পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালনে আমাদের সেনাবাহিনীর যোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করছে বিএনপি ও বিদেশে তাদের ‘পেইড এজেন্টরা’। এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর জন্য কী ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করছে তারা?
তিনি বলেন, সারাবিশ্বের কাছ থেকে সাধুবাদ পাওয়া বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ ও অবদনকে ক্ষুন্ন করতে চেষ্টা করছে শত্রুরা।
শান্তিরক্ষী কাযক্রম নিযে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপি এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে এমন স্তরে নিয়ে গেছে যা এখন রাষ্টদ্রোহিতা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। এছাড়া এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
এর আগে রবিবার সকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, যারা দেশ ও দেশের বাইরে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের জাতিসংঘে যাবতীয় অর্জনে কালিমালিপ্ত করবে তারা দেশের শত্রু।
কূটনীতিক প্রতিবেদকদের তিনি বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক। তারা আমাদের গর্ব। আমাদের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বে দৃষ্টান্ত। যারা আমাদের অবদানকে কালিমালিপ্ত করতে চেষ্টা করবে তারা আমাদের বন্ধু নয়, শত্রু।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত কোনো বাহিনী তাদের সঙ্গে যুক্ত নয়: জাতিসংঘ
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের প্রধান জ্যাঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্সের বাংলাদেশ সফরের আগে একটি চিঠি সামনে আসা এবং দুটি মানবাধিকার সংস্থার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শাহরিয়ার আলম এসব মন্তব্য করেন।
শান্তিরক্ষী প্রধান ল্যাক্রোইক্স জানান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেইনিং (বিআইপিএসওটি) ১০ হাজার নারী-পুরুষ সেনাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এই ব্যাপার নিয়ে তিনি অভিভূত।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বে শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রথম পোশাকধারী সেনা মোতায়েন করে। এই মিশন ওই সময় ইরাক ও ইরানের মধ্যকার সংঘাত নিরসনে কাজ করছিল।
শাহরিয়ার আলম বলেন, এখন পর্যন্ত শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ১৬৭ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: শেষ হলো ঢাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক সভা
‘বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘ বিশেষ বিবেচনা করবে’