জরুরি
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জরুরি নির্দেশনা
সিলেটের বন্যাকবলিত এলাকার চিকিৎসকদের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বুধবার সচিবালয়ে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা খাতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনাসভায় এ নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢামেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে যাতে কোনো বিবাদ না হয়: পরিচালককে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ রাখতে হবে।
এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালগুলো বিষধর সাপের প্রতিষেধক পর্যাপ্ত এন্টিভেনম মজুদ রাখার জন্য নির্দেশ দেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে, বন্যার সময় ও পরবর্তী রোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় যুক্ত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা খাতের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: লোকবল না থাকলে কোনো হাসপাতাল নতুন যন্ত্রপাতি কিনতে পারবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৪ মাস আগে
ভোটার উপস্থিতি কতটা জরুরি?
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাত্রারেখায় দাঁড়িয়ে আছে। দাপ্তরিক কাজ শেষ। এখন প্রার্থীদের রিং এ ফেলে বক্স অন বলার অপেক্ষা।
নিরাপত্তার চাদরে আবৃত হয়ে নির্বাচন কমিশন কমান্ড পোস্ট থেকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছে। তারা তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন যে আঁটঘাট বেঁধে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন করেই ছাড়বেন। তারা বলেছিল, কে এল না এল তাতে কিছু আসে যায় না। নির্বাচন হবেই।
নির্বাচন কমিশন আবার আমেরিকার কথার তোয়াক্কা করবে না বলে মাঝে মাঝে জানান দেয়। আবার ভয় যে পায় তা মাঝে মাঝে সিইসির বক্তব্যে বেফাঁস বেরিয়ে আসে। রাজনৈতিক দলগুলো তৈরি। উৎসবমুখর না হলেও বিরস মুখে ক্ষুদ্র দলগুলো সরকারি দল থেকে দুয়েকটা আসন প্রাপ্তির সুযোগ খুঁজছে। সরকারি দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা সংশয়ে আছে। মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয়তা থাকলেও তাদের নির্বাচনী ফসল ঘরে তুলে আনার সম্ভাবনা কতটুকু? সরকার ও সরকারি দল কতটুকু ক্ষমতাশালী তা বিদ্রোহী প্রার্থীরা নিজেরাই ভালো জানেন কারণ বিগত ভোটারবিহীন নির্বাচনগুলোর কুশীলব তারাই ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ প্রসঙ্গে চীনের বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের কৌশল সম্পর্কিত গবেষণা
তাহলে ভোটের মাঠে থাকছে সত্তরোর্ধ্ব একটা রাজনৈতিক দল, কিছু নামসর্বস্ব দল, কিছু নেতা সর্বস্ব লোভী ও সরকারি দলের বিদ্রোহীরা। তাহলে একটা বৃহৎ দল কার সঙ্গে নির্বাচন লড়তে যাচ্ছে? এ লড়াই কি তাদের জন্য সন্মানজনক? মর্যাদাপূর্ণ? দেশের গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক?
এ বৃহৎ দলের একটাই প্রতিদ্বন্দ্বী দল বিএনপিকে হামলা-মামলা ও রাজনৈতিক কৌশলে নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়েছে। ইসলামী কিছু দল এমনকি বাম দলগুলোও নির্বাচনে যাচ্ছে না। ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়া কোনো সাহসিকতার কাজ নয়। দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতাও পাবে না। তার কি কোনো বিকল্প নেই?
ধরে নিলাম সব ঠিক চলছে। ভালোমন্দ মিলিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাজসজ্জা তৈরি। দল আছে, প্রার্থী আছে, পরিচালনাকরিরাও প্রস্তুত। তারপরও ভোটার উপস্থিতির শঙ্কা। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবেন এটাই আশা। কিন্তু ভোটাররা কাকে ভোট দিতে যাবেন।
একটা দলেরই যোগ্য প্রার্থী আছে, বিপরীতে যারা আছে তারা কি গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় রাজনৈতিক দল? তাহলে একমাত্র বৃহৎ দলের যোগ্য প্রার্থীরাই জিতবেন। তাদের মাঝে মন্ত্রী, এমপি সবাই সিংহাসনে আসীন। এসব যোগ্যদের জেতানোর জন্য সবাই একাট্টা। নির্বাচনটা গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
ভোটার হাজির করার দায়িত্ব কারোই নয়। ভোটারের নিজের দায়িত্ব এটা। দেশের সুনাগরিক এ দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য। সবাই সুনাগরিক নয়। তাহলে ভোটারদের কষ্ট করে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার আছে? এর চেয়ে নিজের জীবন জীবিকার জন্য দিনটি ব্যয় করা উত্তম।
নির্বাচনে প্রার্থীরা নিজেদের সাফল্য জাহির ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের নেতিবাচক দিক তুলে ধরেন। ক্ষমতায় বহাল সরকার, এমপি-মন্ত্রীদের কোনো সমালোচনা বা নেতিবাচক কথা বললেই সাইবার আইনে ফেঁসে যাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা। তাহলে নির্বাচনটা সেভাবে প্রভাবিত হবে না বলে নিশ্চয়তা কেউ দেবে? এটা ধরে নেওয়া যায় যে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে দ্বিধান্বিত হবেন।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। উৎসব মুখর ভোট হবে, এমপি-মন্ত্রীদের সুযোগ-সুবিধা ও সম্পদ বৃদ্ধি ঘটবে। জিন্দাবাদ মূর্দাবাদ করে কর্মীরা ক্লান্ত হয়ে খালি হাতে ঘরে ফিরবে। কোনো কিছু কি জনগণের ভাগ্যে যাবে?
(বি.দ্র. ইউএনবির সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামত নাও মিলতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো দায়ভার ইউএনবি নেবে না।)
আরও পড়ুন: চীনে আঞ্চলিক ও দেশীয় অধ্যয়নের উন্নয়ন
ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জরুরি জলবায়ু তহবিল প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে
তামাক ব্যাবহারের নিয়ন্ত্রণ জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তামাকের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য, অর্থ ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাক ক্ষতি ছাড়া জীবনে কোনো অবদান রাখেনা। স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সকলেই জানে। তাই তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ পরিহার করা অপরিহার্য। তামাক ব্যাবহারের নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা আহছানিয়া মিশন কর্তৃক আয়োজিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ব্যবস্থা শীর্ষক আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সময়ের সঙ্গে সব কিছুই পরিবর্তন হয়। আইনও পরিবর্তন হতে পারে। প্রণীত খসড়াটি যেন দ্রুত আইনে রূপান্তরিত হয় সে চেষ্টা করতে হবে। তামাকের জন্য যে কোটি কোটি টাকা আয় হচ্ছে বলা হয়, সেটা স্বাস্থ্য ক্ষতির তুলনায় কিছুই না।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, বলা হয় যে তামাক বন্ধ হলে ৮০ লাখ লোক বেকার হয়ে যাবে এটা সত্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগ কাজ করছে। তামাক নিয়ন্ত্রণে জন্য গাইডলাইন করা হয়েছে।
মো.তাজুল ইসলাম বলেন, তামাকের চাষাবাদ ও তামাক পণ্য উৎপাদন কৃষি জমির উর্বরতা হ্রাস করে। তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিড়ি সিগারেটের ধোঁয়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধে জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এদেশ স্বাধীন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমারা একাত্ম থাকলে আমরা যে কোনো সংকট মোকাবিলা করে বিজয় অর্জন করবোই। বর্তমান সংকট বৈশ্বিক তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিস্থিতি বুঝে কাজ করতে হবে যেন কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে।
বিশেষ অতিথি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ. ফ. ম. রুহুল হক উল্লেখ করেন তামাকের কোন ভালো দিক নেই। তামাক নিয়ন্ত্রণ করলে দেশের স্বাস্থ্যখাত ভালো থাকবে।
সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার বলেন, বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত দেশ এবং ২০৪০ সালে আমরা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ আন্দোলন মানুষকে অধিক সচেতন করছে।
আইন সংশোধন হলে এ আন্দোলন আরও ফলপ্রসূ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হোসেন আলী খন্দকার, সমন্বয়কারী, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের অতিরিক্ত সচিব, উল্লেখ করেন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তামাক বাদে অন্য ফসল উৎপাদন কাজ করতে। উন্মুক্ত আলোচনায় বিশিষ্টজনরা তামাকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করেন। দ্রুত খসড়া আইন পাশ ও তামাক মুক্ত বাংলাদেশ আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান।
আলোচনা অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টর এর পরিচালক জনাব ইকবাল মাসুদ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মো. সেলিম রেজা, প্রধান নির্বাহী (অতিরিক্ত সচিব), ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, আবদুস সালাম মিয়া, গ্রেন্ডস ম্যানেজার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল ডা. জুবায়দুর রহমান, বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জনাব জালাল আহমেদ এবং দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।।
আরও পড়ুন: জাতির স্বার্থে কাজ করার আহ্বান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পদ্মা সেতু দুই যুগেও হতো না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
২ বছর আগে
মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ কেন জরুরি?
যোগাযোগের চিরায়ত মাধ্যম ভাষা মানুষকে পরস্পরের সঙ্গে মনের ভাব প্রকাশে সহায়তা করে। কিন্তু যখন শিক্ষা গ্রহণের প্রশ্ন আসে, তখন ভাব বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি সেখানে আরও কিছু নির্ণায়ক জুড়ে যায়। যুগ যুগ ধরে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা পদ্ধতির বিকাশের চাকার ঘূর্ণনকে নানা দিকে বদলেছেন বিশ্ব শিক্ষার নীতি নির্ধারকগণ। সব কিছুকে ছাপিয়ে বারবার যে বিষয়টি এই অগ্রগতির রূপরেখায় অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েছিল, তা হলো মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের গুরুত্ব। এই পরিপ্রেক্ষিতেই মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক তুলে ধরা হলো এই ফিচারে।
সামঞ্জস্য বিধানের সহজাত দক্ষতা
স্কুলে যেয়ে একটি শিশু যখন তার পরিবারের লোকদের বলা কথাগুলোই শুনতে ও বুঝতে পারে, তখন তার ভেতরে ইতোমধ্যে সংরক্ষিত শব্দগুলো দিয়ে স্কুলের শেখানো শব্দগুলোর সামঞ্জস্য বিধান করতে পারে। ভিন্ন ভাষার শব্দ হলে তখন তার এই সামঞ্জস্য করার দক্ষতা বিলম্বিত হয়। প্রতিটি শিশুর ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। শিশুর যাচাই করার ক্ষমতার এই প্রাথমিক স্তরে কাঠামোর ভিত্তি গড়তে তাই প্রয়োজন তার মস্তিষ্কে তার মাতৃভাষার শব্দগুলোর প্রবেশ ঘটানো।
আরও পড়ুন: বর্ণিল আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
অনুশীলনের সুবিধা
পরিবারের গণ্ডিতে যে কথ্য ভাষায় তিন থেকে চার বছর শিশুটি লালিত হয়, সে ভাষাটি স্কুলেও পেলে শিক্ষক ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে তা নিয়ে তার অন্তর্নিহিত ভাবগুলো অনায়াসেই প্রকাশ করতে পারে। তাছাড়া স্কুলে দেয়া হোমওয়ার্কগুলো বাবা-মার সহায়তায় বাসায় চর্চার সুবিধা তো আছেই। বিশেষত নতুন কোন কিছু বা জটিল বিষয়গুলো শেখার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বেশি কাজে দেয়। আশেপাশের মানুষদের সাথে ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে অনুশীলনের ফলাফল হিসেবে অনুশীলনকৃত বিষয়টির ঠিক-বেঠিক নির্ণয়ে মাতৃভাষা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
সৃজনশীলতার সহায়ক
শিশুটির মস্তিষ্ক যখন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শব্দভান্ডারে বিকশিত হয়, তখন সময় আসে সে সেগুলো নতুন করে ব্যবহার করতে পারছে কিনা তা যাচাই করে দেখার। অবশ্য এটি বিভিন্ন শিশুর মধ্যে তার পরিবেশ ও শিক্ষা গ্রহণের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন সময়ে পরিলক্ষিত হয়। তবে জীবনের প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ শিশু মস্তিষ্কে সৃজনশীলতার বীজ বুনতে সাহায্য করে। এমনকি, এর ওপর নির্ভর করে শিশুর স্বাভাবিক মানসিক ক্রমবিকাশ পরিচালিত হয়। এর পরিধি কয়েকটি বর্ণ মিলিয়ে একটি শব্দ গঠন থেকে শুরু করে নতুন অনুভূতি প্রকাশ করা পর্যন্ত বিস্তৃত।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে একুশে পদক পাবেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক
সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখার প্রয়োজন
সংস্কৃতির মধ্যে নিহিত থাকে প্রতিটি মানুষের শিকড়। আর এর উপরেই মাটি ভেদ করে আকাশের দিকে ধীরে ধীরে ডালপালা গজাতে শুরু করে মূল্যবোধের বৃক্ষটির। ব্যক্তির আচার-আচরণ থেকে শুরু করে ভুল-শুদ্ধ নিরূপণের ভীত রচনা করার মোক্ষম হাতিয়ার সংস্কৃতি। মাতৃভাষা শুধু এই হাতিয়ার বানাতেই সাহায্য করে না বরং একজন পরিণত মানুষের জন্য এই হাতিয়ারকে শাণীত রাখার একমাত্র মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। ফলশ্রুতিতে নিজ গোষ্ঠী ও প্রথাগুলোকে মর্যাদাপূর্ণ করার পাশাপাশি ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের সঙ্গেও পারস্পরিক লেনদেনের উৎস উন্মোচিত হয়।
মাতৃভাষায় শিক্ষা পদ্ধতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
পাঠ্যক্রমগুলোতে মাতৃভাষার দারুণ প্রয়োগ দেখা যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। জাপান, জার্মানি, ও ফ্রান্স বিভিন্ন চড়াই-উৎড়াইয়ের পরেও দেশ গঠনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মাতৃভাষা প্রয়োগ থেকে বিরত থাকেনি। বরং সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাব্রত পালন করতে এই দেশগুলোতে ভীড় জমানোর সময় তাদের মাতৃভাষা শেখায় গুরুত্ব দেয়।
আরও পড়ুন: গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ ইতিহাসের এক অসাধারণ দলিল: জাফর ইকবাল
বলিভিয়ার জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ আদিবাসী হওয়ায়, বলিভিয়ান ক্যাম্পেইন ফর দ্য রাইট টু এডুকেশন (সিবিডিই) অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করে। ২০১০ সালে বলিভিয়ার জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রম প্রত্যেক শিশুকে স্প্যানিশ ছাড়াও একটি আদিবাসী ভাষা এবং সংস্কৃতি শেখার বিধান জারি করে।
জিম্বাবুয়ে স্কুল পরীক্ষা পরিষদ আদিবাসী ভাষা শিক্ষায় উৎসাহিত করতে সংখ্যালঘু ভাষায় পরীক্ষা চালু করেছে।
আরও পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
২০১৬ সালে মাদাগাস্কারের আনালাভরি কমিউনের একটি স্কুল তাদের মাতৃভাষা মালাগাসিতে লেখা গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই) থেকে ৫৪টি পাঠ্যপুস্তক পেয়েছে। এগুলো শিশুদেরকে তৃতীয় গ্রেড পর্যন্ত তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের সুবিধা দিয়েছে। চতুর্থ শ্রেণি থেকে তারা দেশের দ্বিতীয় সরকারী ভাষা ফরাসি শেখা শুরু করে।
২০১৪ সালে জিপিই-এর ৩৫ দশমিক দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের একটি অংশ দেয়া হয়েছিলো জাম্বিয়ার চাভুমা জেলায়। এতে করে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিশুরা তাদের মাতৃভাষা লুভালে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। সে বছর থেকে জাম্বিয়ান প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো গণিত সহ উচ্চতর পরীক্ষায় ক্রমাগত সাফল্য পেয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আফসান চৌধুরীসহ ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৬ লেখক
১২৩ টিরও বেশি ভাষা থাকলেও নেপালি ভাষা নেপালের স্কুলগুলোর প্রধান ভাষা। ২০১৫ সালে নেপালি মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের জন্য নতুন সংবিধান চালু করা হয়।
শেষাংশ
শুরুটা হোক মাতৃভাষায়- এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে শিক্ষা লাভের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে একটি নিরবচ্ছিন্ন গতি দেয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রগুলোতে জাতীয়ভাবে যথাযথ সুযোগ-সুবিধার প্রণয়নে মাতৃভাষার পেশাগত মর্যাদার পাশাপাশি বজায় থাকবে সাংস্কৃতিক উন্নয়নের ধারা। বিদেশি ভাষা বয়কট নয়; বরং বিশ্ব দরবারে মাতৃভাষাকে সমুন্নত করতেই বিদেশি ভাষা শিক্ষার নিমিত্তে মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করতে হবে।
আরও পড়ুন: লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীর সময় বাড়ল
২ বছর আগে
৯৯৯ এ কল: কাপ্তাই লেক থেকে ৭ পর্যটক উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকে আটকে পড়া ইঞ্জিন বোটের এক পর্যটকের ফোন কলে নারী ও শিশু সহ সাত পর্যটককে উদ্ধার করেছে রাঙ্গামাটি সদর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি।
রাজধানীর ধানমন্ডির অধিবাসী সানজিদ আহমেদ ও তার পরিবারের দুই নারী ও এক শিশু সহ মোট সাত জন রাঙ্গামাটি ভ্রমণে যান। বৃহষ্পতিবার তারা ইঞ্জিন বোটে কাপ্তাই লেক ভ্রমণে বের হয়ে কোতোয়ালি থানাধীন বালুখালিতে লেকের বিশাল কচুরিপানার ঝাঁকের আটকা পড়েন।
কচুরিপানার মধ্যেই নৌকার প্রপেলারের পাখা ভেঙে যায়। ফলে অসহায়ের অবস্থায় কচুরিপানার ঝাঁকের মধ্যে আটকে ছিলেন কয়েক ঘণ্টা। শেষে কোনও উপায় না পেয়ে দুপুর পৌনে একটায় সানজিদ আহমেদ ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাদের উদ্ধারের অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: জরুরি সেবা ৯৯৯: সমুদ্রে বিকল নৌযান থেকে উদ্ধার ১৫
৯৯৯ জরুরি সেবা তাৎক্ষণিকভাবে নৌ-পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এবং রাঙ্গামাটি সদর নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। ৯৯৯ পুলিশ ডিসপ্যাচার এস.আই. দীপন কুমার এবং এ.এস.আই মিল্টন বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট নৌ পুলিশ ফাঁড়ি এবং কলারের সাথে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে শুরু করেন।
সংবাদ পেয়ে রাঙ্গামাটি সদর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জনাব রাসেল মিয়া এবং এ.এস.আই নাজমুল সহ একটি দল উদ্ধার অভিযানে পরিচালনা করেন। দুপুর দেড়টা থেকে কয়েক ঘন্টা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে বিশাল কচুরিপানার ঝাঁক ভেদ করে সন্ধ্যার দিকে পর্যটকদের নিরাপদে উদ্ধার করে পলওয়েল কটেজে পৌঁছে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: নাফ নদী থেকে ৩৮ পর্যটক উদ্ধার
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর অপর একটি পর্যটক দল কাপ্তাই লেকে আটকে পড়ে ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা পেয়েছিলেন।
৩ বছর আগে
৯৯৯ এ কল: নাফ নদী থেকে ৩৮ পর্যটক উদ্ধার
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় দ্বীপ সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পথে নৌযান বিকল হয়ে পড়লে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সহযোগিতায় উদ্ধার হলেন শিশুসহ ৩৮ পর্যটক। কক্সবাজারের নাফ নদীতে ভাসতে থাকা বিকল নৌযানের এক পর্যটকের ফোন কলে বিকল নৌযান মেরামত করে পর্যটদের নিরাপদে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় কক্সবাজারের টেকনাফ থানা পুলিশ।
জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় ৯৯৯ কলটেকার কনষ্টেবল রাজু আহমেদ একটি কল রিসিভ করেন। আকবর হোসেন নামে একজন কলার কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন নাফ নদী থেকে ফোন করে জানান, তারা ১২ জন নারী ও ২ শিশু সহ মোট ৩৮ জন পর্যটক টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌযান (ট্রলার) যোগে যাত্রা করেছিলেন। পর্যটকদের মধ্যে ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহীর এবং স্থানীয় কিছু পর্যটক ছিলেন।
যাত্রার কিছুক্ষণ পর তাদের নৌযানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও নৌযানের চালক ইঞ্জিন ঠিক করতে পারেনি। শেষে কোন উপায় না পেয়ে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ কল, চলন্ত ট্রাকে ‘ধর্ষণের শিকার’ প্রতিবন্ধী তরুণী উদ্ধার
৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি টেকনাফ থানা পুলিশ এবং নৌ-পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। ৯৯৯ ডিসপাচার এসআই (উপ-পরিদর্শক) শাহরিয়ার রুবেল এবং ৯৯৯ ডিউটি টিম সুপারভাইজার ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) জনাব নুর মোহাম্মদ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সাথে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার সমন্বয় কাজ পরিচালনা করেন।
৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি উদ্ধারকারী দল একজন ইঞ্জিন মেরামতকারী মেকানিক সহ রওনা হয় তাদের উদ্ধার করতে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ অভিযোগ পেয়ে ২ ভুয়া পুলিশ আটক
পরে উদ্ধারকারী পুলিশ দলের এ.এস.আই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) মিজান ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তারা পর্যটকদের জন্য খাবার ও পানীয় নিয়ে গিয়েছিলেন এবং সকলে মাঝে বিতরণ করা হয়। এরপর মেকানিক ইঞ্জিন মেরামত করে দিলে পর্যটকদের নিয়ে ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং নিরাপদে সেন্টমার্টিন পৌঁছে যায়।
৩ বছর আগে
জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
জনসনের টিকা দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই টিকাটি ১৮ বছর এবং তার ওপরের বয়সের ব্যক্তির জন্য ব্যবহারযোগ্য।
আরও পড়ুন: সিনোফার্ম ফাইজারের টিকা কার্যক্রম ১৯ জুন থেকে শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত টিকার মধ্যে এটি ষষ্ঠ টিকা। তবে অনুমোদিত টিকার মধ্যে এটি সিঙ্গেল ডোজ।
এর আগে ভারতের সেরাম ইনিস্টিউটের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি এবং চীনের সিনোফার্ম, ফাইজার বায়োএনটেক এবং সর্বশেষ ৬ জুন চীনের সিনোভ্যাক লাইফ সাইন্স কোম্পানির তৈরি ‘করোনভ্যাক’ ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনমোদন দেয় বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: সিনোফার্মের দ্বিতীয় দফায় ৬ লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে
গত ১২ মার্চ বেলজিয়ামে উৎপাদিত জনসনের টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পায়। এছাড়া গত ২৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও ১১ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন জরুরি ব্যবহারে জনসেনের টিকার অনুমোদন দেয়।
দেশে করোনা পরিস্থিতি
মহামারি করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত আরও বেড়েছে, তবে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে একদিনে আরও ৩৩১৯ শনাক্ত, মৃত্যু ৫০
মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৩১৯ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৩৩ হাজার ২৯১ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫০ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যু ১৩ হাজার ২২২ জনে দাঁড়াল।
৩ বছর আগে
উন্নত চিকিৎসা নেয়ার জন্য খালেদা মুক্ত নন: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার বলেছেন, তাদের দলের প্রধান খালেদা জিয়াকে কিছু শর্তের ভিত্তিতে তার বাড়িতে থাকার জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসা নেয়ার মতো মুক্ত নন তিনি।
৪ বছর আগে