অপকর্ম
আজিজ-বেনজীরের অপকর্মের দায় সরকারকে নিতে হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও সাবেক আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের কথিত দুর্নীতি ও অপকর্মের জন্য সরকার দায়ী।
এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, সরকার দেশকে এমন ভয়াবহ অবস্থায় নিয়ে গেছে যে, গণমাধ্যমে একজন সাবেক পুলিশ প্রধানের দুর্নীতির অসংখ্য চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, 'আপনি (প্রধানমন্ত্রী) তাকে (বেনজির) লালন-পালন করেছেন। 'অনেক আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পরও আপনারা তাকে আইজিপি বানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংক ধ্বংস করছেন আ. লীগ নেতারা: বিএনপি নেতা নজরুল
ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশে লুটপাট, চুরি ও নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে একজন সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন,এটা কি শুধু তাদের (আজিজ ও বেনজির) দায়? এ দায় জোর করে ক্ষমতায় থাকা এই সরকারের।
সাবেক সেনাপ্রধান ও আইজিপির অপকর্মের দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু একজন আজিজ আর একজন বেনজির নয়। আপনারা আজিজ, বেনজিরের মতো অসংখ্য মানুষকে লালন-পালন করেছেন, যারা জনগণের অর্থ লুটপাট করছে।’
ফখরুল আরও অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও অনুসারীরা কুখ্যাত বর্গিদের (সপ্তদশ শতাব্দীতে বাংলা অঞ্চলে ব্যাপক লুটপাটে লিপ্ত মারাঠা সাম্রাজ্যের ঘোড়সওয়ার) মতো জনগণের অর্থ লুটপাট করছে। তাদের একমাত্র কাজ বাংলাদেশের সম্পদ লুণ্ঠন এবং বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে বিদেশে সম্পদ গড়ে তোলা।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য দলটি ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে জনগণ বিরক্ত: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার দাবিতে বিএনপিসহ ৬৩টি বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করছে।
তিনি বলেন, সরকার নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন করতে অনিচ্ছুক, কারণ তারা খুব ভালো করেই জানে যে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনে তারা ১০ শতাংশ আসনও পাবে না।
এমন পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে চলমান আন্দোলন বেগবান করতে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেগে ওঠার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
আন্দোলনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, এটা বৃথা যাবে না।
স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, জিয়াউর রহমান স্বৈরশাসন বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা এখন জিয়াউর রহমান ও তার বিধবা স্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করছেন।
আব্বাস বলেন, অনেকেই ভেবেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াকে হত্যার মধ্য দিয়ে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। এ‘ই দলকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না। এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বিএনপিকে হাজার বছর টিকে থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
৫ মাস আগে
স্বামীর অপকর্মের দায় স্ত্রী এড়াতে পারেন না: ডিবি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদার স্বামীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন এবং তিনি কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না।
রবিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবি প্রধান জানান, মিল্টনের স্ত্রীর দাবি ফাউন্ডেশনের জন্য সংগৃহীত অর্থ ও ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, মিল্টন তথাকথিত মানবতার সেবার নামে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি প্রবীণদের কোনো সেবা দেননি বা চিকিৎসার জন্য কোনো চিকিৎসকের কাছেও পাঠাননি।’
আরও পড়ুন: আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী
মিল্টনের স্ত্রী নিজেকে ফাউন্ডেশনের নার্স পরিচয় দিয়েছেন জানিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, ‘তিনি কেন প্রতিবাদ করেননি বা পুলিশকে জানাননি। মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মনে হয়েছে, তিনি এর দায় এড়াতে পারছেন না।’
শেল্টার হোমে বৃদ্ধদের ওপর মিল্টনের নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে মিঠু ডিবিকে বলেন, এটা ঠিক হয়নি।
মিল্টনের ব্যাংক হিসাবের ২ কোটি টাকার উৎস সম্পর্কে জানেন কি না- জিজ্ঞেস করলে মিঠু বলেন, তিনি সরকারি চাকরিজীবী হওয়ায় তার স্বামী তাকে এ কাজে যুক্ত করেননি।
মিল্টনের বিরুদ্ধে ৯০০ মানুষকে কবর দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে মিল্টনের স্ত্রী বলেন, সঠিক সংখ্যা ১৩৫। মানুষের সহানুভূতি বা অর্থ পাওয়ার জন্য তিনি সংখ্যা বাড়াতেন কিন্তু মৃত্যু সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র রাখতেন না।
চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে থাকা ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর মিল্টন কোনো হাসপাতাল, থানা বা নিহতের স্বজনদের কিছু জানাতেন না বলে জানান ডিবি প্রধান।
তিনি আরও জানান, মিল্টনকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতির মামলায় মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
পরে শনিবার মিল্টনের স্ত্রী মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়।
আরও পড়ুন: এবার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ ডিবির
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে সহযোগিতা বাড়াবে এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
৬ মাস আগে
দমন-পীড়ন ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজের নীরবতার নিন্দা ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের রাজপথে হত্যা ও নির্যাতনের সময় তাদের দলের নেতাকর্মীদের মানুষ মনে করেন না বলে সুশীল সমাজের সদস্যরা চুপ থাকেন।
তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখের সঙ্গে একটি কথা বলতে চাই যে আমরা ব্যাপক অবিচার ও দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছি এবং গণতন্ত্রের জন্য রাস্তায় পুলিশের গুলিতে আমাদের ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু আমাদের লোকেরা যারা গণতন্ত্র, ভালো সমাজ, উন্নয়ন ও মধ্যম আয়ের দেশের কথা বলে, তারা আমাদের নেতাকর্মীদের মানুষ মনে করে না।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় পুলিশ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিনা ওয়ারেন্টে তুলে নিয়ে নাশকতা ও বিস্ফোরণ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনে আমরা শিগগিরই জয়ী হব: ফখরুল
এছাড়া যে কোনো ঘটনা ঘটলেই পুলিশ বিএনপির পরিচিত ১০০ নেতাকর্মী এবং অজ্ঞাত আরও এক হাজারের বেশির বিরুদ্ধে মামলা করে বলে জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, তাদের দলের প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ ‘মিথ্যা’ মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন। ‘এটা কি ভাবা যায়? কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে একটি গণতান্ত্রিক দলের ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীকে কি ৩৫ লাখ মামলায় ফাঁসানো যায়? এটাকে কি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায়? আমাদের একমাত্র অপরাধ আমরা জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছি।’ শুধু ভুক্তভোগীরাই জানে তারা কতটা অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে?
তিনি বলেন, সুশীল সমাজের সদস্যরা এ ধরনের দমন-পীড়নের বিষয়ে নীরব থাকেন। কারণ, তারা মনে করেন নিহতরা বিএনপির এবং তারা মানুষ ও দেশের নাগরিক নয়।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম জিয়া পরিষদ এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ তার ৫২ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে। কারণ, আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। ‘তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে, সর্বত্র মানুষকে এত প্রতারিত করছে, যা কল্পনাও করা যায় না।’
তিনি বলেন, সরকারের সবচেয়ে বড় অপরাধ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সর্বব্যাপী দুর্নীতি অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে: ফখরুল
যারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে তাদের চিহ্নিত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘মানুষ আগে কাকে চিহ্নিত করবে? জনগণ ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছে যে তারা (আ.লীগ) প্রতিনিয়ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে শুধু প্রশ্নবিদ্ধ করছে না, ধ্বংসও করছে। সংসদসহ এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেনি।
তিনি বলেন, সরকার দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাসের পর মাস ঘরে থাকতে পারছে না।
তিনি বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে জীবন দিয়েছে। ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাদের ধারণা নয়, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত মিলে ধারণা নিয়ে এসেছিল’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, আবার জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া পুনরুদ্ধার করেছে। ‘এটাই সত্য এবং এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: এবার নির্বাচন নিয়ে সরকারি কোনো চক্রান্ত কাজ করবে না: ফখরুল
১ বছর আগে
সামাজিক মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের কথা তুলে ধরুন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) নেতাকর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং বিএনপি ও জামায়াতের অপকর্ম তুলে ধরতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তৈরি করেছি। কিন্তু আজ সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ভেসে যাচ্ছে। আমি আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এসবের উপযুক্ত জবাব দিতে বলতে চাই।’
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিলের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যখন আমাদের বিরুদ্ধে কিছু লেখে, তখন আপনাকে উত্তর দেয়ার দরকার নেই। যদি শুধুমাত্র তাদের অপকর্মের কথা মন্তব্যে উল্লেখ করা যায় (সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা পোস্টের মধ্যে) তারা থামবে।’
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ সময় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়। বিসিএলের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল ২০১৮ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর: দেড় বিলিয়ন বিনিয়োগ ও লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
নিজেদের ‘অপকর্ম’ থেকে বাঁচতে সরকার বিদেশিদের খুশি করার চেষ্টা করছে: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার নিজেদের ‘অপকর্ম’ থেকে বাঁচতে বিদেশিদের খুশি করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অপকর্ম করে ক্ষমতায় আছে এবং এখন টিকে থাকার জন্য বিদেশিদের খুশি করার চেষ্টা করছে।’
বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দেয়া বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, র্যাব এবং এর কিছু বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও, সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে প্রকাশ্যে আসায় সরকার অস্বস্তিতে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ কারণেই তারা এখন এইভাবে বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বৈঠক প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সরকার এখন যুক্তরাষ্ট্রের পেছনে ছুটছে।
ফখরুল বলেন, ‘তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে এবং তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলছে বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে তাদের সাহায্য করার জন্য … কিন্তু এই লোকেরাই বলত আমরা কি বিদেশিদের কাছ থেকে আনুকূল্য চাই এবং তাদের সাহায্য নিয়ে কাজ করি।’
আরও পড়ুন: সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
এর আগে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বাংলাদেশের ‘স্বচ্ছ ও স্বাধীন’ নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে জানান এবং বিএনপিকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে উৎসাহিত করার পরামর্শ দেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে তাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় তিনি ব্লিঙ্কেনকে বলেন, ‘দেশের নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে তাদের (বিএনপি) নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আনুন।’
ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত না হওয়া খুবই দুঃখজনক।
তিনি বলেন, সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির কারণে দেশের স্বাস্থ্যখাত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের কাছে এই সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’
তিনি বলেন,বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য দুর্নীতি করে অর্থ উপার্জন করা।
ফখরুল অভিযোগ করেন, তারা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার নামে টাকা কামিয়েছে। আমরা দেখেছি যে একজন ব্যক্তির উপকার করার জন্য ভারত থেকে তিন-চার গুণ বেশি দামে ভ্যাকসিন আনা হয়। শুধুমাত্র সরকার-সমর্থিত লোকদের সুবিধার জন্য পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ঢাকায় গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান ড.কামালের
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন জনগণকে অপকর্ম ও অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন অনৈতিক কাজ ও অপকর্মের কারণে দেশ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করুন এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত নতুন রাজনৈতিক দল ‘নৈতিক সমাজ’ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও প্রথম কাউন্সিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. কামাল।
তিনি বলেন, দেশকে অনৈতিক ও অপকর্ম থেকে মুক্ত করতে হবে। আমরা আশা করি আপনারা সবাই দেশে আইনের শাসন, জন-নিরাপত্তা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবেন।
আরও পড়ুন: নির্দলীয় সরকার চান ড. কামাল
ড. কামাল নৈতিক সমাজের কাউন্সিলের সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করেন এবং দলের নেতা-কর্মীদের জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
গত বছরের ৩০ মার্চ মেজর জেনারেল (অব.) এ এম এস এ আমিন রাজনীতিতে ন্যায়পরায়ণ নেতৃত্ব ও নৈতিক মূল্যবোধ তৈরির লক্ষ্যে ‘নৈতিক সমাজ’ গঠন করেন।
এ সময় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান সরকার নীতিহীন। কারণ তারা ভোট ডাকাতি করে জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। বাংলাদেশের যে কোনো জায়গায় কাউকে জিজ্ঞেস করলেই বলবে, এই সরকার নীতিহীন।
সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে সরকারের ব্যর্থতার জন্য তিনি কঠোর সমালোচনা করেন।
মান্না বলেন, চাল, আটা, তেল, পেঁয়াজের মতো অত্যাবশ্যক খাদ্যদ্রব্য কিনতে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা ট্রাকের পেছনে মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে, কারণ পণ্যের আকাশছোঁয়া দামের কারণে তাদের জীবন সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৯৭৪ সালে দেশে বড় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, একই দল এখন ক্ষমতায় থাকায় এখনও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথাও তুলে ধরেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক।
আরও পড়ুন: ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথ দখলের আহ্বান ড. কামালের
সরকারকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চান ড. কামাল
২ বছর আগে
ধর্ষণকারীদের কঠোর হাতে দমন করতে সরকার বদ্ধপরিকর: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ধর্ষণকারীরা যে পরিচয়ই ব্যবহার করার চেষ্টা করুক না কেন, তাদের কঠোর হাতে দমন করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর।
৪ বছর আগে