সাজেক ভ্রমণ
ইউপি নির্বাচন: ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুল ইসলাম বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি সাজেক ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যতীত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সময়ে সাজেকে কোনো পর্যটক আসা-যাওয়াও সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি এই দুই দিন সাজেকের কটেজ-রিসোর্ট বন্ধ রাখতে রিসোর্ট মালিক সমিতিকে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটকে কেন্দ্র করে সব ধরনের ঝুঁকি এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এই বিষয় সাজেকের কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরী লুসাই জানান, তারা উপজেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা পেয়ছেন এবং সমিতির আওতাধীন মালিকদের ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি সব কটেজ-রিসোর্ট বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সপ্তম ধাপে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির তিন উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ভোট হবে।
আরও পড়ুন: সাজেক সড়কে পর্যটকদের গাড়িতে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের হামলা, আটক ৩
২ বছর আগে
সাজেক ভ্রমণ: ঘুরে আসুন মেঘে ঢাকা স্বর্গে
শরতের সাদা মেঘ দিয়ে আকাশ ক্যানভাসে আঁকিবুকি করার কোন দিন, অথবা শীতের কোন রৌদ্রস্নানের দিন! দীঘিনালা ছাড়িয়ে রাঙামাটির ছাদের খোঁজে কেউ এলে, রুইলুই ও কংলাক পাড়ার লুসাই, ত্রিপুরা বা পাংখোয়ারা এখন আর অবাক হয়না। যে কোন বইপোকার কাছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়নটি হয়ত শুধুই একটি স্থানের নাম। কিন্তু ভারতের মিজোরাম সীমান্ত ঘেষা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচু সাজেক ভ্যালির মেঘ ছোঁয়ার জন্য কোন পর্বতপ্রেমীর ছেলেমানুষী কোন কিছু দিয়েই তুলনা করা যাবে না। সেই পর্বতপ্রেমীদের জন্যই সাজেক ভ্যালির এই ভ্রমণ গাইড।
সাজেক ভ্যালির প্রাকৃতিক নৈসর্গ
লুসাই পাহাড় থেকে কর্ণফুলী স্রোতকে অনুসরণ করে এগোলে দেখা মিলবে সাজেক নদীর। আর সেই সাথে হৃদয়ঙ্গম হবে নৈসর্গিক এই উপত্যকার নামকরণের সার্থকতা। চান্দের গাড়ি চড়ে পাহাড়ী রাস্তা ধরে এগোনোর সময় আদিবাসী শিশুদের সঙ্গে স্বাগতম জানাবে পাহাড়ের ঢালের সবুজ বন। প্রবেশদ্বারের রুইলুইপাড়া থেকে সাজেকের শেষ প্রান্ত কংলাকপাড়ার মাঝে চোখ জুড়াবে উপত্যকা গ্রাম, হাজাছড়া ঝর্ণা, কমলক ঝর্ণা, দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও বনবিহার আর দুরের নিস্তব্ধ নীলিমা। বিজিবি ক্যাম্পের হেলিপ্যাড থেকে মেঘের সমুদ্রে প্লাবিত সূর্যোদয়ের দৃশ্য যে কোন সতর্ক দৃষ্টিকে ভুলিয়ে দিবে যে সে দাড়িয়ে আছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিজিবি ক্যাম্পে। সূর্যাস্তের সময় আবার সেই রাজকীয় অগ্নিকুণ্ডের আত্মবিসর্জনে পুরো সাজেককে মনে হবে এক অপার্থিব তোরণ। রাতের আকাশে কোটি তারার লন্ঠন ছায়াপথ জুড়ে জমিয়ে রাখা মহাজাগতিক চলচ্চিত্রের বায়োস্কোপ দেখাবে।
মধ্য আগস্টের সকাল থেকে শুরু করে প্রথম নভেম্বরের প্রথম কুয়াশা; যে কোন দিন হতে পারে পর্বতপ্রেমীদের জন্য এমন স্বপ্নের দিন।
আরও পড়ুন: নাজমুন নাহার: পৃথিবীর ১৫০তম দেশ ভ্রমণ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশি পরিব্রাজক
৩ বছর আগে
মেঘের রাজ্য সাজেকে স্বপ্ন ছোঁয়ার একদিন
প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত সাজেক ভ্যালির চূড়া থেকে দাঁড়িয়ে পাখির চোখে ভাসমান ভোরের মেঘ দেখে বিস্মিত সকালটি আমার দেখা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সুন্দর সকাল। সকালের মেঘময় পাহাড়ি জনপদ আর শেষ বিকালে পশ্চিমে মেঘের আড়ালে সূর্যাস্তের বিরল রূপ এখানে ধরা দেয় অনায়াসে। যতদূর চোখ যায় উপত্যকা পেরিয়ে ক্রমশ পাহাড়ের ভাঁজ যেন আকাশচুম্বী হয়েছে ওখানে। আর এই দীর্ঘ উপত্যকা জুড়ে অরণ্যের সীমানা।
৪ বছর আগে