বিএসএমএমইউ
বিএসএমএমইউতে একসঙ্গে চার অপরিণত নবজাতকের জন্ম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একসঙ্গে চার অপরিণত নবজাতকের সফলভাবে জন্ম দিয়েছেন এক মা।
নিওনেটোলজি (নবজাতক) ও ফিটোম্যার্টারনাল মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ডাক্তার, রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসাসেবা ও নার্সদের নিবিড় নার্সিংসেবাসহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে।
তাদের চিকিৎসকদের নিয়মিত ফলোআপে থাকতে হবে। তাদের প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে হাসি আর আনন্দে। বর্তমানে চার নবজাতকই সুস্থ আছে।
বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, একসঙ্গে চারজনের জন্মদান অবশ্যই ব্যতিক্রম। চার নবজাতকই কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে, ফলে তাদেরকে সুস্থ রাখা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল।
তিনি বলেন, সফল সিজারের মাধ্যমে নবজাতাকদের সুস্থভাবে জন্মদান নিশ্চিত করাটাও চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে নিওনেটোলজি ও ফিটোম্যার্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা যথাযথ ও গুণগতমানের ওটিসহ চিকিৎসেবা দেওয়ায় তারা সফল হয়েছেন। চার নবজাতকই সুস্থ আছে।
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলকে আমার অভিনন্দন। আশা করি আগামী দিনে এ ধরণের ব্যতিক্রমী চিকিৎসাসেবায় ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএসএমএমইউ দেশ ও পৃথিবীর বুকে রোল মডেলে পরিণত হবে।
নিওনেটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে নবজাতকদের বাঁচিয়ে রাখা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের ছিল। তারপরেও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুস্থ রাখা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, নবজাতকদের চিকিৎসাসেবা ও যথাযথ কেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিষয় হলো ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার (কেএমসি), হ্যান্ড ওয়াসিং, আরলি ব্রেস্ট ফিডিং বা যথ দ্রুত সম্ভব মায়ের কাছে নবজাতককে শিফট করে মায়ের বুকের দুধ পান করানো।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজন হলে নবজাতকের শ্বাস কষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিপাপ নামক ডিভাইসের সেবা নিশ্চিত করা। সাধারণত একজন গর্ভধারিণী মা ৪০ সপ্তাহে সন্তান প্রসব করে থাকেন, কিন্তু মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় এই চার নবজাতকের বয়স যখন ৩১ সপ্তাহ তখন তার মায়ের সিজার করতে হয়েছিল। নবজাতকের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে মায়ের ত্বকের সঙ্গে অপরিণত নবজাতকের ত্বক লাগিয়ে সেবা প্রদান ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার (কেএমসি) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই চার নবজাতকের চিকিৎসাসেবায় এই বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ফিটোম্যাটানাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তাবাসসুম পারভীন বলেন, একসঙ্গে চার সন্তানের গর্ভধারিণী জননীর সফলভাবে ওটি সম্পন্ন করা সার্জনদের জন্য একটি জটিল ও চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিল।
এক্ষেত্রে আমরা সফল হলেও এসকল শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য নিয়মিত ফলোআপে থাকতে হবে বলে জানান ডা. তাবাসসুম পারভীন।
ডা. নুজহাত নূয়েরি জুঁই ও ডা. মায়মুনা জানান, কম ওজনের অপরিণত নবজাতকদের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরণের সংক্রমণের উচ্চমাত্রার ঝুঁকি থাকে।
তারা আরও জানান, জন্মের পর নবজাতকদের কমপক্ষে পাঁচ দিন ইনকিউভিটরে রাখা হয়েছিল। কম ওজনের শিশুদের অপরিণত খাদ্যনালীর কারণে হজমশক্তির অভাব, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারা, রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারা, অপরিণত ফুসফুসের কারণে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, ব্রেইনে রক্তক্ষরণসহ বিভিন্ন ঝুঁকি থাকে।
এছাড়া কম ওজনের অপরিণত নবজাতকদের ক্ষেত্রে এসব বিষয়ে বিবেচনা নিয়েই চিকিৎসকদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে হয় বলে জানান তারা।
চার নবজাতকের বাবা গোলাম মোস্তফা বলেন, তার স্ত্রী ফিটোমেটানাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. তাবাসসুম পারভীনের অধীনে ছিলেন। গত ৯ নভেম্বর উক্ত বিভাগে তার স্ত্রীকে ভর্তি করান এবং ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় চিকিৎসকরা সফলভাবে সিজার সম্পন্ন করেন।
২ দিন আগে
বিএসএমএমইউতে সাবেক মন্ত্রী নূরের ওপর হামলা
সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নিলে তার ওপর হামলা করেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের আহত শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে নুরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে আন্দোলনে আহত কয়েকজন ব্যক্তি তার ওপর হামলা চালান।
ভুক্তভোগী বুলবুল আহমেদ বলেন, ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমানের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন সেটটি নিয়ে নেন পরিচালক।
তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য পরিচালককে ফোন করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেইলি রোডের নওরাটন কলোনি থেকে সাবেক এই সংস্কৃতিমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০০১ সাল থেকে সংসদে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করেন নূর। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নীলফামারী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
৩ সপ্তাহ আগে
সরকারি হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে উপস্থিতি, আসছে রোগীরাও
গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে সৃষ্টি হয় সাময়িক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির। এসময় দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতেও পরিচালক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে হাসপাতালে গিয়েও দেখা মেলেনি তার। পরিচালক কখন হাসপাতালে আসেন বা থাকেন সে বিষয়ে সঠিক তথ্যও কেউ দিতে পারেনি।
হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে সেখানে দায়িত্বরত আনসার সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক নানা কারণবশত ভয়ে অনেকে হাসপাতালে আসছেন না। তবে ৭ আগস্টের পর কেউ কেউ আসা শুরু করেছেন বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, ৫ তারিখ সরকারের পদত্যাগের পর রোগীর চাপ অনেক বেশি বেড়েছে। এত রোগী এসেছে যে হিসাব রাখা সম্ভব হয়নি।
৫ আগস্ট হাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দাউদকান্দি থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে ১০ বছর বয়সি পারভেজ।
পারভেজের মা পারুল জানান, চিকিৎসা পেতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে তার থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অংকের রশিদ দেখিয়ে টাকা নেওয়া হচ্ছে। যারা নিচ্ছেন পরে তাদের আর দেখতে পাননি। সেই টাকার বিনিময়ে কোনো সেবাও পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
৪ মাস আগে
বিএসএমএমইউকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে: নবনিযুক্ত উপাচার্য
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, সেবা ও গবেষণায় উন্নত ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে সবাই গর্ব করতে পারে।
তিনি বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। এই রোগীদের দুর্ভোগ লাঘবের দিকে নজর দিতে হবে।
সোমবার (১ এপ্রিল) শহীদ ডা. মিল্টন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও ডিনদের গুরুত্বপূর্ণ সভায় নবনিযুক্ত উপাচার্য এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আবু তাহের
তিনি আরও বলেন, রোগীরা যাতে প্রয়োজনীয় টেস্ট করাসহ দ্রুত চিকিৎসাসেবা নিয়ে ফিরে যেতে পারেন তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
উপাচার্য বলেন, উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হলে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, রিপেয়ার অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, লিলেন কিপিং, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে।
ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক আরও বলেন, উদ্দেশ্য সৎ ও সুন্দর থাকলে এবং প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে দেশের মানুষের জন্য স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য অবশ্যই পূরণ হবে। বিএসএমএমইউ এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। আর সে লক্ষ্য পূরণে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খানসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: কোনো ধরনের দুর্নীতি প্রশ্রয় দেব না: বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্য
বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্য দীন মোহাম্মদ
৮ মাস আগে
কোনো ধরনের দুর্নীতি প্রশ্রয় দেব না: বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্য
কোনো ধরনের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতি করব না। কোনো দুর্নীতি প্রশ্রয় দেব না। আমি মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারি, তবে ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আমার কাজের গতি যেন ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন।’
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নতুন উপাচার্য।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্য দীন মোহাম্মদ
দায়িত্ব নিয়েই সবার উদ্দেশে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমি আপনাদেরই লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর লোক, আমি প্রধানমন্ত্রীর লোক। আমাকে সবাই সহযোগিতা করবেন, ভুল হয়ে ধরিয়ে দেবেন। তবে কেউ আমাকে পিছু টানবেন না।’
নবনিযুক্ত উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমি কারো অন্যায় আবদার শুনব না। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। প্রশাসনিক ক্ষমতা দেখাতে নয়, আমি আপনাদের বন্ধু হয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের পাশে থেকে সব সমস্যা সমাধান করব।’
চিকিৎসকদের উদ্দেশে নতুন উপাচার্য বলেন, ‘আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই আমি সবচেয়ে খুশি হব। অন্যকিছু দিয়ে আমাকে খুশি করা যাবে না। কেউ দায়িত্ব পালন করতে না পারলে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হবে। যিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পারবেন, তিনিই দায়িত্ব নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আমার বন্ধু। তিনি আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নিয়েছেন। আমি শারফুদ্দিন আহমেদকে শুভেচ্ছা জানাই।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি সুনির্দিষ্ট কোনো গ্রুপের লোক নই। আমি কোনো ধরনের গ্রুপে যেতে চাই না। এ বয়সে আমার কোনো গ্রুপিংয়ের প্রয়োজন নেই। আমাকে যে আস্থা এবং বিশ্বাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে পাঠিয়েছেন, আমি সেটাকে মূল্যায়ন করতে চাই।’
উদ্বোধনের দীর্ঘদিন পরও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু না হওয়া প্রসঙ্গে নতুন উপাচার্য বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপাচার্য বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার দায়বদ্ধতা আছে। আমি বিদেশ থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক-ট্রেইনারদের নিয়ে এসে আমাদের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। আশা করি সেবায় প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের অন্যতম জায়গায় অবস্থান করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বিশ্বের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা উপাচার্য হিসেবে তার একমাত্র এজেন্ডা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ-তে সফল লিভার প্রতিস্থাপন
৮ মাস আগে
বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্য দীন মোহাম্মদ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। আগামী চার বছরের জন্য তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সপরিবারে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক-নার্সসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুল দিয়ে বরণ করেন।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। এ ছাড়া ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বিএসএমএমইউতে অস্ত্রোপচারে আলাদা হলো জোড়া শিশু
৮ মাস আগে
প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যু, প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মারা গেছেন। রবিবার (১০ মার্চ) রাত ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস।
প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে তিনি অত্যন্ত সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের গণমাধ্যম হারাল একজন প্রিয় সহকর্মীকে আর আমি হারালাম একজন বিশ্বস্ত কর্মকর্তাকে।’
মৃত্যুকালে ইহসানুল করিম স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সোমবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। পরে বাদ জোহর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
ইহসানুল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
করিম ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের (বিএলএফ) সদস্য হিসেবে পশ্চিম সীমান্তে যুদ্ধ করেন।
দীর্ঘ সাংবাদিকতার ক্যারিয়ারে ইহসানুল করিম রাষ্ট্রপতির সাবেক প্রেস সচিব এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন।
২০১৫ সালের ১৫ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিয়োগের আগে করিম ২০১৩ সালের ২১ মে থেকে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন ইহসানুল করিম।
আরও পড়ুন: রাজশাহী মহানগর আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পিন্টুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
৯ মাস আগে
বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলনকক্ষে এ চুক্তি সই হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান এবং ইউজিসির পক্ষে কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান এ সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিডিরেনের সেবা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির
সমঝোতা স্মারকের আওতায় ইউজিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা নির্দিষ্ট ফি-র বিনিময়ে বিএসএমএমইউ থেকে রেজিস্ট্রেশন নম্বরযুক্ত একটি হেলথ কার্ড বা চিকিৎসা সেবা বই পাবেন।
এই হেলথ কার্ডের মাধ্যমে ইউজিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
এছাড়াও, হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে ইউজিসির কর্তৃপক্ষ, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কেবিন বা বিছানার তালিকা নির্ধারিত করা হয় এই চুক্তির আওতায়।
আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম দস্তগীর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ইউজিসি
১ বছর আগে
আইসিইউতে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ
বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অবস্থার অবনতি হলে আজ রাত ৩টার দিকে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সালাহউদ্দিন আহমেদকে বিএসএমএমইউ’র সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।
শামসুদ্দিন দিদার আরও বলেন, এছাড়া গতকাল সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে তার হার্ট ফেইলিওর হয়েছে এবং তার রক্তচাপ ওঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: সালাহউদ্দিন আহমেদকে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে বন্দি রেখেছে: রিজভী
নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্য।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো.মাহাবুবুল আলম বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শে গত ৪ অক্টোবর তাকে বিএসএমএমইউর সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালের কারাকক্ষে স্থানান্তর করা হয়।
৩ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। যাত্রাবাড়ীতে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ গ্রেপ্তার
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়েছে: অভিযোগ ছেলের
১ বছর আগে
দেশে চিকিৎসা সেবার ইতিহাসে নতুন মাইলফলক টেস্টটিউব বেবি: বিএসএমএমইউর উপাচার্য
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রথম টেস্টটিউব বেবির জন্ম হয়েছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর ২০২৩ ) সকাল সাড়ে ৯টায় সি-ব্লকে মা ও প্রসূতি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এ টেস্টটিউব নবজাতকের জন্ম হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
অস্ত্রোপচারের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের অনুপ্রেরণা দেন এবং টেস্টটিউব নবজাতকের মাকে অভয় দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফার্টিলিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জেসমিন বানুর তত্ত্বাবধানে সফল সিজারিয়ানের মাধ্যমে প্রথম টেস্টটিউব বেবির জন্ম দেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৯১৭
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটিই প্রথম টেস্টটিউব বেবির জন্ম। বরিশালের বাসিন্দা এই দম্পতি দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভুগছিলেন। ৮ বছর আগে দম্পতির রোগটি ডায়াগোনোসিস হয়। এ দম্পতি বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ্যাত্ব সমস্যা নিরসনে চিকিৎসা নিলেও কোনো সফলতা বা তারা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের (আইভিএফ) সুপরামর্শও পাননি। এরপর ২০২২ সালে এই দম্পতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফার্টিলিটি বিভাগে চিকিৎসা শুরু করেন। পরিপূর্ণ ইভাউলিউশন শেষে এই বিভাগ তাকে আইভিএফ উইথ আইসিএসআই এর পরামর্শ দেওয়া হয়। স্টেম সেল থেরাপি গ্রহণের মাধ্যমে তারা এ চিকিৎসা শুরু করেন। যথাযথ চিকিৎসা শেষে গত ফেব্রুয়ারি এই নবজাতকের মা গর্ভধারণ করেন এবং নিয়মিত চেকআপে থাকেন। ৩৮ সপ্তাহের পর সুদীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সফলতার নিদর্শন স্বরূপ ২৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টায় এ টেস্টটিউব নবজাতকের জন্ম হয়।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ টেস্টটিউব নবজাতকের জন্ম গ্রহণের মাধ্যমে আরেকটি সফলতার পালক যুক্ত হলো। নিঃসন্তান দম্পতিদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটানোর জন্য সব সময় কাজ করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফার্টিলিটি বিভাগ। টেস্টটিউব নবজাতক ও তার মা সুস্থ আছেন। তাদের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দেশবাসীর দোয়া প্রার্থনাও করেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত আরও ৪ জন, মৃত্যু নেই
শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাডাভেরিক, কিডনি, লিভার ট্রান্সপ্লান্ট, কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্ট করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে। আমি আশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে দেশে একটি স্মার্ট হেলথ সিস্টেম চালু করতে সমর্থ হব।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম টেস্টটিউব নবজাতকের সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের সময় অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের শিক্ষক নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেব্রবত বণিক, ডা. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, নিউন্যাটোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, রিপ্রোডাক্টিভ এন্ডোক্রাইন অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারজানা দীবা, সহযোগী অধ্যাপক (অনারারী) ডা. শাহীন আরাসহ ১৭ জন চিকিৎসক, ৫ জন নার্স অংশ নেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপ্রোডাক্টিভ এন্ডোক্রাইন অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগের প্রধান জানান, সাধারণত বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় শতকরা ৫-১০ শতাংশ রোগীদের আইভিএফ পদ্ধতির প্রয়োজন হয়। ২০০৩ সালের ডিসেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফার্টিলিটি বিভাগ চালু হয়। তবে ২০১৯ সাল থেকে অধ্যাপক ডা. জেসমিন বানুর তত্ত্বাবধানে টেস্টটিউব বেবির আইভিএফ পদ্ধতি পুরোদমে চালু হয়। করোনার সময় এই সেবা কিছুটা স্থগিত থাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ দায়িত্বগ্রহণের পরপর ২০২২ সালে পুনরায় আইভিএফ পদ্ধতি চালুর জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপ্রোডাক্টিভ এন্ডোক্রাইন অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জেসমিন বানুর নেতৃত্বে বন্ধ্যাত্বের সর্বাধুনিক চিকিৎসা স্টেম সেল থেরাপি, পিআরপি থেরাপি, রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি, এআরটি, আইইউআই, আইভিএফ সেবা দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু সম্পর্কে ১০টি প্রচলিত ধারণা: জেনে নিন সঠিক তথ্য
১ বছর আগে