বিএসআরএফ
বিএসআরএফ সদস্যদের জন্য গ্রুপ বিমা চুক্তি
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের জন্য আলফা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের সঙ্গে গ্রুপ বিমা চুক্তি সই হয়েছে।
সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এই চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: বিমানের ফ্লাইট অপারেশনের প্রথম নারী পরিচালক ক্যাপ্টেন তাসমিন
বিএসআরএফ’র পক্ষে সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক এবং আলফা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের পক্ষে হেড অব কর্পোরেট বিজনেস শাহাদাত হোসেন সোহাগ সই করেন।
চুক্তির আওতায় বিএসআরএফ সদস্যরা গ্রুপ বিমার সুবিধা পাবেন।
৪ সপ্তাহ আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর বৃহস্পতিবার
ঘূর্ণিঝড় রিমালের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পেয়েছেন তিনি।
বুধবার (১২ জুন) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে বিএসআরএফ সংলাপ'-এ তিনি কথা জানান।
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: মেরামতের অপেক্ষায় ‘রিমালে’ ক্ষতিগ্রস্ত ভোলার ১১২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সার্বিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে গতকাল একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। এই প্রথম উদ্যোগ নিয়েছি ঘূর্ণিঝড়ের সব ক্ষতি হিসাব করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেব। আমি আজকের মধ্যে সারাদেশের সমস্ত মন্ত্রণালয়ের যে ক্ষতিটা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ রেডি করে আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেব।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় ৯০ ভাগ হিসাব পেয়ে গেছি। আজকে বাকিটা পেয়ে যাব। ক্ষয়ক্ষতির হিসাবটা আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেব, যাতে তিনি এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেন। যাতে সব কাজগুলো প্রধানমন্ত্রী সঠিকভাবে করতে পারেন।
৯০ শতাংশ ক্ষতি টাকার অংকে কত- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল পর্যন্ত আমি দেখলাম যে আমার কাছে ৭ হাজার কোটি টাকার হিসাব আমার কাছে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, এবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বেড়িবাঁধের। উপকূলীয় মৎস্য সম্পদেরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে। কোটি কোটি টাকার মাছের ঘেরগুলো নষ্ট হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে অসংখ্য বেড়িবাঁধ নষ্ট হয়েছে, রাস্তাঘাট নষ্ট হয়েছে, বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে।
ঢাকায় সর্বাচ্চ আট মাত্রার ভূমিকম্পও হতে পারে বলেও এসময় আশঙ্কা প্রকাশ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তবে ভয়ের কারণ নেই। কারণ এমন পরিস্থিতি বহুদেশে আসছে। যেমন, তুরস্কে ভূমিকম্প হয়। কিন্তু তারা দুর্যোগ সহনীয় অবকাঠামো ও সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। যে কারণে সমস্যা এলে তা সমাধান করার সক্ষমতা তারা তৈরি করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো রকম ভূমিকম্প হয়, সেজন্য শহুরে অঞ্চলে ব্যাপকভাবে স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করতে কাজ করছি। ভবনগুলো যদি ধসে যায়, তাহলে সেগুলো পরিষ্কার করা ও মানুষকে উদ্ধারে আমরা ব্যাপকভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
তিনি জানান, ভবিষ্যতে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ রেখে যেতে চাইলে জাতিকে দুর্যোগের বিষয়ে সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে আমার ভয়ের কারণ ভূমিকম্প। বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। যেকোনো সময় আট মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। এতে ঢাকা শহরের লাখ লাখ লোক আটকা পড়তে পারেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দিষ্ট গবেষণার ভিত্তিতেই আমি এমন কথা (৮ মাত্রার ভূমিকম্প) বলেছি। এ নিয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৫ মাস আগে
কোটা ছাড়াই বিসিএসে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসে নিয়োগে নারীরা পিছিয়ে নয়, বরং এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
এ সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)।
সংলাপে বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে ৩ লাখ ৭০ হাজার পদ খালি: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
‘বিসিএসে নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছে’- বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংবাদের প্রসঙ্গে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, 'সংবাদে এসেছে, তবে আপনারা যদি আমাদের পরিসংখ্যান দেখেন, বুঝতে পারবেন এ রকম কিছু হয়নি যে নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছেন বরং নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন।'
তিনি আরও বলেন, '৩৫তম বিসিএসে নারী কর্মকর্তা রয়েছেন ২৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ১০০ জনের মধ্যে নারী ২৮ জনের মতো। ৩৬তম বিসিএসে আমরা দেখেছি নারী কর্মকর্তা ২৬ দশমিক ২২ শতাংশ। ৩৭তম বিসিএসে দেখেছি ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ৩৮ তম বিসিএসে ২৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। ৪০তম বিসিএসে দেখেছি নারীদের হার ২৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। সর্বশেষ ৪১তম বিসিএসে ২৬ দশমিক ৭১ শতাংশ নারী প্রার্থী পদায়নের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।'
বিশেষ বিসিএসের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, '২৯তম বিশেষ বিসিএসে নারী ছিলেন ৪৬ দশমিক ৮১ শতাংশ। চিকিৎসক নিয়োগে ৪২তম বিশেষ বিসিএসে নারী ছিলেন ৪৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।'
ফরহাদ হোসেন আরও বলেন,'দশ শতাংশ নারী কোটা বাতিলের পরেও নারীরা আগের মতোই নিয়োগ পাচ্ছেন। এখানে কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। ৪০তম বিসিএস থেকেই কিন্তু নারীদের কোনো কোটা নেই।'
কোটা না থাকলেও বিসিএসে নারীদের উত্তীর্ণ হওয়ার হার কমেনি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই তথ্যটা (নিয়োগ পাওয়ার হার কমেছে) আসলে সঠিক নয়। প্রত্যেকটি বিসিএস থেকে ২৬ থেকে ২৭ শতাংশ নারী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। সেটি কিন্তু তারা ধরে রেখেছেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় নেই।'
আরও পড়ুন: গত ১০ বছরে শাস্তি পেয়েছেন ১৮১ জন সরকারি কর্মকর্তা: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
প্রশাসনে মন্ত্রণালয়-বিভাগের ৫৮ জন সচিবের মধ্যে ১১ জন নারী সচিব- জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, 'নারীদের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৭৫ জন, যুগ্মসচিব রয়েছেন ১৬৪ জন, উপসচিব রয়েছেন ৩৯৪ জন, সিনিয়র সহকারী সচিব রয়েছেন ৬৫৮ জন।'
তিনি আরও বলেন, '৬৪ জেলার মধ্যে নারী জেলা প্রশাসক রয়েছে ৭ জন, নারী ইউএনও ১৫১ জন, নারী বিভাগীয় কমিশনার রয়েছেন একজন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়েছেন ৮৮ জন।'
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, নারীরা কোনো ক্ষেত্রেই পিছিয়ে যাচ্ছে না বরং সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। ক্যাডার সার্ভিস ছাড়াও সবমিলিয়ে সরকারি চাকরিতে ২৯ শতাংশ নারী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ’র সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক
৫ মাস আগে
বিএসআরএফকে ৩টি কম্পিউটার দিল 'কম্পিউটার সলিউশন'
সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামকে (বিএসআরএফ) তিনটি কম্পিউটার দিয়েছে 'কম্পিউটার সলিউশন'।
আরও পড়ুন: দায়িত্ব নিয়েছে বিএসআরএফ’র নতুন কমিটি
বুধবার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বিএসআরএফ নেতাদের কাছে কম্পিউটার সলিউশনের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সোহেল মিয়ার পক্ষ থেকে তিনটি কম্পিউটার হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ'র সদস্যদের ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিলো জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সহসভাপতি এম এ জলিল মুন্না (মুন্না রায়হান), সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (রাকিব), প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুর রহমান (পঞ্চায়েত হাবিব) প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ’র জন্য রক্তদাতার ব্যবস্থা করবে ‘ব্লাডম্যান’
১ বছর আগে
বিএসআরএফ’র জন্য রক্তদাতার ব্যবস্থা করবে ‘ব্লাডম্যান’
দেশের প্রথম ডিজিটাল ব্লাড ডোনার ম্যাচ-মেকিং প্ল্যাটফর্ম ‘ব্লাডম্যান’ সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সদস্য ও তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য ঢাকাসহ সারাদেশে রক্তদাতার ব্যবস্থা করবে।
মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে এ লক্ষ্যে বিএসআরএফ এবং ব্লাডম্যানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারকের অধীনে প্রয়োজনীয় সময়ে বিএসআরএফ সদস্য ও তাদের পরিবারের অন্যান্যদের জন্য সারাদেশে রক্তদাতার ব্যবস্থা করবে ব্লাডম্যান।
আরও পড়ুন: রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে ফেসবুক ও ব্লাডম্যান বিডির সাথে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের চুক্তি
পাশাপাশি রক্তদান এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগের তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার মাধ্যমে ব্লাডম্যানের পরিষেবাগুলোর প্রভাবকে প্রসারিত করা এবং জীবন বাঁচাতে বৃহত্তর জনসাধারণের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার কাজ করবে বিএসআরএফ।
উভয় সংগঠনই স্বাস্থ্য শিবির এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত প্রকল্পগুলো আয়োজন করতে একযোগে কাজ করবে।
এই যৌথ প্রচেষ্টা একটি স্বাস্থ্যকর সমাজ গঠনে কাজ করবে, যার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো সবার কাছে সহজলভ্য করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আজাদ মাসুম, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম এবং কার্যনির্বাহী সদস্য আসাদ আল মাহমুদ ও আয়নাল হোসেন, ব্লাডম্যানের পক্ষে প্ল্যাটফর্মটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. শাহরিয়ার হাসান জিসান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবু সালমান মো. আব্দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার জন্য ব্লাডম্যান ধারাবাহিকভাবে গত প্রায় এক দশক ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। এই পার্টনারশিপের ফলে সংগঠনটির সহায়তায় আমরা আমাদের সব সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য প্রয়োজনের সময়ে রক্তদাতার সংস্থান করতে পারব।
১ বছর আগে
ভবিষ্যতে সরকারি চাকরির আবেদনে সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ভবিষ্যতে সরকারি চাকরির আবেদনে সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।
তিনি জানান, এ ইস্যুতে চাকরি প্রার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে বিষয়টি সহজ করা হবে।
রবিবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) উদ্যোগে আয়োজিত 'বিএসআরএফ সংলাপ' এ অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
বর্তমানে সত্যায়ন প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুবই চমৎকার প্রশ্ন। এটা আমারও কথা। আমরা ছাত্রজীবনেও দেখেছি। একটা সিল দিয়ে মেরে দিলে তো হলো! যদিও আমারটা অর্জিনালি আছে।
তিনি বলেন, এই যে ডিজিটালাইজেশনের যুগে আপনারা নিশ্চয়ই দেখছেন, আমরা পরিবর্তনগুলো করছি। আমাদের কিন্তু এখন বিগ ডাটা। আমাদের বিগ ডাটা, ভোটার আইডিতে এগুলো সব থেকে যাবে। আপনার ভোটার আইডি কার্ড দেন, সেখানে কিন্তু আপানার সার্টিফিকেটগুলো, কোথায় কোথায় লেখাপড়া করেছেন, মেইন সার্টিফিকেটগুলোতে চলে আসবে। আপনি চাইলে অনেক ডাটা দেখে নিতে পারছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতায় পরিবর্তন আসছে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন এটা করবো, তখন কোনো মানুষের একটা কোড নাম্বার থাকবে। সেই কোডটা দিলে কিন্তু অর্জিনাল কিনা আপনি দেখে নিতে পারছেন। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় এটা অল্প দিনের মধ্যেই ডিজিটালবেজড হয়ে যাবে। স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, সেখানে আমাদের প্রত্যেকটা কাজ সহজ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট গর্ভনমেন্টস বা সরকার ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে আমাদের যে বিষয়টি আছে, এগুলো আমাদের মাথার মধ্যে আছে। আপনারা কিছুদিন দেখবেন, এগুলো সবই ডিজিটালাইজড হয়ে যাবে এবং এটার (সত্যায়ন) কোনো প্রয়োজন হবে না।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমি কথা দিচ্ছি, আমরা যত দ্রুত পারি এটার বিষয়ে কাজ করে সহজীকরণ করে দেব, যাতে কারো ভোগান্তি না থাকে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএসআরএফ'র সহসভাপতি এম এ জলিল মুন্না (মুন্না রায়হান), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, অর্থ-সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (রাকিব, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য ঝর্ণা রায়, আসাদ আল মাহমুদ, উবায়দুল্লাহ বাদল, ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ, রাকিব হাসান, মহসীনুল করিম লেবু ও আয়নাল হোসেন।
আরও পড়ুন: নতুন অফিস সূচি ‘স্থায়ী নয়’: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
সরকার অফিসের সময় কমাতে বা ভার্চুয়াল অফিস চালু করতে পারে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
সাংবাদিক মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে মামলায় বিএসআরএফ’র উদ্বেগ
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)-এর সদস্য এবং দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় বিএসআরএফ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার বিএসআরএফ এর সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসআরএফ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।
বিবৃতিতে নেতারা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছে, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর যেভাবে স্থানীয় দৈনিক ‘দৈনিক যুগান্তর’-এর বিশেষ প্রতিবেদক লাভলুর বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন, তা সাংবাদিকতার পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, সংবাদ প্রকাশের জেরে গত বুধবার (২৯ মার্চ) মাহবুব আলম লাবলু’র বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হেলাল আকবর বাবর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক মাহবুব সম্প্রতি ‘দুবাই ফেরত চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবর বাহিনীর দাপট, শাহ আলম সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রেল’- শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনটি তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ারও করেন।
প্রতিবেদনে হেলাল আকবরকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার বলে উল্লেখ করা হয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন লিখে ভুক্তভোগীর মানহানি করায় হয় বলে মামলায় অভিযোগ আনেন বাদী যুবলীগ নেতা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে যুবলীগ নেতার মামলা
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠালেন আদালত
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস আদালতে
১ বছর আগে
সন্ধ্যা ৬টার পর বালি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী
বালি উত্তোলনের বিষয়ে একটি নীতিমালা করা হচ্ছে জানিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, এটি শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। সেখানে আমরা বলেছি, বালি উত্তোলন কোনক্রমেই সন্ধ্যার পরে হবে না। বালি উত্তোলনের সময় হবে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। যাতে দিনের বেলা বালি উঠানো হয়, তাহলে জনগণসহ সবাই দেখতে পারবে।
সোমবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ এ তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী ভাঙনের সবচেয়ে বড় কারণ বালি উত্তোলন। বালি উত্তোলনের ব্যবসাটি একটি রমরমা ব্যবসা। এখানে বিনিয়োগ খুবই কম, দেশীয় ছোট ছোট ট্রলার নিয়ে আসে। রাতের অন্ধকারে তারা বালি উঠায়।
আরও পড়ুন: মেঘনায় বালু তুলতে পারবেন না সেলিম চেয়ারম্যান
তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বালুমহাল আছে, জেলা প্রশাসন এসব বালুমহাল ইজারা দেয়। জেলা প্রশাসনের প্রতি নির্দেশনা আছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বালুমহাল ঘোষণা করতে হবে। তারা সেখান থেকে বালি উঠাতে পারবে। তবে বালি উঠানো আমরা বন্ধ করতে পারবো না। বালি উঠানো বন্ধ করলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে, বালির দাম বেড়ে যাবে।'
জাহিদ ফারুক বলেন, 'আমি মনে করি বালি উত্তোলন যদি সঠিকভাবে হয়, তবে এই নদী ভাঙনের যে প্রবণতা আছে তা অনেকাংশে কমে যাবে। এখন ইঞ্জিনিয়াররা বলা শুরু করেছেন, এভাবে যদি বালু উত্তোলন করা হয় তবে যতই কাজ করি সব দোষ তো এসে আমাদের উপরে এসে পড়বে। তারাও একটা অজুহাত দেখানোর চেষ্টা করছেন।'
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
আরও পড়ুন: সুগন্ধা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৬ জনের জরিমানা
২ বছর আগে
বাজার নিয়ন্ত্রণ নয়, স্থিতিশীল রাখতে চায় সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ নয়, স্থিতিশীল রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ‘সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত না। আমরা ব্যবসায়ীবান্ধব। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের দাম অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে দেই। সে অনুযায়ী বাজারে দামটা থাকলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। আমরা নিয়ন্ত্রণ করা নয়, বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাই।’
সোমবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'বিএসআরএফ সংলাপ'-এ তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসআরএফ’র- সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক এর উপস্থাপনায় সংলাপ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: জুন মাসে আরও এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রচুর ব্যবসায়ীকে আমরা ধরছি। সেখানে অনেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে এবং জেলেও পাঠানো হয়েছে। তবে এমন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাই না যাতে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা জানে ঈদের পর দাম বাড়বে তারা সেই সুযোগ নিয়েছে। আমাদের ভুল হয়েছে টানা দুই মাস তেলের দামটা নির্ধারণ করিনি, যদি করতাম তাহলে তারা সুযোগটা নিতে পারত না।
পেঁয়াজের বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষকরা যাতে দাম পায় এবং ভোক্তারাও যাতে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে সেটি আমরা দেখছি।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল নিয়ে ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙ্গে ভূমিকম্প সহনীয় করার পরিকল্পনা
জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙ্গে ভূমিকম্প সহনীয় করে তৈরি করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত আমরা’- শীর্ষক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
বিএসআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের উপস্থাপনায় সংলাপের সভাপতিত্ব করেন সভাপতি তপন বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে ফেলবো। জাপানের সহায়তায় ভূমিকম্প সহনীয় নকশায় এগুলো নতুন করে তৈরি করা হবে। নকশা এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে করে ভবনগুলো সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় হয়ে ওঠে। আর ইতোমধ্যে যেগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলো আমরা পরীক্ষা করবো, যদি কোনো দুর্বলতা থাকে তাহলে সেগুলোকে শক্তিশালি করা হবে। নতুন যে ভবনগুলো এখন থেকে তৈরি হবে এগুলো তৈরি হবে বিএমডিসি কোড অনুযায়ী।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে ৩ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, অবশ্য এক্ষেত্রে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঐতিহ্য ঘোষণা করা ভবনগুলোকে তালিকায় রাখা হয়নি বলেও জানান তিনি।
একই সঙ্গে বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে আশ্রয়কেন্দ্র ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন,সিদ্ধান্ত নিয়েছি বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা ও আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম চালু করবো। ৪০ মিনিট আগেই মোবাইল অ্যাপ সতর্ক করতে পারবে। খোলা জায়গায় যারা থাকবে তাদের জন্য ছোট করে লাইটনিং সেন্টার ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামুলক ভাবে ৪০ টি বসিয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আসন্ন বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ সহনীয় দেশ গড়তে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে