মাসুদ রানা
এমআর নাইন: পর্দায় অবহেলিত ‘মাসুদ রানা’
গোয়েন্দা গল্পনির্ভর সিনেমা দেখার আগে একটু স্থির হয়ে বসতে হয়। যেন কোনো দৃশ্য পাশ কাটিয়ে না যেতে পারে। আর মূল ঘটনা শুরুর পর যেন এক ধাঁধা মেলানো খেলা চলতে থাকে মাথায়। আর পরতে পরতে উত্তেজনা তো আছেই।
যেই প্রসঙ্গে এতো কথা বলা তার কারণ সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ সিনেমাটি। একে তো বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এতো বড় বাজেটের সিনেমা হয়নি, তার ওপর এটি কাজী আনোয়ার হোসেনের কালজয়ী সৃষ্টি মাসুদ রানাকে নিয়ে। এই সিনেমা নিয়ে আলোচনায় আরও বেশি করে ঘি ঢালা হয়েছে হলিউডের যৌথ প্রযোজনার প্রসঙ্গ টেনে।
সিনেপ্লেক্সের সিটে বসে অপেক্ষা শেষে শুরু হলো ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’। মাসুদ রানা সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ গল্প অবলম্বনে এই সিনেমা। তবে বলে রাখি সিনেমায় গল্পটিকে হুবুহু তুলে ধরা হয়নি।
১৯৬৬ সালে প্রকাশ হওয়া সেই গল্পকে আধুনিক সময়ে রূপ দেওয়া হয়েছে। যারা বইয়ের সঙ্গে মিল রেখে সিনেমাটিকে প্রত্যাশা করবেন তাদেরকেই মূলত জানিয়ে রাখা।
একটি হলিউডের সিনেমা দেখতে বসলে পর্দায় ঠিক যা আপনার চোখে আসে প্রায় একই আবহে শুরু হয় ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’। গল্পটি শুরু হয় আমেরিকা থেকে।
আরও পড়ুন: প্রীতম-ফারিণ জুটির সিনেমা 'কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’
এরপর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ঘুরে শেষ হবে সেখানেই। প্রথম দিকে দর্শকরা পরিচিত হবেন দুজন সিআই এজেন্টের সঙ্গে। যেই চরিত্র দুটিতে অভিনয় করেছেন নিকো ফস্টার ও মাইকেল জ্য হোয়াইট।
একজন লোকাল ড্রাগ ডিলারকে ধরতে সিআই এজেন্টের এক মিশন দিয়ে যেভাবে সিনেমাটা শুরু হয় ততক্ষণে একটু স্থির হয়ে চোখ শুধু পর্দায় রাখলাম। মনেই হচ্ছে না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা দেখছি।
লোকেশন, ফ্রেমিং, অ্যাকশন সব মিলিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ না হয়ে হয়তো উপায় থাকবে না। আর সঙ্গে আবহ সঙ্গীত দিয়ে শুরুর কিছুক্ষণ পর্দা থেকে চোখ সরানো ফুসরত পাওয়া যাবে না।
এই আবহ সঙ্গীতটি তৈরি করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত আমেরিকান সঙ্গীত পরিচালক রিকি কেজ। যার হাতে এখন পর্যন্ত ৩টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড উঠেছে। ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ তে তার মুন্সিয়ানার পরিচয় বেশ ভালোভাবেই পাওয়া যায়। তবে কিছু জায়গায় এতো একটু কানের আরাম পেলে ভালো হতো!
পরিচালক আসিফ আকবরের অভিষেক হিসেবে সিনেমার শুরুটা প্রশংসার দাবি রাখে। শুরুর এই মুগ্ধতা নিয়ে মাসুদ রানার পর্দায় কখন আসবে সেই অপেক্ষা তখনও। তবে মূল চরিত্রকে নির্মাতা বেশিক্ষণ আর আড়ালে রাখলেন না। সিআই এজেন্টদেরও তখন মিশন সফল করতে প্রয়োজন মাসুদ রানাকে।
এক জঙ্গলে দেখা মিললো মাসুদ রানার। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবিএম সুমন। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ দিয়ে শুরু হয় তার পরিচিতি। তবে মূল চরিত্র হিসেবে ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ তার প্রথম মুক্তি পাওয়া সিনেমা।
বড়পর্দায় প্রথম মূল চরিত্রে কাস্ট হওয়াটা ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। তাও এখানে দুটি বিষয় খুবই বিবেচনা করা মতো। এক, মাসুদ রানা একটি বিখ্যাত চরিত্র। সেই গোয়েন্দা হয়ে পর্দায় আসা এবং দর্শকদের গ্রহণ যোগ্যতা। অন্যটি, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বিগ বাজেটের সিনেমা।
এই প্রসঙ্গগুলোর ব্যাখ্যায় যাওয়ার আগে চলুন একটু দেখে নিই পর্দার মাসুদ রানা কেমন ছিল।
গোয়েন্দা গল্পনির্ভর সিনেমার প্রাণ মূল চরিত্র। মানে এখানে মাসুদ রানা। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা ছিল তার ওপর থেকে চোখ সরানো যাবে না। কিন্তু নির্মাতা তার ওপর চোখই রাখতে দিলেন না। এখনও শুরুর কথা বলছি।
প্রথম দৃশ্যেই এবিএম সুমন এক প্রাণহীন মাসুদ রানা হিসেবে পর্দায় এলেন। শুধু যেটুকু ছিল সেটি তার এক্সপ্রেশনে গোয়েন্দা লুক আনার চেষ্টা। আর তার অস্ত্র গোছানো। এরপরই সেই দৃশ্য শেষ। তার কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশের বিসিআইএর অফিসে দেখা যায় আমেরিকা থেকে আসা সিআই এজেন্ট পল টেইলরকে (নিকো ফস্টার)।
এর মাঝে হলিউড বা বলিউডের সেই পুরোনো ঢংয়ে এক মিশনে মাসুদ রানার একটি অ্যাকশন দৃশ্য ফ্ল্যাশব্যাকে দেখানো হলো। সেখানে কিছুটা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ছিল সুমনের। তবে তার আশেপাশে সবাই যখন এত ভালো পারফর্মেন্স দেখাচ্ছে সেখানে তিনি যেন ঢাকা পড়ে যাচ্ছিলেন।
এতক্ষণ পর্যন্ত প্রায় ২০ মিনিট চলে গেলেও মাসুদ রানার মধ্যে কোনো প্রাণ পাওয়া গেল না। অথচ গোয়েন্দা গল্পের সিনেমায় মূল চরিত্রের বিভিন্ন সংলাপ, তার বুদ্ধিচর্চা, মিশন নিয়ে তার অবজারভেশন এসবই যেন মুগ্ধ করে দর্শককে। অথচ সিনেমার মাসুদ রানার মুখে নেই কোনো শক্তিশালী সংলাপ, নেই তার অভিনয়ের কোনো জায়গা।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী মুক্তির দিন বাংলাদেশে 'জাওয়ান’
খুব অবহেলায় এন্ট্রি হলো মাসুদ রানার। তবে তখনও আশা তো থেকে যায়। শত হলেও মাসুদ রানা। হতে পারে আমেরিকায় গিয়ে সব চমকের খোলাসা হবে।
আমেরিকায় এক সেফ হাউজে রাখা হয় মাসুদ রানাকে। এই মিশনে তাকে নিয়ে আসার মূল কারণ তার দক্ষতা অথচ পুরো সিনেমায় কয়েকটি অ্যাকশন দৃশ্যছাড়া মাসুদ রানাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। মূল চরিত্রকে পরিচালক কেন এত কম সময় পর্দায় রাখলেন সেটি প্রশ্নবিদ্ধের বিষয়।
তবুও এবিএম সুমন সেটুকু সুযোগ পেয়েছেন সেখানে অভিনয়ের দক্ষতাটা প্রমাণ করতে পারলে হয়তো তাকে নিয়েও কয়েকটি প্রশংসার লাইন লেখা যেত।
যদি ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ প্রোডাকশনের প্রযুক্তিগত দিকের কথা বলি, সেখানে পরিচালক শুধুমাত্র বাজেটের কারণে উতরে গেছেন। কিন্তু পরিচালক হিসেবে প্রশংসা পেতে হলে সিনেমায় গল্পের মালা গাঁথাটা জানতে হয়। তবে প্রথম পরিচালনা হিসেবে নির্মাতা আসিফ আকবের চেষ্টার প্রশংসা করতে হয়।
আমেরিকায় আসার পর সিআইয়ের সঙ্গে এক ড্রাগ ডিলারকে ধরার মিশনে নামেন মাসুদ রানা। সেই গল্প দেখানো হয়েছে সিনেমা। আর বইয়ের গল্পে যে ধ্বংসা পাহাড়কে দেখানো হয়েছে সেটি দেখা যাবে সিনেমার একবারে শেষ অংশে।
সিনেমার শেষটা হয় দীর্ঘ এক অ্যাকশন নিয়ে, তবে সেই অংশেও নৌকার বৈঠা পাননি এবিএম সুমন। হলিউডের অভিনয়শিল্পীদের দিয়ে মিশনের সফলতা দেখিয়েছেন পরিচালক। তাই বলা যায় পুরো সিনেমাতেই অবহেলিত ছিলেন মাসদ রানা।
লেখাটি শেষ করার আগে বাংলাদেশ থেকে অভিনয় করা কয়েকটি চরিত্র নিয়ে বলা যাক।
সিনেমায় অল্প সময়ের জন্য আমেরিকার অংশে দেখা যাবে আনিসুর রহমান মিলনকে। অনেকদিন পর পর্দায় তার ফেরাটা ছিল বড়কিছু দিয়েই। আর এখানে তিনি অভিনেতা হিসেবে তার মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। তবে পর্দায় তাকে বেশিক্ষণ থাকার সুযোগ দিলেন না পরিচালক।
অন্যদিকে গল্পের প্রয়োজনে বিভিন্ন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন শহীদুল আলম সাচ্চু। এমন একজন অভিনেতাকে আসিফ আকবর শুধু গ্রিন স্ক্রিনের দৃশ্যে আটকে রাখলেন বোঝা গেল না। তবে যেখান মূল চরিত্রে এতটা অবহেলিত সেখানে তাদের বিষয়টা তো আলোচনার বাইরেই চলে যায়।
আর আলোচনায় না থাকলেও পর্দায় নিজেকে বেশ ফুটিয়ে তুলেছেন মাসুদ রানার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করা ভারতীয় অভিনেত্রী সাক্ষী প্রধান। আর একটি দৃশ্যে দেখা যাবে থ্রি ইডিয়েটখ্যাত অভিনেতা ওমি বৈদ্যকে।
‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’কে বলা যায় শুধু বাজেট খরচের সিনেমা। যেখানে নেই গোয়েন্দা সিনেমার কোনো উত্তেজনা। গোয়েন্দাগীরির চেয়ে গল্পহীন অ্যাকশন সিনেমা হয়ে উঠেছে ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরা মাতালো সোলস
১ বছর আগে
শুক্রবার থেকে প্রেক্ষাগৃহে ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’
বলা হচ্ছে এখন পর্যন্ত ঢালিউডের সবচেয়ে বিগ বাজেটের সিনেমা ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’। যা নির্মিত হয়েছে কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্টি মাসুদ রানা সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ অবলম্বনে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে জানা গেল শুক্রবার (২৫ আগস্ট) মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ নির্মাণ করেছেন পরিচালক আসিফ আকবর। আর তার সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন নাজিম উদ দৌলা। এতে মাসুদ রানা চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবিএম সুমন।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সিনেমাটি মুক্তি উপলক্ষে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিনেমার সকল কলাকুশলীরা।
আরও পড়ুন: এমআর-৯ ডু অর ডাই: মাসুদ রানা আসছেন রূপালি পর্দায়
সেখানে পরিচালক আসিফ আকবর বলেন, ‘মাসুদ রানা সিরিজ বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য একটি আবেগ। যারা বইগুলো পড়েছেন, সবার মধ্যে চরিত্রের একটি অবয়ব তৈরি করা আছে। এটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রায় ৬ বছর লেগেছে সিনেমাটি নির্মাণ করতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্ক্রিপ্ট থেকে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ পর্যন্ত আমি দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করিনি। আমি বলব, আমরা সবাই আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজটি করেছি। বাকিটা পর্দায় দেখা যাবে। সবাইকে আমন্ত্রণ জানাব সিনেমাটি দেখার জন্য। ভালো-মন্দ জানাবেন।’
সিনেমাটি বাংলাদেশ থেকে প্রযোজনা করছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সিনেমাটি প্রসঙ্গে প্রযোজক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ এরই মধ্যে সেন্সর পেয়েছে, যেটি ২৫ আগস্ট মুক্তি পাবে। তবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাংলা ডাবিংয়ের অংশ সেন্সর পেলে এ সপ্তাহে সিঙ্গেল স্ক্রিনে চলবে।’
আব্দুল আজিজ আরও বলেন, আগামী সপ্তাহে বাংলা ডাবিং করা ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ দেশজুড়ে দেখা যাবে। এছাড়াও, আমেরিকার ১৫২টি থিয়েটারে মুক্তি পাবে এই সিনেমা।
আরও পড়ুন: প্রেক্ষাগৃহে দর্শকে মাতিয়ে এবার চরকিতে ‘সুড়ঙ্গ’
ডন ৩: শাহরুখের বদলে বলিউডের নতুন ডন রণবীর সিং
১ বছর আগে
এমআর-৯ ডু অর ডাই: মাসুদ রানা আসছেন রূপালি পর্দায়
১৭ জুলাই ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ এর পোস্টারের দর্শনটা মাসুদ রানার ভক্তদের হৈচৈটাকে যেন দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কেননা পোস্টার প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে চলচ্চিত্র মুক্তির চূড়ান্ত দিনক্ষণ। শুধু বাংলাদেশেই নয়, ২৫ আগস্ট শুক্রবার বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেতে চলেছে মাসুদ রানা চরিত্রের চিত্রায়ন চলচ্চিত্র এমআর-৯। একদিকে হাজারও অপেক্ষার অবসান ঘটলেও, অন্যদিকে শুরু হয়ে গেছে চলচ্চিত্র মুক্তির দিন গণনা। চলুন, বহু প্রতীক্ষিত এই চলচ্চিত্রটির বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মাসুদ রানা কে?
চলচ্চিত্রের শুটিং-এর ঘন্টা বাজার আগ থেকেই মাসুদ রানা হিসেবে এবিএম সুমনের নামটা ছড়িয়ে পড়ে সবার মুখে মুখে। অবশ্য দুর্ধর্ষ গুপ্তচরের চরিত্রটিকে দৃশ্যায়নের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নেমেছিল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। ‘ধ্বংস পাহাড়’ বইয়ের স্বত্বও তারা কিনে ফেলে কাজী আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্র বাছাইয়ের ভার পরে স্বয়ং লেখকের ওপর। আগে থেকে বাছাই কয়েকজন মডেল ও অভিনেতার ছবি দেখে চূড়ান্তভাবে সুমনকে নির্বাচন করেন মাসুদ রানার স্রষ্টা।
গ্ল্যামার জগতে সুমনের শুরুটা ছিল মডেলিং-এর মাধ্যমে। অভিনয় জগতে তার অভিষেক ঘটে ২০১৩ সালে ‘মেঘের কোলে রোদ’ টেলিফিল্ম দিয়ে। তার অভিনীত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ২০১৫ সালের শফিকুল ইসলাম খান পরিচালিত ‘অচেনা হৃদয়’।
তবে তিনি আলোচনায় আসেন ২০১৭ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর মাধ্যমে। সেখানে তার সোয়াট নেতা আশফাক চরিত্রটি দর্শক ও সমালোচক মহলে বেশ সাড়া ফেলেছিলো।
আরও পড়ুন: সে খুবই চতুর কিন্তু একজন ফ্যামিলি ম্যান: নতুন চরিত্র সম্পর্কে আফরান নিশো
পর্দার পেছনের মানুষেরা
এমআর-৯ চলচ্চিত্রের নির্মাতা আসিফ আকবর
এককভাবে পরিচালনা ছাড়াও এমআর-৯-এর চিত্রনাট্য, সম্পাদনা এবং প্রযোজনা - প্রতিটি গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখেছেন যে মানুষটি তার নাম আসিফ আকবর। বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত (খুলনা) হলেও তার বেড়ে ওঠা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো রাজ্যের ক্লিভল্যান্ড শহরে।
তিনি তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরি করেন ২০০৭ সালে। ‘মাই ফরেন দেশ’ শিরোনামের ছবিটি ২০০৮-এর ডিসেম্বরে নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ও ভিডিও উৎসবে প্রদর্শিত হয়। ছবিটির নির্মাণকালে তিনি তার হাইস্কুল শেষ করে হলিউডের স্বনামধন্য চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠান কলাম্বিয়া কলেজে স্নাতক শুরু করেন। অতঃপর ২০১১ সালে সেখান থেকে চারুকলায় সিনেমা এবং টেলিভিশন নিয়ে স্নাতক শেষ করেন।
বিগত ১২ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি অনেকগুলো ফিচার ফিল্ম, মূলধারার মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন, শর্ট ফিল্ম, তথ্যচিত্র, এবং টিভি শো নিয়ে কাজ করেছেন। তন্মধ্যে তথ্যচিত্র ‘টপ প্রায়োরিটি: দ্য টেরর উইদিন’ ২০১২ সালের অস্কার মনোনয়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল।
বাবা এনায়েত আকবর মিলনের সঙ্গে তার প্রথম প্রযোজিত বাংলাদেশি বাণিজ্যিক ছবি ‘অচেনা হৃদয়’। ২০১৫ সালে এটি বাংলাদেশ সহ আমেরিকার মূলধারার প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পায়। একই বছরে ইতালির মিলানে বিশ্ব সিনেমার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র নির্মাতা উৎসবে তার পরিচালিত ছবি ‘স্মোক ফিল্ড লাঙ্স’ সেরা পুরস্কার জিতে নেয়। বর্তমানে তিনি তার নতুন প্রজেক্ট ‘বোনইয়ার্ড’ নিয়ে কাজ করছেন। মুভিটিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা মেল গিবসন।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্রে এবার যারা সরকারি অনুদান পেলেন
এমআর-৯ ছবির অন্যান্য নির্মাণ শিল্পীরা
কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘ধ্বংস পাহাড়’-এর ওপর ভিত্তি করে রচিত এমআর-৯-এর চিত্রনাট্যে আসিফের সহ-লেখকরা ছিলেন আবদুল আজিজ ও নাজিম উদ দৌলা। সঙ্গীত ও স্কোরের দায়িত্বে ছিলেন ভারতীয় সঙ্গীতজ্ঞ রিকি কেজ, যিনি সঙ্গীতের জন্য তিনবার গ্র্যামি পুরস্কার জিতেছেন। চিত্রগ্রহণে ছিলেন আমেরিকান পরিচালক ও চিত্রগ্রাহক মার্ক ডেভিড। সার্বিক সম্পাদনার কাজ আসিফ নিজেই করেছেন।
৮৩ কোটি টাকা বাজেটের ছবিটি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ও আমেরিকার যৌথ প্রযোজনায়। প্রযোজনা গ্রুপে আসিফের পাশাপাশি ছিলেন আল ব্রাভো, হেমডি কিওয়ানুকা, কলিন বেট্স, ফিলিপ ট্যান, এবং আব্দুল আজিজ। নির্বাহী প্রযোজনায় ছিলেন পিটার নগুয়েন, নিকো ফস্টার, ফিলিপ বি গোল্ডফাইন, এবং এডুয়ার্ড ওসিপভ।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে যে চলচ্চিত্র নির্মাণ সংস্থাগুলো যৌথভাবে কাজ করেছে সেগুলো হলো- আল ব্রাভো ফিল্মস, ফিল্ম পোস্ট, চেসিং বাটারফ্লাই পিকচার, এবং এমআর-৯ ফিল্মস। জাজের পাশাপাশি পরিবেশনায় ছিলো অ্যাভেইল ইন্টারটেইনমেন্ট ও স্বপ্না স্কেয়ারক্রো। কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পোস্টার প্রদর্শনের পর থেকে প্রচারনায় যোগ দেয় প্রিমিয়ার ইন্টারটেইনমেন্ট।
আরও পড়ুন: ব্যান্ডের বাইরে কখনও নিজেকে নিয়ে চিন্তা করিনি: পার্থ বড়ুয়া
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়া এলাকায় এক শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাসুদ রানা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ মার্চ) সদর থানা পুলিশের একটি টিম দৌলতদিয়াড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
অভিযুক্ত মাসুদ রানা (৫০) দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ফকির চাঁদের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর বাবা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। সংসারের অভাব অনটনের কারণে তাঁর স্ত্রীও একাধিক বাসা-বাড়িতে কাজ করেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনই সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগে মাসুদ রানা প্রায়ই তাঁর মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। গত ৭ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকে তরুণীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন মাসুদ রানা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সদর থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে।
পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী: গ্রেপ্তার ১
চট্টগ্রামে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
২ বছর আগে
‘মাসুদ রানা’র লেখক-প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই
জনপ্রিয় রহস্যধর্মী সিরিজ ‘মাসুদ রানা’র লেখক ও প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন মারা গেছেন। বুধবার বিকালে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
কাজী আনোয়ার হোসেনের পুত্রবধূ মাসুমা মাইমুর এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি লেখেন, ‘গত অক্টোবরের ৩১ তারিখ প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ে আব্বার (কাজী আনোয়ার)। মাঝে পাঁচ বার হসপিটালাইজড ছিলেন। চিকিৎসার সুযোগ খুব একটা পাওয়া যায়নি। একটা ব্রেইন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক হয়ে সব শেষ হয়ে গেল। ১০ জানুয়ারি থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।’
কাজী আনোয়ার হোসেনের বোন ও ছায়ানটের সভাপতি সানজিদা খাতুন জানান, গতকাল তাকে বারডেমে ভর্তি করে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাঙালি কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ আর নেই
আগামীকাল সকালে তার নামাযে জানাজা ও দাফন হবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় অধ্যাপক, বিজ্ঞানী, লেখক ও শিক্ষাবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ও সাজেদা খাতুনের ঘরে ১৯৩৬ সালের ১৯ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন কাজী আনোয়ার হোসেন।
তিনি ১৯৫২ সালে সেন্ট গ্রেগরি স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। তিনি জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে বিএ এবং ১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
পাঠন নন্দিত রহস্যধর্মী সিরিজ ‘মাসুদ রানা’র জন্য ব্যাপক পরিচিত কাজী আনোয়ার হোসেন ১৯৬৩ সালে সেগুনবাগিচায় ‘সেগুনবাগান প্রকাশনী’ হিসেবে তার প্রথম প্রেস ব্যবসা শুরু করেন। তার প্রথম প্রকাশনার নাম ছিল ‘কুয়াশা-১’ এবং এটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালের জুন মাসে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড সাসোলি আর নেই
পরবর্তীতে প্রকাশনা সংস্থার নাম পরিবর্তন করে ‘শেবা প্রকাশনী’ রাখেন তিনি। কাজী আনোয়ার হোসেন ১৯৬৬ সালে ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের প্রথম সংস্করণ ‘ধ্বংস পাহাড়’ প্রকাশ করেন।
কাজী আনোয়ার হোসেন বিখ্যাত গায়িকা ফরিদা ইয়াসমিনকে বিয়ে করেন। তাদের তিন সন্তান হলেন- ছেলে কাজী মাইমুর হোসেন, কাজী শাহনূর হোসেন ও মেয়ে শাহরিন সোনিয়া।
বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য কাজী আনোয়ার হোসেন ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, ১৯৭৪ সালে ‘মাসুদ রানা’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য ও সংলাপের জন্য বাচসাস পুরস্কার এবং ১৯৬৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল হাজারী আর নেই
২ বছর আগে
বর্ষীয়ান তারকা সোহেল রানা অভিনীত সেরা কয়েকটি চলচ্চিত্র
৭০ ও ৮০-এর দশকে হলিউড জুড়ে যখন জেম্স বন্ডের মত স্পাই মুভিগুলো বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, ঢালিউডের দর্শকদের তখন সেই ড্যাশিং অ্যাকশন হিরোর আমেজ দিয়েছিলেন যিনি তিনি হলেন মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ প্রযোজনার মধ্য দিয়ে তিনি পদার্পণ করেন চলচ্চিত্র জগতে। তাঁর অভিনয়ের শুরুটা হয় জনপ্রিয় লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন-এর কালজয়ী চরিত্র ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের একটি গল্প নিয়ে নির্মিত ‘মাসুদ রানা’ চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে। আজকের ফিচারে থাকছে সোহেল রানা অভিনীত সেরা কয়েকটি চলচ্চিত্রের কথা।
সোহেল রানা অভিনীত সেরা কয়েকটি চলচ্চিত্র
মাসুদ রানা | ১৯৭৪
১৯৬৬ সাল থেকে ক্রমাগত সেবা প্রকাশনীর ব্যানারে প্রকাশিত হওয়া জনপ্রিয় মাসুদ রানা সিরিজের ‘বিস্মরণ’ বইটির গল্পে বানানো হয়েছিল এই চলচ্চিত্রটি। পরিচালনায় এবং মূখ্য চরিত্রে ছিলেন সোহেল রানা নিজেই। প্রযোজনায় ছিল তাঁর নিজেরই চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পারভেজ ফিল্ম্স। ছবিতে তার সহশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন অলিভিয়া, কবরী, গোলাম মুস্তাফা, খলিল, ফতেহ লোহানী। অতিথি শিল্পী হিসেবে একটি বিশেষ চরিত্রে ছিলেন ৯০ দশকের নায়ক রাজ রাজ্জাক। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছিলেন আজাদ রহমান। সাদা-কালো সিনেমাটির চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন আব্দুল লতিফ বাচ্চু এবং সম্পাদনায় ছিলেন বশির হোসেন।
আরও পড়ুন: হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান ও খরচ
এপার ওপার | ১৯৭৫
আরব্য প্রেম কাহিনী ‘আলী আসমা’ নিয়ে সোহেল রানা নির্মাণ করেছিলেন রোমান্টিক মুভি ‘এপার ওপার’। এখানে প্রধান চরিত্র আলী ভূমিকায় তিনি নিজে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর সহশিল্পী হিসেবে শ্রেষ্ঠাংশে ছিলেন সোমা মুখার্জি, জসিম, সুমিতা দেবী ও খলিল। ছবিটির সংলাপ রচনায় কাজ করেছিলেন আলী ইমাম ও আহমেদ জামান চৌধুরী। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন আজাদ রহমান। চিত্রগ্রহণ ও সম্পাদনায় বরাবরের মতই ছিলেন যথাক্রমে আব্দুল লতিফ বাচ্চু এবং বশীর হোসেন।
একই চিত্রনাট্য নিয়ে ১৯৮৪ সালে আবুল খায়ের বুলবুল পরিচালনা করেছিলেন ‘আলী আসমা’ সিনেমা। এখানেও আলী চরিত্রে ছিলেন সোহেল রানা।
দস্যু বনহুর | ১৯৭৬
মাসুদ রানার মত দস্যু বনহুরও আরেকটি সাহিত্যিক কথাচরিত্র। এর স্রষ্টা বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক রোমেনা আফাজ। দস্যু বনহুর সিরিজেরই একটি গল্প নিয়ে নির্মিত হয় এই সাদা-কালো চলচ্চিত্রটি। মাসুদ রানার স্টাইলেই স্পাই ও সাসপেন্সের মেলবন্ধনে তৈরি হয়েছিলো এই অ্যাকশন মুভিটি। সারথীর নির্দেশনায় ছবিটির কাহিনী ও সংলাপ প্রস্তুত করেছিলেন শহীদুল আমিন। দস্যু বনহুর চরিত্রে থাকা চিত্রনায়ক সোহেল রানার বিপরীতে ছিলেন অঞ্জনা। এছাড়া অভিনয়ে আরো ছিলেন সুমিতা দেবী ও নায়ক জসিম।
চিত্রগ্রহণে আব্দুল লতিফ বাচ্চু এবং সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন আজাদ রহমান।
আরও পড়ুন: ঢাকার কাছেই প্রকৃতির মাঝে ক্যাম্পিং সাইট
২ বছর আগে
মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০ বইয়ের স্বত্ব আনোয়ার হোসেনের নয়: হাইকোর্ট
পাঠক প্রিয় থ্রিলার ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি বইয়ের মালিকানা দাবিতে কাজী আনোয়ার হোসেনের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক স্বত্বও জব্দই থাকছে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম হামিদুল মিসবাহ। কপিরাইট অফিসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও ইফতাবুল কামাল অয়ন।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০ ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক স্বত্ব দাবি করে শেখ আব্দুল হাকিম সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কপিরাইট আইনের ৭১ ও ৮৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ কপিরাইট অফিসে দাখিল করেন। এরপর ২০২০ সালের ১৪ জুন কপিরাইট অফিস শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেয়।
আরও পড়ুন: মাসুদ রানা, কুয়াশা সিরিজের বই নিয়ে কপিরাইটের আদেশ স্থগিত
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কপিরাইট কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী বলেছিলেন, ‘শেখ আবদুল হাকিমের দাবি করা ২৬০টি মাসুদ রানার বইয়ের মধ্যে একটি ও কুয়াশার ৫০টি বইয়ের মধ্যে ছয়টিতে লেখক হিসেবে তার নামে কপিরাইট করা আছে। বাকিগুলোর কপিরাইট করা নেই। তবে সেগুলো তার লেখা এটি তিনি প্রমাণ করেছেন। তবে কপিরাইট অন্তর্ভুক্তির কারণে তাকে প্রতিটি বইয়ের জন্য আলাদা করে আবেদন করতে হবে। এরপর প্রতিটি বইয়ের লেখক হিসেবে তার নাম যাওয়ার পাশাপাশি কপিরাইটও তার হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ কপিরাইট কার্যালয়ের রায়ে বলা হয়, সুষ্ঠু সমাধান ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে কপিরাইট বোর্ড বা বিজ্ঞ আদালত থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার আগ পর্যন্ত আবেদনকারীর দাবি করা ও তালিকাভুক্ত বইগুলোর প্রকাশ বা বাণিজ্যিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য প্রতিপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হলো। এছাড়া প্রতিপক্ষকে আবেদনকারীর কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করা প্রকাশিত বইগুলোর সংস্করণ ও বিক্রিত কপির সংখ্যা ও বিক্রয় মূল্যের হিসাব বিবরণী এ আদেশ জারির তারিখের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে দাখিল করার নির্দেশও দেয়া হলো।
কপি রাইট অফিসের এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কাজী আনোয়ার হোসেন হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করে। রুলে এখতিয়ারবহির্ভূত হওয়ায় কপিরাইট অফিসের ওই সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, কপিরাইট অফিস, রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস ও কপিরাইট বোর্ডকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে আজ হাইকোর্ট রুল খারিজ করে রায় দেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে ‘পুলিশি নির্যাতনে’ মৃত্যু: ৩ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন হাইকোর্টের
মুরাদের আপত্তিকর অডিও সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
৩ বছর আগে
সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে ইউএনবির প্রতিনিধির পদত্যাগ
বার্তা সংস্থা ইউনাইটেট নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) এর সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এস. এম. মাসুদ রানা জেলা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
কোনো ধরনের নির্বাচন ছাড়া কমিটি গঠনের প্রতিবাদে তিনি স্ব পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ১৩ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি গঠিত হয়েছিল।
মাসুদ রানা বলেন, ‘কমিটির একজন সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আমি তাদের নির্বাচনের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছি। কমিটি গঠনের প্রায় সাত মাসে হলেও কোন সভায় আমাকে ডাকা হয়নি এবং কোন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি।’
পড়ুন: সিরাজগঞ্জে র্যাবের অভিযানে ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে অস্ত্রসহ জেলা ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার
৩ বছর আগে
রাজধানীতে পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু
রাজধানীর গুলিস্তান থেকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ হেফাজতে মঙ্গলবার এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
৪ বছর আগে