প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
বাগেরহাটে এবার মিলল সাড়ে ছয়শ’ বছর আগের তৈজসপত্র!
বাগেরহাটে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত স্থাপনা বিখ্যাত মুসলিম শাসক খানজাহান (র.) বসতভিটায় মিলেছে ছয়শ’ বছর আগের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বাগেরহাট ষাটগম্বুজ মসজিদ থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে এই স্থাপনায় আবার খনন শুরু করেছে প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তর। খননের পর মাটির নিচ থেকে এবার বেরিয়ে এসেছে সুলতান ও মোগল আমলের বিভিন্ন তৈজপত্র।
এর আগে মাটির নিচ থেকে পঞ্চদশ শতকে নির্মিত খানজাহানের বাসভবনের বিভিন্ন কক্ষের ভিত্তি, প্রাচীর, গোলাকার কর্নার, বুরুজ (গুম্বজ), প্রাচীন রাস্তা, মুসলিম ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বপূর্ণ পেইন্টিং ওয়্যার, স্টোন, ওয়্যার, পোরসোলাইন পাত্রের টুকরা ও পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের সন্ধান পাওয়া গেছে।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ জানায়, ২০০১ সাল থেকে প্রায় ১০ একর আয়তনের ওই বসতভিটা খনন করছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এর ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই অর্থবছরে পুনরায় খনন কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত খনন কাজ চলবে।
আরও পড়ুন: লাল বাঁধাকপি চাষ: বদলে দিয়েছে কৃষক বেলালের ভাগ্য
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর জানায়, ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো খানজাহান (র.) নির্মিত ষাটগম্বুজ মসজিদসহ ১৭টি স্থাপনা বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে। এর মধ্যে খানজাহানের বসতভিটা অন্যতম। বাগেরহাট সদরের সুন্দরঘোনা গ্রামে এই বসতভিটা খননের জন্য ১৯৯৭ সালে ৯ একর ৬৭ শতক জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। ২০০১ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে খনন কাজ চলছে।
২ বছর আগে
করোনার ক্ষত কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কুমিল্লার পর্যটন শিল্প
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে পুরো দেশের মতো কুমিল্লাতেও থমকে গিয়েছিল পর্যটন খাত। দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস বন্ধ ছিল জেলার সব ঘুরে বেড়ানোর জায়গা। পর্যটন নগরী খ্যাত কোটবাড়িতে ছিল শুনশান নীরবতা। দীর্ঘ সময় ধরে জেলার পর্যটন খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ছিল প্রায় শূন্য। পাশাপাশি চরম ক্ষতির মুখে পড়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন পার্কগুলো।
৪ বছর আগে