আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এটুআইয়ের যৌথ উদ্যোগে ৬ মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে এ প্রর্দশনীর আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ভারত, রাশিয়া, তুরস্ক, দক্ষিণ অফ্রিকা, পাকিস্তান, ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো, কানাডা এবং বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয়া শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ দেশের ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজগুলো তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. আব্দুল মান্নান, ইউনেসকো ঢাকা কার্যালয়ের প্রোগ্রাম অফিসার কিজি তাহনিন ও এটুআইয়ের এডুকেশনাল টেকনোলজি এক্সপার্ট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, শিক্ষকরাই সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে। ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজের মতো আয়োজনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যগুলো তুলে ধরতে পারবেন।
তারা বলেন, ইনট্যানজিবল কালচার কেবল একটি দেশের সাংস্কৃতিক অবস্থানই তুলে ধরে না, একই সাথে একটি সমাজ বা গোষ্ঠীর নিজস্ব রীতিনীতি বা স্বকীয়তার বিষয়গুলোও তুলে ধরে, যা কোনো গোষ্ঠী সম্পর্কে জানতে বা অধ্যয়ন করতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
অনলাইনে অংশ নেয়া আলোচকরা বলেন, একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ সংস্কৃতির পরিচয়, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ তৈরি ও অন্য সংস্কৃতির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন, যা তাদের নিজস্ব ইনট্যানজিবল কালচালার হেরিটেজের সাথে ভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক সাদৃশ্যতা ও বৈসাদৃশ্যতাগুলো বুঝতে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এটুআই প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের ১০০ দেশের শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তা, গবেষক এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ‘শিক্ষক: সংকটে নেতৃত্ব, নতুন করে ভবিষ্যতের ভাবনা’ শীর্ষক ৬ মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের এটি ছিল প্রথম সাংস্কৃতিক পর্ব।