আধুনিকায়ন
কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে ল্যাব আধুনিকায়ন হচ্ছে
কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের ঝুঁকিমুক্ত আমদানি নিশ্চিতকরণ এবং আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক বিদেশে কৃষিপণ্যের রপ্তানি কার্যক্রম গতিশীল করতে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সেজন্য, উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ই-ফাইটোসেনেটারী সার্টিফিকেট পদ্ধতি প্রবর্তন এবং দেশের সকল সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের ল্যাবরেটরি আধুনিকীকরণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটে ‘স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি এবং টেকনিক্যাল ব্যারিয়ার টু ট্রেড’ বিষয়ক পাবলিক কনসাল্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিসচিব এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: গ্রামাঞ্চলে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকবে: কৃষিসচিব
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যের উল্লেখ করে সচিব জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক পণ্য রপ্তানি আয় ছিল ২৮৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা মোট পণ্যরপ্তানি আয়ের প্রায় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
এছাড়াও কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এখন জিডিপিত প্রায় ১.৭ শতাংশ অবদান রাখছে এবং প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করেছে। মোট রপ্তানিতে এর অংশ এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৫ শতাংশ।
সচিব বলেন, বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা উদ্ঘাটন এবং তা দূর করার জন্য বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) ‘স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি এবং টেকনিক্যাল ব্যারিয়ার টু ট্রেড শীর্ষক গবেষণা পরিচালনা করছে।
এটি দেশের কৃষি এবং কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে বিএফটিআইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের ডিজি হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রকল্পের পরিচালক মিজানুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং পরিচালক সৈয়দ রফিকুল আমিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরিকল্পনা নেই: কৃষিসচিব
২ বছর আগে
পাটখাতের উন্নয়ন,আধুনিকায়ন ও রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে: পাটমন্ত্রী
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, পাটখাতের উন্নয়ন, আধুনিকায়ন ও রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সরকার এ খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ)-এর একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত (পাট) তসলিম কানিজ নাহিদা, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরজু রহমান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান এফ,এম সাইফুজ্জামানসহ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিজেএমসি'র সকল বন্ধ মিলগুলো চালু করা হবে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, সরকার পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষকদের অন্যান্য উপকরণ সহায়তা দিচ্ছে। এজন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাটকলসমূহ নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে যা রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে - কৃষকরাও পাটের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, দেশে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেছেন। ইতোমধ্যে এখাতের উদ্যোক্তারা ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন - যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করার কাজ চলমান রেখেছে। এসব মেলা পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী ও বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে অধিক যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে সর্বদা পাটের বাজার দর পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এবছর পাট মৌসুম শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচাপাট বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ মৌসুমে কাঁচাপাটের উৎপাদনও সন্তোষজনক। পাট চাষিরা পাটের ভালো দাম পাবেন। কোন কারণে যেন কাঁচাপাটের দাম অসহনীয় না হয় সেজন্য সর্বদা কাঁচাপাটের বাজার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পণ্য রপ্তানি শুরুর মাধ্যমে পাটখাত পুনরুজ্জীবিত হয়েছে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
কারখানা নির্মাণে কোনো অনিয়ম চলবে না: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
২ বছর আগে
নৌপথ আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপথ আরও আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, দখল ও দূষণরোধে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী খননের কথা বলেছেন নির্বাচনী ইস্তেহারে দশ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কথা বলেছেন।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিআইডব্লিউটিএ’র উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক সংক্রান্ত বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, তাঁর প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ ব্যয় করা হবে। এ সক্ষমতা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আছে। সে অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে। বাংলার মানুষ এখন নদী নিয়ে ভাবছে, এটা আমাদের প্রথম সাফল্য।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক ও বিভাগীয় প্রধানরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:দেশে আরও ৩টি মেরিন একাডেমি স্থাপন করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীবৈঠকে জানানো হয় যে বিআইডব্লিউটিএ ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত (চলমান) ১২ হাজার ২৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। উদ্ধার হওয়া তীরভূমি/জায়গার পরিমাণ ৩৮৯.৬২ একর। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার, নওয়াপাড়া, ঘোড়াশাল ও টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।বৈঠকে আরও জানানো হয় যে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াওয়ে ও জেটিসহ আনুসাঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আগস্ট পর্যন্ত ৬ হাজার ২০২টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। ১০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে (পায়ে হাঁটার পথ) দৃশ্যমান হয়েছে এবং আরও ৪২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। আমিন বাজার, পাগলাবাজার পূর্ব প্রান্ত, পাগলাবাজার পশ্চিম প্রান্ত, মুন্সিখোলা, সিন্নিরটেক ও গাবতলীতে ছয়টি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং আলীগঞ্জ আফছার উদ্দিন ঘাট, আলীগঞ্জ মাদরাসা ঘাট, সুলতানা কামাল ব্রিজ সংলগ্ন, মাছুয়া বাজার ঘাট, নারায়ণগঞ্জ লেবার ল্যান্ডিং পয়েন্ট, নারায়ণগঞ্জ সাইলো পয়েন্ট, শিমরাইল ২ ও ৩ নম্বর ঘাট এবং সারুলিয়া লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্টে আরও আটটি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় একটি ইকোপার্ক নির্মিত হয়েছে এবং গাবতলীর বড়বাজার এবং নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় আরও দুটি ইকোপার্ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
আগামি ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় নির্মিত ইকোপার্কের উদ্বোধন করা হবে। একই সঙ্গে টঙ্গী নদী বন্দর থেকে ঢাকা বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট সার্ভিস এর উদ্বোধন করা হবে।চাঁদপুর নদী বন্দরের আধুনিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি আবর্জনা মুক্ত করার লক্ষ্যে ছয়টি রিভার ক্লিনিক ভেসেল সংগ্রহ, কক্সবাজার-মহেশখালী ফেরি সার্ভিস চালু, দুটি বড় ধরনের উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ, ড্রেজার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করাসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বন্দরের প্রত্যেক গেইটে স্ক্যানার বসানো হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
জাতীয় সংসদ আধুনিকায়নের কাজ পরিদর্শন করলেন স্পিকার
জাতীয় সংসদ আধুনিকায়ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
৪ বছর আগে