সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
লস এঞ্জেলেসে বহুভাষিকতা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আয়োজনে ২১ ফেব্রুয়ারি ‘বহুভাষিকতা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, পৃথিবীর প্রতিটি ভাষাভাষীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিনিধি, লস এঞ্জেলেস কাউন্টির রাষ্ট্রাচার প্রধান, বাহামা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, পেরু, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং উল্ল্যেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।
এসময় মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনা, বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের নেতৃত্বে বৈশ্বিক অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠার অনন্য বিষয়টি নতুন প্রজন্ম এবং অন্যান্য ভাষার মানুষের কাছে তুলে ধরা হয়।
বক্তারা ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাষা সংরক্ষণ এবং বহু ভাষাবাদের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন। বহুভাষাবাদ প্রচারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তারা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে বিলুপ্তির পথে থাকা ভাষা সংরক্ষণের গুরুত্বও তুলে ধরেন তারা।
৫২’র সকল ভাষা শহীদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কনসাল জেনারেল সামিয়া আঞ্জুম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করতে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড
স্বাগত বক্তব্যে দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগ ও ইউনেস্কোর সাধারণ অধিবেশনে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ কূটনৈতিক প্রজ্ঞার কথা স্মরণ করেন তিনি। ভাষা নিয়ে গবেষণা ও ভাষা সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত নানা উদ্যোগের চিত্রও এ সময় তুলে ধরা হয়।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ সঙ্গীতটির মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মহান ভাষা আন্দোলন ও বহুভাষিকতার ওপর দুটি ভিডিও চিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়। আলোচনা শেষে আয়োজিত বহুভাষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ভাষাভাষীর শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
এর আগে মহান একুশের প্রথম প্রহরে কনসাল জেনারেল, কনস্যুলেটের সকল সদস্য ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে প্রতীকী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিন সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
এছাড়া ভাষা শহীদ এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।আরও পড়ুন: বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা লন্ডন মিশনের
৯ মাস আগে
পহেলা বৈশাখ উদযাপনে গুগলের নতুন ডুডল
সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল হোম পেজে নিয়মিত গ্রাফিকের পরিবর্তে বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বিশেষ ডুডল বের করে বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ উদযাপন করছে।
গুগলের বিশেষ ডুডলে তুলে ধরা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখোশ, প্রতীক ও রং তুলি। বিশেষ এই ডুডলে ক্লিক করলেই পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রদর্শন করছে গুগল।
আরও পড়ুন: এবারও মহামারিতে উত্তাপ ছড়াতে পারল না পহেলা বৈশাখ উদযাপন
দেশে কিংবা বিদেশে, বিশ্বব্যাপী সকল বাঙালি একে অপরের সমৃদ্ধি কামনা করে প্রথাগত উপায়ে 'শুভ নববর্ষ'-র সাথে আন্তরিকভাবে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায়।
ঢাকার রমনা পার্কে একটি প্রাচীন বটতলায় ভোর হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয় এক অন্যতম ঐতিহ্যবাহী উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি উজ্জ্বল আনন্দময় শোভাযাত্রা।
বাঙালি সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, ঐতিহ্য এবং মানুষের পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে তরুণ থেকে বৃদ্ধ সকলে বর্ণীল মুখোশ পরে ও নানা প্রাণীর বিশাল প্রতিকৃতি নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: পহেলা বৈশাখ উদযাপনে সরকারের নিষেধাজ্ঞা
বাঙালিদের একত্র করে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গোটা দেশ রাস্তায় শোভাযাত্রা, মেলা এবং বড় বড় কনসার্টের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করে।
কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর টানা দ্বিতীয় বারের মতো অনেকটাই বর্ণহীনভাবে পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। এই বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিশাল জনসমাগম এড়ানোর জন্য নানা কর্মসূচি বাতিল করা হয়।
দিনটি ডিজিটালি উদযাপনের জন্য সকল টেলিভিশন চ্যানেল সকালে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে।
আজকের অ্যানিমেটেড ডুডলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো নানা প্রাণীর রঙিন চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নববর্ষ উদযাপন: দারাজের ‘বৈশাখী মেলা’ ক্যাম্পেইন
গুগল ডুডল হলো গুগলের হোমপেজে লোগোর একটি বিশেষ, অস্থায়ী পরিবর্তন যা বিশেষ বিশেষ দিন, উৎসব কিংবা কোন বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীকে ঘিরে উদযাপনের জন্য তৈরি। ১৯৯৮ সালে ডুডল প্রথম পরিচিতি লাভ করে।
৩ বছর আগে
৮ দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নিয়ে অনলাইন প্রর্দশনী
আন্তদেশীয় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিনিময়ের লক্ষ্যে আট দেশের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সোমবার অনলাইনে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ শীর্ষক এক প্রর্দশনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪ বছর আগে