লালন শাহ
কুষ্টিয়ার লালন শাহের মাজার ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতির গোড়াপত্তনের এক বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে গীতিকাব্য, লোকগীতি ও পালাগান। এই সৃজনশীলতা চর্চার এক মজবুত বুনিয়াদ গড়ে উঠেছিল অতীন্দ্রিয় বাউল সংগীতের মুক্তাঙ্গনে। বাংলা ভাষাভাষি বাউল সংগীতের মঞ্চে সর্বাধিক সমাদৃত নামটি হচ্ছে লালন শাহ। একাধারে ফকির সাধক, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক- এই শিল্পীর গানগুলো যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে মানুষকে। এখনো তার সৃষ্টিগুলোকে ঘিরে রচিত হয় গান, কবিতা, ও উপন্যাস; নির্মিত হয় নাটক ও চলচ্চিত্র। তার জীবনচরিতের অনুসারী ও ভক্তরা এখনো তার মাজার দর্শনে ছুটে যান কুষ্টিয়ায়। লোকজ সংস্কৃতির প্রবাদ পুরুষ ফকির লালন শাহের মাজার নিয়েই আজকের ভ্রমণকড়চা। চলুন, ঘুরে আসা যাক আধ্যাত্মিকতার এক অচীন দেশে।
লালন ফকিরের মাজারের অবস্থান
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হচ্ছে কুমারখালী উপজেলা। এই উপজেলার অন্তর্গত ছেউড়িয়া গ্রামেই অবস্থান জগদ্বিখ্যাত লালন ফকিরের মাজার।
আরও পড়ুন: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বাউল সাধক লালনের আখড়ার ইতিহাস
এই ছেউড়িয়াতেই ১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর শুক্রবার মৃত্যুবরণ করেন বাউল গুরু লালন। কিন্তু তারপরেও জায়গাটিকে ছেড়ে যাননি তার শিষ্যরা। বরং বছরের পর বছর ধরে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের সংখ্যা, যা উৎপত্তি ঘটিয়েছিল এই মাজারের।
এই জায়গাটিতে সাধক লালন জীবন ও আধ্যাত্মিকতার দীক্ষা দিতেন তার গুনমুগ্ধ স্থানীয় লোকজন ও ভক্তদের। শিষ্যরা ভক্তি ভরে তাকে ‘সাঁই’ বলে ডাকতেন।
প্রতিবছর শীতের সময় এখানে মহোৎসবের আয়োজন করতেন লালন। এই উৎসবে হাজার হাজার ভক্তরা গুরুর সঙ্গে বাউল গান ও দেহতত্ত্ব নিয়ে আলোচনায় শামিল হোতেন।
গুরুর প্রয়াণের পরেও থেমে যায়নি বৈঠক, বরং নিয়ম মেনে প্রতিবছরই এই সময় আয়োজন হয় উৎসবের। আর এভাবেই গড়ে ওঠে লালন অনুসারীদের আখড়া। তার শিষ্যদের মধ্যে শুধু দেশীয়রাই ছিল না। দেশের বাইরে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে অগণিত বাউল ও ভক্তকুল সমবেত হতো এই আখড়ায়।
গুরুর পাশাপাশি তার প্রিয় শিষ্যদেরও সমাহিত করা হয়েছে এই মাজারে।
বর্তমান যে মাজারটি দেখা যায়, সেটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৬৩ সালে। উদ্বোধন করেছিলেন সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর মোনায়েম খান। তারও ৪ দশক পর ২০০৪ সালে মাজারটির আধুনিকায়ন করা হয়। পাশেই বিশাল জায়গাজুড়ে নির্মিত হয় অডিটোরিয়াম ও একাডেমি ভবন।
আরও পড়ুন:ঢাকার পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়ক: কীভাবে যাবেন, কী দেখবেন
কি কি দেখবেন লালনের আখড়ায়
আকর্ষণীয় অবকাঠামোগুলোর মধ্যে অডিটোরিয়াম ও একাডেমি ভবনটি ছাড়াও রয়েছে লালনের জাদুঘর, আবক্ষ ম্যুরাল এবং একতারার ভাস্কর্য। জাদুঘরে পরম যত্নে সংরক্ষিত রয়েছে লালনের ব্যবহৃত জলচকি, একটি দরজা, ভক্তদের ঘটি-বাটি ও বেশ কিছু ছবি। জাদুঘর ঘুরে দেখতে ২ টাকা প্রবেশমূল্য দিতে হবে।
লালন মেলা
লালনের মাজারের মূল আকর্ষণ হচ্ছে এখানকার পরিবেশ, যা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে লালন মেলার সময়ে। প্রতি বছর দুইবার এই মেলাটি হয়- একবার, ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিকে কেন্দ্র করে দোলযাত্রা উৎসবের সময়, যেটি মূলত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে- লালন সাঁইজির প্রয়াণ দিবস তথা পহেলা কার্তিক বা ১৬ অক্টোবর উপলক্ষে।
এই দ্বিতীয়টি হচ্ছে সবচেয়ে বড় মেলা, যেটি ৩ দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়। মেলা উপলক্ষে গোটা আখড়াবাড়ী সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। প্রধান ফটক আর মূল মাজার ভরে যায় রঙিন আলোকসজ্জায়। সম্মুখে নির্মাণ করা হয় বিশাল তোরণ। মাজারের বাইরে কালী নদীর ভরাটকৃত অংশে লালন মঞ্চের সামনে টাঙানো হয় বিশাল সামিয়ানা।
আলোচনা মঞ্চের চারপাশে মাজারের প্রধান রাস্তা ছেয়ে যায় গ্রামীণমেলায়। এখানে বিক্রি হয় নানান ধরনের গৃহসামগ্রী, গেঞ্জি, কাঠের তৈরি সাংসারিক জিনিসপত্র এবং লালনের গানের সিডি। এছাড়াও পাঁপড় ভাজা, গরম জিলাপি, শন পাঁপড়ি, আখের রস ও খই-বাতাসাসহ বসে হরেক রকম খাবারের পসরা। উৎসবের প্রতিদিন সারা রাত ধরে চলে লালন গানের আসর।
এমন জাঁকজমক উৎসবে পুরো মাজার প্রাঙ্গণ পরিণত হয় দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীদের মিলনমেলায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার লালনের আখড়ায় যাওয়ার উপায়
রাজধানী ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যেতে হলে পাড়ি দিতে হবে ২৪৮ কিলোমিটার স্থলপথ। পাড়ি দিতে হবে স্থলপথে ২৪৮ কিলোমিটার, যা অতিক্রম করতে সময় লাগে প্রায় ৬ ঘণ্টা। বাসে করে এই পথ অতিক্রম করতে হলে কল্যানপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে উঠতে হবে কুষ্টিয়ার বাসে। এগুলো ৬ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে দিবে কুষ্টিয়ার মজমপুর গেটে। এই যাত্রায় বাস ভাড়া পড়তে নন এসির জন্য জনপ্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা এবং এসির ক্ষেত্রে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা।
সেখান থেকে রিকশা বা অটোরিকশা করে ৬০ থেকে ৭০ টাকা ভাড়ায় পৌঁছা যাবে ৩ কিলোমিটার দূরত্বে ছেউরিয়া।
এছাড়া কমলাপুর রেল জংশন থেকে ট্রেনে করেও যাওয়া যাবে। এখান থেকে কুষ্টিয়ার ট্রেনগুলো ছাড়ে সকাল সোয়া ৮ টা, সন্ধ্যা ৭ টা এবং রাত সোয়া ১১ টায়। আসন ভেদে এগুলোতে সিট ভাড়া পড়তে পারে জনপ্রতি ৩৬০ থেকে সর্বোচ্চ ৮২৮ টাকা।
কুষ্টিয়া শহরের আগেই পোড়াদহ বা ভেড়ামারা স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে পড়তে হবে। স্টেশনেই পাওয়া যাবে শহরে যাওয়ার বাস বা সিএনজি। তারপর অটোরিকশায় চড়ে সোজা লালন গ্রাম ছেউরিয়া।
আরও পড়ুন: সিলেটের জাফলং ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
কুষ্টিয়ায় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা
কুষ্টিয়ায় থাকার জন্য মোটামুটি ভালোমানের আবাসিক হোটেল পাওয়া যাবে শাপলা চত্বর, মজমপুর গেট, চৌড়হাস মোড়, এন এস রোড, এবং বড় বাজার এলাকায়। এগুলোতে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে রাত্রি যাপনের জন্য। এছাড়া অনুমতি নিয়ে থাকা যেতে পারে শিলাইদহ ডাকবাংলোতে।
খাবারের হোটেলের জন্য কোর্ট স্টেশন এলাকার রেস্তোরাঁগুলো বেশ ভালো। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে আগত পর্যটকরা এখানকার বিখ্যাত তিলের খাজা ও কুলফি মালাইয়ের স্বাদ নিতে একদমি ভোলেন না।
আরও পড়ুন: মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় এবং আনুষঙ্গিক খরচ
আশেপাশের কিছু দর্শনীয় স্থান
কুষ্টিয়া শহরের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখার জন্য একটা ডে-ট্যুরই যথেষ্ট। তাই লালনের আখড়ার দর্শনার্থীরা আনন্দ পুষিয়ে নিতে ঘুরে দেখেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি, মীর মোশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা এবং গড়াই নদীর তীরে রেনউইকের বাধ।
এছাড়াও পরমাণু শক্তিকেন্দ্র ও ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজের মাঝে লালন শাহ সেতুর দৃশ্যটাও ভোলার নয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় দৃষ্টিনন্দন ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’
পরিশিষ্ট
কুষ্টিয়ার লালন শাহের মাজার ভ্রমণ নিঃসন্দেহে এক ভিন্ন আমেজের অভিজ্ঞতা দিবে। শুধু তাই নয়, মানুষের যাপিত জীবন যে কতটা বিচিত্র হতে পারে তা লালন মেলায় না গেলে বোঝা যাবে না। আর এজন্য লালন আখড়ায় যেতে হবে কার্তিক মাসের শুরুতে অথবা ফাল্গুনের শেষার্ধে।
এক্ষেত্রে বাউল সাধক লালন শাহের আখড়া ঘুরে দেখার সময় অবশ্যই শ্রদ্ধার সঙ্গে সেখানকার পরিবেশের ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখা উচিৎ। অনেক বিদেশি পর্যটকদেরও তীর্থস্থান হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থানটি অনায়াসেই প্রভাবিত করতে পারে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে। এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ভ্রমণের সময় একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করা দেশীয় দর্শনার্থীদের জাতীয় ও নৈতিক দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: মিরসরাই খৈয়াছড়া ঝর্ণা: যাওয়ার উপায় ও ভ্রমণ খরচ
১০ মাস আগে
কাল থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী লালন সাঁই’র তিরোধান উৎসব সাধুর হাট
বাউল সম্রাট মরমী সাধক লালন শাহের ১৩৩ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় লালনের আখড়া বাড়িতে তিন দিনের সাধুর হাট বসছে। অর্থাৎ, শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা ও লালন মেলা।
এ উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় সাঁইজির আখড়াবাড়ি বাউল-সাধু আর ভক্তদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও লালন একাডেমির আয়োজনে ১৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হয়ে একটানা ১৯ অক্টোবর (বৃহম্পতিবার) পর্যন্ত তিরোধান অনুষ্ঠান চলবে।
‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’- এই অমর বাণীকে ধারণ করে সত্য সু-পথের সন্ধানে মানবতার দিক্ষা নিতে ইতোমধ্যেই আত্মার টানে দেশ-বিদেশের হাজারো সাধুগুরু ও ভক্ত দলে দলে এসে আসন পেতে বসেছেন লালন সাঁইজির আখড়ায়। মূল উৎসব শুরু হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই আখড়ায় আসা বাউল সাধকরা মাজারের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে গেয়ে চলেছেন সাঁইজির আধ্যাত্মিক মর্মবাণী ও ভেদ তথ্যের গান। সাধু-ভক্তদের পদচারণায় জমজমাট এখন লালন শাহের আখড়া বাড়ি। কুষ্টিয়া পরিণত হয়েছে উৎসবের শহরে।
আখড়া বাড়িতে মঞ্চ ও লালন মেলার স্টল নির্মাণ ও মাজার ধোয়া মোছার কাজ শেষ করা হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগে।
এদিকে, সোমবার বেলা ১২ টায় লালন একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি এহেতেশাম রেজা।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই সকল অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে লালন একাডেমি। এ ছাড়া এই উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এ আয়োজনকে ঘিরে ছেঁউড়িয়ায় মরা কালিগঙ্গা নদী তীরের লালন আখড়া বাড়িতে এখন সাজ-সাজ রব। আখড়াবাড়িতে রং করা, ধোয়া-মোছা এবং ভরাটকৃত কালী নদীর বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে আলোচনা সভা ও সংগীতের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে মঞ্চ। দেশের প্রতন্ত অঞ্চল থেকে আসা দোকানিরা হরেক রকমের পণ্য নিয়ে মেলার পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
গত বছরের তুলনায় এবার আগে থেকেই সাধু-গুরুদের ভিড় বেড়েছে। লালন একাডেমির নির্ধারিত স্থানে তারা ছোট দলে ভাগ হয়ে দরদ ভরা গলায় গেয়ে চলেছেন লালনের গান। আবার কেউ বা মেতে উঠেছেন গুরুবাদি বাউল ধর্মের নিগূঢ় তত্ত্ব কথার আলোচনায়। এসেছেন দেশ বিদেশের নানা বয়সী দর্শনার্থীরাও।
আরও পড়ুন: কাল থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী লালন সাঁই’র তিরোধান উৎসব
১ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় ৩ দিনব্যাপী লালন উৎসব শুরু
করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুবছর বিরতির পর কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বাউল সাধক ফকির লালন শাহের স্মরণে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে তিন দিনব্যাপী উৎসব শুরু হচ্ছে। উৎসব চলবে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) পর্যন্ত।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তিন দিনের অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করে লালন একাডেমি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন খান।
উত্সবে অংশ নিতে ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশ থেকে কয়েকশ ভক্ত আখড়ায় ভিড় করেছেন। অনুষ্ঠান মালার মধ্যে রয়েছে লালনের কর্মময় জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলা।
আরও পড়ুন: ১০০ যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির যাত্রা উৎসব
নারীদের এগিয়ে চলা নিয়ে বইমেলায় আইরিশের ‘অপরাজিতা’
২ বছর আগে
এবার লালন তিরোধান দিবসের সব অনুষ্ঠান স্থগিত
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ায় লালন শাহ আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩০তম তিরোধান দিবসের সব অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
৪ বছর আগে