সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনভিত্তিক শিশুতোষ গ্রন্থ ‘আমি হবো আগামীদিনের শেখ হাসিনা’র প্রকাশনা অনুষ্ঠান শেষে এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এ ধরনের অপকর্মের সাথে যুক্ত, তারা হচ্ছে দুষ্কৃতিকারী। তাদের অন্য কোনো পরিচয় থাকতে পারে না। সরকার এ ধরনের দুষ্কৃতিকারীদের কঠোর হাতে দমনের জন্য বদ্ধপরিকর। ইতোপূর্বেও এ ধরনের ঘটনার অনেকগুলোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দিতে মাঝে মধ্যে বিএনপির পক্ষে অপচেষ্টা চালানো হয়। বিএনপি তো দলীয়ভাবে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশে নারী ধর্ষণ করেছে। ২০০১ সালের পর ৮ বছরের শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও ধর্ষণ করা হয়েছে এবং পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ করে নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে সেখানকার নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনও অনেকে বয়ে বেড়াচ্ছে। বিএনপি এ ধরনের ধর্ষণের সাথে দলীয়ভাবে যুক্ত ছিল।’
ধর্ষণের অনেক শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি তা কিন্তু নয়, আগেও ঘটত। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এত ব্যাপকতা ছিল না, ফলে এ ঘটনাগুলো আড়ালে থেকে যেত।
তিনি বলেন, ‘মানুষের জবাবদিহির জায়গা আগের থেকে অনেক বেড়েছে। আগে এ ধরনের ঘটনা প্রকাশ পেত না। এখন সব ঘটনাই প্রকাশ্যে আসে, এতে করে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সহজ হচ্ছে। অতীতের যেকোনো সময়ের থেকে এখন জবাবদিহি বেড়েছে।’