অবকাঠামো উন্নয়ন
এমআইডিআই অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নের গতি বাড়ানোর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
উপকূলীয় মাতারবাড়ি অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর দ্রুত উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই অঞ্চলে তিনি দেশের প্রধান উৎপাদন ও রপ্তানিনির্ভর মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, অধ্যাপক ইউনূস ঘোষণা দিয়েছেন যে আগামী ২৮ মে শুরু হতে যাওয়া আড়াই দিনের সরকারি জাপান সফরে মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগ (এমআইডিআই) অঞ্চল হবে তার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
তিনি টোকিওতে অনুষ্ঠেয় ৩০তম নিক্কেই ফিউচার অব এশিয়া সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন এবং ৩০ মে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এ বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন নিশ্চিত করা।
সোমবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগ (এমআইডিআই)-এর অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার মূখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিঞা। সভায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদসহ সড়ক পরিবহন, নৌপরিবহণ, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। এমআইডিআই সেলের মহাপরিচালক সরোয়ার আলম চলমান প্রকল্পগুলোর একটি বিস্তৃত পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন।
অঞ্চলটির কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা মাতারবাড়িকে দেশের বৃহত্তম বন্দর, লজিস্টিকস, উৎপাদন ও জ্বালানি হাবে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হবে।’
তিনি এসব খাতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কথা তুলে ধরে বিনিয়োগ বাস্তবায়নে একটি মাস্টার প্ল্যানের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।
এমআইডিআই অঞ্চলকে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সড়ক নির্মাণের গতি বাড়াতে এবং বড় সমুদ্রগামী কনটেইনারবাহী জাহাজ গ্রহণে সক্ষম টার্মিনাল নির্মাণের জন্য সড়ক পরিবহন ও নৌপরিবহন সচিবদের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি ওই অঞ্চলে নগরায়ণের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেন, যাতে ভবিষ্যতে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল ও সংশ্লিষ্ট শিল্প খাতে কর্মরত বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের বসবাসের উপযোগী পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলা যায়।
সভায় আরও জানানো হয়, এমআইডিআই অঞ্চলে তাদের দ্বিতীয় এক্সক্লুসিভ জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে জাপান। প্রথম অঞ্চলটি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত এবং সেখানে এরইমধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে।
এছাড়া, সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরামকো, আবুধাবি পোর্টস, সৌদি আরবের বন্দর অপারেটর রেড সি গেটওয়ে, জাপানি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জেরা এবং মালয়েশিয়ার পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি পেট্রোনাস মাতারবাড়ি অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ জাপানের দুটি প্রতিষ্ঠান পেন্টা-ওশেন কনস্ট্রাকশন কোং লিমিটেড এবং টোয়া কর্পোরেশনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে মাতারবাড়িতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হবে।
এই প্রকল্পে সহায়তা করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। এটি এমআইডিআই উদ্যোগের একটি মূল ভিত্তি এবং অঞ্চলটির সংযুক্তি ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এমআইডিআই উদ্যোগ বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার একটি যৌথ প্রচেষ্টা, যার লক্ষ্য মহেশখালী-মাতারবাড়ি অঞ্চলকে একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক করিডোরে রূপান্তর করা, যেখানে লজিস্টিকস, জ্বালানি ও শিল্প উন্নয়ন একত্রে গড়ে উঠবে।
১৯২ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু প্রাধান্য পাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই. বিগানের ঢাকা সফরের সময় রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরা হবে এবং তাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বিশ্বের বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় সমর্থন চাইবে বাংলাদেশ।
১৮৮০ দিন আগে