জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ
অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের কাছে নতুন বাংলাদেশকে তুলে ধরবেন আজ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন আজ (২৭ সেপ্টেম্বর)। এই ভাষণের মাধ্যমে জনগণ বিশেষ করে যুবসমাজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে নতুন বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, অধ্যাপক ইউনূস শুক্রবার নিউইয়র্ক সময় সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা) সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনায় ভাষণ দেবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে বক্তব্য রাখবেন অধ্যাপক ইউনূস।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের স্বপ্ন ও ভূমিকার পাশাপাশি অধ্যাপক ইউনূস তার সরকারের সংস্কার এজেন্ডা তুলে ধরবেন। যে সংস্কার এজেন্ডার মাধ্যমে বাংলাদেশিদের জন্য ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে দেশকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে কাজ করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখবে: অধ্যাপক ইউনূস
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে অধ্যাপক ইউনূসের যে ব্যাপক পরিসরে সম্পৃক্ততা, তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত তার সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরা সহজ হয়েছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করতে কোন ক্ষেত্রগুলোতে সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে পরিকল্পনার একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে এবং এ বিষয়ে তারা বিশ্বকে জানাতে চান যাতে বাংলাদেশে কী ঘটেছিল সে নিয়ে কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ না থাকে।
তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত সম্মানিত এবং সব দেশ তার বক্তব্য গুরুত্বের সঙ্গে নেবে।
অধ্যাপক ইউনূস তার ভাষণে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থান এবং আগামী দিনে জনমুখী, কল্যাণমুখী ও জনস্বার্থে নিবেদিত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণে তার দৃঢ় প্রত্যয়ের বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে জ্বালানি ও ট্রানজিট সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করলেন অধ্যাপক ইউনূস-প্রধানমন্ত্রী ওলি
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান; জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব এবং জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা; বৈশ্বিক সংঘাত; রোহিঙ্গা সংকট; টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জটিলতা; উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে সম্পদ পাচার রোধ; নিরাপদ অভিবাসন এবং অভিবাসীদের মৌলিক সেবাসমূহে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ; প্রযুক্তির টেকসই হস্তান্তর বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ফিলিস্তিনের কথা উঠে আসতে পারে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে এই অধিবেশন জাতিসংঘ বা বিশ্বমঞ্চে নতুন বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন পদক্ষেপ। এই অধিবেশনে বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক এই বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার দারুণ সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে।’
গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রায় ১৫টি বৈঠকে অংশ নেন অধ্যাপক ইউনূস।
শুক্রবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে অন্তত ৬টি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সংস্কারে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক: অজয় বাঙ্গা
১ মাস আগে
বাংলাদেশের নতুন যাত্রা সফল করতে বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা প্রধান উপদেষ্টার
সুখী ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তারা নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না।
নিউইয়র্ক সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, 'আমাদের কাজ হচ্ছে এটা পরিষ্কার ও সংস্কার করা। আমাদের শুরুটা ভালো করতে হবে। এটি বাস্তবায়নে আপনাদের সবার সমর্থন প্রয়োজন।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে।
আরও পড়ুন: প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে কানাডা: ড. ইউনূসকে জাস্টিন ট্রুডো
সংবর্ধনা আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আরও ছিলেন- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ, উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে আলোকচিত্রী, লেখক, কিউরেটর ও অ্যাক্টিভিস্ট শহিদুল আলম শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাগুলো নিয়ে লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল আমরা তাদের হতাশ করতে চাই না।’
সংস্কারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের পর নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে ছাত্ররা তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি বছর। এটা বাংলাদেশের তরুণরাই নিয়ে এসেছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও অধ্যাপক ইউনূস
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়া এবং সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানায় জাতিসংঘ।
ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে আমার শুভেচ্ছা জানাই সাধারণ পরিষদে যোগদানের জন্য। এ বছর বাংলাদেশ জাতিসংঘে তার ৫০ বছরের সম্পর্ক উদযাপন করছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।
এছাড়া প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গেও ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ২০২৪-এর বৈঠকে মঞ্চ ভাগ করে নিয়েছিলেন ড. ইউনূস।
ইউএনজিএর ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন অধ্যাপক ইউনূস।
মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক শুরু হয়। চলবে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত। এই আয়োজনের পর্দা নামবে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর)।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- 'কাউকে পেছনে ফেলে নয়: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার অগ্রগতিতে একসঙ্গে কাজ করা'।
আরও পড়ুন: সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করায় অধ্যাপক ইউনূসকে জাতিসংঘের শুভেচ্ছা
১ মাস আগে
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অধ্যাপক ইউনূস, রয়েছে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার রাতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের কাউন্সেলর ফাহমিদ ফারহান জানান, নিউইয়র্ক সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান অধ্যাপক ইউনূস। তাকে স্বাগত জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আবদুল মুহিত ও ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সিডিএ সালাহউদ্দিন মাহমুদ।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে এটি অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এই প্রথম বিদেশ সফর।
আরও পড়ুন: সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করায় অধ্যাপক ইউনূসকে জাতিসংঘের শুভেচ্ছা
প্রধান উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধি দলের সদস্যদের বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সেখানে তার আবাসস্থল হায়াত গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল নিউইয়র্কে নিয়ে যাওয়া হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ আলোচনায় ভাষণ দেবেন তিনি।
২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কর্মসূচি
২৪ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ ও পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
প্রফেসর ইউনূস রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টেও যোগ দেবেন।
এছাড়াও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা 'মিট দ্য ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ' নামে একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টেও যোগ দেবেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করবেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ইতালির মন্ত্রী পরিষদের সভাপতি জর্জিয়া মেলোনি এবং কুয়েতের যুবরাজ শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে পৃথকভাবে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের নতুন অধ্যায়: নিউইয়র্কে বাইডেন-ইউনূস বৈঠক ২৪ সেপ্টেম্বর
এছাড়াও মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিউইয়র্কে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনবিকে বলেন, এটি একান্ত বৈঠক হতে যাচ্ছে।
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ গত কয়েক দশকে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেননি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কমপক্ষে ১৫ মিনিট সময়ের এই বৈঠকটি হতে পারে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করা স্বাভাবিক নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে এমন কোনো নতুন কৌশলগত অংশীদারিত্ব এই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছে ঢাকা।
২৩-২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফর করছেন বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিউইয়র্ক সফর নিয়ে প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বাইডেন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি মোকাবিলা, বৈশ্বিক সমৃদ্ধি এগিয়ে নেওয়া এবং মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠান গঠন ও উন্নয়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
যেহেতু বাংলাদেশ আরও ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের রূপরেখা খুঁজছে, যুক্তরাষ্ট্র এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তৌহিদ হোসেনের মতে, প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্কে চার দিন অবস্থানকালে নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএসএইড প্রশাসকসহ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই সময়ে সভার অনেক সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তে নেওয়া হয়। সেই বিবেচনায় নতুন সভা যুক্ত হতে পারে; আবার সময়ের অভাবে কোনো সভা বাদ পড়তে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো এবারও বাংলাদেশ থেকে শতাধিক সদস্যের কোনো প্রতিনিধি দল চার্টার্ড ফ্লাইটে করে নিউইয়র্ক যাচ্ছে না। বরং নিজ নিজ দায়িত্ব অনুযায়ী যথাসম্ভব সীমিত পরিসরে প্রতিনিধি দল তৈরি করা হয়েছে। ইউএনজিএতে আলোচ্য বিষয়গুলোর সঙ্গে যারা সরাসরি যুক্ত তারাই শুধুমাত্র প্রতিনিধি দলে আছেন।
আরও পড়ুন: ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ইউনূস
এবারের সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- 'কাউকে পেছনে ফেলে নয়: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার অগ্রগতিতে একসঙ্গে কাজ করা'।
প্রধান উপদেষ্টার ২৭ সেপ্টেম্বর ভাষণের আলোচ্য
অধ্যাপক ইউনূস ২৭ সেপ্টেম্বর তার ভাষণে গত দুই মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অকল্পনীয় গণঅভ্যুত্থান এবং আগামী দিনে জনমুখী, কল্যাণমুখী ও জনস্বার্থে নিবেদিত একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে তার দৃঢ় প্রত্যয়ের বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় একই দিন রাতে ঢাকার উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করার কথা রয়েছে তার। ২৯ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ঢাকায় পা রাখবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইউএনজির ৭৯তম অধিবেশন ড. ইউনূসের সরকারের জন্য বড় সুযোগ: কুগেলম্যান
১ মাস আগে
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ৬ জুলাইকে ‘বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস’ হিসেবে ঘোষণার রেজ্যুলেশন গৃহীত
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের প্লেনারিতে সর্বসম্মতিক্রমে প্রতিবছর ৬ জুলাইকে ‘বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করে একটি রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রস্তাবিত রেজ্যুলেশনটি, ভারত, নেপাল, পেরু, ফিলিপাইন এবং থাইল্যান্ডের সমন্বয়ে গঠিত একটি কোর গ্রুপের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়। জাতিসংঘের ৪৩টি সদস্য রাষ্ট্র এই রেজ্যুলেশনটি স্পন্সর করেছে এবং কোনো ভোট ছাড়াই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে এটি গৃহীত হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের উত্থাপন করা প্রথম রেজ্যুলেশন যা কার্যকর বহুপাক্ষিকতার দ্বারা সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি ও অভাব দূরীকরণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতিরই সমার্থক।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে খসড়া রেজ্যুলেশনের ওপর জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মাঝে আলোচনা অব্যাহত রাখে এবং রেজ্যুলেশনের খসড়া চূড়ান্ত করে।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (সিরডাপ)’র মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে টেকসই পল্লী উন্নয়নে সহায়তার স্বীকৃতি স্বরূপ, সংস্থাটির প্রতিষ্ঠার দিন ১৯৭৯ সালের ৬ জুলাইকে প্রতিবছর ‘বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশে সংস্কার আনা হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত রেজ্যুলেশনটি উপস্থাপন করেন। এসময় তিনি দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য উৎপাদন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং উন্নত জীবিকা নিশ্চিতকরণের মতো ক্ষেত্রগুলোসহ বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই পল্লী উন্নয়নের উপর গুরত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত মুহিত আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস’ ঘোষণা ও পালনের মাধ্যমে সমন্বিত, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পল্লী উন্নয়নে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপের গুরুত্ব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টি করবে, এবং এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নের নিমিত্ত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সারা বিশ্বে গৃহীত নানা উদ্যোগ ও কর্মসূচিকে অনুপ্রাণিত করবে।
রেজ্যুলেশনটি জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ ও প্রচারের মাধ্যমে বিশ্ব পল্লী উন্নয়ন দিবস পালন করার আহ্বান জানায়। একইভাবে বেসরকারি সংস্থা, একাডেমিয়া, গ্রামীণ উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সুশীল সমাজ, কৃষক সংগঠন, আদিবাসী ও স্থানীয় জনগণকে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।
এছাড়াও যথাযথভাবে এই দিবস পালনে জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করতে জাতিসংঘের মহাসচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয় রেজ্যুলেশনটিতে।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের একটি সাইড ইভেন্টে ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’ উদ্বোধন করেন।
‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের’ মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বৈষম্যমুক্ত বিশ্বের রূপকল্প’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এটুআইয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়।
গাম্বিয়া, উগান্ডা, ঘানা, সোমালিয়া, সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপির মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতিসংঘ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং এটুআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ই-কোয়ালিটি সেন্টারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সাউথ-সাউথ সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত বিভাজন দূর করা।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠিত এই সেন্টারটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বের দেশগুলোর মাঝে প্রযুক্তিগত পার্থক্য দূরীকরণে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে সিটিবিটিও নির্বাহী সচিবের বৈঠক অনুষ্ঠিত
এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণা এবং অর্থনৈতিক সহায়তার মাধ্যমে সমতামূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার উন্নয়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের যাত্রার বিষয়টি তুলে ধরেন।
উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা, দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতা, সমাজের সকল স্তরের মানুষের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণের উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মাধ্যমে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ ও প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল ভিশন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
সুদৃঢ় অংশীদারত্ব, বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আত্মীকরণের মাধ্যমে ই-কোয়ালিটি সেন্টার ডিজিটাল বিভাজনমুক্ত মানবজাতি সৃজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে ই-কোয়ালিটি সেন্টারের কারিগরি ও ব্যবহারিক নানা দিক উপস্থাপন করা হয়।
উপস্থিত বিভিন্ন দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ এই উদ্যোগের ব্যাপারে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
তারা প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক বন্টন, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা এবং নতুন ডিজিটাল বাস্তবতার চ্যালেঞ্জসমূহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ লক্ষ্যে ই-কোয়ালিটি সেন্টার কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এই অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি ইনোভেশন ফ্যাসিলিটির বিজয়ী প্রকল্পসমূহকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের অংশগ্রহণে আরও একটি অনলাইন সেশন আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ সেশনটিতে অংশগ্রহণ করেন।
দেশ ও বিদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাইড ইভেন্ট এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সাফল্যের সঙ্গে সমাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: ভুল তথ্য-অপপ্রচার মোকাবিলা করতে প্রবাসীদের প্রতি মোমেনের আহ্বান
১ বছর আগে
‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র রক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি’: মোমেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাউন্সেলরের সাক্ষাৎ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে।
সাক্ষাতের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরের আগে ডেরেক শোলে বলেছিলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের 'বিশাল সম্ভাবনা' দেখছে এবং তা বাড়ানোর আরও সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার করুন: এসডিজি শীর্ষ সম্মেলনে মোমেন
১ বছর আগে
৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
রবিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে ৪ ঘণ্টার যাত্রাবিরতির পর ফ্লাইটটি ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে (নিউইয়র্ক সময়) নিউইয়র্কের জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কের প্রথম দিনে যোগ দেবেন এবং ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: শিল্পী শাহাবুদ্দিনের বিশেষ শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দিতেও শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তিনি রোহিঙ্গা ও জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), সার্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থায়নসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউনিডো ও ডেলয়েট আয়োজিত 'থট ফর ফুড-কোলাবরেটিং ফর ফুড সাপ্লাই চেইন ইনোভেশন টু অ্যাক্সিলারেট দ্য এসডিজি’স' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
একই দিন ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে 'এসডিজি সামিট-লিডার্স ডায়ালগ-৪' (এসডিজি অর্জনে সমন্বিত নীতি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করা) শীর্ষক আরেকটি সম্মেলনে ভাষণ দেবেন তিনি।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে লেক্সিংটন ভেন্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিবের গ্লোবাল এডুকেশন বিষয়ক বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউন এবং গ্লোবাল বিজনেস কোয়ালিশন ফর এডুকেশনের এক্সিকিউটিভ চেয়ার সারাহ ব্রাউন আয়োজিত জাতিসংঘের ২০২৩ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিগত নৈশভোজে যোগ দেবেন।
তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সিআর-১৬ এ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রেসিডেন্ট আয়োজিত 'টুওয়ার্ডস আ ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
একই দিন শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সিআর-১১ এ বাংলাদেশ, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, ভুটান, চীন, মালয়েশিয়া, চ্যাথাম হাউস এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে চিকিৎসা সেবাভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপক্ষীয় বুথে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় (নিউইয়র্ক সময়) ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ২৩-২৯ সেপ্টেম্বর অবস্থান করবেন।
এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (বিএ-২৯২) লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন এবং ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার নিউইয়র্ক যাবেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার নিউইয়র্ক যাবেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) নিউ ইয়র্কের জেকেএফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
১৭-২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে থাকাকালীন, প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনের উচ্চ-পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কের প্রথম দিনে যোগ দেবেন এবং ২২ সেপ্টেম্বরে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে তিনি ভাষণ দেবেন।
এ ছাড়াও ১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেওয়ার জন্য হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ইউএনজিএ অধিবেশনের পাশাপাশি তিনি রোহিঙ্গা এবং জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিস), সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও আর্থিকসহ বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ বিতর্কে তার ভাষণে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন অগ্রগতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক অগ্রগতি, স্বাস্থ্য খাতে সাফল্য এবং বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, রোহিঙ্গা সংকট এবং জলবায়ু ন্যায়বিচারের মতো বিষয় তুলে ধরবেন।
‘রিবিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড রিইগনিটিং গ্লোবাল সলিডারিটি: অ্যাস্লেরেটিং অ্যাকশন অন দ্য ২০৩০ অ্যাজেন্ডা অ্যান্ড ইটস সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস টুয়ার্ডস পিস, প্রোসপারিটি, প্রোগ্রেস অ্যান্ড দ্য সাসটেইনেবিলিটি ফর অল’-প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব নেতারা ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে জড়ো হবেন।
১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউএনআইডিও এবং ডেলয়েট আয়োজিত ‘থট ফর ফুড-কোলাবোরেটিং ফর ফুড সাপ্লাই চেইন ইনোভেশন টু অ্যাস্লেরেট দ্য এসডিজিস’-শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী একটি মূল বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
একই দিনে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে ‘এসডিজিস সামিট-লিডারস’ ডায়ালগ ৪’- (স্ট্রেন্দেনিং ইন্টিগ্রেটেড পলিসিস অ্যান্ড পাবলিক ইনস্টিটিউশনস ফর অ্যাচিভিং দ্য এসডিজিস) শীর্ষক আরেকটি সম্মেলনেও ভাষণ দেবেন তিনি।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ২০২৩ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিস) শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈশ্বিক শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ দূত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য অর্থায়নের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রাষ্ট্রদূত গর্ডন ব্রাউন এবং নিউ ইয়র্কের লেক্সিংটন ভেন্যুর গ্লোবাল বিজনেস কোয়ালিশনের এক্সিকিউটিভ চেয়ার সারাহ ব্রাউন আয়োজিত একটি উচ্চ-পর্যায়ের ব্যক্তিগত নৈশভোজে যোগ দিতে পারেন।
১৯ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘের সদর দপ্তর সিআর-১৬ তে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সভাপতি কর্তৃক ‘টুওয়ার্ডস এ ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার’- শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে ভাষণ দেবেন।
একই দিনে শেখ হাসিনা সিআর-১১, ইউএনএইচকিউ-এ বাংলাদেশ, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, ভুটান, চীন, মালয়েশিয়া, চ্যাথাম হাউস ও সূচনা ফাউন্ডেশনের সহ-আয়োজিত চিকিৎসা পরিষেবাভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিকের একটি উচ্চ-পর্যায়ের সাইড ইভেন্টেও যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: সবার জন্য সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন: জি২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে উন্নয়নের জন্য অর্থায়নের (এফএফডি) বিষয়ে ‘স্কেলিং আপ অ্যাফের্ডেবল অ্যান্ড আকসেসিবল ইন্টারন্যঅশনাল পাবলিক ফাইন্যান্সিং ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এনশিওরিং ইফিসিয়েন্সি’- শিরোনামে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বিতর্কে প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ দেবেন।
একই দিনে তিনি মহাসচিবের ক্লাইমেট অ্যামবিশন সামিট; মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক; নারী নেতাদের ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্মের বার্ষিক সভা; ক্লাইমেট অ্যামবিশন সংক্রান্ত উচ্চ-পর্যায়ের একটি বিষয়ভিত্তিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। পাশাপাশি তিনি ন্যাশনাল জুরিসডিকশনের বাইরের এলাকার সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য আইনের উপর জাতিসংঘের কনভেনশনে যোগ দেবেন।
২১ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগদানের পাশাপাশি ‘অ্যাড্রেসিং দ্য এক্সিসটেনশিয়াল থ্রেটস পোসড বাই সি লেভেল রাইজ’-শীর্ষক ব্রেকফাস্ট সামিটে এবং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভায় যোগ দেবেন।
সফরকালে জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার, জাতিসংঘ মহাসচিবের জেনোসাইড উপদেষ্টা, নবনির্বাচিত ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) মহাপরিচালক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার পরিচালক -প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইউএনএইচকিউতে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
অনুষ্ঠানে যোগদানের পর তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। যেখানে তিনি ২৩-২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবেন।
তারপর, তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (বিএ-২৯২) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ৪ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১২টায় (স্থানীয় সময়) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জলবায়ু ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের ক্ষেত্রে দায়ী রাষ্ট্রগুলোর আইনগত বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামত প্রদানের জন্য বুধবার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অনুরোধ করে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
বাংলাদেশসহ ১৭-সদস্য বিশিষ্ট কোর গ্রুপ দ্বারা উত্থাপিত এই প্রস্তাবটি জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং ন্যায্যতার পক্ষে সমর্থনকারী দেশগুলোর জন্য একটি যুগান্তকারী অর্জন।
কোর গ্রুপের পক্ষে রেজ্যুলেশনটি সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করে ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করার নিমিত্ব এই রেজ্যুলেশনে মানবাধিকার আইনসহ বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সকল আইন, স্বীকৃত নীতিমালার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দায়ী দেশগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতার ওপর পরামর্শমূলক মতামত প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অনুরোধ করা হয়।
কার্বন নিঃসরণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনি পরিণতি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়ার জন্যও এই রেজ্যুলেশনে অনুরোধ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার ওপর প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী
সাধারণ পরিষদে রেজ্যুলেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণের জন্য আয়োজিত উচ্চ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব প্রদান করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ধ্বংসাত্মক ও অপরিবর্তনীয় হুমকির বিষয়ে স্পষ্ট সতর্কতা সত্ত্বেও মানবতার বেঁচে থাকার জন্য যে মাত্রায় বৈশ্বিক উদ্যোগ প্রয়োজন, তার ধারে কাছেও নেই বিশ্ব সম্প্রদায়। এই রেজ্যুলেশন এবং এর ফলে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত কর্তৃক পরামর্শমূলক মতামত ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দায়ী দেশগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতা, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অধিকার এবং জলবায়ু পরিবর্তন থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করার জন্য মানব সভ্যতাকে আরও সম্যক ধারণা দিয়ে তাদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
আদালতের পরামর্শমূলক মতামতের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব তার বক্তব্যে বলেন যে এই ধরনের পরামর্শমূলক মতামত জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় আরও সাহসী এবং শক্তিশালী ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবে। রেজ্যুলেশনটি সদস্য দেশগুলোর পাশাপাশি জলবায়ু কর্মী এবং যুব সমাজসহ আন্তর্জাতিক সুশীল সংস্থাগুলোর কাছ থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছে।
ভানুয়াতুর আহ্বানে প্রতিষ্ঠিত কোর গ্রুপটি রেজ্যুলেশনের খসড়া প্রণয়ন থেকে প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে গ্রহণ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। খসড়া রেজ্যুলেশনের ওপর তারা জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রের অংশ গ্রহণে উন্মুক্ত এবং স্বচ্ছ পদ্ধতিতে একাধিকবার অনানুষ্ঠানিক সভা করেছে। বাংলাদেশ, কোর গ্রুপের সদস্য হিসেবে, খসড়া প্রণয়ন ও নেগোশিয়েশন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি আউটরিচ প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত ছিল।
‘এটি জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য একটি কালজয়ী মুহূর্ত। আমরা পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অসীম আগ্রহ ও সম্পৃক্ততার জন্য কৃতজ্ঞ, যা জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তাদের গভীর অঙ্গীকারের সাক্ষ্য দেয়।’ - বলেছেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহিত, যিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের কাছ থেকে সমর্থন অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।
রেজ্যুলেশন গৃহীত হওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র সচিব ভানুয়াতু কর্তৃক আয়োজিত এক সংবর্ধনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি: বিশ্বকে 'ট্র্যাকে ফিরে' পেতে ইইউকে সহায়তা করার আহ্বান জানাল জাতিসংঘ প্রধান
১ বছর আগে
রাশিয়ার নিকট যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দাবির জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ
রাশিয়াকে ইউক্রেনের যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। রাষ্ট্রদূতরা সংঘাত বন্ধে নিবেদিত। এজন্য তারা তাদের জরুরি বিশেষ অধিবেশন পুনরায় শুরু করতে মিলিত হয়েছিল।
প্রায় ৫০টি দেশ ধ্বংস, ক্ষয়ক্ষতি এবং আঘাতের জন্য ক্ষতিপূরণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া গঠনের পাশাপাশি প্রমাণ এবং দাবি নথিভুক্ত করতে একটি রেজ্যুলেশন তৈরিতে সহ-পৃষ্ঠপোষকতা করেছে।
আরও পড়ুন: পৃথিবী অপরিবর্তনীয় জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
সাধারণ পরিষদ হল জাতিসংঘের সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা, যেটি ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত।
৯৪টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে, ১৪টি বিপক্ষে ভোট দেয় এবং বাংলাদেশসহ ৭৩টি দেশ বিরত থাকে।
ভোট সকালে অনুষ্ঠিত হয়, এবং দেশগুলো তাদের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করতে বিকেলে ফিরে আসে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাস এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, জাতিসংঘের অর্ধেকের বেশি সদস্য পশ্চিমাদের দ্বারা প্রচারিত খসড়া প্রস্তাবকে সমর্থন করেননি।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্ব দেয় জাতিসংঘ’
বাংলাদেশকে ধন্যবাদও জানায় দূতাবাস।
ভোটের আগে বক্তৃতায়, রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া খসড়া রেজ্যুলিউশনটিকে একটি সংকীর্ণ গোষ্ঠীর রাষ্ট্রের ‘একটি ক্লাসিক উদাহরণ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। যা আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে নয়, বরং অবৈধ কিছুকে পবিত্র করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেছিলেন যে রেজল্যুশনের সমর্থনকারী দেশগুলো সাধারণ পরিষদকে একটি বিচারিক সংস্থা হিসাবে স্থাপন করার চেষ্টা করছে, যা জাতিসংঘের তথ্যানুসারে আসলে যা নয় এটি।
রাশিয়ান ভাষায় তিনি বলেন, ‘এই দেশগুলো আইনের শাসনের প্রতি কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা নিয়ে গর্ব করে, কিন্তু একই সঙ্গে তারা এর খুব উপমাকে লঙ্ঘন করছে।’
আরও পড়ুন: অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার: নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর্যবেক্ষণ চায় জাতিসংঘ
২ বছর আগে