হরিণ
বাগেরহাটে ২৯ কেজি হরিণের মাংসসহ গ্রেপ্তার ১
বাগেরহাটের সুন্দরবনে ২৯ কেজি হরিণের মাংসসহ শফিকুল শেখ (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সুন্দরবনের বগুড়া নদীতে একটি স্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় অভিযান চালিয়ে শফিকুলকে আটক করে পুলিশ।
এসময় ওই নৌকা থেকে চামড়াযুক্ত সাড়ে ২৯ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়। স্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার শফিকুল শেখ বাগেরহাটের রামপালের ভাগা গ্রামের হাসান আলীর ছেলে।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাস জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ বগুড়া নদীতে স্যালো ইঞ্জিনচালিত ওই নৌকায় অভিযান চালায়। এসময় সাড়ে ২৯ কেজি হরিণের মাসংসহ শিকারি চক্রের অন্যতম সদস্য শফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। শফিকুল তার এক সহযোগীকে নিয়ে জেলে সেজে অবৈধভাবে সুন্দরবনে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে। এরপর জবাই করে চামড়াসহ হরিণের মাংস বিক্রির জন্য লোকালয়ে নিয়ে আসে।
তিনি জানান, শফিকুলের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী ও সংরক্ষণ আইনে মামলা করার পর তাকে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন।
ওসি আরও বলেন, আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হরিণের মাংস কেরোসিন দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। শিকারি চক্রের অপর সদস্যদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় হরিণের মাংস জব্দ, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় ৪টি হরিণের মৃত্যু
ভোলায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ১
১১ মাস আগে
খুলনায় হরিণের মাংস জব্দ, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
খুলনার কয়রায় বনবিভাগ ও কোস্ট গার্ডের যৌথ অভিযানে হরিণের গোশতসহ পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ঘড়িলাল বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার ক্ষুদ্রচাকশ্রী গ্রামের পলাশ কুমার দাস এবং পিরোজপুর নাজিরপুরে মো. মিলন।
আরও পড়ুন: ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় ৪টি হরিণের মৃত্যু
এ সময় তাদের কাছ থেকে আট কেজি হরিণের গোশতসহ পল্লী বিদ্যুতের অফিসিয়াল কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনবিভাগ ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে আট কেজি হরিণের গোশতসহ পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে বন আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ১
খুলনায় ১২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ১
১ বছর আগে
ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় ৪টি হরিণের মৃত্যু
রবিবার ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে বগুড়া টিএমএসএস (ঠেঙ্গামারা মহিলা সংঘ) একটি প্রাণী পালন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় চারটি হরিণের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, টিএমএসএস কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রতি হরিণ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে জাতীয় চিড়িয়াখানার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাঁচটি হরিণ ক্রয় করে।
টিএমএসএস কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে যে জাতীয় চিড়িয়াখানার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হরিণ পরিবহনে কোনও সহায়তা বা পরামর্শ দেয়নি।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে হরিণের মাংস-গুলিসহ এক ‘শিকারি’ আটক
হরিণগুলোকে নিয়ে যাওয়ার আগে শাস্তিমূলক ইনজেকশনের মাধ্যমে অচেতন করা হলেও বগুড়ায় পৌঁছানোর পর হরিণগুলোর জ্ঞান ফেরাতে না পারায় চারটিকেই মৃত ঘোষণা করা হয়।
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ জানান, তারা আশ্রয়স্থল পরিদর্শন করে চারটি হরিণের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৮ মে জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে একইভাবে ছয়টি হরিণ আনা হলেও তাদের মধ্যে দুটি চিড়িয়াখানা থেকে বের হওয়ার পর মারা যায় এবং আরেকটি বগুড়া যাওয়ার পথে মারা যায়।
এছাড়া টিএমএসএস-এ ময়ূর ও ভেড়া পালন করা হচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষ অভয়ারণ্য কেন্দ্রে বানর আনার পরিকল্পনা নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বন্ধ হচ্ছে না হরিণ শিকার
১ বছর আগে
সুন্দরবনে বন্ধ হচ্ছে না হরিণ শিকার
বন্যপ্রাণী শিকার আইন প্রণয়নের পরও বন্ধ হচ্ছে না সুন্দরবনের হরিণ শিকার। মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে অনেক শিকারি হরিণ শিকার করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এতে একদিকে যেমন সুন্দরবনের প্রধান আকর্ষণ হরিণ অস্তিত্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে বাঘের প্রধান খাদ্য হরিণ হওয়ায় বনের ইকো সিস্টেম নষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে হরিণের মাংস-গুলিসহ এক ‘শিকারি’ আটক
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুন্দরবনের হরিণসহ সব বন্য সম্পদ রক্ষায় আরও কঠোরভাবে নজরদারি বাড়াতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আবারও খুলনার কয়রা থেকে হরিণের ৫৩ কেজি মাংস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ জুলাই) ভোরে উপজেলার ৪ নম্বর কয়রায় শাকবারিয়া খালের পাশে অভিজান চালিয়ে এ মাংস উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া খালে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায় পাচারকারী।
উপজেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য মতে, সুন্দরবনসংলগ্ন কয়রা উপজেলায় হরিণ শিকারিদের দৌরাত্ম্য সব চেয়ে বেশি।
গত ৩ মাসে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৩২ কেজি হরিণের মাংস, একটি গলাকাটা হরিণ, ৫টি চামড়া ও মাথা জব্দ করে প্রশাসন।
এ সময় মামলা হয়েছে ১০টি, গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬ জন। এ ছাড়া গত এক বছরে এর সংখ্যা ৫০ জনের বেশি।
সম্প্রতি ৩ মণ হরিণের মাংসসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল কয়রা উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় নির্বিচারে হরিণ নিধনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ পায়।
জানা যায়, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এই চিত্রা হরিণ। কিন্তু দিনের পর দিন প্রশাসনের রেড এলার্টসহ বিভিন্ন অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হরিণ নিধন করে যাচ্ছে পাচারকারীরা।
আরও পড়ুন: ভোলায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ১
স্থানীয়রা বলছে, সুন্দরবনসংলগ্ন উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় দাম কম হওয়ায় এই বন্যপ্রাণীর মাংসের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে হরিণ শিকার বন্ধ করা যাচ্ছে না। অনেকেই অগ্রিম ‘দাদন’নিয়ে জেলের ছদ্মবেশে মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে বনে ঢুকে চোরা-শিকারিরা।
তাদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে ‘এজেন্ট ব্যবসায়ীদের’। এই এজেন্টদের মাধ্যমে কখনো অগ্রিম, আবার কখনো মাংস এনেও বিক্রি করা হয়।
এই চক্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানেও পৌঁছে যায় হরিণের মাংস।
সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, বন্যপ্রাণী শিকার নিষিদ্ধ হলেও আইন অমান্য করে হরিণ শিকার করছে একটি চক্র। এতে সুন্দরবনে দিন দিন কমে যাচ্ছে হরিণের সংখ্যা।
সম্প্রতি সময়ে হরিণ শিকার বেড়ে যাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যেখানে বনদস্যু আটক হয়ে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হচ্ছে। সেখানে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার বেড়ে যাচ্ছে।
এর পেছনে বনবিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
এ ছাড়া যে পরিমাণ হরিণের মাংস ও চামড়া জব্দ হয়, তার থেকে কয়েকগুণ বেশি হরিণ শিকার হয়।
অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির আরও বলেন মাঝেমধ্যে দুই-একটা অভিযানে হরিণের মাংস, চামড়া, মাথা জব্দ হলেও মূল চোরাশিকারি ও পাচারকারীরা থেকে যায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাংস বহনকারীরাই ধরা পড়ে। তারা দুর্বল আইনের কারণে কয়েক দিন পর জেল থেকে ফিরে একই কাজে লিপ্ত হন।
কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের বাসিন্দা সোলায়মান গাজী বলেন, সুন্দরবন প্রভাবিত কয়রার গ্রামগুলোতে বেশির ভাগই শ্রমজীবী মানুষের বসবাস।
এসব গ্রামের প্রতিটি পরিবারের কেউ না কেউ সুন্দরবনকেন্দ্রিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ উপজেলার ৩০টির বেশি চোরাশিকারি চক্র নির্বিচারে সুন্দরবনের হরিণ নিধন করছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান বলেন, সুন্দরবনসংলগ্ন কয়রায় সুন্দরবনকেন্দ্রিক অপরাধ প্রবণতার চিত্র তাদের উদ্বিগ্ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষত হরিণ শিকারিদের দৌরাত্ম রুখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বন বিভাগকে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, অল্প জনবল দিয়ে এত বড় বনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয় বন বিভাগের।
তারপরও হরিণ শিকার আগের তুলনায় অনেকাংশে কমেছে। র্যাব, কোস্ট গার্ড, বিজিবি ও বন বিভাগের নিয়মিত টহলের কারণে এখন বনে হরিণ শিকারের সুযোগ কম।
আরও পড়ুন: খুলনায় ১২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ১
মোহসিন বলেন, বনে জলদস্যুরাই বেশি হরিণ শিকার করে খেত। ২০১৮ সালে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হওয়ায় পর এবং গত কয়েক বছর রাসমেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বনে হরিণ শিকার কমেছে।
তা ছাড়া সাম্প্রতিক বন্যপ্রাণী রক্ষায় অপরাধে জড়িতদের তথ্য প্রদানকারীকে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণার ফলে চোরা শিকারিদের ব্যাপারে সাধারণ মানুষ তথ্য দিতে উৎসাহিত হয়েছে।
এখন মাংসসহ হরিণ শিকারি বেশি ধরা পড়ছে।
১ বছর আগে
বাগেরহাটে হরিণের মাংস ও দু’টি চামড়াসহ ২ শিকারি আটক
সুন্দরবন এবং বনসংলগ্ন লোকালয়ে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৫ কেজি হরিণের মাংস এবং দু’টি হরিণের চামড়াসহ শিকারিচক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। সোমবার বিকালে ও রবিবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলাধীন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিমের চর এবং বনসংলগ্ন পানিরঘাট এলাকায় একটি বসত বাড়িতে অভিযান চালায় সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ। এঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটক দুই শিকারি হলেন- বরগুনা জেলার পাথরঘাটার পদ্মা গ্রামের মো. ইদ্রিস (৪০) এবং একই উপজেলার চরলাঠিমারা গ্রামের মো. নিজাম (৪৫)।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. সামছুল আরেফিন জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বন বিভাগের সদস্যরা সোমবার বিকালে শরণখোলা উপজেলার পানির ঘাট গ্রামের হরিণ শিকারি তানজের আলীর বাড়ির টিনের চাল থেকে হরিণে দু’টি চামড়া উদ্ধার করে। সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করার পর ওই দু’টি চামড়া টিনের চালে রোদে শুকানো হচ্ছিল। বন বিভাগের সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির লোকজন এসময় পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: শরণখোলায় ২ হরিণের চামড়া উদ্ধার
১ বছর আগে
সুন্দরবনে বেড়েছে হরিণ শিকার
সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের আওতাধীন খুলনা রেঞ্জে প্রতিনিয়ত হরিণ শিকারির অপতৎপরতা বেড়েই চলেছে। সুন্দরবন রক্ষা করতে বন বিভাগের টহল টিমের সঙ্গে বিশেষ টহল টিম স্মার্ট প্যাট্রল প্রতিনিয়ত দায়িত্ব পালন করলেও অদৃশ্য কারণে হরিণ শিকার কমছে না।
সম্প্রতি কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর কয়রা গ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে দুদিনের ব্যবধানে সাত কেজি হরিণের গোশতসহ এক শিকারিকে আটক করেছে কয়রা থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে চিত্রা হরিণ উদ্ধার, সুন্দরবনে অবমুক্ত
জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় দিকে পাচারকালে কয়রা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৪নং কয়রা গ্রামের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী রুহুল আমিন সানাকে চার কেজি হরিণের গোশতসহ আটক করা হয়। এর আগে ১৭ আগস্ট গভীর রাতে তিন কেজি হরিণের গোশত উদ্ধার করেন কয়রা থানা পুলিশ।
এছাড়া গত ৫ জুন সুন্দরবনে অভিযান চালিয়ে জবাই করা দুটি হরিণ, একটি নৌকা ও হরিণ ধরার ফাঁদ উদ্ধার করেন কয়রার হড্ডা বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান।
অভিযোগ আছে, বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা চোরা শিকারিদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তাদের যোগসাজশে এই শিকারি চক্র হরিণের গোশত নিয়ে উপজেলার ৪ ও ৬ নম্বর কয়রা এলাকা দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: শরণখোলায় ২ হরিণের চামড়া উদ্ধার
পশ্চিম বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. হাসানুর রহমান বলেন, আমাদের টহল টিম নিয়মিত পাহারা দেয়। সুযোগ বুঝে তাদেরকে ফাঁকি দিয়ে এই চক্র হরিণ শিকার চালিয়ে যাচ্ছে। বন বিভাগের সদস্য কম থাকায় তারা সুযোগটা বেশি পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি এম এস দোহা বলেন, কিছু অসাধু কারবারি হরিণ শিকার করে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে প্রতিনিয়ত কয়রা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। সম্প্রতি হরিণের গোশতসহ একজনকে আটক করে বন্য প্রাণী নিধন আইনে মামলা করা হয়েছে।
২ বছর আগে
সুন্দরবনে বাঘের পাশাপাশি গণনা করা হবে হরিণ ও শূকর
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে বাঘের পাশাপাশি হরিণ ও শূকর গণনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন।
‘সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প’ এর আওতায় এটি করা হবে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং প্রকল্পটির সময় চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত।
এর আগে ২৩ মার্চ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ‘সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়।
বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের ইউএনবিকে বলেন, বনের অভয়ারণ্য ও অভয়ারণ্য এলাকার বাইরে এই বাঘ শুমারি করা হবে। বনের কম, মধ্যম ও বেশি লবণাক্ত সব এলাকাই জরিপের আওতায় আসবে।
তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের লক্ষ্য বাঘের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা এবং তাদের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা প্রণয়ন করা।’
তিনি জানান, বাঘ প্রধানত হরিণ, শূকর, বানর ও কাঁকড়া খায়। তাই প্রকল্পটির আওতায় এগুলোও জরিপের আওতায় আনা হবে। তবে তা করা হবে শুমারির শেষের দিকে ২০২৪ সালে।’
২০১৮ সালে করা সর্বশেষ জরিপ অনুয়ায়ী, বাংলাদেশের সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ১১৪টি যা ২০১৫ সালে ছিল ১০৬টি।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পর্যটন: সেবা কার্যক্রম উন্নত করতে অটোমেশনের দিকে নজর
২ বছর আগে
বাঁচানো যায়নি ভারতীয় হরিণটি
অবশেষে ভারত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা হরিণটি মারা গেছে। বনবিভাগ মৃত হরিণটিকে ময়নাতদন্ত শেষে মাটি চাপা দিয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম সিকটিহারিতে প্রবেশ করে। স্থানীয়রা হরিণটিকে ধরতে প্রানপণ চেষ্টা করেও ধরতে পারেনি। দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বনবিভাগ এবং উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়।
আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুল আলম হালিম ও সামাজিক বন বিভাগ পঞ্চগড়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা ঋষিকেষ রায় জানান, খাবারের খোঁজে পথ ভুলে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে হরিণটি বাংলাদেশের সিকটিহারি গ্রামে প্রবেশ করে। উৎসুক জনতার ধাওয়ায় হরিণটির পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হয়। হরিণ দেখতে সেখানে শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণটিকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আমাদের সামনেই হরিণটি মারা যায়। রাতে হরিণটিকে আটোয়ারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে এসে ময়নাতদন্ত শেষে মাটি চাপা দেয়া হয়।
আটোয়ারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শামীমা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হরিণটিকে ধরার জন্য স্থানীয়রা ধাওয়া করায় পা কেটে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ভয়ে হরিণটি মারা যায়।
আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুশফিকুল আলাম হালিম জানান, হরিণটির পা থেকে অনবরত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। বনবিভাগ ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মিলে হরিণটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাণীটিকে বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুন: শরণখোলায় ২ হরিণের চামড়া উদ্ধার
কয়রায় হরিণ ধরার ফাঁদসহ গ্রেপ্তার ৪
বাগেরহাটে হরিণের ৫ চামড়াসহ পাচারকারি আটক
২ বছর আগে
কয়রায় হরিণ ধরার ফাঁদসহ গ্রেপ্তার ৪
খুলনার কয়রায় সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের অভিযোগে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সুন্দরবনের মুড়লি কুরুলি খাল এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বনবিভাগ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫শ’ পিস হরিণ ধরার ফাঁদ ও ৩টি নৌকা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার জোড়শিং গ্রামের কোহিনুর ইসলাম (২৭), আমিনুল রহমান (২৮), আহসান দুলাল (২৬) ও হেলাল গাজী (২৫)।
খুলনা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) এজেডএম হাছানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা হয়েছে। তাদেরকে কয়রা উপজেলা মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় হরিণ ধরার ফাঁদসহ গ্রেপ্তার ৩
সুন্দরবনে হরিণের মাংস, ফাঁদসহ আটক ১০
কোদালিয়া বিল থেকে পাখি-ফাঁদ উদ্ধার, আটক ২
২ বছর আগে
বাগেরহাটে হরিণের ৫ চামড়াসহ পাচারকারি আটক
বাগেরহাটের মোংলা থেকে পাঁচটি হরিণের চামড়াসহ পাচারকারি চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে র্যাব খুলনা-৬ এর সদস্যরা মোংলা উপজেলার বিদ্যারবাহন খেওয়াঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
আটক আল আমিন শরীফ (২৪) খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার উত্তর বানিয়াশান্তা গ্রামের মো. ফারুক শরীফের ছেলে।
র্যাব খুলনা-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, হরিণের চামড়া ক্রয়-বিক্রিয় করা হচ্ছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল মোংলার বিদ্যারবাহন খেওয়াঘাট এলাকায় অবস্থান নেয়। রাত ১১টার দিকে আল আমিন নামে ওই যুবক সেখানে পৌঁছালে র্যাব সদস্যরা তার কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে। এসময় ওই ব্যাগ থেকে হরিণের পাঁচটি কাঁচা চামড়া উদ্ধার করা হয়। এক থেকে দুই দিন আগে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের পর ওই চাড়মা পাচারকারি চক্রের মাধ্যমে বিক্রির জন্য নেয়া হচ্ছিল বলে র্যাব কর্মকর্তা জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় হরিণ ধরার ফাঁদসহ গ্রেপ্তার ৩
তিনি আরও জানান, র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আল আমিন হরিণের চামড়া পাচারকারি চক্রের সদস্য বলে স্বীকার করেছে। সুন্দরবনে শিকারিদের কাছ থেকে হরিণের চামড়া নিয়ে চক্রের অপর সদস্যদের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করার কথা জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে মোংলা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
পড়ুন: সুন্দরবনে হরিণের মাংস, ফাঁদসহ আটক ১০
২ বছর আগে