পুলিশ কনস্টেবল
সিলেটে বাসচাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
সিলেটের গোলাপগঞ্জে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের হিলালপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
নিহত পুলিশ কনস্টেবল আবুল হোসেন হবিগঞ্জের বাহুবল থানায় কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের হিলালপুরে হেরা এন্টারপ্রাইজের একটি বাস আবুল হোসেনের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আমিন জানান, এ বিষয়ে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেটের সড়কে নিহত ২৬, আহত ৬৬
লালমনিরহাটে অটোরিকশা ধাক্কায় নিহত ১
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে: ডিবি প্রধান হারুন
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশীদ জানিয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার সময় পুলিশ কনস্টেবল হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি: সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের জামিন ১ বছর বাড়লো
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি নেতাকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান এসব কথা বলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে আমীর খসরু মাহমুদকে খুঁজছিলাম।’
তিনি জানান, ‘তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং আমরা গত রাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করি। পল্টন থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি বলেন, আমির খসরু পুলিশ হত্যা মামলার চতুর্থ আসামি এবং পুলিশ তার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি আসামিদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করবে।
ডিবি প্রধান বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) জানেন যে একজন পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং আরও অনেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এ মামলার আসামিদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শাজাহানপুর এলাকা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে ও কাকরাইলে সহিংস সংঘর্ষের পর রবিবার দুই নেতার বাড়িতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ঢাকা মহানগর হাকিম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত
ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
খুলনায় পুলিশ কনস্টেবলের মায়ের হত্যার খুনি গ্রেপ্তার
খুলনা মহানগরী থেকে সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল শুভেন্দ্র দাসের মা অনিমা দাসকে (৬১) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (০৮ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত মো. মোস্তফা শেখকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. মোস্তফা শেখ (৪৮) জেলার বাগেরহাট উপজেলার মোড়েলগঞ্জের সাংনকিডাঙ্গা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: খুলনায় পুলিশ কনস্টেবলের মায়ের লাশ উদ্ধার
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল-মামুন জানান, অনিমা দাস গত ৫ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ১১টা ১৯ মিনিট থেকে ০৬ সেপ্টেম্বর (বুধবার) পৌনে ১০টার মধ্যে হত্যার শিকার হন। তিনি খুলনার সদর থানার পশ্চিম টুটপাড়া ফরিদ মোল্যার মোড় (খান মঞ্জিল), কামরুল ইসলাম খানের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় মেয়ে লাভলী দাশের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন।
বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে মোস্তফা শেখ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়ে লাভলী দাস (৩৯) বাদী হয়ে খুলনা থানার মামলা দায়ের করেন।
সদর পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিমাই চন্দ্র কুন্ডু মোস্তফা শেখকে গ্রেপ্তার করেন।
পরে শুক্রবার আসামি আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গুতে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু
খুলনায় পুলিশ কনস্টেবলের মায়ের লাশ উদ্ধার
খুলনা মহানগরী থেকে পুলিশ কনস্টেবলের মায়ের লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে পশ্চিম টুটপাড়া ফরিদ মোল্লার মোড় এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল সুভেন্দু নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ওসি’র বডিগার্ড।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন জানান, সুভেন্দু’র মা অনিমা দাস তার ৮ বছরের নাতি তীর্থকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন ফরিদ মোল্লার মোড়ের খান মঞ্জিলে। সকালে সুভেন্দুকে তার বোন ফোন করে জানায় যে তার মা ফোন রিসিভ করছে না। এরপর তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে মায়ের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে খুলনা সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
তিনি জানান, বিছানার উপর পড়ে থাকা লাশের নাক-মুখ রক্তাক্ত ছিল। এ ছাড়া তার গলা ও কানের স্বর্ণালংকার এবং আলমারিতে থাকা গহনাগুলো নিয়ে গেছে ঘাতক।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: যশোরের চৌগাছায় কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে মসজিদের পুকুর থেকে ইমামের লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়ে নিজ বন্দুকের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
পঞ্চগড়ে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন পুলিশ কনস্টেবল ফিরোজ আহম্মেদ (২৭)।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে (রাত আড়াইটায়) জেলা শহরের সোনালী ব্যাংকের সামনে পুলিশ বক্সে এই ঘটনা ঘটে।
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর অভিমান করে নিজ রাইফেল দিয়ে গলায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
ফিরোজের বাড়ি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর আফতাবগঞ্জ এলাকায়। সে ওই এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
ঘটনার পর পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে আসেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, ফিরোজ গত ৩১ জুলাই পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংক গার্ডে যোগদান করেছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলা শহরের পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখায় দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিজ রাইফেল দিয়ে গলায় গুলি করে। এসময় অন্যান্য সহকর্মীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফিরোজকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের পর কনস্টেবল ফিরোজের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে ওসি জানান।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম জানান, রাত আড়াইটার সময় তার সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় তার মুখ, নাক, কান ও মাথা দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। গলার নিচে ও মাথার উপরে একটি ক্ষত চিহ্ন ছিল। সম্ভবত এটি একটি বুলেট ইনজুরি বা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অস্বাভাবিক মৃত্যু।
পুলিশ, হাসপাতাল ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ তার স্ত্রী উপমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ফিরোজ গলায় গুলি চালায়। ফিরোজের স্ত্রী উপমাও পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ‘মাদকের টাকা না পেয়ে’ যুবকের আত্মহত্যা
রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে পুলিশ কনস্টেবল নিহত
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় শুক্রবার দিবাগত রাতে এক পুলিশ কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত মনিরুজ্জামান তালুকদার (৪৫) ট্রাফিক বিভাগের (তেজগাঁও) কনস্টেবল এবং শেরপুর জেলার বাসিন্দা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (তেজগাঁও) এইচ এম আজিমুল হক জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ি থেকে বাসে করে ঢাকার ফার্মগেট এলালাকায় নামেন মনিরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
ইন্দিরা রোডের সেজান পয়েন্টে পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত করে পালিয়ে যায়।
পরে তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের ধারণা, ছিনতাইকারীরা তাকে হত্যা করতে পারে।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে নিহত ১
কক্সবাজারে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু: সহকর্মী
বনানী পুলিশ চেকপোস্টে পিস্তলের গুলিতে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার তার সহকর্মীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।
নিহত পুলিশ কনস্টেবল আশরাফুজ্জামান রনি (২২) মিরপুর পুলিশ লাইন্সে থাকতেন। ঢাকার ধামরাই উপজেলার রনি ২০২০ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, বনানী-১১ নম্বর সড়কের বনানী চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছিলেন রনি।
তিনি জানান, এক পর্যায়ে সকালে রনি ওয়াশরুমে গেলে ভেতর থেকে গুলির আওয়াজ শোনা যায় বলে চেকপোস্টে থাকা আরেক পুলিশ কনস্টেবল বলেছেন।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
ওয়াশরুমের ভেতরে রনি একাই ছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
গুলির শব্দ শুনে সহকর্মীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাচ্চু মিয়া বলেন, ঘটনার সময় কর্তব্যরত তার সহকর্মীদের সন্দেহ হয় যে রনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে বলে জানান বাচ্চু মিয়া।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরে চরম আবহাওয়ায় ২ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু ও ৪ ট্রিলিয়ন ডলার আর্থিক ক্ষতি: ডব্লিউএমও
নিজ বাড়িতে প্রতিপক্ষের হামলায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনের কনস্টেবল প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছে। রবিবার জেলার দাউদকান্দি উপজেলার বসরা গ্রামে তিনি হামলার শিকার হন।
নিহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম রাইসুল আমিন বাধন (৩০)।
পুলিশ জানিয়েছে, তার মা রোকেয়া বেগম (৫০) এবং ভাই সুমন সরকারও (৩২) হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: নোয়াখালীতে গাছ চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু
আজ দুপুর ২টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আহত বাধনকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
নিহত কনস্টেবলের আহত ভাই সুমন সরকার জানান, রবিবার ভোরে দীন ইসলাম, মানিক, সাদ্দাম, হাসেম, ফরহাদ, মেহেদীসহ ২৫-৩০ জন স্থানীয় লোকজন তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাদের আহত করে এবং বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
বাধন দাউদকান্দি সদর উপজেলার বসরা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলী আহমদের ছেলে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় তরুণ ব্যবসায়ী নিহত
ময়মনসিংহে মেহগনি বাগান থেকে পুলিশ কনস্টেবলের লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহ সদরের একটি মেহগনি গাছের বাগান থেকে এক পুলিশ কনস্টেবলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকালে বাঘেরকান্দা নিজকল্পা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সাদ্দাম হোসেন (২৭) সদরের বাঘেরকান্দা এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ের পাদদেশ থেকে কৃষকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
জানা গেছে, কিছুদিন আগে ছুটিতে বাড়ি আসেন সাদ্দাম। তবে ছুটির মেয়াদ শেষ হলেও কর্মস্থলে যাননি তিনি।
পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভূঁঞা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হন সাদ্দাম। পরে রাতে আর বাসায় ফেরেননি তিনি। শনিবার বিকাল ৩ টার দিকে এক নারী স্থানীয় আমিনুল ইসলামের মেহগনি বাগানে পাতা কুড়াতে গিয়ে সাদ্দামের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে আশেপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানালে থানায় খবর দেয়া হয়। এরপর বিকাল ৪ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দড়ি জাতীয় কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ঘটনা তদন্তে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নাটোরে আনসার সদস্যের লাশ উদ্ধার, ভাবি আটক
নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল নিহত
নওগাঁ রাণীনগরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার কুজাইল বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহিন আলম (৪০) রাণীনগর উপজেলার সদরের উত্তর রাজাপুর গ্রামের ওসমান মোল্লার ছেলে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল হিসাবে রাজশাহী গোদাগাড়ী থানায় কর্মরত ছিলেন।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ঈদের দিন বিকালে শাহিন আলম তার স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে রাণীনগর থেকে বোনের বাড়িতে বান্দাইখাড়ায় কোরবানির মাংস নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে কুজাইল বাজার এলাকায় পৌঁছালে আত্রাই দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি মোটরসাইকেল শাহিন আলমের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে পাকা সড়কে পড়ে শাহিনের মাথা থেঁতলে যায়।
এ সময় স্থানীয় লোকজন, রাণীনগর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা শাহিন আলমকে উদ্ধার করে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আহত তার স্ত্রী শিপন বেগমকে প্রথমে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাকে নওগাঁ সদর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।
পড়ুন: চট্টগ্রামে ইয়াবা উদ্ধার, পুলিশ কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ৪
রাজধানীতে সড়ক দর্ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত