সন্ত্রাস, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক সংক্রান্ত অপরাধ, কিশোর গ্যাং ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ইস্যুতে চলমান বিশেষ অভিযানে জোরদারে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো.ময়নুল ইসলাম।
সোমবার(২৮ অক্টোবর) এক নির্দেশনায় জননিরাপত্তা রক্ষায় এসব অভিযানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইজিপি।
তিনি উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হত্যা মামলার সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি শেখ আফিলসহ ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা, আটক ৫
আইজিপি বলেন, স্থায়ী ও অস্থায়ী উভয় ধরনের চেকপোস্টের সহায়তায় বেশি অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ১৫০টি চেকপোস্টের পাশাপাশি ৩০০টি মোটরসাইকেল টিম এবং ২৫০টি টহল টিম পরিচালনা করছে। গোয়েন্দা নজরদারি ও ভ্রাম্যমাণ টহলদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চলমান অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষ ২০০ ডাকাত ও চাঁদাবাজ, ১৬ জন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং বৈষম্যবিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত ১ হাজার ১৪০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়া, অবৈধ অস্ত্রসহ ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদক সম্পর্কিত অপরাধের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ফলে যথেষ্ট পরিমাণে মাদকদ্রব্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
আইজিপি দলমত নির্বিশেষে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
এই জোরদার প্রচেষ্টার মাধ্যমে সকল নাগরিকের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষে কাজ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ক্রসফায়ারের ৮ বছর পর র্যাবের সাবেক ডিজির বিরুদ্ধে মামলা