বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রণোদনা প্যাকেজে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অল্প সুদে আর্থিক সহায়তার একটি পদক্ষেপ রয়েছে। তবে, এ ব্যাপারে আমি মনে করি, আমাদের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর আরেকটু আন্তরিক হওয়ার দরকার।’
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকের (বিএবি) ৩৫টি ব্যাংকের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে আসন্ন শীতকালে অসহায়দের সহায়তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ২৫ লাখ ৯৫ হাজার পিস কম্বল প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এ অনুদান গ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি এতে কিছুটা চাপ হবে, ব্যয় বাড়বে... আমরা সরকারিভাবে দিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আমাদের বেসরকারি ব্যাংকগুলোও যদি এগিয়ে আসে তাহলে শুরুতে হয়তো একটু সমস্যা হবে, তবে ব্যবসা-বাণিজ্য যদি শুরু হয়ে যায় বেসরকারি ব্যাংকগুলোও লাভবান হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আমাদের দেশে এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে আবারও করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।
‘আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। সরকার এ বিষয়েও বেশ কিছু প্রস্ততি নিয়ে রেখেছে। এ পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষিত করুন এবং অন্যকেও সুরক্ষিত রাখুন,’ বলেন তিনি।
প্রদানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিতে এবং জীবনযাত্রায় যাতে করোনার দ্বিতীয় ডেউয়ের কোনো প্রভাব না পড়ে পাশাপাশি অর্থনীতির চাকা চলতে থাকে যেজন্য সকলকে সচেতন হতে হবে।
এসময় সরকার প্রধান জানান, সরকার সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে এবং সেখানে বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
দেশে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সরকারের দেশের রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে বাড়ানোর লক্ষ্য কাজ করছে।’