা তাকে জন্মদিনের পার্টিতে ধর্ষণ করে এবং ঘটনাটি রেকর্ড করে।
ভুক্তভোগী আরও জানায়, ‘ওরা আমাকে সেই ভিডিও দেখিয়ে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেছিল। আমি তাদের দাবি মেনে না নেয়ায় তারা ভিডিওটি অনলাইনে আপলোড করেছে।
আসামিরা হলেন- মহিষার ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের অসীম দাসের ছেলে অর্পন দাস (১৯) ও কোমল দাসের ছেলে দুর্জয় দাস (১৯) ও দক্ষিণ মহিষার গ্রামের মোক্তার সরদারের ছেলে মুবদি সরকার (১৮)।
আরও পড়ুন: নানিকে ঘুমের ওষধ খাইয়ে নাতনিকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
তারা সবাই সাজনপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগে দুর্জয় ও মুবদি ভুক্তভোগীকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে অর্পনের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও রেকর্ড করে। ভিডিওটি ব্যবহার করে ভুক্তভোগীকে নির্যাতনের পরিকল্পনায় সফল হতে না পেরে তারা ভিডিওটি অনলাইনে শেয়ার করে।
ভুক্তভোগী ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ৫ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা এখনও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় অভিযুক্তদের পরিবারের কাছ থেকে হুমকি আসছে বলে ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে।
ভেদরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) রাজীব সূত্রধর জানান, ধর্ষণ ও ভিডিওটি ভাইরাল করার অভিযোগে ভিকটিমের পরিবার মামলা করেছে।তদন্ত চলছে এবং দোষীদের ধরার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ‘আয়না পড়ার’ নামে কিশোরী ধর্ষণ, চট্টগ্রামে কবিরাজের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে