বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
মামলার যে সাক্ষীর (চিকিৎসক) জন্য বিচার আটকে আছে তার সাক্ষ্য না পাওয়া গেলে প্রয়োজনে অন্যান্য নথিপত্রের ভিত্তিতে বিচার সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও এ সময়ের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করতে না পারলে বিচারকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদেশ বাস্তবায়ন করে এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সীমা হত্যার বিচার নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে ৬ অক্টোবর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন বুধবার আদালতের নজরে আনার পর এ আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
বিষয়টি আদালতের নজরে আনা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘আদালত তিন মাসের মধ্যে মামলাটি বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে।’
পুরান ঢাকায় ১৯৮৮ সালের ২৬ এপ্রিল খুন হন সীমা মোহাম্মদী। বাড়িতে ঢুকে ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে মোহাম্মদ আহমদ ওরফে আমিন নামে এক যুবক। ঘটনার পরপরই ওই যুবকের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন সীমার মা ইজহার মোহাম্মদী। দুই মাস পর ২৫ জুন পলাতক আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে যে সীমাকে বিয়ে করতে না পেরে আমিন এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
আসামিকে হাজিরের জন্য আদালত থেকে ১৯৯৯ সালের ২২ জুন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। পরে ২০০১ সালের ২৯ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের পরও সাক্ষ্য দিতে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের অনীহার কারণে মামলার বিচারকাজ বারবার পিছিয়ে যায়। অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের তৎকালীন প্রভাষক আনোয়ার হোসেন সাক্ষ্য দিতে অদ্যাবধি আদালতে হাজির হননি। তাকে এ পর্যন্ত অর্ধশত অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে।
মামলাটি বর্তমানে ঢাকার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক চমন বেগম চৌধুরীর আদালতে বিচারাধীন।