হারুন
প্রবীণ সাংবাদিক হারুন মারা গেছেন
প্রবীণ সাংবাদিক এন এম হারুন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক নাতনি, দুই ভাই ও এক বোন এবং অনেক আপনজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
এন এম হারুন ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তৎকালীন পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর তিনি তৎকালীন ইস্টার্ন নিউজ এজেন্সি (এনা) সাপ্তাহিক হলিডে, ঢাকা কুরিয়ার, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, অধুনালুপ্ত দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে তিনি ছিলেন ইস্টার্ন নিউজ এজেন্সিতে। ২৫ মার্চ কালোরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের প্রাক্কালে তিনি আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ (মুজিবনর সরকারের প্রধানমন্ত্রী) স্বাক্ষরিত বুলেটিনের সংবাদ প্রচার করে অফিস থেকে বেরিয়ে যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি আবার সাংবাদিকতা শুরু করেন। সর্বশেষে তিনি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকা থেকে অবসর নেন।
তার স্ত্রী বদরুন নাহার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তার কন্যা নন্দিনী সাবরিনা একজন প্রোকৌশলী। এছাড়া ইংল্যান্ড প্রবাসী সাংবাদিক আবু মুসা হাসান তার ছোট ভাই।
১ মাস আগে
ডিবির প্রতি জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছি: হারুন
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) থেকে ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনে (সিএন্ডও) বদলি করা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ দৃঢ়ভাবে বলেছেন, কোটা আন্দোলনে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে না।
বৃহস্পতিবার(১ আগস্ট) সন্ধ্যায় মিন্টো রোডে ডিবি অফিস গেটে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
হারুন জোর দিয়ে বলেন, ‘যারা মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সরকারি-বেসরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের হত্যার মতো ঘটনার সঙ্গে সত্যিই যারা জড়িত, তাদেরই বিচার করা হবে। অপরাধীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’আরও পড়ুন: দাঙ্গাবাজ-নাশকতাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবিপ্রধান হারুন
ডিবিতে নিজের দায়িত্বের মেয়াদের কথা তুলে ধরে হারুন বলেন, 'ডিবিতে আমার সোয়া তিন বছরে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুসরণ এবং জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছি। আমার পুরো মেয়াদে ডিবিকে সাধারণ মানুষের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য ছিল।’
তিনি উল্লেখ করেন, তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি নতুন পদে পদায়ন করা হয়েছে। এখানে তিনি থানাগুলোকে জনসাধারণের জন্য একটি বিশ্বস্ত জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, ‘থানা মানুষের আশার শেষ বিন্দু। সাধারণ ডায়েরি বা মামলা দায়েরের জন্য মানুষ স্টেশনে এলে যাতে পরিষেবা পায় তা নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। থানাগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে আমি কাজ করব।’
কোটা আন্দোলনের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা অসংখ্য মামলার বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাইলে হারুন বলেন, 'ডিবিতে থাকাকালীন আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা পরিচালনা করেছি। মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে এমপি আনার হত্যা মামলা পর্যন্ত আমরা সত্য উদঘাটনে ভালো তদন্ত করেছি। আমরা কোনও নিরপরাধ লোককে গ্রেপ্তার করিনি এবং জড়িত ব্যক্তিদের ক্ষমতা নির্বিশেষে, আমরা নিশ্চিত করেছি যে, দোষীরা বিচারের মুখোমুখি হবে।’
আরও পড়ুন: ছয় সমন্বয়ককে 'বিবৃতি দিতে বাধ্য করার' অভিযোগ ভিত্তিহীন ও গুজব: ডিবিপ্রধান হারুন
৩ মাস আগে
ডিবি থেকে ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগে হারুনকে বদলি
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদকে ঢাকা মহানগর পুলিশের ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স (সিঅ্যান্ডও) বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'নিরাপত্তার জন্য' কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে: ডিবি প্রধান হারুন
বুধবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সই করা বদলির আদেশে হারুনসহ তিন কর্মকর্তার বদলির তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির লজিস্টিকস ফাইন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট বিভাগে আশরাফুজ্জামানকে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার করা হয়েছে। এছাড়া সিঅ্যান্ডওর অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. খন্দকার মহিউদ্দিনকে লজিস্টিকস ফাইন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছয় সমন্বয়ককে 'বিবৃতি দিতে বাধ্য করার' অভিযোগ ভিত্তিহীন ও গুজব: ডিবিপ্রধান হারুন
আন্দোলন বন্ধের ঘোষণা ডিবি হেফাজতে থাকা সমন্বয়কদের
৩ মাস আগে
ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত
থানার ভেতরে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রজ্ঞাপনে সই করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্তের সময় তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং নিয়ম অনুযায়ী জীবিকা ভাতা পাবেন।
এর আগে সোমবার বিকালে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রলীগ নেতার ওপর নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ডিএমপি। কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে এডিসি হারুনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমসহ কয়েকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। তবে এডিসি হারুন সেখান থেকে সরে গেলেও কিছুক্ষণ পর আরও পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর নাঈম ও শরীফকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন। রাত ১টার দিকে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলেন এডিসি হারুন। নারী কর্মকর্তার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে যান। ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং তারা সবাই গাজীপুরের বাসিন্দা।
রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর এডিসি হারুনকে ডিএমপি থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করেছিল।
আরও পড়ুন: শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
১ বছর আগে
ডেসটিনি: সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের জামিন ১ বছর বাড়লো
অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় নিম্ন আদালতে চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক সেনাপ্রধান ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশীদের জামিনের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হারুনের করা আপিল এক বছর পর শুনানির জন্য ধার্য করেছেন আদালত।
এদিকে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন শুনে রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে হারুন-অর-রশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু ও অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শাহীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট
এর আগে গত বছরের ৩০ আগস্ট এ মামলায় নিম্ন আদালতে হারুন-অর-রশিদকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য তিন মাসের মধ্যে পেপারবুক প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন আদালত। পরে আপিল বিভাগও তার জামিন বহাল রাখেন।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা ওই মামলায় গত বছরের ১২ মে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক।
রায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন ও কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশিদসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেয়া হয়। ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের’ কথা বিবেচনায় নিয়ে আদালত হারুন-অর-রশিদকে সাজা কমিয়ে চার বছরের দণ্ডদেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায়ে ৪৬ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।
এই সাজা থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন সাবেক এই সেনা প্রধান। একই সঙ্গে তিনি জামিনের আবেদনও জানান।
গত বছরের ৯ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ সাবেক সেনাপ্রধান প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশিদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে নিম্ন আদালত থেকে তার মামলার নথি তলব করেন।
পরে গত বছরের ২৯ জুন ৪ বছরের হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই বছরের ৩০ আগস্ট হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। রবিবার ওই জামিনের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।
রাজধানীর কলাবাগান থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুই মামলায় মোট চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে উভয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আর ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। রফিকুলসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাত ও পাচারের মামলাটির বিচার শেষ হলও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলাটি এখনও নিম্ন আদালতে বিচারাধীন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনের অর্থদণ্ড স্থগিত
১ বছর আগে
ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকদের চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের জামিন আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। তবে তার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন। আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। মামলার নথি (রেকর্ড কল) তলব করেছেন। এছাড়া আপিল শুনানির জন্য পেপার বুক প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি পলাতকদের গ্রেফতারের জন্য আইজিপি ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ডেসটিনি এমডির জামিন শুনানি শেষ, আদেশ ২৭ সেপ্টেম্বর
চলতি বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা। এরমধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। একই সঙ্গে তাকে সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন সাবেক এই সেনা প্রধান। পাশাপাশি জামিনও চান।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি। বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। ৪৬ আসামির মধ্যে ৩৯ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকের জামিন প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ হাইকোর্টের
ডেসটিনির দুই মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
২ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জের এসপি হারুনকে বদলি
পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে রবিবার নারায়ণগঞ্জ থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি করা হয়েছে।
৫ বছর আগে