হানিফ সংকেত
চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজারে এবারের ‘ইত্যাদি’
আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিকড়ের সন্ধানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইত্যাদি আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত অপূর্ব সুন্দর জেলা মৌলভীবাজারে।
মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে অবস্থিত কুরমা চা বাগান আবৃত মাঠে।
ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে পুরো মৌলভীবাজার জেলায় ছিল উৎসবের আমেজ। অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে বসে জমজমাট মেলা। বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানিরা। দূর থেকে দেখলে মনে হয় চা বাগানের মাঝখানে একখণ্ড জনসমুদ্র।
কমলগঞ্জে ধারণ হলেও দর্শকরা আসেন ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিভিন্ন উপজেলা থেকেও। স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় বিকাল ৩টা থেকেই আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল।
আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও অনেক দর্শক আশেপাশের টিলা, রাস্তা ও লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ইত্যাদির শুটিং উপভোগ করেন; যা চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। তীব্র শীত উপেক্ষা করে এই দীর্ঘ সময়ে অবাক বিস্ময়ে উপভোগ করেছেন তাদের প্রিয় অনুষ্ঠানের ভিডিওচিত্র ধারণ।
এবারের অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজারের সন্তান কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী ও সিলেটের সন্তান তসিবা আঞ্চলিক ভাষায় একটি ভিন্নরকম প্রেমের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটির কথা লিখেছেন রামাচরণ, সুর করেছেন আকাশ মাহমুদ।
উল্লেখ্য তসিবার প্রথম টেলিভিশন যাত্রা শুরু হয়েছিল এই ইত্যাদির মাধ্যমেই। এছাড়াও মৌলভীবাজারকে নিয়ে মনিরুজ্জামান পলাশের কথায়, হানিফ সংকেতের সুরে এবং মেহেদির সংগীতায়োজনে একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন মৌলভীবাজারেরই স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী।
নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছেন খাজা সালাউদ্দিন ঝন্টু, কণ্ঠ দিয়েছেন পুলক, তানজিনা রুমা, মোমিন বিশ্বাস ও নোশিন তাবাসসুম স্মরণ।
আরও পড়ুন: ফের আরটিভিতে সিসিমপুর
১১ মাস আগে
ইত্যাদির দেশের গানে ৫ সংগীত তারকা
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্মিত ‘ইত্যাদি’র চমকানো সব বিষয়ের মধ্যে বিশেষ পর্ব দেশাত্মবোধক গান। এই জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের ঈদের আয়োজনে এক সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনসহ পাঁচ জন জনপ্রিয় সংগীত তারকা।
তারা হলেন রবি চৌধুরী, শুভ্রদেব, এস আই টুটুল ও বাপ্পা মজুমদার। ঈদের সময় শত শত অনুষ্ঠানের ভীড়ে অনেক শিল্পীকেই অনেকবার দেখা যাবে, কিন্তু এই পাঁচ জন গুণী শিল্পীকে একসঙ্গে এই ঈদে একমাত্র ইত্যাদি ছাড়া আর কোন অনুষ্ঠানে দেখা যাবে না।
পড়ুন: ঈদে মুক্তির মিছিলে ৪ সিনেমা, হল মালিকদের সংশয়
ফাগুন অডিও ভিশনের একজন মুখপাত্র জানায়, শিল্পীরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে গানটির ধারণ কাজে সহযোগিতা করেছেন। মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে কয়েক হাজার দর্শকের স্বতস্ফূর্ত করতালির মধ্য দিয়ে গানটি ধারণ করা হয়।
গানটি লিখেছেন খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সুর করেছেন হানিফ সংকেত এবং সংগীত পরিচালনা করেছেন মেহেদী। গানটির চিত্রায়নে শিল্পীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছে ট্রমা ইনস্টিটিউটসের শতাধিক শিক্ষার্থী। যারা গানটির সঙ্গে বিভিন্ন কোরিওগ্রাফিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
কোরিওগ্রাফি করেছেন মনিরুল ইসলাম মুকুল। গানটির চিত্রায়ন, কথা ও সুরের ভিন্নতা, শিল্পীদের অসাধারণ পরিবেশনা, শিক্ষার্থীদের চমকপ্রদ কোরিওগ্রাফি আর স্টেডিয়ামে উপস্থিত কয়েক হাজার দর্শকের করতালি-সব মিলিয়ে এবারের ঈদ ইত্যাদিতে গানটি ভিন্নরকম আবহ সৃষ্টি করেছে, এনেছে ভিন্নমাত্রা।
ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। বিটিভিতে ঈদের বিশেষ ইত্যাদি প্রচারিত হবে ঈদের পরদিন রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর।
পড়ুন: উইল স্মিথ ১০ বছরের জন্য অস্কারে নিষিদ্ধ
২ বছর আগে
বেগমগঞ্জের ভয়াবহতা: ন্যায়বিচারের দাবিতে সোচ্চার ঢালিউড তারকারা
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূ নির্যাতনের মামলায় বিচারের দাবিতে অংশগ্রহণকারীদের দলে যোগ দিয়েছেন দেশের ঢালিউড তারকারাও।
৪ বছর আগে