পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ
বাঁশখালী-মেঘনাঘাট ৪০০ কেভি বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন চালু
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে মদুনাঘাট হয়ে নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট পর্যন্ত ৪০০ কেভি বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন চালু করেছে।
পিজিসিবি জানিয়েছে, ২৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সঞ্চালন লাইনটি মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকাল ৫টা ১৬ মিনিটে চালু করা হয়েছে। এটি মেঘনাঘাট প্রান্ত থেকে চালু করা হয়েছে।
লাইনটি বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে চট্টগ্রাম শহরের মদুনাঘাট হয়ে মেঘনাঘাটে নবনির্মিত ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনে বিদ্যুত সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: নতুন রেকর্ড গড়ে বিদ্যুত উৎপাদন ১৫,৩০৪ মেগাওয়াটে
এর আগে গত ২৩ জুলাই মেঘনাঘাট থেকে ঢাকার আমিনবাজার পর্যন্ত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন পূর্ণ সক্ষমতায় চালু হয়।
উভয় লাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম ৪০০ কেভি লাইনের মাধ্যমে সংযুক্ত হওয়ায় উচ্চ ভোল্টেজ পাওয়ার ট্রান্সমিশন অবকাঠামো এখন আরও নিবিড় হয়েছে।
দীর্ঘতম ৪০০ কেভি লাইনটি ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুত সঞ্চালন শুরু
খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম আবারও ৫ শতাংশ বাড়ল, বুধবার থেকে কার্যকর
১ বছর আগে
গ্রিড বিপর্যয়ের সঠিক কারণ খুঁজতে আরও সময় প্রয়োজন: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দু’দিন আগে জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়ের সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এ ঘটনায় দেশের অধিকাংশ এলাকা ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়ে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, যখন দেশের পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি ও পশ্চিমাঞ্চলে উদ্বৃত্ত হয়েছে ঠিক তখনই ট্রান্সমিশন সিস্টেম বিকল হয়ে গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেয়।’
তিনি উল্লেখ করেন, গ্রিড বিপর্যয়ে প্রথম পাওয়ার প্ল্যান্ট হিসেবে ঘোড়াশাল স্টেশনে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। এতেই বিস্তর আকারে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে পিজিসিবির (পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ) একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে এবং শিগগিরই বিদ্যুৎ বিভাগের আরেকটি কমিটিও গঠন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বিএনপি নেতা ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদের বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, গ্রিড বিপর্যয় নাশকতা কি না তা তদন্ত করা হবে।
তিনি বলেন, ইকবাল মাহমুদ কীভাবে জানেন যে গ্রিড বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ভবিষ্যতেও ঘটবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: তদন্ত শুরু করেছে পিজিসিবি কমিটি
নসরুল হামিদ অবশ্য স্বীকার করেছেন যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পিজিসিবি’র উন্নয়ন প্রত্যাশিতভাবে হয়নি।
পিজিসিবি অটোমেশনের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে আমরা অনেক পিজিসিবি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমরা তফসিল বাস্তবায়নে দুই বছর পিছিয়ে আছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি, আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা অটোমেশন প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হব এবং এরপরে এ ধরনের গ্রিড বিপর্যয়ের সম্ভাবনা হ্রাস পাবে।’
আরও পড়ুন: গ্রিড ব্যর্থতার পেছনে বিদ্যুৎ খাতে চুরি: ফখরুল
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: পিজিসিবি একটি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
২ বছর আগে
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: পিজিসিবি একটি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) মঙ্গলবার দেশব্যাপী গ্রিড ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব এলাহী চৌধুরী তদন্তের নেতৃত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা সুমন।
দুপুর ২ টা ৫ মিনিটে জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিড বিপর্যয় হওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা ছাড়া সারাদেশে ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি হয়।
মানিকনগর ও হাসনাবাদ গ্রিড সাবস্টেশনের অধীনে ঢাকা শহরের কিছু অংশে এবং সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সিলেট, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের বেশ কয়েকটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: টেলিকম পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে
পিজিসিবির কর্মকর্তাদের মতে, বাকি অন্যান্য জেলাসহ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহরের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও দুই ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
সুমন ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা আশা করি রাত ১০টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের স্বাভাবিকতা পুরোপুরি ফিরে আসবে।’
তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে যে সব জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি চালু হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সব জেলা।
এর আগে জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিকল হওয়ার পর মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনসহ ঢাকার কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়: দেশের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
সন্ধ্যা ৭টায় পুরোপুরি বিদ্যুৎ চালু হতে পারে: নসরুল হামিদ
২ বছর আগে
জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়: দেশের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডে বিপর্যয় হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৫ মিনিট থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশ বাদে সারা দেশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি)ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) কর্মকর্তাদের মতে, দেশের পূর্বাঞ্চলে, বিশেষ করে যমুনা নদীর পূর্ব দিকের জেলাগুলোর কোথাও কোথাও ট্রান্সমিশন লাইন ট্রিপ হয়েছে।
পিজিসিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, রংপুর বিভাগের মাত্র কয়েকটি জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
আরও পড়ুন: সময়মতো বিদ্যুৎ বিল শোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন
গ্রিড বিকল হয়ে যাওয়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একের পর এক কেন্দ্র বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিপিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান জানান, বিপিডিবি এবং পিজিসিবি উভয়ের প্রকৌশলীরা বিদ্যুৎ সঞ্চালন পুনরুদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।
দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ওই বিভাগের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।
পিজিসিবি কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন যে তারা গ্রিড ব্যর্থতার সঠিক কারণ ও অবস্থান এখনও শনাক্ত করতে পারেনি।
২০১৭ সালের ২ মে দেশের ৩২টি জেলায় গ্রিড বিপর্যয়ের সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংককে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান নসরুল হামিদের
বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
২ বছর আগে
রূপপুর বিদ্যুত সঞ্চালন প্রকল্পগুলো সময়মতো বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে আশঙ্কা
ভারতীয় আর্থিক সংস্থা দরপত্র প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে ‘অস্বাভাবিক’ সময় নেয়ায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত সঞ্চালনের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলা সময়মতো বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
৪ বছর আগে
ভারতের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়েছে রূপপুরের বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রকল্প
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালনের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প সময় মতো বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ ভারতীয় আর্থিক সংস্থা দরপত্র প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে ‘অতিরিক্ত সময়’ নিচ্ছে বলে জেনেছে ইউএনবি।
৪ বছর আগে