জার্মান
জার্মান অপরচুনিটি কার্ড: বাংলাদেশ থেকে আবেদন পদ্ধতি ও বিস্তারিত
ইউরোপের যে রাষ্ট্রগুলো কর্মজীবন ও অবকাশ যাপনের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলেছে, সেগুলোর মধ্যে প্রথম সারির দেশ জার্মানি। দেশটির কর্মজীবীদের ন্যূনতম পারিশ্রমিক হার যে কোনো ইউরোপীয় দেশের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। শেনজেনভুক্ত দেশটির কর্মচারীদের সাপ্তাহিক গড় কর্মঘণ্টার সংখ্যা গোটা ইউরোপের গড় কর্মঘণ্টার থেকে কম। সঙ্গত কারণেই ইইউ (ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন) সদস্য রাষ্ট্রটিতে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য রয়েছে অপার সম্ভাবনা। সম্প্রতি তাদের অপরচুনিটি কার্ডের প্রণয়ন এই সুযোগকে একটি নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রূপ দিয়েছে। চলুন, জার্মান অপরচুনিটি কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
জার্মান অপরচুনিটি কার্ড কি
ইইউ, ইইএ (ইউরোপীয়ান ইকোনমিক এরিয়া) কিংবা সুইজারল্যান্ডের বাইরের দেশগুলোর দক্ষ কর্মীদের জন্য চাকরির উদ্দেশ্যে জার্মানিতে প্রবেশের অনুমতি হলো অপরচুনিটি কার্ড। এটি মূলত একটি রেসিডেন্ট পার্মিট, যার মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ ১ বছর এবং এই সময়ের মধ্যেই কার্ডধারীকে চাকরির ব্যবস্থা করতে হয়। স্বভাবতই কার্ডটি সংগ্রহের জন্য প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট কর্মসংস্থানের যোগ্যতা স্বরূপ যথাযথ প্রমাণ পেশ করতে হয়।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
জার্মান অপরচুনিটি কার্ড কাদের জন্য
ইইউ, ইইএ বা সুইজারল্যান্ডের বাইরের দেশগুলোর প্রধানত দুই ধরনের নাগরিকদের এই কার্ড সরবরাহ করা হয়।
১/ সম্পূর্ণ জার্মানি স্বীকৃত পেশাগত বা শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী:
যাদের পেশাগত দক্ষতার প্রমাণ করতে পারে এমন জার্মানি স্বীকৃত কোনো শিক্ষাগত বা পেশাগত সনদ রয়েছে। এই যোগ্যতা অর্জন নিজ দেশে জার্মানি স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা জার্মানিতে অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে হতে পারে
২/ যারা এখনও নির্দিষ্ট কোনো দক্ষতায় প্রতিষ্ঠিত কর্মী নন, তবে নিম্নোক্ত শর্তগুলো পূরণ করেছেন-
· জার্মানির কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অথবা নিজ দেশে জার্মানি স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন
· জার্মানির কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা নিজ দেশে জার্মানি স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে ২ বছরের ভোকেশনাল ট্রেনিং নেওয়া
· কমন ইউরোপিয়ান ফ্রেমওয়ার্ক অব রেফারেন্স ফর ল্যাঙ্গুয়েজেস বা সিইএফআর অনুসারে কমপক্ষে লেভেল-এ১ জার্মান ভাষা দক্ষতা বা কমপক্ষে লেভেল-বি২ ইংরেজি ভাষা দক্ষতা। আইইএলটিএস স্কোর ৫ দশমিক ৫ থেকে ৬ দশমিক ৫, আর টোফেল আইবিটি-তে ৭২ থেকে ৯৪ সিইএফআর লেভেল বি২ এর সমতুল্য।
আরো পড়ুন: তুলনামূলক কম দামে বিমানের টিকিট কেনার কৌশল
জার্মান অপরচুনিটি কার্ডের পয়েন্ট সিস্টেম
২য় ক্যাটাগরির শর্তগুলো সুক্ষ্মভাবে যাচাইয়ের জন্য সেগুলোতে নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট আরোপ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে যারা ন্যূনতম ছয় পয়েন্ট অর্জন করতে পারে তাদের কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। মানদণ্ডগুলোতে পয়েন্ট বণ্টন পদ্ধতি নিম্নরূপ-
যোগ্যতার সমতা: (৪ পয়েন্ট)
সম্পন্নকৃত ডিগ্রি বা ট্রেনিং আংশিকভাবে সমতুল্য প্রমাণিত হলে ৪ পয়েন্ট যুক্ত হবে। যে দক্ষতাগুলো চূড়ান্তভাবে অনুশীলনের জন্য লাইসেন্স নিতে হয়, সেগুলোর লাইসেন্স হওয়ার আগেও ৪ পয়েন্ট পাওয়া যাবে। তবে রেসিডেন্ট পার্মিটের আগে অবশ্যই লাইসেন্স পরীক্ষা উত্তীর্ণ হতে হবে।
সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন পেশার যোগ্যতা: (১ পয়েন্ট)
জার্মানির চাকরির বাজারে যে ডিগ্রি বা ভোকেশনাল ট্রেনিংগুলোর সর্বাধিক চাহিদা রয়েছে সেগুলোর জন্য নির্ধারিত ১ পয়েন্ট। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাইনিং ম্যানেজার, হেল্থ সার্ভিস ম্যানেজার, কেমিস্ট, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাফিক এবং মাল্টিমিডিয়া ডিজাইনার এবং সফটওয়্যার ডেভেলপার।
জার্মানিতে সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন পেশাগুলোর পূর্ণ তালিকা এই লিংকে পাওয়া যাবে-
https://www.make-it-in-germany.com/fileadmin/1_Rebrush_2022/a_Fachkraefte/PDF-Dateien/3_Visum_u_Aufenthalt/2024_Mangelberufe_EN.pdf
পেশাগত অভিজ্ঞতা: (২ থেকে ৩ পয়েন্ট)
স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর তার প্রাসঙ্গিক পেশায় বিগত সর্বোচ্চ ৫ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে প্রার্থী ২ পয়েন্ট পাবেন। আর বিগত সর্বোচ্চ ৭ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতার জন্য দেওয়া হবে ৩ পয়েন্ট পাবেন।
ভাষা দক্ষতা: (১ থেকে ৪ পয়েন্ট)
জার্মান ভাষা পারদর্শিতার জন্য সিইএফআর অনুযায়ী এ২ লেভেলের জন্য রয়েছে ১ পয়েন্ট। লেভেল বি১-এ ২ এবং লেভেল বি২ বা তার উপরের স্তরের জন্য নির্ধারিত ৩ পয়েন্ট। এর সঙ্গে অতিরিক্ত ১ পয়েন্ট যোগ হবে যদি ইংরেজি ভাষা দক্ষতা লেভেল সি১ বা তার উপরে থাকে, অথবা প্রার্থী যদি নেটিভ স্পিকার হন।
বয়স: (১ থেকে ২ পয়েন্ট)
অনুর্ধ্ব ৩৫ বছর বয়সি প্রার্থীদের জন্য থাকবে ২ পয়েন্ট। ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সিরা পাবেন ১ পয়েন্ট।
জার্মানিতে বসবাসের রেকর্ড: (১ পয়েন্ট)
বিগত সর্বোচ্চ ৫ বছরের মধ্যে অন্তত ৬ মাস ধরে জার্মানিতে বৈধভাবে বসবাস করলে তার জন্য ১ পয়েন্ট যুক্ত হবে। এই বসবাস বেড়ানো, অধ্যয়ন, কিংবা কাজ যে কোনো উদ্দেশ্যে হতে পারে।
স্বামী বা স্ত্রীর দক্ষ কর্মী হওয়া: (১ পয়েন্ট)
আবেদনকারী দম্পতির যে কোনো একজন অপরচুনিটি কার্ডের শর্ত পূরণ করলে অন্যজন ১ পয়েন্ট পাবেন।
চূড়ান্ত ভাবে আবেদন প্রস্তুতি শুরুর পূর্বে আবেদনের যোগ্যতা নিচের লিংকে যেয়ে যাচাই করে নেওয়া যেতে পারে-
https://www.make-it-in-germany.com/en/visa-residence/self-check-opportunity-card#c52628
আরো পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
জার্মান অপরচুনিটি কার্ডের সুবিধাগুলো
এই কার্ডের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য জার্মানিতে কাজ খোঁজার অনুমতি দেওয়া হয়। ১ বছর পর জার্মানিতে থাকা অবস্থায় কার্ডের মেয়াদ ২ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আবেদন করা যায়। এখানে কার্ডধারীরা চাকরি বা স্ব-নিযুক্ত হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারেন।
এই পার্মিটের মাধ্যমে সপ্তাহে সর্বমোট ২০ ঘণ্টা এক বা একাধিক খণ্ডকালীন চাকরি করা যায়। চাকরি অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে কার্ডধারীরা প্রতি কোম্পানিতে সর্বোচ্চ ২ সপ্তাহের জন্য জব ট্রায়াল করতে পারবেন।
২ মাস আগে
জার্মান সংসদীয় প্রতিনিধিদল ২২ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করবে
ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাস রবিবার জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যকার ‘দৃঢ় সম্পর্ক জোরদার’ করতে ছয় জার্মান সংসদ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আগামী ২২ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক সফর করবে।
জার্মান-দক্ষিণ এশীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ারপার্সন এবং সাবেক জার্মান মন্ত্রী রেনাতে কুনাস্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
সফরকালে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের আইন প্রণয়ন ও নির্বাহী বিভাগের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি সুশীল সমাজ এবং ব্যবসায়ী মহলের বিভিন্ন সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: দূতরা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধা দেখে অভিভূত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৫০ বছরের দীর্ঘ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গভীরতা, রাজনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, বাণিজ্য, অভিবাসন, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ পারস্পরিক উদ্বেগের বিভিন্ন বিষয়ে তারা তাদের বাংলাদেশি সমকক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
প্রতিনিধি দলে থাকবেন রেনাতে কুনাস্ট, এমপি; ড.আন্দ্রে হ্যান, এমপি; পল লেহরিডার, এমপি; রিয়া শ্রোডার, এমপি; আন্দ্রেয়াস লারেম, এমপি এবং ড. মাল্টে কাউফম্যান, এমপি।
আরও পড়ুন: ভাসানচর পরিদর্শনে ৪ দেশের রাষ্ট্রদূত
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ৭.৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে সুইডেন
১ বছর আগে
বার্লিনে জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক
জার্মানির বার্লিনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্স এবং দেশটির শীর্ষ কৃষি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বার্লিনের সিটি কিউবে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরে বার্লিনের সিটি কিউবে এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের মাটির গুণমান পর্যবেক্ষণে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ব্যবহার, বেটার লাইফ ফার্মিং সেন্টার স্থাপন, বৈশ্বিক উত্তম কৃষি চর্চা কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন (গ্লোবাল গ্যাপ) ও কৃষিপণ্য রপ্তানিতে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কৃষি উন্নত ও আধুনিক হচ্ছে: বার্লিনে কৃষিমন্ত্রী
জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্স ও অন্যান্য ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এসব বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন এবং শিগগির বাংলাদেশে এসব বিষয়ে পাইলট কর্মসূচি নেবেন বলেও জানান।
জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্সের চেয়ারপারসন জুলিয়া হার্নাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এলিনা গামপার্ট, গ্লোবাল গ্যাপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিশ্চিয়ান মুয়েলার, বায়ারক্রপ সায়েন্স ডয়েচল্যান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিটার মুয়েলারসহ শীর্ষস্থানীয় জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
১ বছর আগে
কেইপিজেডের অগ্রগতি হচ্ছে: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন বলেছেন, চট্টগ্রামে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) বিভিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে ধারাবাহিক অগ্রগতি ঘটাচ্ছে।
তিনি বলেন, কেইপিজেড আরও কারখানা নির্মাণ, আইসিটি জোন স্থাপন, নকশা ও উন্নয়ন কেন্দ্র খোলা, দেশের বৃহত্তম রুফটপ সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্বোধন এবং বিদেশি কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এলাকার উন্নয়ন করছে।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রয়েস্টারের সঙ্গে কেইপিজেড পরিদর্শন করেন এবং জার্মান কোম্পানি স্ট্রাসের নতুন খোলা ইউনিটসহ কম্পাউন্ডের কারখানা এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেন।
জার্মানির বিখ্যাত আউটডোর ও স্পোর্টসওয়্যার কোম্পানি স্ট্রস আনুষ্ঠানিকভাবে গত বছরের ২৪ অক্টোবর কেইপিজেড-এ তাদের ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্ট্রস সিআই ফ্যাক্টরি, চট্টগ্রাম খুলেছে।
বর্তমানে চট্টগ্রামে পণ্য উন্নয়ন থেকে বিক্রয় ও বিপণনে প্রায় ২০০ জন নিয়োজিত আছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৯ সালের পরেও জিএসপি+ সুবিধায় ফ্রান্সের সমর্থনের আশা বাংলাদেশের
রবিবার ঢাকায় দ. কোরিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে, কেইপিজেড সফলভাবে ২২ মেগাওয়াট ক্ষমতার দেশের বৃহত্তম একক ছাদে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন এবং পরিচালনা করছে।
রবিবার ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে, তবে শুধুমাত্র এটি জোনের (কেইপিজেড) বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয় বরং এটি বাংলাদেশের জাতীয় বিদ্যুত গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে ২০২১ সালের ২০ জুন কেইপিজেডের ছাদে সোলার প্যানেল প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রদূত লি।
রাষ্ট্রদূত লি আরও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী কেইপিজেডের আইসিটি জোন ভালোভাবে চলছে। গত বছরের এপ্রিল থেকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে একটি গ্রাউন্ড ব্রেকিং অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আইসিটি জোন নির্মাণের কাজ শুরু হয় এবং এর দুটি কারখানা ভবন নির্মাণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
কেইপিজেড অনুসারে, বর্তমানে ৪৩টি অপারেটিং কারখানায় ২২ হাজার কর্মী কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া আরও আটটি কারখানা নির্মাণাধীন রয়েছে।
কেইপিজেড হল কোরিয়ান ইয়ংওন করপোরেশন দ্বারা পরিচালিত দেশের একমাত্র ব্যক্তি মালিকানাধীন ইপিজেড। এটি বাংলাদেশের আরএমজি সেক্টরে প্রথম এবং বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগকারী।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: সাধারণ ছুটি না থাকলেও বন্ধ থাকছে ইপিজেড, কেইপিজেড
সর্বোচ্চ রপ্তানি, বিনিয়োগ ও চাকরি দেখলো ইপিজেড: বেপজা
১ বছর আগে
রাশিয়ার ৩টি তেল শোধনাগারের নিয়ন্ত্রণ নিল জার্মানি
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশটিতে থাকা রাশিয়ার মালিকানাধীন তিনটি তেল শোধনাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জার্মানি। শুক্রবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছে, আগামী বছর রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই এই নিয়ন্ত্রণ নেয়া হলো।
দেশটির অর্থমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, রোজনেফট ডাচল্যান্ড জিএমবিএইচ ও আরএন রিফাইনিং অ্যান্ড মার্কেটিং জিএমবিএইচ-কে জার্মানির ফেডারেল নেটওয়ার্ক এনার্জি’র প্রশাসনের অধীনে রাখা হবে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দেশের মাধ্যমে রাশিয়ার তেল কিনতে পারে বাংলাদেশ
ফলে এই সংস্থাটি দেশের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত তিনটি রুশ তেল শোধনাগার যথা পিসিকে সেডেট, মিরো ও বেরিনঅয়েল- কোম্পানির শেয়ার নিয়ন্ত্রণ করবে।
মন্ত্রণালয় জানায়, রোজনেফট রাশিয়া থেকে প্রতিমাসে কয়েকশ’ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের অপরিশোধিত তেল আমদানি করে। যার জার্মানির চাহিদার ১২ শতাংশ তেল পরিশোধনের ক্ষমতা রয়েছে।
এতে বলা হয়, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে আগামী ছয় মাসের জন্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত হবে।
রোজনেফট আগেই বলেছে যে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। যদিও আগামী ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তাদের ওপর ইউ’র দেয়া নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, পিসিকে সেডেট এর জন্য ভবিষ্যতের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে। যেখানে ১২ হাজার মানুষ কর্মরত এবং এটি বার্লিনসহ জার্মানির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পেট্রোলিয়াম সরবরাহ করে থাকে।
আরও পড়ুন: খালি হাতে ফিরিনি, তেল-গ্যাসের নিশ্চয়তা বড় অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কম দামে রাশিয়ার তেল কেনার কথা ভাবছে ইন্দোনেশিয়া
২ বছর আগে
ঈদে জার্মান জামাই প্যাট্রিককে পেয়ে মুগ্ধ লালমনিরহাটবাসী
ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সুদূর জার্মানি থেকে লালমনিরহাটে ছুটে এসেছেন জার্মান-বাংলাদেশি দম্পতি প্যাট্রিক-ইভা। প্রথমবার শ্বশুরবাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে পেরে দারুণ খুশি ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় এই দম্পতি।
জানা গেছে, জার্মানি নাগরিক ড. প্যাট্রিক মুলার ও বাংলাদেশের মৌসুমি আক্তার ইভার দাম্পত্য জীবনের শুরুটা সিনেমার গল্পের মতই। ২০১৬ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিতে যান ইভা। সেখানে গিয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি নেন। ওই সময় রেস্টুরেন্টে আসা যাওয়া ছিল অর্থনীতিতে পিএইচডি করা ড. প্যাট্রিক মুলার নামে জার্মানির নাগরিকের। এক পর্যায়ে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এভাবেই ভালোলাগাটা আস্তে আস্তে ভালোবাসাতে রূপ নেয়। ছয় মাস প্রেমের পর ইভার পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন জার্মান-বাংলাদেশি দম্পতি প্যাট্রিক-ইভা। বিয়ের এক বছরের মাথায় তাদের কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে পুত্রসন্তান ইউহান। প্যাট্রিক বর্তমানে বার্লিনে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় তরুণী
২ বছর আগে
বিদেশিদের সঙ্গেও বিএনপির মিথ্যাচারের প্রমাণ জার্মান রাষ্ট্রদূতের ক্ষোভ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি প্রায় সময় বিদেশিদের উদ্ধৃতি দিয়ে নানা ধরণের বক্তব্য দেয়; যার বেশিরভাগই মিথ্যা এবং বানোয়াট। বিএনপি যে বিদেশিদের সঙ্গেও মিথ্যাচার ও অপরাজনীতি করে, সেটির প্রমাণ হচ্ছে সম্প্রতি তাদের বক্তব্যে জার্মান রাষ্ট্রদূতের ক্ষোভ প্রকাশ।
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটের আর বি কনভেনশন সেন্টারে তথ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
একজন রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন-এমন ঘটনা আমাদের দেশে আগে কখনো আমরা দেখি নাই উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির যে বৈঠক ছিল সেই বৈঠকে রাষ্ট্রদূত যা বলেছেন, বিএনপি সেটিকে বিকৃতভাবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করেছে। তিনি যা বলেননি সেটি তারা মিডিয়ার সামনে বলেছেন। সে কারণে জার্মানির মত একটি দেশের রাষ্ট্রদূত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।’
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি তো জনগণের সঙ্গে নয়, তারা ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে দৌড়ে যায়, বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য। বিএনপির মহাসিচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব নিজের স্বাক্ষরে আমেরিকার কংগ্রেসম্যানদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য।’
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘ঢাকা নিউমার্কেটের ঘটনায় ছাত্রলীগ যুক্ত’ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব মিথ্যাচারে চ্যাম্পিয়ন। এবং যে কোনো গণ্ডগোলকে আশ্রয় করে বিএনপি যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায়, নিউমার্কেটের ঘটনাটা সেটির একটি প্রমাণ। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই আসামীদের গ্রেপ্তার করছে এবং এখন নিজেদের মুখোশ উম্মোচিত হয়েছে বিধায় বিএনপি নেতারা নানা ধরণের কথা বলছেন।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো: তথ্যমন্ত্রী
সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরির রোডম্যাপ করছে প্রেস কাউন্সিল: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
জার্মান বউ নিয়ে দেশে ফিরলেন বরিশালের যুবক
বাংলাদেশি তরুণকে বিয়ে করে জার্মান থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন আলিসা থেওডোরা পিত্তা নামে এক তরুণী। নিজ দেশে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের রাকিব হোসেন শুভকে বিয়ে করেছেন তিনি। শুক্রবার (০৪ মার্চ) বিকালে আলিসাকে নিয়ে দেশে আসেন শুভ।
শনিবার (০৫ মার্চ) সকালে হেলিকপ্টারযোগে বরিশালে যান তারা দুজনেই। বিদেশি বউ নিয়ে আসার খবর পেয়ে দলবেঁধে তাদের দেখতে এসেছেন গ্রামবাসী। পরে নতুন বউকে ফুল দিয়ে বরণ করেন শুভর স্বজনরা।
জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে জার্মানির তরুণী আলিসাকে বিয়ে করেন শুভ। তবে সেখানে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়নি। এজন্য বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন। সেখানে বউভাত ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন তারা।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় কিশোরীকে ফেরত
শুভ বরিশালের চরবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের ছেলে। রেলওয়ে ডিপ্লোমা পাস করে ২০১১ সালে জার্মানিতে পাড়ি জমান। সেখানে সিটি রেলওয়ে সার্ভিসের সুপারভাইজার হিসেবে কাজ নেন। একপর্যায়ে স্থানীয় বেইলি ফিল্ড ডায়ালন্ড্রোভ এলাকার বাসিন্দা আলিসা থেওডোরা পিত্তার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। আলিসা পেশায় নার্স।
শুভ বলেন, ‘গত বছরের ৫ মার্চ এলিসা ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে আলিসা বেগম হিসেবে আমার সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। শনিবার আমাদের বিবাহবার্ষিকী। তাই শুক্রবার জার্মানি থেকে রওনা হয়ে বাংলাদেশি আসি। শনিবার সকালে বরিশাল বিমানবন্দরে আসি। এরপর হেলিকপ্টারযোগে আলিসাকে নিয়ে বাড়ি আসি। আলিসার সঙ্গে এসেছে তার বান্ধবী লেইসা।’
শুভ জানান, জার্মানিতে একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় প্রায়ই আলিসার সঙ্গে তার দেখা ও কথা হতো। এভাবে কিছুদিন চলার পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় তরুণী
শুভ বলেন, ‘আমরা বিয়ে করেছি বিদেশে। সেখানে আমাদের সমাজের যে রীতিনীতি ও উৎসব তা পালন করতে পারিনি। আমাদের দেশের বিয়েতে যতটা উৎসব হয়, তাও হয়নি। আমি চাই, নতুনভাবে বিয়ের উৎসব করতে। আলিসাও আমাদের দেশের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখে মুগ্ধ হয়েছে। সেও চাচ্ছে এদেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী বিয়ের উৎসব হোক। আমার এবং আলিসার আবদারে আমার বাবা-মা ও স্বজনরা নতুনভাবে বিয়ের উৎসবের আয়োজন করেছেন। আগামী ৯ মার্চ হবে আমাদের গায়ে হলুদ। ১০ মার্চ গ্রামবাসীর জন্য বউভাতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।’
শুভর বাবা চরবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলে বিদেশে বিয়ে করেছে, সেখানেই থেকেছে এতদিন। অনেকদিন পর পুত্রবধূকে নিয়ে দেশে ফিরেছে। গ্রামবাসী ও আত্মীয়-স্বজনকে ছেলের বিয়েতে দাওয়াত দিতে পারিনি। এজন্য গায়ে হলুদ ও বউভাতের আয়োজন করেছি। তাদের বিয়েতে আমি অনেক খুশি।’
আরও পড়ুন: প্রেমের সম্পর্ক: আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এলেন মার্কিন নারী
২ বছর আগে
বিদেশি ভাষা শিক্ষা: যে ভাষাগুলো উন্নত ক্যারিয়ারে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে
২১ শতকে বিদেশি ভাষা শিক্ষা একটি অপরিহার্য বিষয়। বিশ্বায়নের গতিশীলতায় বহুজাতি সংস্কৃতিগুলো পরস্পরের সাথে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে সম্প্রদায়গুলো অভ্যস্ত হয়ে উঠছে একে অপরের সাথে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগে। উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো ভবিষ্যত বিশ্ব নেতাদের চিহ্নিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের যাচাই-বাছাই করছে। নিয়োগকর্তারা এমন লোক খুঁজছে যারা বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। ফলে নির্দিষ্ট দেশের ভাষা আয়ত্ত্বের মাধ্যমে সে দেশে বৃহত্তর একাডেমিক অর্জনের পাশাপাশি চাকরি ক্ষেত্রেও মিলছে বিস্তর সুযোগ। তাই আজকের ফিচারে থাকছে উন্নত ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক তেমনি কয়েকটি প্রয়োজনীয় বিদেশি ভাষার কথা।
উন্নত ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক ১০টি বিদেশি ভাষা
ম্যান্ডারিন চাইনিজ
গত দুই দশকে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে ম্যান্ডারিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষায় পরিণত হয়েছে। উৎপাদন এবং রপ্তানি শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগের উদ্ভব হওয়ায় ম্যান্ডারিনে দক্ষতার চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য অভাবনীয় শিল্পের মধ্যে আছে ইঞ্জিনিয়ারিং, ফিনান্স এবং লজিস্টিকস।
ম্যান্ডারিন চাইনিজ চীন এবং তাইওয়ানের ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের মাতৃভাষা। এছাড়াও ভাষাটি ইন্দোনেশিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, মঙ্গোলিয়া এবং ফিলিপাইনেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। সেই সূত্রে সিভিতে ম্যান্ডারিন ভাষার সংযোজন যে কোন প্রার্থীর মান উন্নত করতে পারে।
বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং ঢাকা ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব-এ ম্যান্ডারিন চাইনিজ ভাষা শেখানো হয়।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
জাপানিজ
১২০ মিলিয়নেরও বেশি জাপানিজ ভাষাভাষি মানুষের দেশ জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, ইলেকট্রনিক্স এবং অটোমোবাইল শিল্পের অত্যন্ত উন্নত স্তরের অধিষ্ঠিত। সুতরাং গ্যাজেট সম্পর্কিত যে কোন ব্যবসার জন্য জাপানি ভাষা শেখা অবধারিত। রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং লজিস্টিকসে চাকরির সুযোগের জন্য প্রাসঙ্গিক শিল্প-মান দক্ষতার সাথে জাপানিজ ভাষা দক্ষতার অগ্রাধিকার দেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং থ্যানেক্স জাপানিজ স্কুল জাপানিজ ভাষা শেখার জন্য সেরা জায়গা।
আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
জার্মান
ইউরোপকেন্দ্রিক ক্যারিয়ারে সাফল্যের চাবিকাঠি হচ্ছে জার্মান শেখা। জার্মান ১০০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের কথিত ভাষা। এছাড়াও অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, হল্যান্ড, লিচেনস্টাইন, লুক্সেমবার্গ এবং সুইজারল্যান্ডেও ব্যাপকভাবে জার্মান বলা হয়। ইউরোপের অর্থনীতিতে চতুর্থ বৃহত্তম অবস্থানে রয়েছে জার্মানি। এখানে ফিনান্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানুফ্যাকচার, ডিজাইন বা ফার্মাসিউটিক্যাল্স ক্ষেত্রগুলোতে পেশাদারের চাহিদা প্রচুর।
বাংলাদেশে ইতোমধ্যে জার্মান শেখার বিস্তর সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে। তন্মধ্যে সবচেয়ে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশের জার্মান দূতাবাস স্বীকৃত গোথ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
তুর্কী
বিশ্ব জুড়ে আনুমানিক ৭৫ মিলিয়ন মানুষের মাতৃভাষা তুর্কি যা এটিকে বিশ্বের শীর্ষ ১৫টি সর্বাধিক কথ্য মাতৃভাষায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তুরস্ক ছাড়াও, তুর্কি-ভাষী আছে বলকান, ককেশাস এবং পশ্চিম ইউরোপে। তুর্কি অভিবাসীদের বৃহত্তম অংশটি বাস করেন জার্মানিতে, যেখানে জার্মানির পরে তুর্কি দ্বিতীয় সর্বাধিক কথ্য ভাষা।
এখানে প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, এনার্জি, ট্যুরিজম, ফিন্যান্স, আইন, ব্যবসার মতো বৈচিত্র্যময় সেক্টরে অসংখ্য ক্যারিয়ারের সুযোগ বিদ্যমান। পাবলিক সেক্টরে কর্মজীবনে আগ্রহীদের জন্য কূটনীতি, বুদ্ধিমত্তা এবং সামরিক ক্ষেত্রগুলোতে সক্রিয়ভাবে নিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেইসাথে শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি এবং ফেলোশিপেরও ব্যবস্থা আছে।
বাংলাদেশে তুর্কী শেখার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
স্প্যানিশ
বিশ্বব্যাপী ৪৮০ মিলিয়নেরও বেশি স্থানীয় ভাষাভাষীদের মধ্যে স্প্যানিশ ২১টি দেশের রাষ্ট্রিয় ভাষা। এটি মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার ক্রমবর্ধমান বাজারে কর্মসংস্থানের সুযোগের গেটওয়ে।
এখানে মানব সম্পদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে মিডিয়া, এবং ব্যাংকিংয়ে। পাশাপাশি চিকিৎসা, সামাজিক, শিক্ষা এবং বিপণনেও বেশ ভালো সুযোগ আছে।
শতকরা ৮৫ ভাগ আমেরিকান নিয়োগকর্তা স্প্যানিশকে সবচেয়ে বেশি চাহিদাযুক্ত বিদেশি ভাষা হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন।
অনেকটা ইংরেজির মত হওয়ায় সহজে যে কেউ স্প্যানিশ রপ্ত করতে পারে। বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট খন্ডকালীন ও দীর্ঘ মেয়াদে স্প্যানিশ ভাষা শেখা যায়।
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানিকে হারিয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি
কোরিয়ান
দক্ষিণ কোরিয়া হল বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানির চমৎকার মিলনমেলা এই দেশটি। এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম রপ্তানিকারক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার।
গত দশ বছরে কোরিয়া এশিয়ায় অধ্যায়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। কোরিয়ান-পপ, কোরিয়ান-ড্রামা এবং কোরিয়ান ফ্যাশনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে উত্থান হয়েছে কোরিয়ান ওয়েভ-এর। এছাড়াও কোরিয়া ডিজিটাল প্রযুক্তি শিল্পের নেতৃস্থানীয় শক্তি এবং ইন্টারনেট-সংযুক্ত সমাজের সাথে সবচেয়ে উদ্ভাবনী দেশগুলোর মধ্যে একটি।
বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশ কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার-এ কোরিয়ান শেখার সুযোগ আছে।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
ফরাসি
বিশ্ব রাজনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনীতির পরিমণ্ডলে প্রবেশ করতে হলে বা আফ্রিকা ভিত্তিক শিল্পে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য ফরাসি ভাষা অবশ্যই প্রথম পছন্দ হতে হবে।
ফরাসি ভাষা ২৯টি দেশের মোট ২২০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের কথ্য ভাষা। আফ্রিকাতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এই ভাষাটির দ্রুত প্রসার লাভ করছে। কানাডাতেও এর ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।
ফরাসি গুরুত্বপূর্ণ কতক কূটনৈতিক সংস্থা এবং গভর্নিং বডি যেমন জাতিসংঘ, উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), এবং ফুটবল ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা) দ্বারা গৃহীত ভাষা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেস প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফরাসি ভাষা শেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
আরবি
তৈল শিল্প, এনার্জি সেক্টর বা হাই-এন্ড কনস্ট্রাকশনের কর্মীদের জন্য আরবি ভাষা দক্ষতা আবশ্যক। বিশ্বের ২৭টি দেশে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন আরবি ভাষাভাষি লোক আছে। এই একটি ভাষা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ক্যারিয়ার তৈরির সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসায়িক সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই ইংরেজির পাশাপাশি আরবি ভাষা শিক্ষা হতে পারে উন্নত ক্যারিয়ারের সেরা মাধ্যম।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশে মসজিদ-মাদ্রাসার আধিক্য থাকায় প্রচুর সুযোগ আছে আরবি শেখার। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট ভালো মানের দুটি আরবি ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
ইতালিয়ান
ইতালিয়ান ইতালিসহ সান মারিনো, সুইজারল্যান্ড এবং ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রীয় ভাষা। এটি ৬৫ মিলিয়ন লোকের মাতৃভাষা। এছাড়াও বিশ্ব জুড়ে ইতালীয় অভিবাসী এবং তাদের বংশধরদের সংখ্যা প্রায় কয়েক মিলিয়ন।
ফ্যাশন, ডিজাইন, চারুকলা ও সংস্কৃতি, খাদ্য ও পানীয় উৎপাদন এবং বিতরণ, ফুটবল, বিলাসবহুল গাড়ি শিল্প, এমনকি ভ্যাটিকান ক্যারিয়ারের জন্য ইতালিয়ান শ্রেষ্ঠ ভাষা।
এখানে ইতালিয়ান ভাষা বলা সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে ফিয়াট, ফেরারি, ল্যাম্বোর্গিনি, ও আর্মানি’র মতো বিশ্ব বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোতে।
বাংলাদেশে ইতালিয়ান ভাষা শেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং ঢাকা ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব-এ।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
রাশিয়ান
বিশ্বব্যাপী ২৫০ মিলিয়ন রাশিয়ান ভাষা ব্যবহারকারিদের মধ্যে বেশিরভাগই বাস করে রাশিয়ায়। বাকিরা সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র যেমন ইউক্রেন, লাটভিয়া এবং কাজাখাস্তানের বাসিন্দা।
রাশিয়ার ক্রমবিকশিত অর্থনীতির নেপথ্যে রয়েছে এর শক্তিশালী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, সরবরাহ, খনি এবং তৈল ও এনার্জি সেক্টর।
জার্মানির মতো রাশিয়াও বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত পেশাগুলোতে জনপ্রিয়, তাই যে কোনও উদীয়মান বিজ্ঞানী বা প্রযুক্তিবিদের জন্য রাশিয়া স্বর্গ হতে পারে।
রাশিয়ান ভাষার জন্য উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গড়তে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পদক্ষেপ
পরিশেষে
পারস্পরিক যোগাযোগের দক্ষতা শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রত্যাশিত বিষয়। আর এই দক্ষতার মূলে থাকে ভাষা। কেননা কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের কাছাকাছি পৌঁছার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো তাদের মানুষগুলো যে ভাষায় কথা বলে তাদের সাথে সে ভাষাতেই কথা বলা। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিনা দ্বিধায় বিচরণের জন্য বিদেশি ভাষা শিক্ষা উৎকৃষ্ট হাতিয়ার। এর মাধ্যমেই কোন একটি নির্দিষ্ট দেশের মানুষ পুরোদস্তুর পরিণত হতে পারে বিশ্বের নাগরিকে।
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে ৮ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
চট্টগ্রামে আট জনের শরীরে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জায় (জিআইএসএআইডি) এই তথ্য আপলোড করা হয়েছে।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সারাদেশে ৭১ জনের নমুনায় ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
শনাক্ত আটজনের নমুনা গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে সংগ্রহ করা হয়। শনাক্তদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ এবং তিনজন নারী।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে আক্রান্তরা সকলেই সুস্থ আছেন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরনিশ্চিত হতে নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।সহকারী অধ্যাপক ও সিভাসুর ল্যাবে দায়িত্বে থাকা ইফতেখার রানা বলেন, বিদেশ থেকে আনা ওমিক্রন শনাক্তের কিটে সাতজনের শরীরে ওমিক্রন ভাইরাসটির অস্তিত্ব মেলে। তাঁরা সবাই চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাসিন্দা।সিভাসুর উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, অধিকতর নিশ্চিত হতে ঢাকায় নমুনাগুলো পাঠানো হবে। আগামী রবিবারের দিকে ফলাফল পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে আসলে ওমিক্রন কিনা।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা রোগীর ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত
২ বছর আগে