বিপিসি
ফিলিং স্টেশন মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে সোমবার থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: বিপিসি
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পরিচালক অনুপম বড়ুয়া বলেছেন, সংগঠনটি দেশের পেট্রোলিয়াম জ্বালানি সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং পেট্রোল পাম্প মালিকরা চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ফিলিং স্টেশন মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে এবং সারাদেশে জ্বালানি সরবরাহ ব্যাহত হলে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) নগরীর বিপিসির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েল কোম্পানির বোর্ডরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পেট্রোল পাম্প মালিকদের কিছু দাবি পূরণ হয়েছে এবং বাকিগুলো বিবেচনাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিপিসি’র বর্ধিত কার্যক্রম পরিচালনায় জনবল বাড়ানোর তাগিদ
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকার ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে কোনো আন্দোলন গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিপিওএ) একটি অংশের নেতারা দাবি করেছেন, অন্য উপদলের নেতারা যারা ধর্মঘট ডেকেছে তারা সংগঠনের কেউ নয়।
ধর্মঘটের বিরোধিতাকারী বিপিপিওএ-এর সভাপতি নাজমুল হক বলেন, তহবিলের অপব্যবহার করার জন্য ওই নেতাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
নগরীর যমুনা অয়েলের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যেহেতু সরকার ইতোমধ্যে আমাদের তিনটি দাবির একটি পূরণ করেছে এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি দুটি পূরণের আশ্বাস দিয়েছে তাই আমরা এই ধর্মঘটকে সমর্থন করি না।
এর আগে ২৭ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল ও সভাপতি ও মহাসচিব মিজানুর রহমান রতনের নেতৃত্বে বিপিপিওএ’র উপদল হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।
তারা জানান, ৩১ আগস্টের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করবে সংগঠনের সদস্যরা।
ফলে জ্বালানি বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ তাদের তিন দফা দাবি আদায়ে রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সকাল থেকে খুলনায় জ্বালানি ব্যবসায়ীদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে।
সকাল ৮টা থেকে পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা তেল ডিপো থেকে জ্বালানি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ ট্যাঙ্ক-লরি মালিক সমিতি, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ধর্মঘট পালন করছে।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
জ্বালানি বিক্রির কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করা, ট্যাঙ্ক-লরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর নির্ধারণ করা এবং পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জ্বালানি ব্যবসায়ীদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে উল্লেখ করে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিপিসি কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বিপিসির দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির দরকার হতো না: সিপিডি
১ বছর আগে
বিপিসি’র ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ৩ মাসের মধ্যে দুদককে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসি) বিরুদ্ধে ৪৭২ কোটি টাকার বেশি অনিয়মের অভিযোগে বিষয়ে করা মামলার তদন্ত আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে একটি সুয়োমটো (স্বপ্রণোদিত) রুলের শুনানিতে এ আদেশ দেন।
এর আগে ৪৭২ কোটি টাকার বেশি অনিয়মের ব্যাপারে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ব্যাপারে এসএওসির ৫ পরিচালকের একজন এবং এর ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত চলছে।
মঈনুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অনিয়মে জড়িতের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক।
তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে এবং ট্রায়াল কোর্ট তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন। পরে আদালত এ মামলার তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ৪ নভেম্বর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় ‘৪৭২.৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বিপিসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান’- শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। পরে ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট সুয়োমটো রুল ও আদেশ জারি করেন। আদেশে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়মের ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চান।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
একইসঙ্গে অনিয়মের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশন, অডিটর জেনারেল ও বিপিসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসিএল) ২১ অনিয়মের কারণে সরকার ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ২০১২-১৩ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানতে পেরেছে।
বিপিসি ও এশিয়াটিক ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যে ৫০-৫০ যৌথ উদ্যোগ এসএওসিএল। প্রতিষ্ঠানটি ইঞ্জিন তেল, যানবাহনের তেল, ডিজেল, বিটুমিন, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস ও ফার্নেস তেল বিপণন ও বিতরণ এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানে জেট ফুয়েল সরবরাহ করে।
এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনায় যেসব অসঙ্গতি দেখা গেছে, এগুলোর মধ্যে রয়েছে শীর্ষ কর্মকর্তাদের দ্বারা অর্থ আত্মসাৎ, উচ্চ হার, ওভারটাইম, অনুপস্থিত তহবিল, মামলা-মোকদ্দমা ফি প্রদানে অনিয়ম ও আয়কর অধ্যাদেশ এবং ভ্যাট বিধি লঙ্ঘন।
প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ পরিচালকের একজন ও এর ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদ এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, ২০১১-১২ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত মঈনুদ্দিন আহমেদের মালিকানাধীন এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির কাছে এসএওসিএলের বিক্রি করা লুব্রিকেটিং তেলের বকেয়া পরিশোধ না করার কারণে সংস্থাটির ১৯৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এসএসিওএলের নথিগুলোতে দেখা গেছে, এওসিএল চালানের বিপরীতে চেক সরবরাহ করেছিল। তবে, চেকে উল্লেখ করা অর্থ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া হয়নি।
এছাড়া কোম্পানি আইন অনুযায়ী, অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ। বকেয়া পরিশোধ না করার কারণে এওসিএলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সিএজি বলছে, ‘এটি গুরুতর অনিয়ম।’
আরও পড়ুন: টিপু-প্রীতি হত্যা: বিডি বাবুকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
২০১১-১২ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত কোম্পানির জন্য এসএওসিএলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অগ্রিমের জন্য কোনো ভাউচার বা চালান সরবরাহ না করেই ৮৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা নিয়েছিলেন মঈনুদ্দিন আহমেদ।
তিনি ২০১২-১২ থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত ২৩ কোটি ১১ লাখ টাকা অগ্রিম হিসেবে তুলে নিয়েছেন। কারণ টাকা তোলার কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। তিনি কখনও এই টাকা ফেরত দেননি।
অর্থ তছরুপের দুটি ঘটনায় মঈনুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে তার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং তার ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, এসএওসিএলের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা অর্থ দিয়ে মঈনুদ্দিন আহমেদ গুলশানে ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় তার স্ত্রীর নামে দুটি ফ্ল্যাট এবং ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা দিয়ে রাজধানীর লালমাটিয়া, উত্তর কমলাপুর, বারিধারা, বসুন্ধরা ও চট্টগ্রামের হালিশহরে ৬টি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এসএওসিএলের চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা তুলে সেই অর্থ নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেন মঈনুদ্দিন আহমেদ।
২০১৩-১৪ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মধ্যে আমদানি করা এক লাখ ৩৪ হাজার ৩২৫ ড্রাম বিটুমিন হারিয়ে যাওয়ার কারণে এসএওসিএলের বইয়ে ৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঘাটতি রয়েছে। বিটুমিন ড্রামগুলো চট্টগ্রামের পোর্ট কলোনির গুদামে সংরক্ষণ করা হয়েছিল।
সেখানকার প্রহরী জানান, এসএওসিএলের চাহিদাপত্র দেখেই তিনি সেই পণ্য নিয়ে যেতে দিয়েছেন। তবে গুদামের মালিক এ ধরনের কোনো চাহিদাপত্রের কথা অস্বীকার করেন।
প্রতিষ্ঠানটির কাছে কোনো স্টক রিপোর্ট ছিল না। নিরীক্ষকরা এই ধরনের ঢিলেঢালা অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিপিসিকে দায়ী করেন এবং আর্থিক ক্ষতির জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য এই বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত লুব-ভিত্তিক তেল ও বিটুমিন আমদানির খাতে এসএওসিএলের অ্যাকাউন্টে আরও ৬৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার ঘাটতি রয়েছে।
প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ গালফ পেট্রোলিয়াম পিটিই, গালফ পেট্রোলিয়াম পিএলসি, ইউনাইটেড অয়েল কোম্পানি ও ইউনাইটেড পেট্রোকেমিকেলের নামে নন-অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক ইস্যু করেছিল। চেকগুলোর অর্থ উত্তোলন করা হয়েছিল। তবে, এর বিপরীতে কোনো ভাউচার বা চালান পাওয়া যায়নি। কিছু চেকের পেছনে করা সইয়ে দেখা গেছে, এসএওসিএল কর্মকর্তারা চেকগুলো থেকে অর্থ উত্তোলন করেছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ অনিয়মের পেছনে দায়ী মঈনুদ্দিন আহমেদ ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহেদ। এই দুইজন সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা দিয়ে জীবন বীমার প্রিমিয়ামও কিনেছিলেন। এসএওসিএলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেই সেই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
১ বছর আগে
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিডি
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ভর্তুকি হিসাবে ৫৬ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উত্থাপিত প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে।
বৃহস্পতিবার সিপিডি অফিসে ‘খসড়া সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি): পরিচ্ছন্ন জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে কি?’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না কেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এত বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি চাওয়ার সময় খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায়।
তিনি বলেন, মোট প্রস্তাবিত অর্থের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে ৩২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, পেট্রোলিয়াম আমদানির জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কাছে ১৯ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা এবং পেট্রোবাংলার কাছে এলএনজি আমদানির জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেটে নিম্ন-মধ্যম আয়ের জনগণের জন্য কোনো সুখবর নেই: সিপিডি
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানোর প্রস্তাবে আমরা একমত নই’।
তিনি আরও বলেন, বরং সরকারের উচিত বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমাতে বেশি ভাড়া এবং কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করতে একটি পরিকল্পনা নেয়া উচিত।
সিপিডি গবেষণা পরিচালক বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিপিসি এখন জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পরে পেট্রোলিয়াম ব্যবসায় লোকসানের পরিবর্তে প্রচুর মুনাফা করছে, কারণ বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে।
তিনি দাবি করেন, বিপিসি এখন প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি করে ৩০ টাকার ওপরে লাভ করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হতে পারে মূল্যস্ফীতির কারণে মন্ত্রণালয় এত বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি চেয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
খসড়া সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি)গ্রহণের জন্য সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করে ডা. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এর কিছু ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে।
তিনি বলেন,‘কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা এই পদক্ষেপের প্রশংসা করি, কারণ এটি নবায়ণযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নে আগের তুলনায় তারা (সরকার) অনেক বেশি মনোযোগ দিয়েছে।’
তিনি বলেন, তবে সরকার এখন ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল লক্ষ্য থেকে সরে আসছে।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা বিবৃতিতে একটি বড় পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। কারণ তারা এখন লক্ষ্যমাত্রা ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি’র পরিবর্তে, ‘ক্লিন এনার্জি’ ‘৪০শতাংশ পর্যন্ত’ শব্দটি ব্যবহার করেছে।’
তিনি আরও বলেছেন, সরকার ‘কার্বন ক্যাপচার টেকনোলজি’ চালু করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ফেজ আউট পরিকল্পনা থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্ব এখন এই প্রযুক্তি থেকে সরে আসছে। কারণ এই পদ্ধতিটি পরিবেশ বান্ধব নয়। কারণ এই ধরনের প্রযুক্তি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কার্বন ক্যাপচার করতে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন:বিপিসির দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির দরকার হতো না: সিপিডি
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী সৌর ও অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির খরচ কমছে এবং মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ বা ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন সহজে বাস্তবায়নযোগ্য। কেননা অনেক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি দিন দিন সস্তা হচ্ছে। সরকারের উচিত অপ্রমাণিত প্রযুক্তির পরিবর্তে এই বিষয়ে প্রমাণিত প্রযুক্তির দিকে যাওয়া।’
তিনি আরও লক্ষ্য করেছেন যে সরকার শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির উৎসাহিত করতে চায়, অন্যদিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি যথাযথ মনোযোগ পায়না।
তিনি বলেন,‘প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাদ দেয়া হয়নি, তবে এটিকে উপেক্ষা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ব্যাংকগুলোতে আমানতকারীদের আস্থা ও সুশাসন নিশ্চিত করুন: সিপিডি আলোচনায় অর্থনীতিবিদরা
২ বছর আগে
বিপিসির এসএওসিএল-এ ৪৭২ কোটি টাকা অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসিএল ) ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়মের ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বত:প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদেন আমলে নিয়ে আজ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), অডিটর জেনারেল ও বিপিসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে হিমাদ্রী হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
দ্য ডেইলি স্টারে ৪ নভেম্বর ‘৪৭২.৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বিপিসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসিএল) ২১ অনিয়মের কারণে সরকার ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ২০১২-১৩ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানতে পেরেছে।
বিপিসি ও এশিয়াটিক ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যে ৫০-৫০ যৌথ উদ্যোগ এসএওসিএল। প্রতিষ্ঠানটি ইঞ্জিন তেল, যানবাহনের তেল, ডিজেল, বিটুমিন, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস ও ফার্নেস তেল বিপণন ও বিতরণ এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানে জেট ফুয়েল সরবরাহ করে।
এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনায় যেসব অসঙ্গতি দেখা গেছে, এগুলোর মধ্যে রয়েছে শীর্ষ কর্মকর্তাদের দ্বারা অর্থ আত্মসাৎ, উচ্চ হার, ওভারটাইম, অনুপস্থিত তহবিল, মামলা-মোকদ্দমা ফি প্রদানে অনিয়ম ও আয়কর অধ্যাদেশ ও ভ্যাট বিধি লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন: বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণ: খুলনার বার সমিতির সভাপতিসহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
৩ আসামিকে অব্যাহতির আদেশ বাতিল হাইকোর্টের
২ বছর আগে
পেট্রোল পাম্প মালিকদের ধর্মঘট ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত
দেশের পেট্রোল পাম্প মালিকেরা তাদের পূর্বঘোষিত ‘পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট’ আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গে ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর, এজেন্ট ও পেট্রোল পাম্প মালিকদের সংগঠনের নেতাদের বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
তারা জানায়, পেট্রোল পাম্প মালিকরা বিপিসি’র অনুরোধে ধর্মঘট স্থগিত করেছে।
পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল হক বলেন, ‘আমরা ১৫ দিনের জন্য ধর্মঘট স্থগিত করেছি। যদি এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হয়, তাহলে আমরা ১৪ তারিখ থেকে আবারও ধর্মঘট পালন করবো।’
এর আগে গত ২৪ আগস্ট সংগঠনটির নেতারা সাত দিনের মধ্যে তাদের বিক্রয় কমিশন বাড়ানো সহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে ৩১ আগস্ট থেকে ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দেয়।
বিপিসি চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ বলেন, তিনি পেট্রোল পাম্প মালিকদের বিষয়টি সমাধানে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: ধর্মঘটের হুমকি পেট্রোল পাম্প মালিকদের
খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট
২ বছর আগে
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিপিসি কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সাম্প্রতিক জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার বিকালে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের একদল শিক্ষার্থী।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে তারা বিপিসির বোর্ড রুমে প্রবেশ করে। যেখানে সংগঠনটির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ব্রিফ করার কথা ছিল।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা যখন প্রেস ব্রিফিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তখন এই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে।
তবে বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন না বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ। তিনি তার কক্ষে বৈঠক করছিলেন।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নীলক্ষেতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
শিক্ষার্থীরা বলেন, অযৌক্তিকভাবে জ্বালানির দাম বাড়ানো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
পরে শিক্ষার্থীরা বিপিসি চেয়ারম্যান এবিএম আজাদের কাছে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি দেয়।
এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ থেকে ৮০ টাকা বাড়িয়ে দেয় সরকার।
এর ফলে, বাসের ভাড়া অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রায় ২৭ শতাংশ এবং লঞ্চের ভাড়া ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা জাপার
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
২ বছর আগে
বিপিসির দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির দরকার হতো না: সিপিডি
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) দুর্নীতি, চুরি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থাটির দক্ষতা বৃদ্ধি করে সরকার জ্বালানির নজিরহীন মূল্যবৃদ্ধি এড়াতে পারত বলে দাবি করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই পর্যবেক্ষণ দেয় থিংক ট্যাংকটি।
সিপিডির মতে, বাংলাদেশে প্রতি লিটার অকটেনের দাম প্রতিবেশী ভারতের দামের তুলনায় ১০ টাকা বেশি এবং ডিজেলের দাম ২ টাকা বেশি।
বৈশ্বিক আরএমজি বাজারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের তুলনায় অকটেনের দাম ২৯ টাকা এবং ডিজেলের দাম ১৬ টাকা বেশি।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
এটি সরকারকে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এই বৃদ্ধি অর্থনীতিতে বহুগুণ প্রভাব ফেলবে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খায়রুন বলেন, ‘জ্বালানির দাম বৃদ্ধি বর্তমান সাড়ে সাত শতাংশ মূল্যস্ফীতিকে আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাবে।’
‘এখন কি নজিরহীন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এড়ানো যায়’ শীর্ষক একটি উপস্থাপনা করেছেন তিনি।
২ বছর আগে
আগামী মাসে পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়তে পারে: নসরুল হামিদ
সরকার আগামী মাস থেকে পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শুক্রবার তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘তবে পরিবহন ব্যবসা পরিচালকসহ সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত আসবে।’
তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রতিদিন ৯০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। ডিজেল ও অকটেনের দামে সমন্বয় আসতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এই ক্ষতি পূরণ করতে আমাদের জ্বালানির দামের সমন্বয় বিবেচনা করতে হবে। প্রতিবেশী ভারত ইতিমধ্যে প্রতি লিটারে ৫০ রূপি বাড়িয়ে দাম সমন্বয় করেছে।
আরও পড়ুন: পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে: অর্থমন্ত্রী
গত ৭ বছরে বিপিসির প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিপুল মুনাফা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, ইতিমধ্যে সেই লাভ লোকসানের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
সরকার সর্বশেষ ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করে এবং এটি ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়।
এদিকে বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি বলেন, ‘যখনই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তখনই আপনাদের জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক গ্রুপ থেকে সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি কিনবে টিসিবি
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) পরপর দুটি বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে ভার্চুয়ালি ব্রিফিং করার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে সরকার সব সময় ভার বহন করার চেষ্টা করে।
কামাল বলেন, ‘কিন্তু যখন দাম অতিরিক্ত বেড়ে যায় তখন সরকার জনগণের সঙ্গে ভার ভাগ করে নেয়।’
তবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ২০১৫ সাল থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে এমন তথ্যের জবাব দেননি তিনি।
মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি মানুষকে কষ্ট কম দেয়া।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেলের ক্রমবর্ধমান বাজার হয়ে উঠছে ভারত, চীন
২ বছর আগে
খুলনায় ৬ দফা দাবিতে মালিক-শ্রমিকদের ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি
জ্বালানি তেলের ওপর কমিশন বৃদ্ধিসহ ৬ দফা দাবিতে খুলনায় জ্বালানী তেল সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকরা দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে খুলনার নতুন রাস্তা শ্রমিক ভবনের সামনে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের সমর্থনে খুলনায় এ কর্মবিরতি পালন করেন চারটি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মঘটের ডাক জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের
সংগঠনগুলো হলো-বাংলাদেশ তেল পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যান সমিতি।
কর্মবিরতি পালনকালে সভায় বক্তরা বলেন,জ্বালানী তেলের দাম বাড়লেও তেল পরিবহন ও উত্তোলনের সংশ্লিষ্টদের কমিশন বৃদ্ধি করা হয়নি। বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনে (বিপিসি) একাধিকবার চিঠি ও অভিযোগ জানিয়ে নামমাত্র কমিশন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যা মালিক ও শ্রমিকদের কোনো কাজে আসবে না।
৬ দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে- জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট যা গেজেট আকারে প্রকাশ, ট্যাংকলরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রদান চালু, ট্রেড ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতীত অন্য কোন দপ্তর কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক ফিলিং স্টেশনের প্রবেশদ্বারে জমির জন্য ইজারা গ্রহণ প্রথা বাতিল, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সকল তেল ডিপোতে ট্যাংকলরী শ্রমিকদের বিশ্রামাগার ও শৌচাগার নির্মাণ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আলী আজিম, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মিজু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: কাজাখস্তানে ১২ পুলিশসহ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী নিহত
২ বছর আগে
জ্বালানি খাতে মাসুল বাড়াচ্ছে একাধিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা
জ্বালানি খাতে একাধিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপের কারণে অপারেটর ও গ্রাহক উভয়ের ব্যয় বাড়ছে। বিশেষ করে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) এবং সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ব্যবসায় মাসুলের ওপর এর বড় প্রভাব পড়ছে।
৩ বছর আগে