অপকর্ম
দমন-পীড়ন ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজের নীরবতার নিন্দা ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের রাজপথে হত্যা ও নির্যাতনের সময় তাদের দলের নেতাকর্মীদের মানুষ মনে করেন না বলে সুশীল সমাজের সদস্যরা চুপ থাকেন।
তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখের সঙ্গে একটি কথা বলতে চাই যে আমরা ব্যাপক অবিচার ও দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছি এবং গণতন্ত্রের জন্য রাস্তায় পুলিশের গুলিতে আমাদের ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু আমাদের লোকেরা যারা গণতন্ত্র, ভালো সমাজ, উন্নয়ন ও মধ্যম আয়ের দেশের কথা বলে, তারা আমাদের নেতাকর্মীদের মানুষ মনে করে না।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় পুলিশ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিনা ওয়ারেন্টে তুলে নিয়ে নাশকতা ও বিস্ফোরণ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনে আমরা শিগগিরই জয়ী হব: ফখরুল
এছাড়া যে কোনো ঘটনা ঘটলেই পুলিশ বিএনপির পরিচিত ১০০ নেতাকর্মী এবং অজ্ঞাত আরও এক হাজারের বেশির বিরুদ্ধে মামলা করে বলে জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, তাদের দলের প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ ‘মিথ্যা’ মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন। ‘এটা কি ভাবা যায়? কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে একটি গণতান্ত্রিক দলের ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীকে কি ৩৫ লাখ মামলায় ফাঁসানো যায়? এটাকে কি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায়? আমাদের একমাত্র অপরাধ আমরা জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছি।’ শুধু ভুক্তভোগীরাই জানে তারা কতটা অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে?
তিনি বলেন, সুশীল সমাজের সদস্যরা এ ধরনের দমন-পীড়নের বিষয়ে নীরব থাকেন। কারণ, তারা মনে করেন নিহতরা বিএনপির এবং তারা মানুষ ও দেশের নাগরিক নয়।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম জিয়া পরিষদ এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ তার ৫২ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে। কারণ, আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। ‘তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে, সর্বত্র মানুষকে এত প্রতারিত করছে, যা কল্পনাও করা যায় না।’
তিনি বলেন, সরকারের সবচেয়ে বড় অপরাধ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সর্বব্যাপী দুর্নীতি অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে: ফখরুল
যারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে তাদের চিহ্নিত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘মানুষ আগে কাকে চিহ্নিত করবে? জনগণ ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছে যে তারা (আ.লীগ) প্রতিনিয়ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে শুধু প্রশ্নবিদ্ধ করছে না, ধ্বংসও করছে। সংসদসহ এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেনি।
তিনি বলেন, সরকার দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাসের পর মাস ঘরে থাকতে পারছে না।
তিনি বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে জীবন দিয়েছে। ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাদের ধারণা নয়, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত মিলে ধারণা নিয়ে এসেছিল’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, আবার জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া পুনরুদ্ধার করেছে। ‘এটাই সত্য এবং এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: এবার নির্বাচন নিয়ে সরকারি কোনো চক্রান্ত কাজ করবে না: ফখরুল
সামাজিক মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের কথা তুলে ধরুন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) নেতাকর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং বিএনপি ও জামায়াতের অপকর্ম তুলে ধরতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তৈরি করেছি। কিন্তু আজ সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ভেসে যাচ্ছে। আমি আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এসবের উপযুক্ত জবাব দিতে বলতে চাই।’
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিলের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যখন আমাদের বিরুদ্ধে কিছু লেখে, তখন আপনাকে উত্তর দেয়ার দরকার নেই। যদি শুধুমাত্র তাদের অপকর্মের কথা মন্তব্যে উল্লেখ করা যায় (সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা পোস্টের মধ্যে) তারা থামবে।’
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ সময় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়। বিসিএলের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল ২০১৮ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর: দেড় বিলিয়ন বিনিয়োগ ও লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
নিজেদের ‘অপকর্ম’ থেকে বাঁচতে সরকার বিদেশিদের খুশি করার চেষ্টা করছে: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার নিজেদের ‘অপকর্ম’ থেকে বাঁচতে বিদেশিদের খুশি করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অপকর্ম করে ক্ষমতায় আছে এবং এখন টিকে থাকার জন্য বিদেশিদের খুশি করার চেষ্টা করছে।’
বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দেয়া বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, র্যাব এবং এর কিছু বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও, সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে প্রকাশ্যে আসায় সরকার অস্বস্তিতে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ কারণেই তারা এখন এইভাবে বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বৈঠক প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সরকার এখন যুক্তরাষ্ট্রের পেছনে ছুটছে।
ফখরুল বলেন, ‘তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে এবং তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলছে বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে তাদের সাহায্য করার জন্য … কিন্তু এই লোকেরাই বলত আমরা কি বিদেশিদের কাছ থেকে আনুকূল্য চাই এবং তাদের সাহায্য নিয়ে কাজ করি।’
আরও পড়ুন: সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
এর আগে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বাংলাদেশের ‘স্বচ্ছ ও স্বাধীন’ নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে জানান এবং বিএনপিকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে উৎসাহিত করার পরামর্শ দেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে তাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় তিনি ব্লিঙ্কেনকে বলেন, ‘দেশের নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে তাদের (বিএনপি) নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আনুন।’
ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত না হওয়া খুবই দুঃখজনক।
তিনি বলেন, সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির কারণে দেশের স্বাস্থ্যখাত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের কাছে এই সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’
তিনি বলেন,বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য দুর্নীতি করে অর্থ উপার্জন করা।
ফখরুল অভিযোগ করেন, তারা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার নামে টাকা কামিয়েছে। আমরা দেখেছি যে একজন ব্যক্তির উপকার করার জন্য ভারত থেকে তিন-চার গুণ বেশি দামে ভ্যাকসিন আনা হয়। শুধুমাত্র সরকার-সমর্থিত লোকদের সুবিধার জন্য পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ঢাকায় গ্রেপ্তার
অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান ড.কামালের
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন জনগণকে অপকর্ম ও অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন অনৈতিক কাজ ও অপকর্মের কারণে দেশ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করুন এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত নতুন রাজনৈতিক দল ‘নৈতিক সমাজ’ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও প্রথম কাউন্সিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. কামাল।
তিনি বলেন, দেশকে অনৈতিক ও অপকর্ম থেকে মুক্ত করতে হবে। আমরা আশা করি আপনারা সবাই দেশে আইনের শাসন, জন-নিরাপত্তা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবেন।
আরও পড়ুন: নির্দলীয় সরকার চান ড. কামাল
ড. কামাল নৈতিক সমাজের কাউন্সিলের সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করেন এবং দলের নেতা-কর্মীদের জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
গত বছরের ৩০ মার্চ মেজর জেনারেল (অব.) এ এম এস এ আমিন রাজনীতিতে ন্যায়পরায়ণ নেতৃত্ব ও নৈতিক মূল্যবোধ তৈরির লক্ষ্যে ‘নৈতিক সমাজ’ গঠন করেন।
এ সময় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান সরকার নীতিহীন। কারণ তারা ভোট ডাকাতি করে জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। বাংলাদেশের যে কোনো জায়গায় কাউকে জিজ্ঞেস করলেই বলবে, এই সরকার নীতিহীন।
সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে সরকারের ব্যর্থতার জন্য তিনি কঠোর সমালোচনা করেন।
মান্না বলেন, চাল, আটা, তেল, পেঁয়াজের মতো অত্যাবশ্যক খাদ্যদ্রব্য কিনতে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা ট্রাকের পেছনে মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে, কারণ পণ্যের আকাশছোঁয়া দামের কারণে তাদের জীবন সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৯৭৪ সালে দেশে বড় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, একই দল এখন ক্ষমতায় থাকায় এখনও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথাও তুলে ধরেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক।
আরও পড়ুন: ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথ দখলের আহ্বান ড. কামালের
সরকারকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চান ড. কামাল
ধর্ষণকারীদের কঠোর হাতে দমন করতে সরকার বদ্ধপরিকর: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ধর্ষণকারীরা যে পরিচয়ই ব্যবহার করার চেষ্টা করুক না কেন, তাদের কঠোর হাতে দমন করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর।