বিএবি
অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের বিত্তশালী অংশকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন, কারণ তার সরকার দেশের সব গৃহহীন মানুষের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। এটি আমাদের লক্ষ্য।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ন্যায্য ও গ্রহণযোগ্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য সম্মিলিত কাজ করুন: গ্লোবাল সাউথ সামিটে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, বৈঠকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে ৩৬টি ব্যাংক মোট ১১৩ দশমিক ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অধিকাংশ গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে ইতোমধ্যেই ঘর দেয়া হয়েছে এবং বাকিরাও আবাস পাবে।
তিনি আরও বলেন, যারা আশ্রয়ণ বাড়ি পেয়েছেন তাদের হাসি ও তৃপ্তির চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না।
তিনি বলেন, দুই দশমিক জমিতে আশ্রয়ণ বাড়ি পাওয়া অনেকেই সেখানে সবজি চাষ, মুরগি পালন, কুটির শিল্প ও দোকান খুলছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (স্বাভাবিক) জীবিকা নির্বাহের পথ খুঁজে পাচ্ছে।’
ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে সচ্ছল অংশকে এগিয়ে আসতে বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, শুধু সরকার নয়, আমরা সবাই মিলে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনুদান প্রদানের জন্য বিএবি ও ব্যাংকারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমার আপনাদেরকে (সহায়তা দেয়ার জন্য) বলারও দরকার নেই। আপনারা সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসেন এবং যেকোনো দুর্যোগ ও সংকটের সময় সাহায্য করেন।
বেসরকারি খাতে ব্যাংক খোলার জন্য তার সরকারের উদ্যোগের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ফলে তিন লাখ গ্র্যাজুয়েটের কর্মসংস্থান হয়েছে। ‘এটি একটি বড় বিষয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সব দুর্যোগ কাটিয়ে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতো আমরা বড় সমস্যায় নেই। আমরা এটা কাটিয়ে উঠছি।’
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সব সময় জাতির কাছে দেয়া নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করে: প্রধানমন্ত্রী
‘আইডিএফ গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ফর ডায়াবেটিস’ পদক পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
ব্যাংকে তারল্য সংকট নেই, বলছে বিএবি
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এক বিবৃতিতে বলেছে, বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট নেই।
সোমবার দেয়া ওেই বিবৃতিতে বিএবি আরও বলেছে যে ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চলছে। কিন্তু এটা সত্য না; এতে আরও বলা হয়, ব্যাংকগুলোতে তারল্য স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও পড়ুন: হালাল অ্যাক্রেডিটেশন স্কিম চালু করবে বিএবি
বিএবি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে এক দশমিক ৭০ লাখ কোটি টাকার তারল্য অবশিষ্ট রয়েছে।যা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। বৈঠকে ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর বিএবি এ বিবৃতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২৬ লাখ কম্বল দিল বিএবি
১ বছর আগে
বাঙালি জাতির মাথা উঁচু করে চলার স্লোগান ‘জয় বাংলা’: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, দেশের সকল অর্জনের মূলে থাকা ‘জয় বাংলা’কে সরকার জাতীয় স্লোগান ঘোষণার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বকে এই বার্তাই পৌঁছে দিতে চেয়েছে যে, বাঙালি মাথা নিচু করে নয় বরং মাথা উঁচু করেই চলবে।
তিনি বলেন, ‘মাথা নত করে আমরা চলি না, চলব না। বিজয়ীর বেশে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে প্রতিটি বাঙালি যে যেখানে থাকে, সে মাথা উঁচু করে চলবে। বাঙালি জাতির মাথা উঁচু করে চলার স্লোগান এই ‘জয় বাংলা’।’
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দীপক স্লোগান ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) আয়োজিত ‘জয় বাংলা উৎসব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বনানীস্থ হোটেল শেরাটনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
পড়ুন: এবারও হচ্ছে না জয় বাংলা কনসার্ট, থাকছে ভিন্ন আয়োজন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জয় বাংলা আমাদের মুক্তি সংগ্রামের স্লোগান। জয় বাংলা মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান। জয় বাংলা আত্মত্যাগের স্লোগান। যে স্লোগানের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ছয় দফা দিলেন, তখনই তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন জয় বাংলাকে মাঠে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা তখন ছাত্রলীগের কর্মী। আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ নির্দেশনার অন্তর্নীহিত কারণ ছিল সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানুষের ভেতর স্বাধীনতার চেতনাকে জাগ্রত করা। উদ্বুদ্ধ করা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ স্লোগানের মাধ্যমেই আমাদের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয় অর্জন। প্রতিটি পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন সুপরিকল্পিতভাবে। যে কারণেই আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি, মর্যাদা পেয়েছি। ‘জয় বাংলা’র মধ্য দিয়ে এটাই আমরা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছাতে চাই, আমরা বিজয়ী জাতি, আমরা বিজয় অর্জন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসকে দেশের প্রতিটি দুর্যোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার পাশাপাশি জয় বাংলা স্লোগান উদযাপনের এ উৎসবটি আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বক্তব্য দেন।
পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ হলো জাতীয় স্লোগান
২ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২৬ লাখ কম্বল দিল বিএবি
আসন্ন শীতে দরিদ্রদের সহায়তার উদ্দেশে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ২৫ লাখ ৯৫ হাজার কম্বল অনুদান দিয়েছে দেশের ৩৫টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।
৪ বছর আগে
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অল্প সুদে ঋণ দেয়ার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী
করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অল্প সুদে আরও ঋণ দেয়ার জন্য বেসরকারি ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বার জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে
শীতে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এমন আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন শীতকালে এ মহামারি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন।
৪ বছর আগে