কার্বন নিঃসরণ
২০৩০ সালের জন্য কার্বন নিঃসরণ কমানোর অঙ্গীকার আরও জোরদার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রাখতে ২০৩০ সালের জন্য নির্গমন হ্রাসের প্রতিশ্রুতি সাত গুন বাড়ানো দরকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোকে তাদের ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছে। তিনি বলেন, সবুজ জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ), স্বল্পোন্নত দেশের তহবিল (এলডিসিএফ), অভিযোজন তহবিল (এএফ) এবং জিইএফ ট্রাস্ট তহবিলকে পর্যাপ্ত সংস্থান দিয়ে শক্তিশালী করতে হবে এবং সেই তহবিলের প্রবেশাধিকার দ্রুত ও সহজ হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার তাগিদ
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে কপ২৮-এ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সবংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্যারিস চুক্তির সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অভিযোজন ও প্রশমন এবং অনুদানভিত্তিক অর্থায়নের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ ৫০:৫০ বরাদ্দের পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ়। আমরা নতুন ও অতিরিক্ত সরকারি অর্থায়নে গুরুত্ব দেব। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে জাতিসংঘের ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যানস (এনএপি) বাস্তবায়নের জন্য দ্বিগুণ অভিযোজন তহবিল ও সমর্থনের উপর জোর দেয়, যা ৪৯টি দেশের অগ্রাধিকার। এসব দেশ ইতোমধ্যে তাদের এনএপি প্রস্তুত করেছে এবং জমা দিয়েছে। আমরা জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা অর্জনের জন্য সময়সীমাবদ্ধ বাস্তবায়নযোগ্য লক্ষ্যগুলোর ওপর জোর দিয়ে অভিযোজন সংক্রান্ত গ্লোবাল গোলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রস্তুত।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে জলবায়ুসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি অটল, যার উদাহরণ "ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড" এবং "জিসিএ লোকাল অ্যাডাপ্টেশন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড" প্রাপ্তি।
আরও পড়ুন: কপ-২৮ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক: সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও কম কার্বনের পথে বাংলাদেশ
শাহাব উদ্দিন সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে গৃহীত ৭০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষয়ক্ষতির তহবিলের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য কপ২৮-এর প্রেসিডেন্ট ও সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
একই সঙ্গে তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, উভয় প্রশমন কর্ম কর্মসূচির অগ্রগতি, গ্লোবাল স্টক টেক (জিএসটি) এর অধীনে প্রশমন এবং ন্যায্য রূপান্তরের কর্মসূচি খুবই অপর্যাপ্ত। তিনি জরুরি ভিত্তিতে জলবায়ু অর্থের একটি সাধারণ সংজ্ঞা ঠিক করতে অর্থসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির (এসসিএফ) প্রতি আহ্বান জানান। জলবায়ু অর্থায়নের নিউ কালেক্টিভ কোয়ান্টিফাইড গোল (এনসিকিউজি) আলোচনার জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং আবুধাবিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি তহবিল নিয়ে আশার সঞ্চার
১ বছর আগে
কার্বন নিঃসরণ দ্রুত বন্ধে ঐকমত্য গড়ে তুলছে জি-৭
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরে চীন ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর আরও সহায়তার আহ্বানের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখে এমন কার্বন নিঃসরণ পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার বিষয়ে রবিবার জি-সেভেন (জি-৭) ধনী দেশগুলোর নেতারা ঐকমত্য চূড়ান্ত করেছেন।
জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সাপ্পোরোতে জড়ো হওয়া জি-৭ জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রীরা রবিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যা জ্বালানি নিরাপত্তার প্রয়োজনের সঙ্গে জলবায়ু ও অন্যান্য পরিবেশগত উদ্বেগের ভারসাম্য বজায় রাখবে।
রুদ্ধদ্বার আলোচনায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা আগামী দশকে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করার পাশাপাশি নবায়নযোগ্য শক্তিতে দ্রুত পরিবর্তনের জন্য একটি বিবৃতি আশা করছেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের দাবি জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের
কিয়োডো নিউজ সার্ভিসের খবরে বলা হয়, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধের সময়সীমা নির্ধারণ করা এখনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জাপান তার বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের জন্য কয়লার ওপর নির্ভর করে এবং তথাকথিত পরিষ্কার কয়লার ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে; কার্বন নির্গমন ধরে রাখতে, হাইড্রোজেন উৎপাদন করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে - যা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হলে কেবল পানি উৎপাদন করে।
জি-৭ দেশগুলো বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৪০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের এক চতুর্থাংশের জন্য দায়ী। তাদের পদক্ষেপগুলো সমালোচনামূলক, তবে কম ধনী দেশগুলোর প্রতি তাদের সমর্থন প্রায়শই জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব ভোগ করে এবং এই জাতীয় প্রভাব প্রশমিত করার জন্য সবচেয়ে কম সংস্থান রয়েছে।
আরও পড়ুন: কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক টেকসই বিশ্ব নিশ্চিতের আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর
১ বছর আগে
‘কপ-২৭ সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমাতে অনেকেই আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছন, কপ-২৭ সম্মেলনে অনেকেই কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে।
তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করার জন্য আমরা যে বৈশ্বিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছি, তা বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনা, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে একটা বৈশ্বিক ঐক্যমত তৈরি করার লক্ষ্যেই কপ সম্মেলনগুলো হয়।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কপ-২৭ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি: বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাসউদুল হক, হাবিব রহমান প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, পরিবেশ পরিবর্তনজনিত ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ এর জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি আমাদের বহুদিনের। শেষ পর্যন্ত প্যারিস এগ্রিমেন্টের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে এটিকে স্বীকার করে নেয়া হলেও কোনো অগ্রগতি হচ্ছিল না।
মিশরে কপ-২৭ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্বের প্রায় একশ’ রাষ্ট্রপ্রধান-সরকার প্রধানরা গিয়েছিলেন এবং এবারের অন্যতম অগ্রগতি হলো যে, বিশ্ব সম্প্রদায় ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়েছে।
মন্ত্রী জানান, কপ-২৭ সম্মেলনে অনেকেই কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে। আমাদের সরকারও ২০৪১ সালের মধ্যে মোট জ্বালানির ৪০% নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থাৎ সোলার, গ্রিনপাওয়ার, জলবিদ্যুৎ ব্যবহারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এসবের জন্য একটা প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। এটি খুব ভালো দিক। ভাবনার বিষয় এতোকিছুর পরও বিশ্বের তাপমাত্রা ১৮৮০ সালের ভিত্তি তাপমাত্রা থেকে ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে, এখন ১.১ ডিগ্রি বেড়েছে। আর তাতেই সার্বিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকায় দাবানল, পাকিস্তানে যারা পানির সঙ্গে খুব বেশি পরিচিত নয়, সেখানে বন্যা দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ এর ফলাফলে সুশীল সমাজের হতাশা প্রকাশ
কপ-২৭: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অর্থ দিতে এখনও একমত হয়নি ধনী দেশগুলো
২ বছর আগে
কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক টেকসই বিশ্ব নিশ্চিতের আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রতিশ্রুতির আন্তরিক বাস্তবায়নের মাধ্যমেই কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক টেকসই বিশ্ব নিশ্চিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
মঙ্গলবার রাতে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে কমিশন অন দ্যা স্টাটাস অব উইমেন (সিএসডব্লিউ) এর ৬৬তম অধিবেশনে এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিএসডব্লিউ-এর এবারের প্রতিপাদ্য হলো, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস নীতি ও কর্মসূচিসমূহের প্রেক্ষাপটে লিঙ্গ-সমতা অর্জন এবং সকল নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন’।
আরও পড়ুন: কার্বন নিঃসরণ কমাতে ঐক্যমতে পৌঁছেছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৩৪ দেশ
প্রতিমন্ত্রী সিএসডব্লিউতে পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।
প্রতিমন্ত্রী বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট বাংলাদেশের নাজুক পরিস্থিতি ও দুর্যোগ ঝুঁকির উপর আলোকপাত করেন এবং এক্ষেত্রে নারী ও মেয়েদের অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাবের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক ২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম, যদিও বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে আমাদের অবদান মাত্র ০.৪৭ শতাংশেরও কম।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-এর ৫৫ সদস্যের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ-২৬ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বেঁচে থাকার জন্য অর্থায়ন নিশ্চিতের উপর জোর দেয়ার যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলো নারীরা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বৈশ্বিক সচেতনতা জরুরি: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
লিঙ্গ সংবেদনশীল জলবায়ু কর্মসূচি, অভিযোজন, প্রশমন, ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস নিশ্চিত করার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন আইন, নীতি, ও কর্মসূচিসমূহের কথা উল্লেখ করেন নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া বাংলাদেশের জলবায়ু নাজুক অঞ্চলসমূহে নারীদের অভিযোজন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য অর্জনে গৃহীত জলবায়ু ও লিঙ্গ-সংবেদনশীল বাজেট, লিঙ্গ-সংবেদনশীল কোস্টাল অভিযোজন প্রকল্প, সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি, জাতীয় রেজিলিয়েন্স কর্মসূচিসহ অন্যান্য পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সাইক্লোন প্রস্তুতি কর্মসূচি’তে ৩৮ হাজার নারী স্বেচ্ছাসেবী অন্তর্ভূক্তিকরণের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, এরফলে এই কর্মসূচিটি জাতিসংঘের পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ২০২১ অর্জন করেছে যা দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে লিঙ্গসমতার অনন্য উদাহরণ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ জাতীয় প্রকল্পসমূহ নারী ও মেয়েদের দুর্যোগ পূর্ববর্তী হুইসেল ব্লোয়ার হিসেবে কাজ করার ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করবে, সম্পদ রক্ষা করবে, এবং জীবিকা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বৈচিত্র আনবে। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে নারী ও মেয়েরা যে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে তা কাটিয়ে উঠতে আর্থিক, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সম্পদের সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া তিনি ‘সমতার নীতি’ ও ‘লিঙ্গ-জলবায়ু ন্যায়বিচার’ চালু করার উপরও জোর দেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে সহায়তা বাড়াবে জার্মানি
২ বছর আগে
করোনা মোকাবিলায় বৈশ্বিক সংহতির আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি বৈশ্বিক সংহতি ও বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে এবং এটিকে মৌলিক পরিবর্তনের সুযোগে পরিণত করতে হবে।
৪ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তন: বিশ্বকে বাঁচাতে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান শেখ হাসিনার
কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক জলবায়ু জোটের প্রয়োজনীয়তার ওপর বুধবার জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে
কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ হওয়া দরকার: জাতিসংঘ মহাসচিব
তুলনামূলক সস্তা ও লাভজনক নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ওপর ব্যাপক বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এটা কেবল সঠিকই নয়, অর্থনৈতিকভাবেও সাশ্রয়ী।
৪ বছর আগে