জবানবন্দি
নীরব হত্যা: ৫ শিক্ষার্থীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল সনি-তে প্রচারিত ‘ক্রাইম পেট্রোল’ সিরিয়াল দেখে অপহরণ ও পরে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পাঁচ কিশোর খুলনার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
খুলনার ডুমুরিয়ার এসিজিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নীরব মন্ডল হত্যা এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৩০ লাখ টাকা দাবি করার কথাও প্রকাশ করে তারা।
কিশোর অপরাধীদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক রনক জাহান।
আদালতের সূত্র জানায়, শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পাঁচ কিশোর পর্যায়ক্রমে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের শনিবার সংশোধানাগারে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিশু: ভাইরাসের নীরব শিকার
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা দেড় মাস আগে ভারতের জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রোল দেখে অপহরণের বিষয়ে তামিল নেয়। এ সময় থেকে তারা নীরব মন্ডলকে টার্গেট করে। সুযোগ খুঁজতে থাকে কীভাবে নীরবকে অপহরণ করা যায়।
আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, তারা পাঁচ জনের একটি টিম গঠন করে। কিশোর আসামি হীরক সরস্বতী পূজার আগে ও পরে নীরবকে অপহরণের টার্গেট নেয়। কিন্তু প্রথম ধাপে সে সফল হতে পারেনি। এরপর দায়িত্ব নেয় পিয়াল, কিন্তু সেও ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নীরব মন্ডলকে ডেকে নেয় তারা।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের স্থানে অভিযুক্ত স্কুলছাত্র পিতু বাড়ি থেকে নাইলনের রশি, তালা ও চাবি নিয়ে অবস্থান করতে থাকে। অপেক্ষার পর স্কুলের পাশে ওই পরিত্যক্ত ভবনে নীরবকে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পিতু বা দ্বীপ গলায় রশি পরিয়ে দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে নীরবকে হত্যা করা হয়। মারা যাওয়ার আগে নীরবের সমস্ত শরীর নাড়া দিলে ভয় পেয়ে যায় আসামিরা। পিতু গলার রশি খুলে দেয় আর পিয়াল নীরবকে ধরে রাখে।
নীরবের মৃত্যুর পর তার বাবা শেখর মন্ডলকে ফোন দেয় পিতু। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে ছিল সোহেল। তারা নীরবের বাবার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর নীরবের বাবা ও তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহেল ফোনের কল বন্ধ করে রাখে। তারা ওই ভবনের পেছনের দরজা তালা দিয়ে রেখে চলে যায়।
তাদের ধারণা ছিল- শুক্র, শনি ও রবিবার (মাঘী পূর্ণিমা) স্কুল ছুটি। এই তিন দিনের মধ্যে তারা সকল আলামত নষ্ট করে ফেলবে যাতে স্কুলে এমন ঘটনা ঘটেছে, কেউ টের না পায়। কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। ঘটনার পর রাত ১১ টার দিকে তারা আবারও নীরবের বাবার ব্যবহৃত ফোনে কল করে মুক্তিপণ দাবি করে। আর ওই ফোন কলের সূত্র ধরেই পুলিশের জালে আটকা পড়ে অভিযুক্তরা।
পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে প্রথমে সোহেলকে আটক করে। পরবর্তীতে অপর অভিযুক্তদের একে একে গ্রেপ্তার করে। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে আদালতেও ঘটনার আদ্যপান্ত বর্ণনা দেয় তারা।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে তারা। পরবর্তীতে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়ার কথা তাদের জানালে তারা দিতে রাজি হয়। বিকাল ৪টার দিকে তাদের আদালতে নেয়া হয়। পরে ক্রমান্বয়ে তারা আদালতে জবানবন্দি দিতে থাকে।
উল্লেখ্য, অপহরণ করার পর গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করা সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নীরব মন্ডল খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া পূর্বপাড়া এলাকার পান-সুপারি ব্যবসায়ী শেখর মন্ডলের ছেলে। বৃহস্পতিবার তাকে দেড়টার দিকে অপহরণ ও বেলা ৩টার দিকে গুটুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে হত্যা করা হয়।
হত্যায় জড়িতরা হচ্ছে-গুটুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র সোহেল মোল্লা (১৫), হীরক রায়(১৫) ও পিতু মণ্ডল(১৪), দশম শ্রেণির ছাত্র পিয়াল রায় (১৫) ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র দ্বীপ মণ্ডল (১৩)।
এর মধ্যে পিয়ালের বাড়ি ডুমুরিয়ার ভান্ডারপাড়া তেলিগাতি এলাকায় এবং অন্য চারজনের বাড়ি গুটুদিয়া এলাকায়।
আরও পড়ুন: মুক্তিপণের জন্য ক্রাইম পেট্রোলের কায়দায় নীরবকে অপহরণের পর হত্যা
‘নীরব ঘাতক স্লিপ এপনিয়া’
১ বছর আগে
শ্লীলতাহানির মামলায় ৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন পরীমণি
শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।
মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে তিনি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেন।
জবানবন্দি শেষ না হওয়ায় আগামী বছরের ১১ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় পরীমণির সঙ্গে তার স্বামী রাজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।এসময় আসামি অমি ও শহিদুল হাজিরা দেন। তবে, অসুস্থ থাকায় নাসির উদ্দিন সময়ের জন্য আবেদন করেন।
২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু তুহিন সিদ্দিকী অমির নাম উল্লেখ করে অপর চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমণি ঢাকার সাভার থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে নাসির উদ্দিনের মামলায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম হচ্ছেন অপর দুই আসামি। এরপর গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির মাদক মামলা চলবে, আবেদন খারিজ
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা চলবে
২ বছর আগে
নিজেই আত্মগোপনে ছিলেন রহিমা বেগম, আদালতে ছেলের জবানবন্দি
খুলনার রহিমা বেগম আত্মগোপনে থেকে নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন দাবি করে জবানবন্দি দিয়েছেন তার ছেলে মোহাম্মদ মিরাজ আল শাদী।
খুলনা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, সোমবার রহিমা বেগমের ছেলে কার্যালয়ে এসে স্বেচ্ছায় একটি জবানবন্দি দিতে চাইলেন। তিনি বলেন, তার মা যাদেরকে জড়িয়েছেন বা জমিজমা সংক্রান্ত যে বিরোধ মায়ের আত্মগোপনের পেছনে তাদের কোনো হাত নেই। তারা নির্দোষ। আমরা তখন তাকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠিয়ে দেই। সংশ্লিষ্ট আদালতে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনার রহিমা খাতুনের খোঁজ ১৫ দিনেও মেলেনি
সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, মিরাজ আমাদের জানিয়েছেন যে তার মা এর আগেও একাধিকবার আত্মগোপন করেছিলেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে। আর এবার জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধীদেরকে ফাঁসানোর জন্য।
মিরাজ বলেন, মায়ের আত্মগোপনের সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি যখন মহেশ্বরপাশায় যেয়ে দেখি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা সবাই নিজ বাসায় আছেন। পরে তাদেরকে নিয়ে আমি আমার মাকে খুঁজি। এর মানে তিনি স্বেচ্ছায় গেছেন। তার জবানবন্দি আইনানুযায়ী আদালতে রেকর্ড হয়েছে।
পিবিআই পুলিশ সুপার বলেন, চলতি মাসে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কিছু প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছি। যার মধ্যে নিখোঁজের আধাঘণ্টা আগে রহিমা বেগমের বিকাশে টাকা এসেছিল। এই টাকা কোথা থেকে এসেছিল আর কেনই এসেছিল, এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মিরাজ বলেন, আমার সঙ্গে মায়ের কোনো যোগাযোগ নেই। পিবিআই প্রতিবেদন দেয়ার পরই তার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করার আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ মাকে ফিরে পেতে ৬ সন্তানের আকুতি
রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান বলেন, আমি ঢাকায় রয়েছি। ফের মা নিখোঁজের বিষয়ে কিছু জানি না। এ বিষয়ে আমার ভাই মিরাজ অথবা বোন আদুরীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজ বাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এরপর আর ঘরে ফেরেননি তিনি। স্বামী ও ভাড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে ঝোপঝাড়ে তার ব্যবহৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান। সেই রাতে মাকে খুঁজতে আত্মীয়-স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন সন্তানরা।
রহিমার ছয় সন্তান কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কখনো মাইকিং, কখনো আত্মীয়-স্বজনদের দ্বারস্থ হয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধনও করেছেন। পুলিশ জানায়, গত ২৭ আগস্ট নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ির সামনে থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন- এ অভিযোগ তুলে তার মেয়ে আদরী খাতুন বাদী হয়ে পরদিন দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৫৫ বছর বয়সী এক নারী নিখোঁজ
পরে ২৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুসের বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের একটি টিম দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে নিয়ে দৌলতপুর থানায় পৌঁছায়। পরদিন বেলা ১১টার দিকে পুলিশ রহিমা বেগমকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে। ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে রহিমা বেগমকে (৫২) তার ছোট মেয়ে আদরী খাতুনের জিম্মায় দেন আদালত। রাতে খুলনা মহানগরীর বয়রা এলাকায় আদরীর বাসায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে খুলনা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আল আমিনের কাছে জবানবন্দি দেন রহিমা বেগম।
২ বছর আগে
মিতু হত্যা: বাবুলের দুই সন্তানের জবানবন্দি নিতে নির্দেশ
সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তাদের দুই সন্তানের জবানবন্দি নিতে পিবিআই কর্মকর্তাদের চট্টগ্রাম থেকে মাগুরায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মাগুরা জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে শিশুদের জবানবন্দি গ্রহণ করতে পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, দায়রা জজ আদালত শিশু দুটিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে নিয়ে অর্থাৎ চট্টগ্রামে নিয়ে শিশু আইন অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেছেন। কিন্তু আমরা হাইকোর্টে বলেছি, শিশু আইন অনুযায়ী একজন সমাজসেবা কর্মকর্তা, শিশুদের অভিভাবক ও শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শিশুদের তাদের নিজ বাড়িতেই রেখে কথা বলতে হবে। আদালত শুনানি নিয়ে মাগুরায় গিয়ে পিবিআই কর্মকর্তাদের শিশু দুটির জবানবন্দি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। এরপর গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে আছেন তিনি। মামলা দুটির তদন্ত করছে পিবিআই।
পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতের নির্দেশে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ
স্ত্রী খুনের মামলায় বাবুল আক্তারকে কেন জামিন নয়: হাইকোর্ট
২ বছর আগে
পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পাসে হত্যা করা হয় রোহানকে
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে কলেজ ক্যাম্পাসে ছুরিকাঘাতে সৈয়দ আলিফ রোহানকে হত্যা করা হয়। এছাড়া এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি ছাড়াও আরও কয়েকজন কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছে।
শনিবার দুপুরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা জানিয়েছেন গ্রেপ্তার এজাহারভুক্ত আসামি দীপ্ত সাহা (২১)।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যার দায় স্বীকার করে আসামির জবানবন্দি
ফুলতলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ফুলতলা এম এম কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র সৈয়দ আলিফ রোহান হত্যায় গ্রেপ্তার হওয়া এজাহারভুক্ত আসামি দীপ্তকে শনিবার খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় নেয়া হয়। এ সময় দীপ্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাদের সঙ্গে নারীঘটিত বিষয়ে রোহানের আগের শত্রুতার কথা জানায়। সেই সূত্র ধরে পরিকল্পিতভাবে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে আট জন অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: ১৬৪ ধারায় আসামি ইলিয়াসের জবানবন্দি
তিনি জানান, দীপ্তের জবানবন্দি নেয়া শেষ হলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ১৬৪ ধারার জবানবন্দি কপি হাতে পেলেই পুরো বিষয়টি জানানো হবে। এজাহারনামীয় ছাড়াও এজাহারের বাইরে আসামি রয়েছে এবং তাদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২ বছর আগে
কুমিল্লায় জোড়া খুনের মামলায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন হিট স্কোয়াডে থাকা এমরান হোসেন রিশাত (২৩)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক ফারহানা আক্তারের কাছে ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।
রিশাতের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জবানবন্দিতে রিশাত হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও অস্ত্র সরবরাহের কথা স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
এর আগে গত সোমবার রাতে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতায় নিজ এলাকা থেকে নাজিম ও হিট স্কোয়াডে থাকা অপর সদস্য মো.রিশাতকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে এজাহারবহির্ভূত এ দু’জনকে আদালতে প্রেরণ করে দশদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। বুধবার সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় অপর আসামি নাজিম।
উল্লেখ্য-গত ২২ নভেম্বর নগরীর পাথুরিয়াপাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা। জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ মামলায় এজাহারনামীয় সাতজন ও সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব। বন্দুকযুদ্ধে এজাহারনামীয় তিন আসামির মৃত্যু হয়েছে। পলাতক রয়েছেন ১১ নম্বর আসামি রনি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় জোড়া খুন মামলার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
৩ বছর আগে
মাদক মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা মাদকসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক সাজেদা লতা আসামি হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আদালতে হাজির করেন। তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুনঃ জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেন না হেলেনা জাহাঙ্গীর
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডলের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে হেলেনা জাহাঙ্গীর যখন এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছিলেন, তখন আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে তার পক্ষে আইনজীবী শফিকুল ইসলাম জামিন আবেদন করেন। আদালত আগামীকাল বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
আরও পড়ুনঃ ১৪ দিনের রিমান্ডে হেলেনা জাহাঙ্গীর
এর আগে এদিন পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণা মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম।
তবে গতকাল মঙ্গলবার পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’-এ অভিযান পরিচালনা করে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে (৪৯) আটক করা হয়। অভিযানে বিদেশি মদ, ক্যাঙ্গারুর চামড়া, হরিণের চামড়া, মোবাইল ফোন, চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ হেলেনা জাহাঙ্গীর, সেফুদা ও কালো মিডিয়া
পরবর্তী সময়ে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে বিটিআরসির সহযোগিতায় মিরপুরে অবস্থিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করা হয় এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়।
পরে পল্লবী থানার প্রতারণা মামলা ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা এবং গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এবং মাদক মামলায় তার ১৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
৩ বছর আগে
মিতু হত্যা: আদালতে জবানবন্দি দেননি বাবুল আক্তার
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার মো: বাবুল আক্তারের পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হলেও তিনি জবানবন্দি দেননি।
সোমবার দুপুরে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালতের খাস কামরায় হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বিচারকের খাস কামরায় বাবুল আক্তার ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে কোনও জবাববন্দি দেননি। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে বেলা পৌনে ৩টায় কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়েছে পিবিআই
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাব উদ্দীন আহমেদ ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সাবেক এসপি বাবুল আক্তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পিবিআই আবার তাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করবে কি না সেটা পিবিআই সিদ্ধান্ত নেবে।
মিতু হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১২ মে রিমান্ডে নেয় পিবিআই। পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রথম তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদে একরকম নিরুত্তরই ছিলেন বাবুল আক্তার। পরে কিছু কথা বলেছেন। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিচলিত বোধ করছেন তিনি। কথা বলার সময় দু-একবার কেঁদেছেনও।
অবশ্য মিতু হত্যার কারণ-সম্পর্কিত সব প্রশ্নই এড়িয়ে গেছেন বাদী থেকে প্রধান আসামি হয়ে যাওয়া সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তিনি শুধু এটুকু বলছেন, ‘সবই তে জানেন, আমি কী বলবো?’
পাঁচ বছর আগে স্ত্রী মাহমুদা খানমকে হত্যার অভিযোগে শ্বশুরের করা মামলায় ১২ মে গ্রেপ্তার দেখানো হয় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে। এর দু’দিন আগে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যায় পিবিআই।
৩ বছর আগে
ফরিদপুরে তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
ফরিদপুরের মধুখালীতে মা-মেয়ের চক্রান্তে এক তরুণীকে (১৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে আটকদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
এর আগে মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে পারুল আক্তার, তার মেয়ে রোজিনা, জাকিরুল হক এবং অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মানবপাচার ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা জানান, তার মেয়ে এখন কিছুটা সুস্থ। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মধুখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রথিন্দ্র নাথ তরফদার বলেন, মঙ্গলবার রাতে ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের করে। রাতেই অভিযান চালিয়ে জাকিরুল হক নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এর আগে রোজিনা ও তার মা পারুল আক্তারকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, আটক রোজিনা ও তার মা পারুল আক্তার মধুখালী আশ্রায়ন কেন্দ্রের বাসিন্দা। এছাড়া জাকিরুল হকের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। সে মধুখালীতে অবস্থিত ফরিদপুর চিনিকলের বিদ্যুৎ বিভাগে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কর্মরত।
পুলিশ জানায়, আক্রান্ত তরুণীর অবস্থার উন্নতি হলে ২২ ধারায় তার জবানবন্দি নিয়ে ঘটনার সাথে অন্যান্য জড়িতদের আটক করা হবে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে নার্সের মামলা
জানা যায়, মধুখালী পৌর এলাকার আশ্রায়ন কেন্দ্রে বাসিন্দা পারুল আক্তারের মেয়ে রোজিনার বান্ধবী ছিল ভুক্তভোগী। এক সন্তানের মা, ভুক্তভোগী তরুণী কিছুদিন আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে।
গত রবিবার রোজিনা ও তার মা পারুল আক্তারসহ কয়েকজন ওই মেয়েটির বাড়িতে যায়। ভুক্তভোগীর বাড়িতে গল্প গুজব করে চলে আসেন সবাই। পরবর্তী রোজিনা আবার ওই বাড়িতে যেয়ে মোবাইল ফোন ফেলে যাবার দাবি করলে, ওই তরুণী কোনো মোবাইল পাওয়া যায়নি বলে জানায়। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনাও ঘটে।
ঘটনার দিন বিকালে রোজিনা ও তার মা পারুল আক্তার কয়েকজন লোক নিয়ে ওই মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে বলে অভিযোগে বলা হয়। দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর মঙ্গলবার সকালে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় বাড়ির সামনে পাওয়া যায়।
চিকিৎসাধীন ওই তরুণী ইউএনবি প্রতিনিধিকে বলেন, ‘মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে রোজিনা ও তার মা আমাকে অপহরণ করে বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে খাবারের সাথে আমাকে কিছু খাওয়ানো হয়। আমি কিছুটা অচেতন হয়ে পড়ি। এরপরই জোড়পূর্বক আমাকে ধর্ষণ করে এক ব্যক্তি।’
আরও পড়ুন: পাবনায় গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
মেয়েটি জানায়, পরদিন সোমবার সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মধুখালী চিনিকল মসজিদ সংলগ্ন একটি বাড়িতে। ওইদিন রাতে সেখানে অচেতন করে দুই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষকদের নাম না জানলেও, তাদের দেখলে চিনতে পারবে বলে জানায় মেয়েটি। ভুক্তভোগী তার ওপর অমানবিক অত্যাচারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
৩ বছর আগে
ও লেভেল শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণ ও হত্যা’: মামলায় আসামির স্বীকারোক্তি
রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি ইফতেখার দিহান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
৩ বছর আগে