ক্ষমতায়ন
নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজের প্রশংসা করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'তাকে(রাষ্ট্রপতি) আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে একজন ক্ষমতাধর নারী উল্লেখ করে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি পর পর চারবার এবং মোট পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কাজ করছেন, সেটির সঙ্গেও সহমত পোষণ করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু।'
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, 'আমি তাকে বলেছি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে বলেছেন, 'জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে কেন একজন নারীকে দেখতে পাই না? দেখতে চাই। তিনি সেটির সঙ্গেও ঐকমত্য পোষণ করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির সঙ্গে ভারত সবসময় ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে পৌঁছান ড. হাছান মাহমুদ।
তিন দিনের এ সরকারি সফরের শেষ দিনে ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত ভারতের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে প্রথম এবং দ্বিতীয় নারী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সমাজের অবহেলিত অংশের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের জন্য তার খ্যাতি রয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি ঝাড়খণ্ডের গভর্নর, উড়িষ্যার মিনিস্টার অব স্টেট এবং উড়িষ্যার লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির সদস্য (এমএলএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ভারতের ভাইস-প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ
ভারতের ভাইস-প্রেসিডেন্টের জগদীপ ধনকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। দিল্লিতে নতুন পার্লামেন্ট ভবনে এই সাক্ষাতে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে সৌদি আরবের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
৯ মাস আগে
নারীর অগ্রযাত্রা ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, নারীর অগ্রযাত্রা ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে দেশে নারী উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের নারী আইটি সার্ভিস প্রোভাইডারদের ‘ট্রেনিং অব ট্রেইনারস (টিওটি)’ প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ পলকের
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং তার সুপরিকল্পনার ফলেই মাত্র সাড়ে ১৪ বছরে আজকে নারীর ক্ষমতায়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সবক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে।
হার পাওয়ার প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নাম উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শী পাওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ‘আইসিটি বিভাগ ‘হার পাওয়ার প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে। অর্থনীতিতে নারী-পুরুষ সমতা আনতেই এই পদক্ষেপ ছাড়াও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট উদ্যোক্তা তৈরির সফলতা নির্ভর করছে প্রশিক্ষকদের সততা ও সফলতার প্রতি।
স্মার্ট অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতেই এই প্রশিক্ষণ ও ইন্টার্নশিপ শেষে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে একটি করে বিশ্ব জয়ের হাতিয়ার ল্যাপটপ দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রায়হানা ইসলামের সভাপতিত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মনির হোসেন বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়নে হার পাওয়ার প্রকল্পের অধীনে ২৪টি ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানের ২০০ নারী আইটি সেবাদাতাকে (ট্রেইনিং অব ট্রেইনার) প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আইসিটি অধিদপ্তর। সাতটি ব্যাচে টিওটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই নারীরাই দেশের ৪৩টি জেলার ১৩০টি উপজেলায় চার ক্যাটাগরিতে ২৫ হাজার ১২৫ নারীকে দেওয়া হবে ৫ মাসের প্রশিক্ষণ। এর মধ্যে অনলাইনে প্রাপ্ত ৫৪ হাজার আবেদন থেকে প্রতিটি উপজেলায় ১৬০ জন নারী এই প্রশিক্ষণ পাচ্ছে। সদর উপজেলা থেকে অংশ নেবেন ১৮৪ জন। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের দেওয়া হবে একটি কোরআই ৫ ল্যাপটপ।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তায় বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে কাজ করবে: পলক
রোবট এখন আর বিলাসী নয়, প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী পলক
১ বছর আগে
বাংলাদেশে নারী জাগরণ ও ক্ষমতায়নের অগ্রদূত শেখ হাসিনা: ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বাংলাদেশে নারী জাগরণ ও ক্ষমতায়নের অগ্রদূত শেখ হাসিনা।
বুধবার (৮ মার্চ) নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় নারীদের এগিয়ে আসতে হবে: শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, জাতির পিতা সংবিধানে নারী অধিকার ও সমতা নিশ্চিত করেছেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মপরিকল্পনা ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন।
১ বছর আগে
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মায়েস্ট্রাস’ কর্মসূচি আয়োজিত
গ্রামীণ পর্যায়ে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গত ৫০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থা ব্র্যাক। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রিসার্চ অ্যান্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’-এ আয়োজিত হয় ‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মায়েস্ট্রাস’ কর্মসূচি।
‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মাইস্ট্রস’ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য ‘লিঙ্গ সমতা’। যেটি জাতিসংঘের বৈশ্বিক উন্নয়ন লক্ষ্যের (সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস) ৫ম লক্ষ্য। বাংলাদেশি নারীদের কার্যকরী কর্মদক্ষতা এবং উন্নয়ন অর্জন আরও একধাপ এগিয়ে নেয়াই ছিল ‘উদ্যোমী আমি' কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য।
নারী উদ্যোক্তারা যেন নিজেদের কর্মদক্ষতার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে নিজের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষমতা অর্জন করতে পারে- এটিও আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: তিন দিনব্যাপী শিশুদের আন্তজার্তিক শিল্প প্রদর্শিনী শুরু
অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তদের ব্যবসায়িক উদ্যোগের ‘পিচিং সেশন’ এবং বিচারকদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে। ৩১ জন উদ্যোক্তার মধ্যে ২৪ জন উত্তীর্ণ হওয়া উদ্যোক্তা এই পিচিং সেশনটিতে নিজেদের উদ্যোগকে উপস্থাপন করার সুযোগ পান উদ্যোক্তারা। প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে বেলা ১১টায় শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ব্র্যাক বিজনেস স্কুল (বিবিএস) এর ডিন অধ্যাপক ড. স্যাঙ হুন লি, প্রফেসর অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজিবুল হক, সেন্টার ফর এন্টারপপ্রেনাশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি) এর পরিচালক আফসানা চৌধুরী, ড. রাফিউল আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নাসীমা আক্তার নিশা।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত ৯২ শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিল কাতার চ্যারিটি
সর্বশেষে বিজয়ী উদ্যোক্তা লাবনী আক্তার নিজের আনন্দ প্রকাশ করে বলেন,‘প্রথম সেশনেই আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি যে এখানে নতুন কিছু পেতে যাচ্ছি। যতগুলো ট্রেনিং প্রোগ্রাম আমি করেছি লোকাল ও ইন্টারন্যাশনাল; উদ্যমী আমি কেন যেন বাকিদের থেকে আলাদা লেগেছে।’
মূল অনুষ্ঠান শেষে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আতিফ হক বলেন, ‘উদ্যমী আমি নারীর ক্ষমতায়নের জন্য যে উদ্যোগটি নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। ব্র্যাকের এই উদ্যোগ নারীদের জন্য সময়োপযোগী এবং আমার বিশ্বাস এই অনুষ্ঠান সকল অংশগ্রহণকারীদের জন্য কোনো না কোনোভাবে উন্নতি আনবে।’
বর্ণিল এই আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল সময় টিভি ও ইউএনবি। প্রিন্ট মিডিয়া স্পনসর ছিলো ইত্তেফাক এবং অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিজনেস ক্লাব (বিজবি)।
আরও পড়ুন: ‘সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেলেন বিশ্বজয়ী নাজমুন নাহার
২ বছর আগে
সমাজের অবক্ষয় দূর করতে গণতন্ত্র প্রয়োজন: বিএনপি
সমাজে যে অবক্ষয় দেখা দিয়েছে তা দূর করতে গণতন্ত্রের চর্চা জরুরি উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় শুক্রবার বলেছেন, জনগণের ক্ষমতায়ন ছাড়া তার দল ক্ষমতায় এলেও সমাজে বা রাষ্ট্রে যে অবক্ষয় চলছে তা থেকে মুক্তি মিলবে না।
৪ বছর আগে