রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা মাদকসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক সাজেদা লতা আসামি হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আদালতে হাজির করেন। তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুনঃ জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেন না হেলেনা জাহাঙ্গীর
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডলের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে হেলেনা জাহাঙ্গীর যখন এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছিলেন, তখন আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে তার পক্ষে আইনজীবী শফিকুল ইসলাম জামিন আবেদন করেন। আদালত আগামীকাল বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
আরও পড়ুনঃ ১৪ দিনের রিমান্ডে হেলেনা জাহাঙ্গীর
এর আগে এদিন পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণা মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম।
তবে গতকাল মঙ্গলবার পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’-এ অভিযান পরিচালনা করে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে (৪৯) আটক করা হয়। অভিযানে বিদেশি মদ, ক্যাঙ্গারুর চামড়া, হরিণের চামড়া, মোবাইল ফোন, চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ হেলেনা জাহাঙ্গীর, সেফুদা ও কালো মিডিয়া
পরবর্তী সময়ে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে বিটিআরসির সহযোগিতায় মিরপুরে অবস্থিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করা হয় এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়।
পরে পল্লবী থানার প্রতারণা মামলা ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা এবং গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এবং মাদক মামলায় তার ১৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।