বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দু’দিন আগে জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়ের সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এ ঘটনায় দেশের অধিকাংশ এলাকা ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়ে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, যখন দেশের পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি ও পশ্চিমাঞ্চলে উদ্বৃত্ত হয়েছে ঠিক তখনই ট্রান্সমিশন সিস্টেম বিকল হয়ে গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেয়।’
তিনি উল্লেখ করেন, গ্রিড বিপর্যয়ে প্রথম পাওয়ার প্ল্যান্ট হিসেবে ঘোড়াশাল স্টেশনে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। এতেই বিস্তর আকারে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে পিজিসিবির (পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ) একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে এবং শিগগিরই বিদ্যুৎ বিভাগের আরেকটি কমিটিও গঠন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বিএনপি নেতা ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদের বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, গ্রিড বিপর্যয় নাশকতা কি না তা তদন্ত করা হবে।
তিনি বলেন, ইকবাল মাহমুদ কীভাবে জানেন যে গ্রিড বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ভবিষ্যতেও ঘটবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: তদন্ত শুরু করেছে পিজিসিবি কমিটি
নসরুল হামিদ অবশ্য স্বীকার করেছেন যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পিজিসিবি’র উন্নয়ন প্রত্যাশিতভাবে হয়নি।
পিজিসিবি অটোমেশনের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে আমরা অনেক পিজিসিবি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমরা তফসিল বাস্তবায়নে দুই বছর পিছিয়ে আছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি, আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা অটোমেশন প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হব এবং এরপরে এ ধরনের গ্রিড বিপর্যয়ের সম্ভাবনা হ্রাস পাবে।’
আরও পড়ুন: গ্রিড ব্যর্থতার পেছনে বিদ্যুৎ খাতে চুরি: ফখরুল
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: পিজিসিবি একটি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন