স্ত্রী হত্যা
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তানজিদা আক্তার পপি নামে এক গৃহবধূ হত্যা মামলায় স্বামী হীরা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
হীরা চৌধুরী ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়ার ওমর চৌধুরী তুহিনের ছেলে এবং তানজিদা আক্তার পপি বক্তাবলীর রাজাপুরের মৃত আলী আশরাফের মেয়ে।
আরও পড়ুন: পাবনায় চরমপন্থি দলের সাবেক নেতাকে গলাকেটে হত্যা
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, উভয় পরিবারের সম্মতিতে হীরার সঙ্গে তানজিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পপির কাছ থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করে আসছিলেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জমি বিক্রি করে চাহিদা পূরণ করেছেন পপির মা তাসলিমা বেগম।
তিনি আরও বলেন, হত্যার আগের দিন দুপুরেও পপির শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে এসেছিলেন তাসলিমা। পরের দিন শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, পপি শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন, পপিকে হত্যা করেছেন তারই স্বামী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছোট ভাই মো. শাকিল ২০২১ সালের ২৬ মে ফতুল্লার থানায় মামলা করেন বলে জানান আবুল কালাম আজাদ জাকির।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দিনের ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
৩ সপ্তাহ আগে
চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুরে হাজীগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী মহিন উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ অক্টোবর) চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান এই রায় দেন।
মরিয়ম বেগম (২৫) হাজীগঞ্জের মোল্লাডহর মিজি বাড়ির নেয়ামত উল্লাহ মিজির মেয়ে এবং মহিন উদ্দিন (৩৫) একই উপজেলার পূর্ব কাজিরগাঁও গ্রামের মোহন গাজী বাড়ীর লিয়াকত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: রেনু হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ব্যবসা ও বিদেশ যাওয়ার নামে স্ত্রী মরিয়মকে দিয়ে যৌতুক হিসেবে শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা চায় মহিন উদ্দিন। এসব নিয়ে একাধিকবার পারিবারিকভাবে বৈঠক হয়। ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে কোনো এক সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মহিন উদ্দিন মরিয়মকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
মরিয়মের বাবা নেয়ামত উল্লাহ মিজি বলেন, ৩ নভেম্বর সকালে মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পাই। সেখানে গিয়ে ঘরে পাতলা কাঁথা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় মেয়ের লাশ পাই। পরে পুলিশ এসে সুরতহাল তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠায়।
পরে ৭ নভেম্বর মরিয়মের বাবা নেয়ামত উল্লাহ মিজি হাজীগঞ্জ থানায় জামাতা মহিন উদ্দিনসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করে।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআই চাঁদপুরের তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম। এতে মামলার ৫ জন আসামির মধ্যে মহিন উদ্দিন ছাড়া ৪ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি শামছুল ইসলাম মন্টু বলেন, প্রায় ৭ বছর চলমান মামলায় আদালত ৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
১ মাস আগে
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. জামাল নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. বেগম জেবুন্নেছা এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মো. জামাল কুমিল্লার মুরাদনগর থানার মুসাগারা এলাকার মৃত জোনাব আলীর ছেলে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আব্দুর রশীদ বলেন, ‘মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর ভিত্তিতে স্ত্রী পারভিন আক্তারকে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় জামালকে মৃত্যুদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।’
২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি পারভীন আক্তারের বোন বেবি আক্তার বাদী হয়ে জামালকে আসামি করে বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে বিচার শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও আসামি পক্ষে একজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
বগুড়ায় কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদি রাতেই গ্রেপ্তার
৫ মাস আগে
নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একইসঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৯ মে) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নওগাঁ জজ কোর্টের সরকারি কৌসুলি (পি.পি) আব্দুল খালেক। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী এস এম মর্তুজা মহাতাব উদ্দিন।
দণ্ডিত ব্যক্তি লুবিন বাস্কে (৭৫) ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকাল ৫টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে লুবিন বাস্কে বাঁশের লাঠি দিয়ে তার স্ত্রী মালতী রানীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্রমাগত আঘাত করতে থাকলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পরদিন লুবিন বাস্কের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শ্যামলী মর্মু বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় মামলা করেন।
২০২২ সালের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। পরে আদালত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৬ মাস আগে
খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় স্ত্রী জোহরা খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী নুরুন্নবী শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ আদেশ দেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদ আহমেদ বলেন, যৌতুকের দাবিতে ২০১১ সালে ২৫ আগস্ট রাতে খুলনা মহানগরীর বেলায়েত হোসেন সড়কের বাসভবনে আসামি নুরুন্নবী তার স্ত্রী জোহরা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে লাশ এবং শিশু ছেলেকে ঘরে তালাবন্ধ করে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ২৭ আগস্ট খুলনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষী দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার ওই মামলার রায়ে আসামি নুরুন্নবীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে নয়: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল
মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ ও বেআইনি: হাইকোর্ট
৭ মাস আগে
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার দায়ে স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার(২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পারভেজ সাতকানিয়ার চুড়ামনি এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি আইনজীবী নিখিল কুমার নাথ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
তিনি আরও বলেন, রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, মো. পারভেজের সঙ্গে ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল সামাজিকভাবে ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকেয়ার পরিবার পারভেজকে ৩ লাখ টাকা দিলেও পিতার বাড়ি থেকে আরও যৌতুকের জন্য রোকেয়াকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি।
পরে বিষয়টি রোকেয়া তার পরিবারকে জানালে তার ভাই মহিউদ্দীন এক লাখ টাকা পারভেজকে দেন। তবুও এতে খুশি ছিলেন না পারভেজ, আরও ২ লাখ টাকার জন্য রোকেয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।
২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পারভেজ রোকেয়ার মা ও বোনকে কল দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথা বলেন। এরপর তার পরিবার পারভেজের বাড়িতে গেলে খাটের ওপর রোকেয়ার লাশ তারা দেখতে পান।
এ ঘটনায় রোকেয়ার বড় ভাই মো. মহিউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যা: স্ত্রীসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
৮ মাস আগে
নাটোরে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নাটোরে স্ত্রী হত্যার পৃথক দু’টি মামলার রায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন।
সরকারি কৌসুলী আনিসুর রহমান জানান,২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট বড়াইগ্রাম উপজেলার কেচুয়াকোড়া গ্রামে যৌতুকের জন্য গৃহবধূ হাসনা হেনাকে(২২) পিটিয়ে ও স্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী শরিফুল ইসলাম। এ ঘটনায় হাসনা হেনার মা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে আইন ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
তবে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন দণ্ডপ্রাপ্ত শরিফুলের মা সহ ৩ জন। একই সাথে আসামি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে গুরুদাসপুর উপজেলার বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামে অপর একটি স্ত্রী হত্যা মামলার রায়ে স্বামী শফিকুল ইসলাম শফিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীন।
২০১৭ সালের ২৭ মে পারিবারিক বিরোধে স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যার পর মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো স্বামী শফিক। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় সেখান থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। যাবজ্জীবন সাজা ছাড়াও শফিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয় বলে জানান আদালতের পিপি সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
১ বছর আগে
সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে সুন্দরবন উপকূলীয় ঘুমঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।
নিহত রানু বেগম (৩২) জেলার কলারোয়ার রঘুনাথপুর গ্রামের সিদ্দিক সরদারের মেয়ে এবং গ্রেপ্তার স্বামী মুজিবুর রহমান (৩৫) কলারোয়ার গোদখালি গ্রামের ইমান আলীর ছেলে।
সাতক্ষীরা র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার (এএসপি) নাজমুল হক জানান, বুধবার (১৮ অক্টোবর) শাবলের আঘাতে স্ত্রী রানু বেগমকে হত্যার ঘটনায় মুজিবুর রহমানের মা বেলফুল বেগম কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর মুজিবুর রহমান ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তিনি শ্যামনগরের সুন্দরবন উপকূলীয় ভারতীয় সীমান্তের ঘুমঘাট এলাকায় অবস্থান করছেন- এমন খবরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থার জন্য আসামিকে কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
১ বছর আগে
কিশোরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কারারক্ষীর ফাঁসি
কিশোরগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কারারক্ষীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
স্ত্রী রুমা আক্তারকে হত্যার দায়ে কারারক্ষী স্বামী খাইরুল ইসলামকে এই সাজা দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক।
দণ্ডপ্রাপ্ত খাইরুল ইসলাম টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার বাচাইল এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপের সম্পদের খোঁজে ৭ দেশে দুদকের চিঠি
রাষ্ট্রপক্ষে আদালতের পিপি এমএ আফজাল রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ২০১৮ সালে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আব্দুল মান্নানের কন্যা রুমা আক্তারের সঙ্গে কারারক্ষী খাইরুল ইসলামের বিয়ে হয়। খাইরুল ইসলাম তার স্ত্রী রুমাকে নিয়ে কারাগারের কোয়ার্টারেই থাকতেন। বিয়ের তিন মাস পর স্বামী যৌতুক দাবি করলে রুমার বাবা আব্দুল মজিদ মেয়ের সুখের কথা বিবেচনায় নিয়ে তিন লাখ টাকা দেন। এর কিছুদিন পরেই মোটরসাইকেল কেনার জন্য খাইরুল ইসলাম আবারও ২ লাখ ৮ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু রুমার বাবা টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় রুমাকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর আবারও যৌতুকের জন্য স্ত্রী রোমা আক্তারকে কারাগারের স্টাফ কোয়র্টারে নির্মমভাবে নির্যাতন করে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে পরদিন রুমার মা ছিনু বেগম এসে তাকে প্রথমে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ভালপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ২৯ ডিসেম্বর রুমার অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান।
এ ঘটনায় রুমার মা ছিনু বেগম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট তৌহিদুল আলম মামলাটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে ৩ ছেলের মৃত্যুদণ্ড
১ বছর আগে
রাজশাহীতে স্ত্রী হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামির লাশ উদ্ধার
রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুকুর পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলম আস্তুল (৫৭) চক আমোদপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব প্রামাণিকের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চাতাল ঘর থেকে ট্রাকচালকের লাশ উদ্ধার
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে আজিজুল আলম আস্তুল তার স্ত্রী পারুল বেগমকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এই হত্যা মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। করোনাকালীন সময়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সরকার বিশেষ ব্যবস্থাপনায় মুক্তি দেয়।
সে সময় তিনি মুক্তি পেয়ে বছর দুয়েক আগে বাড়িতে আসেন। তারপর তিনি পাগলের মতো এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতেন এবং মানুষের কাছে টাকা-পয়সা চাইতে শুরু করেন। চক্ষু লজ্জায় একপর্যায়ে দুই ছেলে ফারুক হোসেন ও সনি হোসেনকে বাড়িতে আটকে রাখেন। মাসখানেক আগে ঘরের জানালা ভেঙ্গে আলম আস্তুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তারপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।
শুক্রবার সকালে একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে খায়রুল ইসলাম পুকুরের পাড় দিয়ে যাওয়ার পথে তার লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে।
পরে স্থানীয়রা গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এছাড়া বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর পুকুর পাড়ে আম গাছের নিচে তিনি থাকতেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় আজিজুল আলম আস্তুলের বড় ছেলে ফারুক হোসেন বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি ইউডি মামলা করেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, লাশের মাথা, মুখ, চোখ, গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ণ রয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। এছাড়া তার ছেলে সনি হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাথরুম থেকে অধ্যক্ষের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে