স্ত্রী হত্যা
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার দায়ে স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার(২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পারভেজ সাতকানিয়ার চুড়ামনি এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি আইনজীবী নিখিল কুমার নাথ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
তিনি আরও বলেন, রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, মো. পারভেজের সঙ্গে ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল সামাজিকভাবে ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকেয়ার পরিবার পারভেজকে ৩ লাখ টাকা দিলেও পিতার বাড়ি থেকে আরও যৌতুকের জন্য রোকেয়াকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি।
পরে বিষয়টি রোকেয়া তার পরিবারকে জানালে তার ভাই মহিউদ্দীন এক লাখ টাকা পারভেজকে দেন। তবুও এতে খুশি ছিলেন না পারভেজ, আরও ২ লাখ টাকার জন্য রোকেয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।
২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পারভেজ রোকেয়ার মা ও বোনকে কল দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথা বলেন। এরপর তার পরিবার পারভেজের বাড়িতে গেলে খাটের ওপর রোকেয়ার লাশ তারা দেখতে পান।
এ ঘটনায় রোকেয়ার বড় ভাই মো. মহিউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যা: স্ত্রীসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
নাটোরে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নাটোরে স্ত্রী হত্যার পৃথক দু’টি মামলার রায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন।
সরকারি কৌসুলী আনিসুর রহমান জানান,২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট বড়াইগ্রাম উপজেলার কেচুয়াকোড়া গ্রামে যৌতুকের জন্য গৃহবধূ হাসনা হেনাকে(২২) পিটিয়ে ও স্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী শরিফুল ইসলাম। এ ঘটনায় হাসনা হেনার মা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে আইন ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
তবে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন দণ্ডপ্রাপ্ত শরিফুলের মা সহ ৩ জন। একই সাথে আসামি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে গুরুদাসপুর উপজেলার বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামে অপর একটি স্ত্রী হত্যা মামলার রায়ে স্বামী শফিকুল ইসলাম শফিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীন।
২০১৭ সালের ২৭ মে পারিবারিক বিরোধে স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যার পর মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো স্বামী শফিক। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় সেখান থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। যাবজ্জীবন সাজা ছাড়াও শফিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয় বলে জানান আদালতের পিপি সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে সুন্দরবন উপকূলীয় ঘুমঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।
নিহত রানু বেগম (৩২) জেলার কলারোয়ার রঘুনাথপুর গ্রামের সিদ্দিক সরদারের মেয়ে এবং গ্রেপ্তার স্বামী মুজিবুর রহমান (৩৫) কলারোয়ার গোদখালি গ্রামের ইমান আলীর ছেলে।
সাতক্ষীরা র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার (এএসপি) নাজমুল হক জানান, বুধবার (১৮ অক্টোবর) শাবলের আঘাতে স্ত্রী রানু বেগমকে হত্যার ঘটনায় মুজিবুর রহমানের মা বেলফুল বেগম কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর মুজিবুর রহমান ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তিনি শ্যামনগরের সুন্দরবন উপকূলীয় ভারতীয় সীমান্তের ঘুমঘাট এলাকায় অবস্থান করছেন- এমন খবরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থার জন্য আসামিকে কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কারারক্ষীর ফাঁসি
কিশোরগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কারারক্ষীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
স্ত্রী রুমা আক্তারকে হত্যার দায়ে কারারক্ষী স্বামী খাইরুল ইসলামকে এই সাজা দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক।
দণ্ডপ্রাপ্ত খাইরুল ইসলাম টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার বাচাইল এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপের সম্পদের খোঁজে ৭ দেশে দুদকের চিঠি
রাষ্ট্রপক্ষে আদালতের পিপি এমএ আফজাল রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ২০১৮ সালে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আব্দুল মান্নানের কন্যা রুমা আক্তারের সঙ্গে কারারক্ষী খাইরুল ইসলামের বিয়ে হয়। খাইরুল ইসলাম তার স্ত্রী রুমাকে নিয়ে কারাগারের কোয়ার্টারেই থাকতেন। বিয়ের তিন মাস পর স্বামী যৌতুক দাবি করলে রুমার বাবা আব্দুল মজিদ মেয়ের সুখের কথা বিবেচনায় নিয়ে তিন লাখ টাকা দেন। এর কিছুদিন পরেই মোটরসাইকেল কেনার জন্য খাইরুল ইসলাম আবারও ২ লাখ ৮ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু রুমার বাবা টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় রুমাকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর আবারও যৌতুকের জন্য স্ত্রী রোমা আক্তারকে কারাগারের স্টাফ কোয়র্টারে নির্মমভাবে নির্যাতন করে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে পরদিন রুমার মা ছিনু বেগম এসে তাকে প্রথমে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ভালপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ২৯ ডিসেম্বর রুমার অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান।
এ ঘটনায় রুমার মা ছিনু বেগম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট তৌহিদুল আলম মামলাটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে ৩ ছেলের মৃত্যুদণ্ড
রাজশাহীতে স্ত্রী হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামির লাশ উদ্ধার
রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুকুর পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলম আস্তুল (৫৭) চক আমোদপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব প্রামাণিকের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চাতাল ঘর থেকে ট্রাকচালকের লাশ উদ্ধার
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে আজিজুল আলম আস্তুল তার স্ত্রী পারুল বেগমকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এই হত্যা মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। করোনাকালীন সময়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সরকার বিশেষ ব্যবস্থাপনায় মুক্তি দেয়।
সে সময় তিনি মুক্তি পেয়ে বছর দুয়েক আগে বাড়িতে আসেন। তারপর তিনি পাগলের মতো এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতেন এবং মানুষের কাছে টাকা-পয়সা চাইতে শুরু করেন। চক্ষু লজ্জায় একপর্যায়ে দুই ছেলে ফারুক হোসেন ও সনি হোসেনকে বাড়িতে আটকে রাখেন। মাসখানেক আগে ঘরের জানালা ভেঙ্গে আলম আস্তুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তারপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।
শুক্রবার সকালে একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে খায়রুল ইসলাম পুকুরের পাড় দিয়ে যাওয়ার পথে তার লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে।
পরে স্থানীয়রা গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এছাড়া বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর পুকুর পাড়ে আম গাছের নিচে তিনি থাকতেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় আজিজুল আলম আস্তুলের বড় ছেলে ফারুক হোসেন বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি ইউডি মামলা করেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, লাশের মাথা, মুখ, চোখ, গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ণ রয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। এছাড়া তার ছেলে সনি হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাথরুম থেকে অধ্যক্ষের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ
দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামী থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। শুক্রবার রাতে মনোয়ার হোসেন কোতোয়ালি থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
এর আগে ওইদিন ভোরে স্ত্রীকে হত্যা করার বিষয় বলে স্বীকার করেন তিনি।
মৃত সুমাইয়া আক্তার (২৭)দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা শহরের সুজালপুরের কলেজপাড়া আব্দুল খালেকের মেয়ে। মনোয়ার হোসেন জেলা শহরের ছোট গুড়গোলা মহল্লার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে মাস খানেক আগে (গত ২০ জানুয়ারি) সুমাইয়া আক্তারকে আনুষ্ঠনিকভাবে বিয়ে করেছিল মানোয়ার হোসেন। স্ত্রীসহ শহরের ঘাসিপাড়া মহল্লায় সে ভাড়াটে বাড়ির চতুর্থ তলায় বসবাস করতো।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বাবাকে খুন করে থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ!
পুলিশের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত সুপার শেখ মোহাম্মদ জিন্নাহ আল মামুন জানান, শুক্রবার মধ্যরাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ ওয়ারড্রবে লুকিয়ে রেখেছিল সে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কোতোয়ালি থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকারসহ আত্মসমর্পণ করেছে মনোয়ার হোসেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে শনিবার মামলার প্রস্ততি নিচ্ছে সুমাইয়া আক্তারের অভিভাবক। হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে চেষ্টা করছেন তারা। পাশাপাশি রিমান্ড আবেদনসহ তাকে আদালতে উপস্থাপন করবেন তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রেজাউর করিম।
আরও পড়ুন: মমিনুল সাঈদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
জামালউদ্দিন হত্যা: ২০ বছর পর আদালতে আসামির আত্মসমর্পণ
সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজগার আলী (৫০) সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের এন্তাজ সরদারের ছেলে।
নিহত রেহেনা পারভিন উপজেলার গোবরদাড়ি গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
আরও পড়ুন: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়,১৯৯৪ সালে আজগার আলীর সঙ্গে রেহেনা পারভিনের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই যৌতুকের দাবিতে রেহেনাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করত আজগার আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এক পর্যায়ে বাপের বাড়ি থেকে যৌতুকের ৮০ হাজার টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় ১৯৯৭ সালের ২০ এপ্রিল বিকাল তিনটা থেকে চারটার মধ্যে বাড়িতে রেহেনাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের চাচা শওকত আলী সরদার পরদিন বাদি হয়ে আজগার আলী, তার ভাই রুহুল কুদ্দুসসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন।
১৯৯৮ সালে আসামি আজগার আলী ও তার ভাই রুহুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে আসামি রুহুল কুদ্দুস মারা যান। আসামি আজগার আলী পলাতক আছেন।
মামলার নথি,১২ জন সাক্ষীর জেরা ও জবানবন্দি নেয়ার পরে পলাতক আসামি আজগার আলীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।
আসামি পলাতক থাকায় তার পক্ষে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট বসির। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহরুল হায়দার বাবু।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড,১ জনের যাবজ্জীবন
শেরপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
শেরপুরে স্ত্রী হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এমদাদুল হক লালু (৪৫) সদর উপজেলার চরমুচারিয়া ইউনিয়নের মুকসুদপুর এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, সাক্ষ্যপ্রমাণে বিচারক নিশ্চিত হন যৌতুকের জন্য স্ত্রী রোকসানাকে পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করেছে স্বামী এমদাদুল হক লালু। তাই নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের দন্ডবিধি (১১ক) ধারায় লালুকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন বিচারক।
মামলার নথির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, গত ২০১০ সালে সদর উপজেলার ছয়ঘড়িপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের মেয়ে রোখসানা খাতুনের বিয়ে হয় চরমুচারিয়া ইউনিয়নের মুকসুদপুর এলাকার বেসরকারি চাকরিজীবী এমদাদুল হক লালুর সাথে। বিয়ের পর রোখসানার বাবা আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দিয়েছিলেন। বিয়ের প্রায় ৫ বছর পর রোখসানার স্বামী এমদাদুল হক চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে আসেন এবং আরও যৌতুক এনে দেয়ার জন্য স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করেন। ওই টাকা না পেয়ে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্ত্রীকে পিটিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করেন লালু। মাথায় আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারালে স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে স্বামী লালু প্রচার করেন রোকসানা বিষ খেয়েছে। পরে তাকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যান। পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রোকসানা।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সদর থানায় এমদাদুলের ভাই ও ভাবিসহ ৯ জনের নামোল্লেখ সহ এবং আরও ২-৩ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও ভিসেরা প্রতিবেদনে নিশ্চিত হয় বিষক্রিয়ায় মারা যাননি গৃহবধূ রোকসানা। মাথা ও শরীরে গুরুতর আঘাতেই তিনি মারা গেছেন এবং তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হলেও তা মুখেই ছিল পেটে যায়নি।
তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শেরপুর সদর থানার তৎকালীণ ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বামী এমদাদুল হক লালুকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি এমদাদুল হককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যা, ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় স্ত্রী হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত আসামি স্বামীকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার মো. ইকবাল হোসেন অলিপুর গ্রামের কাজি আবদুল হাকিমের ছেলে ও পেশায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক।
মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর শাকতলায় কোম্পানি কার্যালয়ে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬
তিনি জানান, গত ২৪ এপ্রিল কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার কালিরবাজার ইউনিয়নের মস্তাপুর এলাকার পাহাড়ের পাদদেশে পড়ে থাকা হাত মুখ বাঁধা ফারজানা বেগম (২৯) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার সাত জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হলে র্যাব ১১ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি ২ এর গোয়েন্দারা সোমবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অনলাইন প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, র্যাব এর একই কোম্পানির অপর একটি অভিযানিক দল তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন রাতে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি স্বামী মো. ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়।
নাটোরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন
নাটোরের বড়াইগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহীন মন্ডলের বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলার তেলো পশ্চিমপাড়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: খুলনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সিরাজুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর থেকেই শাহিন মন্ডল স্ত্রী চম্পাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে ২০ জানুয়ারি তেলো পশ্চিমপাড়া এলাকার শাহিন মন্ডল তার নিজ বাড়িতে যৌতুকের জন্য তার স্ত্রী চম্পা খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে শিশু হত্যা মামলায় চাচীর যাবজ্জীবন
এ ঘটনায় নিহত চম্পার বাবা আফসার মিয়াজী বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ শাহিন মন্ডলকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক মঙ্গলবার এই রায় দেন।