মনোনয়ন
পটুয়াখালীতে ৩ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহার, মাঠে ২২ প্রার্থী
মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে পটুয়াখালীতে তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) তারা রিটার্নিং অফিসার নূর কুতুবুল আলমের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
তারা হলেন- পটুয়াখালী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য হাসিব আলম তালুকদার।
পটুয়াখালী-৩ আসনে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ওবায়েদুল ইসলাম তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩০ জন আহত
এ ছাড়া দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে পটুয়াখালী-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী আফজাল হোসেনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়।
রবিবার বিভিন্ন সময়ে তারা রিটার্নিং অফিসার নূর কুতুবুল আলমের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
এ দিকে আপিল করে মনোনয়নের বৈধতা পেয়েছেন পটুয়াখালী-১ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দিন তালুকদার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার চারটি সংসদীয় আসনে ৯টি দল ও তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ২২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
প্রত্যাহারের পর পটুয়াখালী-১ (পটুয়াখালী সদর, দুমকি, মির্জাগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, তরিকত ফেডারেশনের মো. খলিল, জাসদের কে এম আনোয়ারুজ্জামান মিয়া, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মহিউদ্দিন মামুন, এনপিপির মো. নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দিন তালুকদার।
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) জোবায়ের হোসেন, তৃণমূল বিএনপির মাহাবুবুল আলম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মহসিন হাওলাদার।
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এসএম শাহাজাদা, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ছাইফুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ নূরে আলম, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক বিজিবি মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবুল হোসেন।
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া রাঙ্গাবালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মো. মহিববুর রহমান, জাতীয় পার্টির আব্দুল মন্নান হাওলাদার, জাসদের বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জাহাঙ্গীর হোসাইন, স্বতন্ত্র প্রাথী কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম লিটন নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়া মারা গেছেন
১১ মাস আগে
মানিকগঞ্জে জাতীয় পার্টির সব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
মানিকগঞ্জে জাতীয় পার্টির (জাপা) সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার রেহেনা আক্তার এ সিদ্ধান্ত জানান।
এছাড়া ঋণ খেলাপির দায়ে দুইজন এবং গ্যাস বিল বকেয়ার কারণে একজনের মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে গণ্য হয়নি।
আরও পড়ুন: বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
ঋণ খেলাপীর দায়ে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে-
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার এস এম আব্দুল মান্নান এবং মানিকগঞ্জ-১ ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের জহিরুল আলম রুবেলর।
অন্যদিকে, মানিকগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাসান সাঈদের মনোনয়ন বাড়ির গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় বাতিল হয়েছে।
এছাড়া, মানিকগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. আফজালের মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়েছে।
তিনি বলেন, মানিকগঞ্জের তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৩৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে ২১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। বাকি ১২ জনের মনোনয়নপত্র বিভিন্ন কারণে বাতিল করা হয়েছে।
যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রবিবার সব প্রার্থী বা তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই বৈধ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার রেহেনা আক্তার জানান, যাদেরটা বাতিল হয়েছে তারা ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন।
ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলা নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-১ আসনে ১০জনের মধ্যে ছয়জনের বাতিল হয়েছে।
বৈধ হয়েছে চারজনেরটা। এই আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন —
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ, জেলা জাসদের সভাপতি ও ঘিওর উপজেলা পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন খান জকি এবং জাকের পার্টির দ্বীন মোহাম্মদ খান।
মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে —
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আলী বেপারী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম রুবেল ও হাসান সাঈদ, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আফজাল, গণফ্রন্টের মোহাম্মদ শাহজাহান খান ও বিএনএম'র মোনায়েম খান।
সিংগাইর, হরিরামপুর ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-২ আসনে ১৪জনের মধ্যে ১০জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। বাতিল হয়েছে চারজনেরটা।
এই আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন —
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, টানা তিনবারের সংসদ সদস্য, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, স্বতন্ত্র প্রার্থী-আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, সিংগাইর উপজেলা পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা মুশফিকুর রহমান খাঁন হান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আহমেদ আসিফ, জাসদের রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী, বিএনএম'র এ কে এম ইকবাল, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এ কে নাহিদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের তানভীন রহমান ও বাংলাদেশ কংগ্রেস'র প্রার্থী জাকির হোসেন।
যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন—
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এসএম আব্দুল মান্নান, প্রজন্মলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সারোয়ার আলম বাবু, স্বতন্ত্র প্রার্থী- স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী জসিম উদ্দিন।
মানিকগঞ্জ পৌরসভা, সাটুরিয়া উপজেলা ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ৭ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৯জন।
এরমধ্যে বাতিল হয়েছে দুইজনেরটা। আর বৈধ হয়েছে ৭ জনেরটা।
এই আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন —
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, টানা তিনবারের সংসদ সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, এই আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম খান কামাল, জাকের পার্টির দ্বীন মোহাম্মদ খান, জাসদের সৈয়দ সারোয়ার আলম চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপি'র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, কৃষক-শ্রমিক- জনতা লীগের প্রার্থী এম হাবিব উল্লাহ, বিএনএম'র প্রার্থী খালেক দেওয়ান।
যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন—
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা জহিরুল আলম রুবেল ও বাংলাদেশ কংগ্রেস'র প্রার্থী সাবিনা বেগম।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ঋণ খেলাপির দায়ে নৌকার প্রার্থী সালাহউদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল
সাংবাদিক লাঞ্ছনা: মোস্তাফিজুরের মনোনয়ন বাতিল দাবি বিএফইউজে-সিইউজের
১১ মাস আগে
সাংবাদিক লাঞ্ছনা: মোস্তাফিজুরের মনোনয়ন বাতিল দাবি বিএফইউজে-সিইউজের
সাংবাদিকদের লাঞ্ছনাকারী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে দেওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)।
এক যৌথ বিবৃতিতে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) উভয় সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগে এমপি মোস্তাফিজুরকে শোকজ
বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ, সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম যৌথ বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচনের আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে প্রশ্ন করায় যিনি সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলার মতো ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেন এমন ব্যক্তির কাছে কেউই নিরাপদ নয়।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, বিতর্কিত এই ব্যক্তি আগেও বিভিন্ন সময় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ছাড়াও সাংবাদিকদের হুমকি, মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ সাংবাদিক বিদ্বেষী নানা ঘটনা ঘটিয়েছেন।
একজন রাজনীতিবিদের কাছ থেকে আমরা তা কখনো প্রত্যাশা করি না।
নেতৃবৃন্দ তার মনোনয়ন বাতিলের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের প্রতি আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় তার বিরূদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানান।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ ৪১ নেতাকর্মীকে শোকজ
মানিকগঞ্জে মেয়র ও ৫ কাউন্সিলর পদপ্রার্থীকে শোকজ
১১ মাস আগে
মাগুরায় সাকিব আল হাসানকে অভ্যর্থনা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ থেকে মাগুরা-১ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রথমবার নিজের এলাকায় এলেন সাকিব।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর ২টায় সড়কপথে মাগুরা পৌঁছান সাকিব আল হাসান। এদিকে অভ্যর্থনা জানাতে দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গড়াই সেতু এলাকায় ভিড় করেন হাজারও সমর্থক।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন সাকিব
সেখানে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস বহর নিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা সাকিবকে বরণ করে নেন। এসময় সাকিবের বাবা মাশরুর রেজা কুটিল, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল ও খেলোয়াড়রা উপস্থিত ছিলেন।
এখানে সাকিব আল হাসানকে ফুল দিয়ে অভ্যার্থনা জানান শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুনুর রশীদ মুহিত।
সাকিবের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে রওনা দেন সাকিব। গড়াই সেতু এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল সাকিবকে অভ্যর্থনা জানায়।
সেখান থেকে সাকিবের জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যান।
সেখানে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান— জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও আব্দুল মান্নান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন— জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ, মাগুরা ২ আসনের মনোনীত প্রার্থী বীরেন শিকদার এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল লায়লা জলি।
দলীয় কার্যালয়ে নেতা–কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাকিব মাগুরা পৌর গোরস্থানে তার দাদা দাদির কবরে দোয়া করেন।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন পত্র রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেবেন।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন মাশরাফি ও সাকিব
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: মাগুরা-১ আসনে আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন সাকিব
১১ মাস আগে
আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে আশাবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একেএম আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সিলেট পৌঁছে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এসময় তিনি সবার দোয়া চেয়েছেন।
সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
এসময় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। তারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সবার উদ্দেশ্যে বলেন, দল ও আমার সভানেত্রী আমাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন। আমি আপনাদের দোয়া চাই, যাতে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সিলেটবাসীর সেবায় আন্তরিকভাবে কাজ করতে পারি।
এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সহসভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া, সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ, অসংখ্য দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
বিমান বন্দর থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরান (র.) মাজারে যান। সেখানে মাজার জিয়ারত ও দোয়া প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন: কমন ফান্ড ফর কমোডিটিজের এমডি নির্বাচিত হওয়ায় রাষ্ট্রদূত বেলালকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১১ মাস আগে
ঢাকায় ৯টি আসনে নতুন মুখকে মনোনয়ন দিয়েছে আ.লীগ
দ্বাদশ নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ৯টিতে নতুন মুখ এনেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নতুন মুখ আনা আসনগুলো হলো- ঢাকা-৪ সানজিদা খানম, ঢাকা-৫ হারুনুর রশিদ মুন্না, ঢাকা-৬ সাঈদ খোকন, ঢাকা-৭ সোলাইমান সেলিম, ঢাকা-৮ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-১০ ফেরদৌস, ঢাকা-১১ মো. ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ঢাকা-১৪ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
আরও পড়ুন: আ. লীগের ৬৯ জন সংসদ সদস্য এবার মনোনয়ন পাননি
ঢাকায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া অপরিবর্তিত প্রার্থীরা হলেন- ঢাকা-১ সালমান এফ রহমান, ঢাকা-২ কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, ঢাকা-১৭ মোহাম্মদ এ আরাফাত, ঢাকা-১৮ মোহাম্মদ হাবিব হাসান, ঢাকা-১৯ এনামুর রহমান এবং ঢাকা-২০ বেনজীর আহমেদ।
রবিবার বিকালে ২৯৮ আসনে মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে দলটি।
কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থীদের নামের তালিকা পরে প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন মাশরাফি ও সাকিব
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ২৯৮ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ আওয়ামী লীগের
১১ মাস আগে
আ. লীগের ৬৯ জন সংসদ সদস্য এবার মনোনয়ন পাননি
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি ক্ষমতাসীন দলের ৬৯ জন সংসদ সদস্য।
সংসদ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- মো. মাজাহারুল হক প্রধান (পঞ্চগড়-১), মো. দবিরুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও-২), এইচএন আশেকুর রহমান (রংপুর-৫), এম এ মতিন (কুড়িগ্রাম-৩), মো. জাকির হোসেন (কুড়িগ্রাম-৪), মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী (গাইবান্ধা-৪), মো. হাবিবর রহমান (বগুড়া-৫), মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন তরফদার (নওগাঁ-৩);
মো. এমাদ উদ্দিন পিকে (নওগাঁ-৪), মো. আয়েন উদ্দিন (রাজশাহী- ৩), এনামুল হক (রাজশাহী-৪), মো. মনসুর রহমান (রাজশাহী-৫), মো. হাবিবে মিল্লাত (সিরাজগঞ্জ-২), মেরিনা জাহান (সিরাজগঞ্জ-৬), মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাস (পাবনা-৪), মো. মোহাম্মদ শহিদুজ্জামান (মেহেরপুর-২), মো. শফিকুল আজম খান (ঝিনাইদহ-৩);
মো. নাসির উদ্দিন (যশোর-২), রণজিৎ কুমার রায় (যশোর-৪), মো. সাইফুজ্জামান (মাগুরা-১), মো. আমিরুল আলম (মাগুরা-১), মো. আলম মিলন (বাগেরহাট-৪), পঞ্চানন বিশ্বাস (খুলনা-১), বেগম মন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা-৩), মো. আখতারুজ্জামান (খুলনা-৬), মীর মোশতাক আহমেদ রবি (সাতক্ষীরা-২), এস.এম. জগলুল হায়দার (সাতক্ষীরা-৪), শওকত হাসানুর রহমান (রিমন) (বরগুনা-২) মো. শাহে আলম (বরিশাল-২), পঙ্কজ নাথ (বরিশাল-৪); আতাউর রহমান খান (টাঙ্গাইল-৩), মোহাম্মদ হাসান ইমাম খান (টাঙ্গাইল-৪), মো. সানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), আবুল কালাম আজাদ (জামালপুর-১), মো. মুরাদ হাসান (জামালপুর-৪), মো. মোজাফফর হোসেন (জামালপুর-৫), এ.কে.এম. ফজলুল হক (শেরপুর-৩), নাজিম উদ্দিন আহমেদ (ময়মনসিংহ-৩), কে এম খালিদ (ময়মনসিংহ-৫), আনোয়ারুল আবেদীন খান (ময়মনসিংহ-৯), মনু মজুমদার (নেত্রকোনা-১) ও ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (নেত্রকোনা-৫)।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ২৯৮ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ আওয়ামী লীগের
বাকিরা হলেন- নূর মোহাম্মদ (কিশোরগঞ্জ-২), এ এম নাঈমুর রহমান (মানিকগঞ্জ-১), মো. কাজী মনিরুল ইসলাম (ঢাকা-৫), হাজী মো. সেলিম (ঢাকা-৭), মো. শফিউল ইসলাম (ঢাকা-১০), এ কে এম রহমতুল্লাহ (ঢাকা-১১) মো. সাদেক খান (ঢাকা-১৩), আগা খান মিন্টু (ঢাকা-১৪), মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন (গাজীপুর-৩), জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন (নরসিংদী-৩), মঞ্জুর হোসেন (ফরিদপুর) -১), খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফরিদপুর-৩), মোয়াজ্জাম হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১), জয়া সেনগুপ্ত (সুনামগঞ্জ-২);
হাফিজ আহমেদ মজুমদার (সিলেট-৫), নেছার আহমেদ (মৌলভীবাজার-৩), গাজী মো. শাহনেওয়াজ (হবিগঞ্জ-১), মো. আব্দুল মজিদ খান (হবিগঞ্জ-২), মোহাম্মদ এবাদুল করিম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া (কুমিল্লা-১), নাসিমুল আলম চৌধুরী (কুমিল্লা-৮), ডা. মহিউদ্দিন খান আলমগীর (চাঁদপুর-১), মো. নুরুল আমিন (চাঁদপুর-২), আয়েশা ফেরদৌস (নোয়াখালী-৬), ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন (চট্টগ্রাম-১), দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪), শামসুল হক চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১২) ও জাফর আলম (কক্সবাজার-১)।
তবে দুইজন সংসদ সদস্য নিজের ছেলের জন্য দলের মনোনয়ন চাননি।
রবিবার বিকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এখন প্রার্থী ঘোষণা করেনি ক্ষমতাসীন দল।
বিদায়ী একাদশ জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচিত ৩০০ সংসদ সদস্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৬২ জন সংসদ সদস্য ছিল। যেখানে জাতীয় পার্টির (জাপা) ২৩ জন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রত্যেক দল থেকে তিনজন করে, গণফোরাম ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি থেকে দুইজন করে, জাতীয় পার্টি-জেপি ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন প্রত্যেকটি থেকে একজন করে এবং তিনজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন মাশরাফি ও সাকিব
ঢাকায় ৯টি আসনে নতুন মুখকে মনোনয়ন দিয়েছে আ.লীগ
১১ মাস আগে
নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন কিনেছেন যেসব তারকা
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রতিবারের মতো এবারও নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন অনেক তারকা। এরইমধ্যে মননোয়ন সংগ্রহ করেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২’ আসন থেকে মনোনয়ন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন মাহি।
এ নিয়ে গণমাধ্যমে বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে চাই। একই সঙ্গে আমার জন্মস্থান চাঁপাইয়ের মানুষদের জন্য কিছু করতে চাই। তাই নির্বাচন করতে চাইছি।’
চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে সবসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দেখা যায়। এবার তিনি নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন। ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান এই তারকা। শোনা যাচ্ছে ঢাকার বাইরে কুমিল্লা-১ বা যশোর একটি আসন থেকে নির্বাচন করবেন।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ১৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। তিনি পাবনা-৫ আসন থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে বেশ কয়েকবারই মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। এবারও সেই তালিকায় রয়েছেন তিনি। এরমধ্যে এই তারকা ঢাকা-১৭ এবং টাঙ্গাইল-১ আসনের ফরম সংগ্রহ করেছেন।
ঢাকা-১৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও নির্মাতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
আরও পড়ুন: তানজিন তিশাকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেন সাংবাদিকরা
গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘গাবতলী, আমিনবাজার এলাকায় আমি বড় হয়েছি। এখানকার মানুষের সুখ দুঃখের ব্যাপারগুলো আমি জানি। আমার বিশ্বাস মনোনয়ন ফেলে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো এবং জনগণের জন্য কাজ করতে পারবো।’
আওয়ামী লীগ থেকে গেল বার নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। তিনি ময়মনসিংহ-১১ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে এবার গুঞ্জন থাকলেও চাইবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি জানালেন, মনোনয়ন না চাইলেও দলের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় তাকে দেখা যাবে।
বরিশাল-৩ এর মনোনয়ন কিনেছেন চিত্রনায়ক রুবেল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর কারণে অন্য কোনো দল বা আদর্শের কথা কখনও মাথায় আসে না। আর আমার জন্ম বরিশালের বাবুগঞ্জে। তাই বরিশাল-৩ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছি।’
গত নির্বাচনেও ‘বাগেরহাট-৩’ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন চিত্রনায়ক শাকিল খান। মনোনয়ন না পেলেও এলাকায় তিনি নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছেন। তিনি গেল ১৮ নভেম্বর একই আসন থেকে দলটির মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। এবার মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
অভিনেত্রী শমী কায়সারও ফেনী-৩ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। শিগগিরই মনোনয় ফরম সংগ্রহ করবেন।
তিনি বলেন,‘নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে চাই এবং মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশাও করছি। গত কয়েকবছর ধরেই আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করছি। সরাসরি দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত না থাকলেও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রয়েছি। সেই প্রেক্ষাপটে দলের মনোনয়ন পাওয়ার আশা করছি।’
বরাবরের মত এবারও ‘মানিকগঞ্জ-২’ আসন থেকে সংগীতশিল্পী মমতাজ ও ‘নীলফামারী-২’ আসন থেকে আসাদুজ্জামান নূর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম তোলার কথা রয়েছে অভিনেত্রী তারানা হালিমের।
অন্যদিকে, গেলে সংসদে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য থাকলেও নির্বাচন করার ইচ্ছে নেই বলে নিকটজনদের জানিয়েছেন অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: ফেসবুক পোস্ট সরানোর কারণ জানালেন তিশা
আমি গোপনে বিয়ে করার মতো মানুষ নই: লিজা
১১ মাস আগে
দল না করে মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
দল না করে এবং ত্যাগ-তিতিক্ষা ছাড়া মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, অবশ্যই তার দলীয় ত্যাগ-তিতিক্ষা থাকতে হবে। দীর্ঘ ধারাবাহিকতা ও জনপ্রিয়তা থাকতে হবে। এর বাইরে কারো মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতার দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসন্ত্রাস থেকে দেশরক্ষায় সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে এগিয়ে নিতে পারে চলচ্চিত্র: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ থেকে অনেক নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দল নির্বাচনী এলাকাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে জরিপ চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় বহু নেতা এমপি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
তিনি আরও বলেন, সেজন্য প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় অনেক নেতার নমিনেশন পেপার নেওয়াটা খুবই স্বাভাবিক, এটি অস্বাভাবিক কোনো কিছু নয়, সবসময় এটি হয়ে এসেছে। কিন্তু কোনো হাইব্রিডের মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই।
মন্ত্রী বলেন, দল সবাই করতে পারে। দল অনেক সময় এটিও বিবেচনা করে যে, দীর্ঘ ধারাবাহিকতা না থাকলেও জনপ্রিয়তা আছে। কিন্তু দল না করে মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুযোগ আওয়ামী লীগে নেই।
নিজের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমার ইলেকশন শুধু ইলেকশন আসলে না, আমি সারা বছর ইলেকশন করি, প্রতি সপ্তাহেই নির্বাচনী এলাকায় যাই, চট্টগ্রামে যাই, সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকি।
তিনি বলেন, ইলেকশন উপলক্ষে যে ঝাঁপিয়ে পড়া সেটি আমার ক্ষেত্রে নয়। আমি সারা বছর দলমত নির্বিশেষে মানুষের সঙ্গে থাকি। কারণ আমি ভাবি যে- আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলাম, যখন এমপি হয়ে গেছি তখন সব মানুষের।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এবারও দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, আশা করি যে, আমি যেভাবে দল-মত নির্বিশেষে মানুষের পাশে থেকেছি, মানুষও দল-মত নির্বিশেষে ভোটের সময় আমার পাশে থাকবে।
নির্বাচনী কাজে তরুণদের অংশগ্রহণ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের স্লোগানই হচ্ছে- তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই সমৃদ্ধি। তরুণদের উপর নির্ভর করেই দেশ এগিয়ে যাবে। সুতরাং তরুণরা আমাদের নির্বাচনী মেনিফেস্টো বলুন, নির্বাচনী কর্মকাণ্ড বলুন, সব কিছুতেই তরুণদের প্রাধান্য থাকবে।
নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি না এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ইলেকশনের ট্রেন চলা শুরু হয়ে গেছে। এখন ট্রেনে যদি কেউ উঠতে না পারে তাহলে তো করার কিছু নেই। গতবার বিএনপি ইলেকশনের ট্রেনের পাদানিতে উঠেছিল, তার আগেরবার ইলেকশনের ট্রেন মিস করেছিল।
মন্ত্রী আরও বলেন, আজকে সারাদেশে মানুষের মধ্যে যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে এতেই প্রমাণিত হয় কেউ নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশ নেবে।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি দুস্কৃতিকারী ও দেশের শত্রুতে পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পর শূন্য বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বহুল আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়া জেলা প্রমাসক মো. সাইফুল ইসলাম।
ওই দুই আসনে মোট ২২জন প্রার্থীর মধ্যে বাতিল হয়েছে বগুড়া-৪ আসনে পাঁচজন এবং বগুড়া-৬ আসনে ছয়জনের।
বগুড়া-৪ আসনের বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা, ইলিয়াস আলী, সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল, আব্দুর রশিদ ও আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
বগুড়া-৬ আসনে- বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মনসুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার বাদল, আব্দুল মান্নান আকন্দ, সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু, হিরো আলম ও রাকিব হাসান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়ন সংগ্রহ
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের দুই আসনেই ১ শতাংশ ভোটার সমর্থক তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। একই রকম গড়মিলের কারণে বাতিল হয়েছে অন্য প্রার্থীদের মনোনয়নও।
সাইফুল ইসলাম জানান, প্রত্যেকের দাখিল করা তথ্যে গড়মিল থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে কারও আপত্তি থাকলে আপিল করতে পারবেন।
মনোনয়নপত্র বাতিলের পর হিরো আলম বগুড়া ডিসি অফিসে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, আমি আপিল করবো। মনোনয়নপত্র বৈধ হলে নির্বাচনে লড়বো।
এদিকে বগুড়া-৬ আসনে বাতিলের পর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু এবং জাপা ও জাসদসহ সাতজনের। আর বগুড়া-৪ আসনে বৈধ প্রার্থী রয়েছেন ১৪ দলের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন ও জাপাসহ চারজন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- শূন্য ছয়টি আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৫ জানুয়ারি। সবকটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: আর ‘বিকৃত’ করে গান গাইবেন না হিরো আলম
বউ পেটানোর মামলায় হিরো আলম কারাগারে
১ বছর আগে