পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
মায়ার বড় ছেলে সাজেদুলের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরীর (দীপু) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) এক শোক বার্তায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, সাজেদুল হোসেন চৌধুরী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।
আরও পড়ুন: মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে সাজেদুলের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ
আওয়ামী লীগ নেতা মায়ার বড় ছেলে দীপু মারা গেছেন
১১ মাস আগে
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘কে আয়োজন করছে’ তা ব্যাপার না, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি সংবিধান ও সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
সোমবার (১৩ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু'র পক্ষ থেকে প্রধান তিন রাজনৈতিক দলকে পাঠানো চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষের মুখপাত্ররা এ বিষয়ে জানতে পারবেন।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং শিগগিরই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিরোধী দল বিএনপির দাবি ‘সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও অবৈধ।’
বাংলাদেশের স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতার নামে পাঠাগার স্থাপন অনেক আত্মতৃপ্তির: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
শৈশবেই শেখ রাসেল ছিলেন মানবিক: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হুমকি দেওয়ায় আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
একজন বিদেশি কূটনীতিককে প্রকাশ্যে ভাষণে হুমকি দেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কূটনৈতিক বিষয়ে সব নিয়ম ও দায়িত্বকে সম্মান করে এবং অপর পক্ষের কাছ থেকেও অনুরূপ ব্যবহার আশা করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তারা আশা করে স্বাগতিক দেশের সরকার তাদের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের) কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য সব ধরনের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলকে স্থানীয় এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরীর মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক সুযোগ-সুবিধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি এই ধরনের হিংসাত্মক বক্তব্য খুবই অসৌজন্যমূলক।’
প্যাটেল ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে দেশগুলোর বাধ্যবাধকতা এবং এর অধীনে থাকা কূটনৈতিক কনভেনশনের কথাও উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনই আমাদের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, যদিও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণত ইউনিয়ন পর্যায়ের যেকোনো নেতাকে যেকোনো অন্যায়ের জন্য সতর্ক করে, তবে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ মুজিবুল হককে কারণ দর্শাতে বলবে এবং সতর্ক করবে।
তিনি তার এক্সে অ্যাকাউন্টে (পূর্বে টুইটার) লিখেছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই বাংলাদেশ সরকার ভিয়েনা কনভেনশন এবং কূটনৈতিক কনভেনশনের অধীনে থাকা বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কূটনীতিক ও তাদের কর্মী এবং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বজায় রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল তার জনসাধারণের বক্তৃতায় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ‘মারধর’ করার হুমকি দেন।
আরাফাত বলেন, ‘ইউনিয়ন হলো দলের সর্বনিম্ন পর্যায় এবং সেই পর্যায়ের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এমন অনেক কথা বলে যা আমরা খুব একটা গুরুত্ব দেই না। আওয়ামী লীগ কোনো রেজিমেন্টেড দল নয়, তাই তৃণমূল নেতারা বাকস্বাধীনতা ভোগ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এই বিশেষ ক্ষেত্রে, আমি আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতার করা ঘৃণ্য বক্তব্যের নিন্দা জানাই। আমি তৃণমূলের সব নেতার আওয়ামী লীগ নেতাদের সতর্কতা অবলম্বন করার এবং কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
শৈশবেই শেখ রাসেল ছিলেন মানবিক: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, শৈশবেই শেখ রাসেলের মাঝে পরিমিতিবোধ, মানবতাবোধ, গুরুজনদের প্রতি সম্মানবোধ, পশু-পাখির প্রতি গভীর ভালোবাসার বিকাশ ঘটেছিল।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ পালন উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতার নামে পাঠাগার স্থাপন অনেক আত্মতৃপ্তির: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, জন্মের পর থেকেই দীর্ঘ সময় পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়েছে শিশু শেখ রাসেলকে। ‘রাজনৈতিক বন্দি’ বাবার সঙ্গে দেখা হতো কালেভদ্রে-কেন্দ্রীয় কারাগারে অথবা সেনানিবাসে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং ভিশন ২০৪১, স্মার্ট বাংলাদেশ, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে অবদান রেখে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ প্রশস্ত করতে পারতেন।
তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশর ভবিষ্যতের নেতৃত্বকে ধ্বংস করার জন্য শিশু রাসেলকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যা করে নতুন বাংলাদেশকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
১ বছর আগে
ইইউ’র পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর ওপর নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে না: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাক বা না পাঠাক নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এটাকে অতি সরলীকরণ করে কোনো উপসংহারে আসার সুযোগ নেই।
শাহরিয়ার বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের খুব গভীর সম্পর্ক রয়েছে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইইউ'র পক্ষ থেকে কোনো চিঠি পায়নি।
আরও পড়ুন: ‘বাজেট স্বল্পতা’র কারণে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ: ইসি সচিব
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের কাছ থেকে যে তথ্য পেয়েছে সে বিষয়ে মন্তব্য করবে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, এটি পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইইউর একটি শর্ত ছিল বলে আমরা আগে থেকে জানি।
এর আগে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাজেট স্বল্পতার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে পাঠাবে না।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটি ইমেল পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ইইউ জানিয়েছে, তারা ইসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। তারা আমাদের দেশে এসে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছে। নির্বাচনের সময় তাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে তারা একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। কিন্তু দেশে এখন একটি ছোট দল রয়েছে। আমাদের দেশে ইইউ’র যারা আছে তারা এটি করবে কি না সে সম্পর্কে কিছু বলেনি।’
আলম আরও বলেন, ইইউ নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। তারা সিইসির সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক
বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচন অনুসন্ধান মিশনের (এক্সএম) সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের ফলোআপ হিসেবে একটি চিঠি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
চলতি বছরের জুলাই মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মিশন নির্বাচন কমিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে।
ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল।
ঢাকায় ইইউ মিশনের মতে, নির্বাচন অনুসন্ধান মিশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের ‘পরামর্শ, উপযোগিতা ও সম্ভাব্যতা’ মূল্যায়ন করা।
এই মিশনের কাজ ছিল প্রধান নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের পরিধি, পরিকল্পনা, বরাদ্দ, রসদ ও নিরাপত্তা মূল্যায়ন করা।
ইইউ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে অবস্থানকালে সরকারি প্রতিনিধি, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক পুনর্বহাল
১ বছর আগে
বঙ্গমাতার নামে পাঠাগার স্থাপন অনেক আত্মতৃপ্তির: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের খুব বেশি পুঁথিগত বিদ্যা ছিলনা, কিন্তু তিনি ছিলেন অসীম জ্ঞানের অধিকারী। তার নামে পাঠাগার স্থাপন আমাদের জন্য অনেক আত্মতৃপ্তির ব্যাপার।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পাঠাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার সংক্ষিপ্ত জীবনের প্রায় ১৩ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি যখন কারাগারে বন্দি থাকতেন, তখন বঙ্গমাতা তার অনুভূতিগুলো লিখে রাখার জন্য তাকে কাগজ-কলম দিয়ে আসতেন। বঙ্গবন্ধুর লেখা সেই অনুভূতিগুলো তিনটি বই আকারে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।
এই মহিয়সী নারীর বুদ্ধিমত্তার কারণে-ই এসব বই পড়ে বতর্মান প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর চিন্তাচেতনা এবং জাতির সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বঙ্গমাতা পাঠাগার শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয় মন্তব্য করে শাহরিয়ার আলম বলেন, সব বয়সী মানুষের জন্য এই পাঠাগারটি উন্মুক্ত। সবাই এখানে এসে বই পড়তে পারবে।
এই পাঠাগারটি বুদ্ধিবৃত্তিক আড্ডার স্থল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এলাকার মানুষকে পাঠাগারে আসার জন্য আকৃষ্ট করতে শিক্ষকদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ১০ জন মানুষকেও যদি আকৃষ্ট করতে পারেন তাহলে এই পাঠাগার স্থাপন সার্থক হবে। যদিও স্বপ্ন আরও অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত
নিরক্ষরদের অক্ষরজ্ঞান দেওয়া ছাড়াও এই পাঠাগার নিয়ে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে বলে এ সময় তিনি জানান।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছোটবেলার বই পড়ার অভ্যাস বড় হলে সফলতার অন্যতম উপাদান হিসেবে কাজ করে।
শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য পাঠাগারে কবিতা পাঠ ও গল্প পাঠের আসর আয়োজনেরও পরামর্শ দেন তিনি।
১৩৫টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু করা পাঠাগারটিতে পর্যায়ক্রমে আরও বই দেয়া হবে জানিয়ে তিনি পাঠাগারটিকে বই দিয়ে আরও সমৃদ্ধ করতে এলাকার মানুষকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম মুকুট, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ এফ এম হাসান।
অন্যান্যের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করা ১০জন কৃতি শিক্ষার্থীর হাতে বঙ্গবন্ধুর লেখা কারাগারের রোজনামচা ও অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই দুটি উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বাঘা উপজেলায় মোট ৯টি পাঠাগার স্থাপন করার কথা রয়েছে। এ নিয়ে ৬টি পাঠাগারের উদ্বোধন করা হলো। বাকি তিনটির কাজ চলমান রয়েছে, খুব শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানা যায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সিউলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত
১ বছর আগে
মানবাধিকার নিয়ে অত্যন্ত সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে হস্তান্তর করা: শাহরিয়ার
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টকে স্বাধীন বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তিনি বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে হস্তান্তর করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) শাহরিয়ার আলম ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশের ৬৩ জেলায় জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ১৮তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার অন্যতম প্রধান অপরাধী রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কেন, কার নির্দেশে এবং কী উদ্দেশ্যে তারা (মার্কিন) তাকে ফেরত দিচ্ছে না তা আমরা জানি না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত সোচ্চার এবং বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে। কিন্তু জাতির পিতার হত্যাকারীকে যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশিদের কষ্ট দেয় এবং হতাশ করে।
বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনি যারা এখনও পলাতক রয়েছেন তারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহউদ্দিন খান।
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
এদের মধ্যে নূর চৌধুরী ও রাশেদ চৌধুরীর সন্ধান পাওয়া গেছে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে, অন্যায়ের অবসান ও আইনের শাসন পুনরুদ্ধার করতে হলে বিচারের রায় বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আমি আশা করি তারা অবশ্যই রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেবেন।
এর আগে বিভিন্ন অজুহাতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাংলাদেশে হস্তান্তর না করে তাদের আশ্রয় দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সমালোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দণ্ডিত খুনিদের ফেরত না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা ওইসব দেশের জন্য লজ্জার, যদিও এটা আমাদের জন্যও দুর্ভাগ্যজনক।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থার পরিচালিত সাম্প্রতিক জরিপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ব্যাপক সমর্থন দেখা গেছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, হুমকি দেয় এমন কোনো সন্ত্রাসী দলকে তাতে স্থান দেওয়া হয়নি।
তিনি নিরাপত্তা জোরদারে সরকারি প্রচেষ্টা এবং রাজশাহী ও দেশের অন্যান্য অংশ থেকে কীভাবে জঙ্গিদের উৎখাত করা হয়েছিল তা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার দায় সরকার নেবে না: শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
‘মানবাধিকার প্রচার করতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ, ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের বর্বরতা সম্পর্কে জানতে হবে’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা’র ইতিহাস তালিকাভুক্ত করেছেন।
তিনি ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সম্পূর্ণ সম্মতিতে’ যে নৃশংস হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছিল সেগুলো তুলে ধরেন। যিনি (জিয়াউর রহমান) পরে খুনিদের বিদেশে বিভিন্ন মিশনে নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন।
রবিবার (১৩ আগস্ট) এক টুইটে শাহরিয়ার আলম লিখেছেন, ‘১৫ আগস্ট ১৯৭৫: জাতির জনক (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সম্পূর্ণ সম্মতিতে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। পরে তিনি তাদের (খুনিদের) বিদেশে বিভিন্ন মিশনে রেখে তাদের পুরস্কৃত করেন।’
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী, রাজাকার, আলবদর, আল-শামস এবং তাদের সহযোগীরা ৯ মাসে ৩ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করেছে, ২ লাখেরও বেশি নারীর সম্ভ্রমহানি করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে এসে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজকের ‘বিএনপি-জামায়াতে’ সেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগীরা রয়েছে।’’
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা সারাদিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করেনা: শাহরিয়ার
শাহরিয়ার আলম ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট যে বর্বরতা সংঘটিত হয়েছিল তার কথাও উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছেলের নেতৃত্বে রাষ্ট্রযন্ত্র ২৪ জনকে হত্যা করেছিল এবং ৫০০ জনের বেশি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে আহত করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু হতে চায় এবং মানবাধিকারের প্রচার করতে চায়; তবে তাকে এই ঘটনা এবং এগুলোর প্রভাব সম্পর্কে আরও জানতে হবে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার টুইটে আরও লিখেছেন, ‘এসব শহীদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে সাহায্য করার জন্য ন্যায়বিচার করতে দিতে হবে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম লিখেছেন, ‘বলা বাহুল্য, এই ভয়াবহ ঘটনাগুলো কিছু রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যৎ এবং অন্যদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নির্ধারণ করেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
১ বছর আগে
শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা সারাদিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করেনা: শাহরিয়ার
সম্প্রতি ‘কূটনৈতিক নিয়ম লঙ্ঘন করে’ একটি যৌথ বিবৃতি জারি করায় ‘অকূটনৈতিক আচরণের’ জন্য ঢাকায় ১৩ রাষ্ট্রদূতের কাছে হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে বুধবার (২৬ জুলাই) বিকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জনাব আশরাফুল আলমকে কেন্দ্র করে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে কূটনৈতিক রীতিনীতি ভঙ্গ করে ঢাকাস্থ যেসকল দূতাবাস গণমাধ্যমে একটি যৌথবিবৃতি দিয়েছিলেন, আজ দুপুরে সেসব রাষ্ট্রদূতকে আমরা ডেকেছিলাম। তাদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণে আমরা আমাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছি। ওনাদের যৌথ বিবৃতিটি ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে যথাসময়ের অনেক আগেই তড়িঘড়ি করে অপরিণতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি আমাদের আজকের আলোচনার পর তারা সেটি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করবেন এবং ভবিষ্যতে এমন অকূটনৈতিক আচরণ থেকে বিরত থাকবেন। ঘটনা সম্পর্কে জানার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন কমিশন এবং সরকার ত্বরিত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে।’
তিনি বলেন, এসময় কূটনীতিকদের ভিয়েনা কনভেনশনের কথা মনে করিয়ে গঠনমূলক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
শাহরিয়ার আলম বলেন, কূটনীতিকদের সতর্ক করা হয়েছে যে সরকারকে পাশ কাটিয়ে ‘বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা ও পক্ষপাতহীনতা বর্জিত আচরণ’ কেবলই পারস্পরিক আস্থার সংকট তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
তিনি বলেন, কিছু মৌলিক ত্রুটি ছিল যা বাংলাদেশ নির্দেশ করেছে এবং এ ধরনের পুনরাবৃত্তি না করার আহ্বান জানিয়েছে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে একজন প্রার্থী লাঞ্ছিত হওয়ার পর সম্প্রতি যৌথ বিবৃতি জারি করা ১৩টি বিদেশি মিশনের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারদের তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে হিরো আলম নামে পরিচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলার পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে বিদেশি মিশনগুলো বলেছে, ‘আমরা ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
ঢাকার কূটনৈতিক মিশনগুলো বলেছে, ‘আসন্ন নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেরই নিশ্চিত করা উচিত যে তা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে।’
যৌথ বিবৃতিতে কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের দূতাবাস/হাইকমিশন স্বাক্ষর করেছেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, তারা কূটনীতিকদের জানিয়ে দিয়েছেন যে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে সারাদিনের শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনকে মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, অন্য প্রার্থীরা কোনো সহিংসতা বা অন্য কোনো অনিয়মের অভিযোগ করেননি।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি কেন্দ্রের শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাটিকে গুটি কয়েক কূটনীতিক যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা কখনোই সারাদিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করেনা। দ্রুত একটি প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তারা তাদের মূল্যায়নটির বস্তুনিষ্ঠতার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেন নি।’
আরও পড়ুন: পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
ঘটনাটি জানাজানি হলে নির্বাচন কমিশন ও সরকার তাৎক্ষণিক ও আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘১৯শে জুলাই তারিখে কূটনীতিকবৃন্দের বিবৃতি দেওয়ার অনেক আগেই কিন্তু দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও এই কূটনীতিকরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন, যা অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয়।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, যে দ্রুততা ও গুরুত্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ঘটনাটির সমালোচনা তারা করেছেন, সেই গুরুত্ব ও দ্রুততার সঙ্গে কিন্তু তারা সরকারের গৃহীত তাৎক্ষণিক ও ত্বরিত আইনানুগ ব্যবস্থাকে তারা মূল্যায়ন করেননি।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাই যৌথ বিবৃতিটির বস্তুনিষ্ঠতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবনার অবকাশ থেকেই যায়।’
আরও পড়ুন: বিদেশি মিশনের সঙ্গে নথি শেয়ারের কারণ জানালেন শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
‘বিএনপি ও তাদের পেইড এজেন্টরা শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালনে আমাদের সেনাবাহিনীর যোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করছে’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালনে আমাদের সেনাবাহিনীর যোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করছে বিএনপি ও বিদেশে তাদের ‘পেইড এজেন্টরা’। এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর জন্য কী ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করছে তারা?
তিনি বলেন, সারাবিশ্বের কাছ থেকে সাধুবাদ পাওয়া বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ ও অবদনকে ক্ষুন্ন করতে চেষ্টা করছে শত্রুরা।
শান্তিরক্ষী কাযক্রম নিযে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপি এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে এমন স্তরে নিয়ে গেছে যা এখন রাষ্টদ্রোহিতা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। এছাড়া এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
এর আগে রবিবার সকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, যারা দেশ ও দেশের বাইরে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের জাতিসংঘে যাবতীয় অর্জনে কালিমালিপ্ত করবে তারা দেশের শত্রু।
কূটনীতিক প্রতিবেদকদের তিনি বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক। তারা আমাদের গর্ব। আমাদের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বে দৃষ্টান্ত। যারা আমাদের অবদানকে কালিমালিপ্ত করতে চেষ্টা করবে তারা আমাদের বন্ধু নয়, শত্রু।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত কোনো বাহিনী তাদের সঙ্গে যুক্ত নয়: জাতিসংঘ
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের প্রধান জ্যাঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্সের বাংলাদেশ সফরের আগে একটি চিঠি সামনে আসা এবং দুটি মানবাধিকার সংস্থার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শাহরিয়ার আলম এসব মন্তব্য করেন।
শান্তিরক্ষী প্রধান ল্যাক্রোইক্স জানান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেইনিং (বিআইপিএসওটি) ১০ হাজার নারী-পুরুষ সেনাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এই ব্যাপার নিয়ে তিনি অভিভূত।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বে শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রথম পোশাকধারী সেনা মোতায়েন করে। এই মিশন ওই সময় ইরাক ও ইরানের মধ্যকার সংঘাত নিরসনে কাজ করছিল।
শাহরিয়ার আলম বলেন, এখন পর্যন্ত শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ১৬৭ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: শেষ হলো ঢাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক সভা
‘বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘ বিশেষ বিবেচনা করবে’
১ বছর আগে