যৌথ অভিযান
মেহেরপুরে যৌথ অভিযানে মাদক জব্দ, আটক ৪
মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর পৃথক দুটি যৌথ অভিযানে মাদক বহনের অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে তাদের পৃথক স্থান থেকে আটক করে।
অভিযানে অংশ নেয় সেনা সদস্য, বিজিব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
আটকরা হলেন- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ভাগজাতপুর গ্রামের ইসমাইল মন্ডলের স্ত্রী তিলোক জান (৪৫), একই উপজেলার মুন্সিগঞ্জ অক্টোর নগর গ্রামের আসমত ব্যাপারীর স্ত্রী কোহিনুর খাতুন (৫০), মেহেরপুরে গাংনী উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের নবীনপুরের ইন্তাজুল হোসেন ওরফে ইন্তা (৪৮) ও একই গ্রামের জয়নাল আবেদীন(৪৬)।
আরও পড়ুন: সিলেটে দুই ট্রাকবোঝাই ৪৩০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ৩
মেহেরপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল হাসেম জানান, মাদক পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনা সদস্য ২৭ আর্টিলারি রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন রওশনের নেতৃত্বে মেহেরপুর কুষ্টিয়া সড়কের জোড়পুকুরিয়া নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে ৮ কেজি গাঁজা, তিনটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৭ হাজার টাকা, মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ব্যাটারিচালিত পাখি ভ্যানসহ তিলোক জান, কোহিনূর খাতুন ও ইন্তাজুলকে আটক করে।
পরে সাহারবাটি ডিসি ইকো পার্কের গুচ্ছগ্রামের জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৪ কেজি গাঁজা, ১৭ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক বিক্রয়ের নগদ ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা জব্দ করে।
আটকদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার আগে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, ‘যৌথবাহিনীর অভিযানে আটকদের থানায় হস্তান্তর করেছে। আইনি প্রক্রিয়ায় মাদকচক্রদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ৪৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাসহ ৪০৪৪ কেজি পলিথিন জব্দ
১ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে ৩ হাসপাতাল মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের যৌথ অভিযানে তিনটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া সুলতানা কেয়ার ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জান গেছে, রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বেলকুচি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী, এনএসআই, সিভিল সার্জন অফিস ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান চালায়।
এ অভিযান চলাকালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা, সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করা, স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফি বেশি রাখা ও কাগজপত্র সঠিক না থাকার অপরাধে বেলকুচি পৌর এলাকার চালা মহল্লার ঢাকা জেনারেল হাসপাতালকে এক লাখ টাকা, মুকুন্দগাঁতী বাজারের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা ও বেলকুচি প্রাইভেট হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় এনএসআই’র যুগ্ম পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত ক্যাম্প কমান্ডার, উপপরিচালক নাসির উদ্দিন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় যৌথ অভিযানে ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সিলগালা, জরিমানা
চুয়াডাঙ্গায় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যৌথ অভিযান চালিয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।
এসময় একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করাসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশা নিধন অভিযান: লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা
এর আগে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান জেলার সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এরমধ্যেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও অবৈধভাবে নিয়ম না মেনে চলা ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলে।
জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমাও অভিযান পরিচালনা করতে নির্দেশনা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার যৌথ অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
অভিযানে, সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারের বিআরএম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম পাওয়া যায়।
এর মধ্যে রয়েছে- মানহীন অপারেশন থিয়েটার, সিজারিয়ানে একই চিকিৎসক এনেসথেসিয়া দেওয়া ও অপারেশন করা, ল্যাবের ব্যবস্থপনা সঠিক না হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির আরোপিত জরিমানার ১৩৭১৩৯২ টাকা পরিশোধ করেছে ঢাকা ওয়াসা
এসব অনিয়মে ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রতিষ্ঠানটিকে মেডিকেল প্রাকটিস ও বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮০ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও বন্ধ করে সিলগালা করা হয়।
এছাড়াও, সরোজগঞ্জ বাজারের মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকেও বন্ধ ঘোষণা করে সিলগালা করা হয়।
এর আগে অভিযানিক দল সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে অভিযান চালায়। সেখানে মেসার্স ক্রিসেন্ট ফার্মেসিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানেরই পাশের আরেকটি শাখাকে চূড়ান্ত সতর্ক করে প্রশাসন।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম আশিস মোমতাজ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, তিন প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সকর্ত করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ডিএনসিসির ৬ ভবন মালিককে ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা জরিমানা
৪ মাস আগে
বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফের ৫৩ সদস্য আটক
বান্দরবানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে কেএনএফের ৫৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
রুমা উপজেলার সেনাবাহিনীর জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে. এম আরাফাত আমীন জানান, সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, এর মধ্যে ১৮ জন নারী। এছাড়া রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত
এ যৌথ অভিযানে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও কেএনএফের ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে রুমা উপজেলার ব্যাথেল পাড়াসহ ওই এলাকার বেশ কয়েকটি পাড়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ সরঞ্জামগুলো উদ্ধার করে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে. এম আরাফাত আমীন জানান, রবিবার রাতে পুলিশ থানচি ও জেলা সদরের রেইচা ক্যাম্প থেকে তিনজন কেএনএফ সদস্য ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালককে আটক করেছে। আটকদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম লালচিয়াম বম।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী জানান, রুমা থেকে ৪৯ জন, বান্দরবন থেকে তিনজন ও থানচি থেকে একজন কেএনএফ সদস্যকে আটক করে বান্দরবান জেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশি অভিযানে আটকরা হলেন- ভানন্নূন ময় বম, জেমেনিউ বম ও আমে লানচেও বম। এদের বাড়ি রুমা উপজেলার সিমত্লাংপি পাড়ায়। গ্রেপ্তার গাড়ির চালক মো. কফিল উদ্দিন সাগর। তার বাড়ি থানচিতে।
রবিবার রাত থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে বান্দরবানে। জেলার রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় এই অভিযান চলছে। অভিযানে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ৪টি এপিসি।
এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। উপজেলাগুলোতে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে সব ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।
একই সঙ্গে রুমা উপজেলায় যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাজারগুলো। সেখানকার লোকজন এখন আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
হাসপাতালগুলোকে রোগী এবং আহতদের সেবায় প্রস্তুত রাখার নির্দশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: এমপির নামে নকল সিল, ইউপি সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে ১২৫ টিকিট জব্দসহ কালোবাজারি চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার
৮ মাস আগে
ঢাকা বিমানবন্দরে যৌথ অভিযানে ২.১ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যৌথ অভিযান চালিয়ে বুধবার ২ দশমিক ১০৪ কেজি স্বর্ণের বারসহ স্বর্ণালঙ্কার জব্দ এবং ৪ জনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যরা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ জেলার আব্দুল কাদির (৪১) ও ইব্রাহিম খলিল (৪০), পটুয়াখালী জেলার জুয়েল হোসেন (৩৪) ও গাজীপুর জেলার খোরশেদ আলম (৪২)।
এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, দুবাই থেকে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আটকদের সবাই ওই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে এনএসআই ও এপিবিএনের যৌথ দল ভোর ৬টার দিকে গ্রিন চ্যানেল দিয়ে যাওয়ার সময় ৪ জনকে থামায় এবং তল্লাশি করে।
পরে তাদের কাছ থেকে সুকৌশলে নিজের দেহে রক্ষিত স্বর্ণের বার, স্বর্ণের গুঁড়া ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত স্বর্ণের বাজার মূল্য ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দরে দেড় কেজি স্বর্ণ জব্দ, যাত্রী আটক
শাহ আমানত বিমানবন্দে ওমান ফেরত উড়োজাহাজ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
১০ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও সন্ত্রাস ঠেকাতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদকরোধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ অভিযানে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও থাকতে পারে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে রোহিঙ্গা সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভায় অংশগ্রহণ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রক্তপাত হচ্ছে। তাদের অপতৎপরতা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে ঢাকার রাজপথ দখলের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, সেজন্য সভায় এভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা যেন ক্যাম্পের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালাতে না পারে; সেই লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল, চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা হবে। আরসা ও আরাকান আর্মির কেউ যেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে না ঢুকতে পারে, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সেজন্য প্রয়োজন মোতাবেক সেনাবাহিনীসহ যৌথ অভিযান হতে পারে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে ব্যাপক অভিযান চলবে। প্রয়োজনে যৌথ অভিযান চলবে। ক্যাম্প থেকে যেন কোনো রোহিঙ্গা বের হয়ে না আসতে পারেন, সেজন্য কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছি, ওয়াচ টাওয়ার হয়েছে, সেখানে নিয়মিত টহলের ব্যবস্থাও আছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেগুলো আরও জোরদার করা হবে। যাতে তারা বাইরে না আসতে পারেন। যৌথ টহলসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় তৎপর থাকবে।
আরও পড়ুন: বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা ফেরত দিতে পারেন, তার জন্য অর্থ দিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাহাড়ে কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মঙ্গলবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) ও বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন যৌথ অভিযান চালিয়ে দুই হাজার ২৬৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে। এ সময় এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়।
গ্রেপ্তার নূর মোহাম্মদ (৩৮) কক্সবাজারের উখিয়া থানার পালংখালী গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ও ডিএনসির সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ দল সকাল থেকে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সামনে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে সন্দেহভাজন নূর মোহাম্মদকে পাবলিক টয়লেটের সামনে দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি আরও বলেন, এ সময় তাকে অপ্রস্তুত ও সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালানোর চেষ্টা করলে যৌথ বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রাতভর মাদক ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ, মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ১৩
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নূর মোহাম্মদ কোনো ধরনের মাদক বহনের কথা অস্বীকার করলেও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কার্যালয়ে আনা হলে সে স্বীকার করে যে তার কাছে ইয়াবা আছে। পরে সে নিজেই তার কাছে থাকা ইয়াবা বের করে।
গণনা করে দেখা গেছে যে তার কাছে দুই হাজার ২৬৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ছিল।
অতিরিক্ত এসপি জিয়াউল হক বলেন, বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ সদস্যরা ২০১৮ সালে নূর মোহাম্মদকে ইয়াবার চালানসহ গ্রেপ্তার করেছিল। তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়। বর্তমানে সে ওই মামলায় জামিনে রয়েছে। জামিনে বেরিয়ে আবারও ইয়াবা পাচারে জড়িয়ে পড়ে সে।
জিয়াউল হক বলেন, তার বিরুদ্ধে আরও অন্তত দুটি মাদক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে কারেন্ট জালসহ মাদক জব্দ, যুবক আটক
১ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে দুই ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা
র্যাব-১২ ও জেলা প্রাসশনের যৌথ অভিযানে সদর উপজেলায় দুই ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৪ বছর আগে