স্বচ্ছতা
স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নতুন অর্থবছরের জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে অনুমোদিত বাজেট স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার(১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে বাজেট বাস্তবায়নে সবাই অত্যন্ত সতর্কতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মনোযোগী হয়।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘তিনি(প্রধানমন্ত্রী) সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন।’
রবিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়।
এছাড়া পদ্মা সেতু অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি (পিএলসি) গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
পদ্মা সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, কোম্পানি আইন অনুযায়ী এই কোম্পানি গঠন করা হচ্ছে।
বোর্ডের অর্গানোগ্রাম ঠিক করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেতু বিভাগ ও অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে কোম্পানির ১৪ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে।
বর্তমানে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে এবং চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতুর টোল সংগ্রহ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছে। বিদেশি কোম্পানিগুলোকে পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর বাজেটোত্তর নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রস্তাবিত কোম্পানি দায়িত্ব নেবে।
এছাড়া মাদারীপুরের শিবচরে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি অ্যাক্ট, ২০১৪ -এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইসিটি বিভাগ 'শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি' নামে এটি স্থাপনের জন্য প্রস্তাবিত আইনটি উত্থাপন করলেও মন্ত্রিসভার সদস্যদের অনুরোধ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তার নাম ব্যবহারের অনুমতি দেননি।
তিনি বলেন, ইনস্টিটিউটের মূল উদ্দেশ্য আইসিটি সম্পর্কিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রশিক্ষণ পরিচালনা।
মন্ত্রিসভা কিছু পর্যবেক্ষণসহ রপ্তানি নীতি ২০২৪-২০২৭ খসড়াও অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সব সম্প্রদায় সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে : প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
গণমাধ্যমে আরও পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, গণমাধ্যমে আরও পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন। এ বিষয়গুলোতে অনতিবিলম্বে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের অপব্যবহার কখনোই কাম্য নয়। এ বিষয়ে মালিক-সাংবাদিক সব পক্ষেরই সহযোগিতা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হয় সেটি যাতে টিকে থাকে, একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে যারা কাজ করে তারাও যাতে টিকে থাকে সে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাহলে এক ধরনের ভারসাম্য থাকবে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে ভালো একটি জীবনযাপন করতে পারে সেটাও জরুরি। বাস্তবতার মধ্যে থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিটি ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা-জবাবদিহি আনার চেষ্টা করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
এ সময় মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেসব কাজ হয় সেখানে পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতা আনা হবে। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অধিদপ্তরগুলো থেকে যেন কার্যকর ফলাফল পাওয়া যায় সে চেষ্টা থাকবে।
দেশের বিরুদ্ধে যেসব চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করার প্রত্যয়ও এ সময় ব্যক্ত করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
পাশাপাশি বাংলাদেশের বিপক্ষে যেসব অপপ্রচার আছে তা মোকাবিলা করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার কৌশলগত পদক্ষেপও নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
১০ মাস আগে
প্রতিটি ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা-জবাবদিহি আনার চেষ্টা করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনার চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তিনি নিজেও থাকতে চান না। পেশাদারিত্বের সঙ্গে যদি কমিটি তৈরি হয় এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সেক্ষেত্রে কেন মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে তাকে নাক গলাতে হবে।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য নিয়ে কৌশলগত ও প্রশাসনিক দুই ধরনের বিষয়ই আছে। প্রশাসনিক বিষয়গুলো নিয়ে যদি সারাক্ষণ তিনি ব্যস্ত থাকেন তাহলে কৌশলগত বিষয় নিয়ে চিন্তা করবে কখন। আর চিন্তা করে সেগুলোকে মোকাবিলা করার রাস্তা বের করবে কখন।
তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করার জন্য কিছু সময় বরাদ্দ রাখতে হবে। চিন্তা করাটাও একটা কাজ। সারাক্ষণ তিনি প্রত্যেকটা কমিটিতে, প্রত্যেকটা কাজে, প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুক্ত থাকলে তাহলে মৌলিক জায়গাগুলোতে সমাধান বের করা সহজ হবে না।
অধ্যাপক আরাফাত মনে করেন, গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা যতটা দরকার ঠিক ততোটুকুই অপতথ্যকে দমন করা দরকার। এ ব্যাপারেও কারো কোনো দ্বিমত নেই। আবার একই সঙ্গে অপতথ্য যে সমাজে আছে এ ব্যাপারেও কারো কোনো দ্বিমত নেই। এগুলো যদি সত্যি হয় তাহলে দমন করার উপায় আমাদের বের করতে হবে। তিনি এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা চান।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছু বাণিজ্যিক বিষয় আছে, কিছু স্বার্থের বিষয় থেকে যায়। সামাজিকভাবে কেউ স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়। একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা সবাইকে খুশি করতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, সবকিছু ভারসাম্য রক্ষা করে সঠিক সিদ্ধান্ত কীভাবে নেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হবে। কিন্তু সিদ্ধান্তটা নিতে হবে দিন শেষে বৃহত্তর স্বার্থ চিন্তা করে।
আরও পড়ুন: অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
১০ মাস আগে
স্বচ্ছতা-জবাবদিহি বজায় রেখে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছে ডিএসসিসি: তাপস
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বর্তমানে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মেয়র তাপস বলেন, বর্তমানে আমরা নিয়মিতভাবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বরাদ্দ গ্রহীতাদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় দোকান বরাদ্দ দিচ্ছি। এই বরাদ্দ প্রক্রিয়া নিয়ে আগে বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা হতো।
আরও পড়ুন: সকল পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত সিদ্দিক বাজার আধুনিক নগর মার্কেটে বরাদ্দপ্রাপ্ত দোকানিদের মধ্যে বরাদ্দপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে সেসব বিষয়কে আমরা কঠোরভাবে দমন করেছি। এখন এই প্রক্রিয়ায় আমরা পুরোপুরি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করেছি।
ক্ষতিগ্রস্তদেরও যথাযথভাবে পুনর্বাসন করা হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, শুধু নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রেই নয় বরং পুনর্নির্মাণ কার্যক্রমে যেসব ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমরা তাদেরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসন করছি।
অনুষ্ঠানে ৩০৩ জন বরাদ্দ গ্রহীতাকে দোকান বরাদ্দের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: যারা উন্নয়ন করেনি, তারাই উন্নয়ন দেখতে পায় না: মেয়র তাপস
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সার্ভিস কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
ইভিএম হচ্ছে শতভাগ স্বচ্ছতার প্রতীক: চুয়াডাঙ্গায় ইসি হাবিব
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন, ইভিএম হচ্ছে শতভাগ স্বচ্ছতার প্রতীক। আমরা ছয় শতাধিক নির্বাচন সম্পন্ন করেছি। কিন্তু কোনো পক্ষপাতিত্ব করিনি। এখানে কোনো পক্ষপাতিত্ব করার সুযোগও নেই।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরিদর্শনে এসে রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইসিটি আইন করা হয়নি: আইনমন্ত্রী
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, ‘সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে চাই। দলগুলোর সঙ্গে বারবার সংলাপ করেছি। প্রয়োজনে আমরা আরও সংলাপ করবো। একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলে নির্বাচনে ব্যাল্যান্স থাকে।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন সব দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। সেই চেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে। আমরা পর্বে পর্বে সংলাপ করেছি, এতে কোনো কোনো দল এসেছে, আবার কোনো দল আসেনি। আমরা দলগুলোর কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা আমাদের কাজগুলো দেখেন, তারপর সিদ্ধান্ত নেন, নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, কিন্তু সংঘর্ষ ও রক্তপাত হবে না। জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি করা যাবে না। নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সিভিল প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও অন্যদের সবাই সহযোগিতা করলে নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরি করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: অর্থ ছাড়ের ওপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ভাগ্য ঝুলছে: ইসি সচিব
নির্বাচন পরিচালনায় ইসি সম্পূর্ণ স্বাধীন: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
গণতন্ত্রকে আরও ফলপ্রসূ করতে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘সরকারি সব কাজে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে গণতন্ত্রকে আরও ফলপ্রসূ করা প্রয়োজন...।’
রবিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনের ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন,গত দেড় দশকে সরকারের উন্নয়ন কাজ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যয় বেড়েছে। সরকারি তহবিলের অপব্যবহার ঠেকাতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করারও আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রকল্পের শতভাগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
জনগণকে সকল ক্ষমতার উৎস হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাংসদদের সব কিছুর ঊর্ধ্বে জনস্বার্থকে রাখার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: তরুণদের মানবতা ও জনকল্যাণে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
আবদুল হামিদ বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হওয়ার পাশাপাশি মানুষ যাতে তাদের ধর্ম পালন করতে পারে সেদিকে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।
এ সময় ধর্মের নামে কোনো ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী যেন দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেন তিনি।
ভাষণে রাষ্ট্রপ্রধান করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের সাফল্য এবং পরিবহন, অবকাঠামো, অর্থনীতি, শিক্ষা, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা, গ্রামীণ উন্নয়ন ও পরিবেশসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের কথাও উল্লেখ করেন।
এর আগে রবিবার বিকাল ৪টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশন শুরু হয়। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করছেন। এটি ২০২২ সালের প্রথম অধিবেশন এবং শীতকালীন অধিবেশন নামেও পরিচিত।
সংবিধানের ৭৩ (২) ধারা অনুযায়ী, প্রত্যেক বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন। এ জন্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০২২ সালের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি
পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব এনে সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সংসদে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার আগে সংসদ সদস্যদের আলোচনায় অংশ নেয়ার কথা। এর আগে রাষ্ট্রপতির ভাষণের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার এবারের সংসদের ষোড়শ অধিবেশনের জন্য পাঁচ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ারম্যান মনোনীত করেন।
প্যানেল সদস্যরা হলেন-মো. আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), এ বি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), মো. মুজিবুল হক (কিশোরগঞ্জ-৩), মঞ্জুর হোসেন (ফরিদপুর-১) ও পারভীন হক সিকদার (মহিলা আসন-৩৯)।
তারা স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে কালানুক্রমিকভাবে সংসদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
সংসদ সচিবালয় অনুযায়ী, করোনার মধ্যে অধিবেশন হওয়ায় সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে।
এর আগে গত বছরের ২৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন শেষ হয়েছিল।
গত ১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাঁর ওপর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বর্তমান সংসদের ষোড়শ অধিবেশন আহ্বান করেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ঘরে বসে না থেকে মাঠে নামার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
২ বছর আগে
ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সহজ: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রবিবার বলেছেন, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সরকারি সেবা সমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সহজ হয়।
৪ বছর আগে