সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে। এটা বিশ্ববাসীর দায়। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তার সফরকালে অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ ও ভিসা সংক্রান্ত বিষয়েও সহায়তা চাইবে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই. বিগান চলমান ভারত সফর শেষে বুধবার ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন।
তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলমসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ছেড়ে যাবেন।
এ সফরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্বের বিষয়টি পুনঃনিশ্চিত করবে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মূখপাত্রের কার্যালয় সূত্র জানায়, স্টিফেন ই. বিগানের বাংলাদেশ সফরের সময় সবার সমৃদ্ধির জন্য একটি স্বাধীন, অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব ও যৌথ সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হবে।
স্টিফেন ই. বিগান ভারতের নয়াদিল্লি সফরে আছেন। সেখানে তিনি দেশটির ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন এবং ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ফোরামে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওয়ের সাথে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্করের বৈঠক হয়।
এ বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপ ‘ইউএস-ইন্ডিয়া ২+২ মিনিস্ট্রিয়াল ডায়লগের’ প্রাক্কালে স্টিফেন ই. বিগান ভারত সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সমন্বিত বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব এগিয়ে নেয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলসহ বিশ্বজুড়ে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করবেন।