নিষ্পত্তি
রানা প্লাজা ধস: ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
সাভারে রানা প্লাজা ধসে হতাহতের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
একই সঙ্গে ভবন মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিনসংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশ বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৮ বছর
জামিন স্থগিত থাকায় সোহেল রানা মুক্তি পাচ্ছেন না বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন (লিভ টু আপিল) শুনানির নির্ধারিত দিন সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আরও পড়ুন: ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি’ নিয়ে দৃক গ্যালারিতে চলছে প্রদর্শনী
সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মুনমুন নাহার।
এর আগে গত বছরের ১০ জুলাই আপিল বিভাগ রানার জামিন আবেদনের বিষয়টি (স্ট্যান্ডওভার) মূলতবি করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সেটি শুনানি হয়।
গত বছরের ৮ মে ঢাকার অদূরে সাভারে রানা প্লাজা ধসে হতাহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন (লিভ টু আপিল) শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা শুরু
একই সঙ্গে এই সময় পর্যন্ত সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এই মামলায় সোহেল রানার জামিন মঞ্জুর করে (রুল অ্যাবসলিউট) গত ৬ এপ্রিল রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা গত ৯ এপ্রিল চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য উঠে।
সেদিন চেম্বার আদালত সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি ৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: সোহেল রানার জামিন আদেশ আরও ৬ মাস স্থগিত
তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১০ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ রানার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের বিষয়টি (স্ট্যান্ডওভার) মূলতবি করেছিলেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক নিহত হন। গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেন ১ হাজার ১৬৯ জন।
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় একই বছরের ২৯ এপ্রিল বেনাপোল থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর থেকে তিনি কারাগারে।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ধসের ৯ বছর আজ
১১ মাস আগে
রিজেন্ট সাহেদের জামিন বহাল, মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চকে আপিল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
দুদকের আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্টের সাহেদের জামিন চেম্বার আদালতে স্থগিত
আদালতে সোমবার দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সাহেদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
গত ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের ওই রায় দেন।
রায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার জন্য কারাগারে থাকা সাহেদকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর এ মামলায় তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
পরে তার জামিন আবেদন শুনে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দণ্ডপ্রাপ্ত এ মামলায় সাহেদকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে সোমবার এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তার নামে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়।
কারাগারে থাকাকালে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়।
সাহেদ এরপরও তা জমা দেননি। এরপর সম্পদের হিসাব না দেওয়া ও অবৈধভাবে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলা করেন।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এরপর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। পরে গত ২১ আগস্ট রায় দেন আদালত।
সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন একটি আদালত।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ঘোষণা ২১ আগস্ট
৩২.৪৬ কোটি টাকা বকেয়া: রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে সরকার
১ বছর আগে
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: ৬ মাসের মধ্যে বিচার নিষ্পত্তির নির্দেশ
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার বিচার ৬ মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রবিবার (২৭ আগস্ট) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে এ মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তির জামিন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে মেয়র জাহাঙ্গীরের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা
আদালতে আসামি মুক্তির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম।
গত ১৯ জুলাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তির জামিন আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
একইসঙ্গে তথ্য গোপন করে জামিন আবেদন করায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান মুক্তি।
সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মুক্তি। যে আবেদনের ওপর আজ শুনানি হয়।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তে এ হত্যায় তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান ও তার ভাইদের নাম আসে।
২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
এ মামলায় আমানুর ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ওরফে কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান ওরফে বাপ্পাসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে আনা যৌন নির্যাতনের মামলার শুনানি শুরু আপিল বিভাগে
বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য, মেয়রকে আপিল বিভাগে তলব
১ বছর আগে
আগের আইনের মামলা নতুন আইনে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করছে সরকার।
তিনি বলেন, তবে আগের আইনে হওয়া মামলা নতুন আইনে নিষ্পত্তির চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, নতুন আইনে শাস্তি কমানো হয়েছে, আগের আইনের অপরাধের মামলা নতুন আইনে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলাগুলো চলবে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেগুলো নিয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করব। পুরনো আইনে যে অপরাধগুলো করা হয়েছে, পুরনো আইনের শাস্তি আদালত দিতে পারেন। কিন্তু সেখানে আমরা চিন্তা-ভাবনা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ আইনে অনেকাংশ কমানো হয়েছে। সেই কমানোটাই সরকার ও আইন সভার উদ্দেশ্য। সেই কমানোটা যাতে বাস্তবায়ন করা হয় সেই চেষ্টাটা আমরা করব।’
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনে মানহানির সর্বোচ্চ শাস্তি জরিমানা: আইনমন্ত্রী
স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যাতে মাথা তুলতে না পারে: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দীর্ঘসময় ধরে মামলা বিচারাধীন থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। এতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে যশোরের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি দুই দশক এবং তারও বেশি আগের বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান বিচারপতি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পৌঁছান। এসময় লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর তিনি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আদালত প্রাঙ্গণে একটি জলপাইগাছের চারা রোপণ করেন।
আরও পড়ুন: আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক: প্রধান বিচারপতি
সাড়ে ১০টায় তিনি যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং ভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
এছাড়া পিপি ইদ্রিস আলী তাকে খেজুর গাছ সম্বলিত একটি উপহার প্রদান করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-স্পেশাল জজ মোহাম্মদ সামছুল হক, নারী ও শিশু নির্যাদন দমন-১ এর বিচারক গোলাম কবির, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ মাইনুল হক, মুখ্য বিচারিক হাকিম ফাহমিদা জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জয়ন্তিরানী দাস, সোহানী পুষন, তাজুল ইসলাম, বেগম সুরাইয়া সাহাব, সুমি আহম্মেদ, শিমুল কুমার বিশ্বাস, জুয়েল অধিকারী, সুপ্রিম কোর্টের আপ্রিল বিভাগের রেজিস্টার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, প্রধান বিচারপতির পিএস আরিফুল ইসলাম, মারুফ আহেম্মদ।
আরও পড়ুন: দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
১ বছর আগে
বাফুফে’র দুর্নীতি, অর্থ পাচারের বিষয়ে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো মতামত প্রকাশ নয়: হাইকোর্ট
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) দুর্নীতি-অর্থ পাচার, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ব্যারিস্টার সুমনসহ যেকোন গণমাধ্যমকে কোন ধরণের মতামত প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৪ জুন) সালাউদ্দিনের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই হাত হারানো শিশুকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
আদালতে কাজী সালাউদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি, অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির। অপর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
ব্যারিস্টার অনিক আর হক জানিয়েছেন, দুদকের অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ কোন মতামত প্রকাশ করতে পারবে না মর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ১৫ মে হাইকোর্ট বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির পক্ষে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। চার মাসের মধ্যে এ অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাতের অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা বা নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদকের চেয়ারম্যান, বিএফআইইউ প্রধান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বাফুফের কর্তা-ব্যক্তিদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে টিপু-প্রীতি খুন: ২ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
এই রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাফুফে’র দুর্নীতি ও অর্থ পাচার বিষয়ে কোন ধরণের মতামত প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বিষয়ে প্রচারিত পাবলিক ডোমেইনে থাকা ভুয়া ও মানহানিকর তথ্য অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়।
আবেদনে কাজী সালাউদ্দিনের মৌলিক অধিকার হিসেবে মর্যাদা ও গোপনীয়তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনকে (বিটিআরসি) কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না ও তার বিরুদ্ধে মানহানি ও যে কোনো ভুয়া তথ্য তৈরি এবং প্রচার থেকে বিরত রাখতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
একইসঙ্গে ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং পলিসি ২০১৪ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিতে আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় পাবলিক ডোমেইনে থাকা কাজী সালাউদ্দিনেকে নিয়ে করা মানহানিকর ও ভুয়া তথ্য অপসারণ করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে কাজী সালাউদ্দিনের বিষয়ে মানহানিকর ও ভুয়া তথ্য প্রচারে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন, একাত্তর টিভি, একাত্তর টিভির স্পোর্টস ইনচার্জ এহসান মাহমুদ, যুগান্তরের সিনিয়র স্পোর্টস জার্নালিস্ট মোজাম্মেল হক চঞ্চল, গ্লোবাল স্পোর্টসের সমন্বয়ক শাকিল মাহমুদ চৌধুরী, নীলফামারী জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি আরিফ হোসেন মুন, একাত্তর টিভির স্পোর্টস জার্নালিস্ট মেহেদী নাইম, পার্থ বণিক, মাহমুদুল হাসান সজিব, অর্ণব বাপ্পী, এহতেশাম সবুজ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হাসান, রিয়াসাদ আজিম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, কহিনুর কনাকে বিবাদী করা হয়। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ বিষয়ে মতামত প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম ও ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব
১ বছর আগে
ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের কর ফাঁকির বিষয়ে ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ
ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের কর ফাঁকির বিষয়ে কর আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে আদালত কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটসের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করতে এবং আপিলটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন।
এছাড়া এ বিষয়ে করা রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: সরকার যেনতেন নির্বাচনের ‘পাঁয়তারা’ করছে: ড. কামাল হোসেন
রায়ের ব্যাপারে কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটসের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন বলেছেন, কর ফাঁকির অভিযোগের বিষয়ে আমরা ট্যাক্সেস আপিলেট ট্রাইব্যুনালে আপিল করেছিলাম।
তিনি বলেন, ডিপোজিট জমা দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে আমাদের আপিল গ্রহণ করেনি আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে আমরা সেটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করি। অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স দেওয়া হয়েছিল, আমরা সেটাকে ডিপোজিট হিসেবে গ্রহণ করতে বলি।
তিনি আরও বলেন, হাইকোর্ট সোমবার রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দিয়েছেন। আমরা যেটা চেয়েছিলাম, সেটাই আদেশ দিয়েছেন। আমাদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করতে কর আপিল ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে আপিলটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ড. কামাল হোসেন ১ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫ টাকা আয় দেখিয়ে রিটার্ন দাখিল করেন। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজা ৩১৫ টাকা ট্যাক্স এবং সুদ ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা দাবি করে।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাজস্ব বোর্ডের এক ডেপুটি কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট যুগ্ম কমিশনারের কাছে আপিল করেন কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটস।
ওই আপিল শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২৫ জুন খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর যুগ্ম কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস কর আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন।
কিন্তু আইনে নির্ধারিত নির্দিষ্ট পরিমাণ ডিপোজিট জমা না করার কারণ দেখিয়ে আপিল ট্রাইব্যুনাল সেই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ না করেই খারিজ করে দেয়।
পরে গত বছরের জুনে কর আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটস।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চান ড. কামাল হোসেন
রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করতে চান ড. কামাল হোসেন
১ বছর আগে
সীমা হত্যার ৩২ বছরের পুরোনো মামলা ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
পুরান ঢাকার জগন্নাথ সাহা রোডে ৩২ বছর আগে খুন হওয়া সীমা মোহাম্মদী (২০) হত্যা মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে