এমসি কলেজ
সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রবাসের পাশ থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের পাশে নর্দমা থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় মিলেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম রনজিত দাস (৬৫)। তিনি ৪দিন আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুটি বস্তাবন্দি অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ।
আরও পড়ুন: সিলেটে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নিহত ব্যক্তি নগরীর আখালিয়া এলাকার দুসকির বাসিন্দা। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) নগরীর জালালাবাদ থানায় নিহতের ছেলে শংকর দাস একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নর্দমার ধারে কে বা কারা দু’টি বস্তা ফেলে যায়। পরে সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হলে সন্দেহবশত পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে পুলিশ দু’টি বস্তাভর্তি খণ্ড-বিখণ্ড লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নগরীর বাদাম বাগিচা এলাকার আব্দুল মালেককে আটক করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে আটক করলে তিনি নিজেই নিজের পেটে ছুরি মারেন। এখন তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।’
ময়নাতদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান আজবাহার আলী শেখ।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে জঙ্গল থেকে অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার
১০ মাস আগে
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণের মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৩০ দিনের মধ্যে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
পরে ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ূম জানান, সিলেটের এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে স্বরাষ্ট্র সচিবকে গেজেট জারি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গত ১ আগস্ট সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই অভিযোগের বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। বর্তমানে এই মামলার বিচারকাজ সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৬ আগস্ট সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলাটির বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করার নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট আজ রায় দেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদি হয়ে শাহ পরান থানায় মামলা করেন।
মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত বছরের ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী।
অভিযোগপত্রে নাম থাকা আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।
এছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেয়া হয়। পরে বাদি পক্ষ হাইকোর্টে এলে দু’টি অভিযোগ একসঙ্গে নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: খুলনার সদ্য সাবেক ডিসি ও ডুমুরিয়ার ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
৩ ব্যাংকের কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ ‘কেলেঙ্কারি’: জড়িতদের তালিকা চান হাইকোর্ট
১ বছর আগে
সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী আত্মহত্যার নেপথ্যে ‘ব্ল্যাকমেইল’
সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী স্মৃতি রানী দাসের আত্মহত্যার নেপথ্যে ছিলো ব্ল্যাকমেইল। ঘটনার দুইমাস ১২ দিনের মাথায় তার মৃত্যুর জন্য এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরের জালালাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শ্যামল দাস (২১) হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সুধাংশু দাসের ছেলে।
জানা যায়, এ ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে শ্যামল দাস। সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আাদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
সেই জবানবন্দির বরাত দিয়ে আদালত সূত্র ও পুলিশ জানায়, স্মৃতি রানী দাসের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার হ্যাক করে আপত্তিকর ছবি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে মানসিক চাপে ফেলে শ্যামল দাস। এভাবে তার কাছ থেকে টাকা আদায় করত।
তবে, এ ঘটনায় স্মৃতিরানী আত্মহত্যা করবেন তা ভাবতে পারেনি। স্মৃতির ছবি পাঠিয়ে সে বিভিন্ন সময় ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিং (বার্তা) পাঠাতো। সর্বশেষ তাকে বিকাশে ২৫০০ টাকা পাঠিয়েছিল স্মৃতি।
বিকাশের নম্বরের সূত্র ধরেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
শাহপরান (র.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুল হক জানান, স্মৃতির বাবাকে বাদী করে আমরা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা নিয়েছি। ওই মামলায় শ্যামল দাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে সে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি জানান, ম্যাসেঞ্জার হ্যাক করে স্মৃতি রানী দাসের ব্যক্তিগত ছবি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয় শ্যামল দাস। এরপর স্মৃতি রানীকে মানসিক চাপে ফেলে টাকা আদায় করত। আত্মসম্মানের ভয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে এমনটি ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, স্মৃতির মোবাইল ফোনের লক খুলতে পারলে আরও তথ্য জানা যাবে। সেটি সিআইডির মাধ্যমে এক্সপার্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আপাতত পাঁচ দিনের ক্ষুদে বার্তা আদান-প্রদানের তথ্য তদন্তকারী কর্মকর্তার সংগ্রহে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে দুপুরে এমসি কলেজ ছাত্রী হোস্টেলের চার তলার ৪০৩ নং কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে স্মৃতি রানীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি হোস্টেলের ৩য় তলার ৩০৭ নং কক্ষে থাকতেন। বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামে। তার বাবার নাম যুগল কিশোর দাস। তিনি এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাড়ি থেকে ৫ প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার, ২ জনের মৃত্যু
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
এমসি কলেজের আরেক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
একদিনের ব্যবধানে সিলেটের সরকারি মুরারী চাঁদ (এমসি কলেজ) হোস্টেল থেকে আরও এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের গোয়াবাড়ি এলাকার মোহনা আবাসিক এলাকার সি-ব্লকের ২২নং বাসার একটি কক্ষে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সৌরভ দাস রাহুল (২৪) এমসি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কেউরালা গ্রামের মন মোহন দাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: আইফোন নিয়ে দ্বন্দ্ব: সেপটিক ট্যাংক থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও সহপাঠীরা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টা পর্যন্ত সৌরভ তার কক্ষে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এরপর শিক্ষার্থীরা যে যার মতো ঘুমাতে যান। সকালে তাদের মধ্যে একজনের বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট পরীক্ষা ছিল। তাই ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলতে চাইলে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আরেকজন বাহির থেকে জানালা দিয়ে সৌরভের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে বাসার মালিককে খবর দিলে তিনি জালালাবাদ থানা পুলিশকে জানান।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খালেদ মামুন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠাই।
প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা এটি আত্মহত্যা, তবুও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: মেডিকেল হোস্টেলের বাথরুম থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার!
এর আগে গত ২৫ মে সকালে এমসি কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের একটি কক্ষ থেকে স্মৃতি রাণী দাস (২০) নামে এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ও কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামের যুগল কিশোর দাসের মেয়ে।
২ বছর আগে
এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিলেট সরকারি মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৫ মে) সকালে নগরের টিলাগড় এলাকার কলেজের নতুন ছাত্রী হোস্টেলের চার তলার একটি কক্ষ থেকে স্মৃতি রানি দাস নামের ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্মৃতি এমসি কলেজের ইংরেজি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে।
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সালেহ আহমদ জানান, সকালে অন্যান্য ছাত্রীরা স্মৃতির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রাবাস থেকে ইবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পুলিশ জানায়, স্মৃতি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে থাকতেন। চতুর্থ তলার একটি খালি কক্ষে তার মরদেহ পাওয়া যায়। গত রাতেই এ ঘটনা ঘটতে পারে।
নগরের শাহপরাণ (র.) থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
তিনি জানান, কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে মসজিদ থেকে ইমামের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ
সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ ও হোস্টেল সুপার জীবন কৃষ্ণ আচার্যক সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২ জুন) এ বিষয়ে জারি করা রুল আংশিক মঞ্জুর করে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কমরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এই বিভাগীয় কার্যক্রম শুরু করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে মঙ্গলবার (১ জুন) সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় জারি করা রুলের শুনানি করে রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন এক গৃহবধূ। এসময় ক্যাম্পাস থেকে কয়েকজন ছাত্র ওই গৃহবধূকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে ধর্ষণ: ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিচার একসাথে চলবে
ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী ঘটনার দিন ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয় ৬ জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন- এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। এরইমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এমসি কলেজে স্বামীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ব্যবস্থা চেয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ওই ঘটনার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর গত বছরের সেপ্টেম্বরে আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন।
শুনানি নিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা তা জানতে চাওয়া হয়।
একইসাথে ধর্ষণের ঘটনায় অনুসন্ধানে যৌথ কমিটি গঠন করেন হাইকোর্ট। চার সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিতে সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মমিনুন নেসা, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল কাশেম ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন সুলতানা ছিলেন।
কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ২০ অক্টোবর ওই কমিটি আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় হোস্টেল সুপার ও প্রহরীদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল। তাই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে এমসি কলেজের অধ্যক্ষও কোনোভাবেই ওই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না। গণধর্ষণের পেছনে মূলত হোস্টেলের বর্তমান তত্ত্বাবধায়কেরা, হোস্টেলের মূল গেটের ডে গার্ড, ৫ নম্বর ব্লকের ডে গার্ড ও নাইট গার্ড (নৈশপ্রহরী) এবং ৭ নম্বর ব্লকের ডে গার্ড ও নাইট গার্ডের দায়িত্বে অবহেলা ছিল।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে ধর্ষণ: ৮ আসামির বিচার শুরুর আদেশ
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: আবারও পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ
প্রতিবেদেনে আরও বলা হয়, ঘটনার সময় কলেজ বন্ধ থাকার পরও কয়েকজন ছাত্র ও প্রাক্তন ছাত্র হোস্টেলে অবস্থান করেন। একজন প্রাক্তন ছাত্র ৫ নম্বর ব্লকের হোস্টেল সুপারের বাসভবন দখল করে থাকেন। প্রাক্তন ওই ছাত্ররা অবৈধভাবে কলেজ হোস্টেলের সিট দখল করে থাকার কারণে এবং প্রাক্তন ছাত্র সাইফুর রহমান হোস্টেল সুপারের বাসভবন জোর করে দখল করে থাকার কারণেই তারা কলেজের হোস্টেল এলাকায় গণধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করার সাহস পান। ফলে ঘটনার তারিখে হোস্টেল ক্যাম্পাসে ওই ঘটনার নেপথ্যে মূলত হোস্টেল সুপারদের তদারকির ঘাটতি ও দায়িত্বে অবহেলাই দায়ী। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে কলেজের অধ্যক্ষের ওপরও এ দায়ভার চলে আসে।
প্রতিবেদনে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ১৫ দফা সুপারিশ করে বলা হয়েছে, কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে হোস্টেলে আসন নিশ্চিত করতে হবে এবং অছাত্র বা প্রাক্তন ছাত্রদের হোস্টেলে বসবাস কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরে গত ১১ মার্চ এ বিষয়প শুনানি শেষে আদালত বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। রুল আংশিক মঞ্জুর করে ওই নির্দেশসহ আজ বুধবার রায় দেয়া হলো।
৩ বছর আগে
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: আবারও পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
৩ বছর আগে
এমসি কলেজে গণধর্ষণ: অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৭ জানুয়ারি
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত।
৩ বছর আগে
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আসামি রনি ৩দিনের রিমান্ডে
সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি মাহবুবুর রহমান রনিকে আবারও তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তবে এবার আলাদা একটি (অস্ত্র) মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
৪ বছর আগে
এমসি কলেজে ধর্ষণ: ৪ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব সাময়িক বাতিল
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজে স্বামী আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় চার শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
৪ বছর আগে