আম
শেষ মৌসুমে ‘গৌড়মতি’ আম চাষে মামা-ভাগ্নের সাফল্য
আমের মৌসুম প্রায় শেষ। তবে অসময়ে গৌড়মতি জাতের আম চাষ করে মামা-ভাগ্নে চমক সৃষ্টি করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায়। এই ব্যতিক্রমী চমকে অবাক হয়েছে এলাকাবাসী। মামা-ভাগ্নে আশা করছেন এ মৌসুমে প্রায় ৪০ লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারবেন তারা।
বিভিন্ন জাতের আমের জোগান যখন শেষ হয়, ঠিক তখনই নতুন এক আমের আগমন ঘটে এই মৌসুমে। আর সেটি হলো সুস্বাদু রসালো গৌড়মতি আম। সাধারণ আমসহ উন্নত জাতের বিভিন্ন আম যখন প্রায় শেষ, ঠিক তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি।
রসালো আর সুস্বাদু নাবি জাতের এই আম চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার দক্ষিণ বনগাঁও এলাকার মহব্বত আলী ও বুলবুল নামে দুই চাষি। শুধু স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নই দেখছেন না, এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এই দুই মামা-ভাগ্নে।
চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে মামা মহব্বত আলী ভাগ্নে বুলবুলকে সঙ্গে নিয়ে ১ হাজার চারা রোপণ করে পরিচর্যা শুরু করেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছর ২৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
সরেজমিনে দেখা গেছে, অসময়ে থোকায় থোকায় গাছে ঝুলছে শতভাগ বিষমুক্ত রসালো ও সুস্বাদু গৌড়মতি আম। শতভাগ নিরাপদ রাখতে প্রতিটি আমে করা হয়েছে ব্যাগিং। মামা-ভাগ্নের হাতের নিবিড় ছোঁয়ায় দৃষ্টি কাড়ছে এলাকাবাসীসহ বাগান দেখতে আসা অনেক দর্শনার্থীদের। বাগান ঘুরে অনুমান করে দেখা গেছে, ১ হাজার গাছে আম এসেছে প্রায় সাড়ে ৪০০ মণ আম।
নাবি জাতের এই আম উপজেলায় ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে। বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে প্রচুর। এই আমের প্রতিটির ওজন ৬৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম। বর্তমানে এই গৌড়মতি আম ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গৌড়মতি আমের সাফল্য দেখে অনেকেই এ বাগান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, বাংলার প্রাচীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনপদের নাম থেকে ‘গৌড়’ আর মূল্য বিবেচনায় রত্নের সঙ্গে তুলনা করে ‘মতি’ শব্দের সমন্বয়ে ২০১৩ সালে নতুন জাতের এই আমের নামকরণ করা হয়েছিল ‘গৌড়মতি’। এ আম আকারে বড় হলেও এর আঁটি ছোট এবং আঁশ পাতলা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় হলুদ তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে, বিঘাপ্রতি লাভ লাখ টাকা
কৃষক মহব্বত আলী বলেন, চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমিতে ১ হাজার গৌড়মতি আমের গাছ লাগিয়েছি। গত বছর থেকেই গাছে আম আসতে শুরু করেছে। গত বছর গাছের পরিপক্বতার কথা ভেবে গাছে আম নেওয়া হয়নি। তবে এ বছর ব্যাপক ফলন হয়েছে। আশা করছি ৪০ লাখ টাকার বেশি আম বিক্রি করতে পারব। যত দিন যাবে গাছ আরও বড় হবে, আমের ফলনও বাড়বে।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, এটি নাবি জাতের আম। সারাদেশের আমের জোগান যখন শেষ হয়, তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি। এই আম অত্যন্ত সুস্বাদু। আর যেহেতু সব আমের শেষে পাকে এই আম তাই দামও বেশ ভালো পান চাষিরা।
কোনো কৃষক যদি গৌড়মতি আমের বাগান করতে চায় তাহলে কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার হবে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
চলতি বছর ২৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার টন বেশি।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিআরও কামরুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছর মোট ১ হাজার ৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছিল।গতবছর ২৮টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছিল, এবছর ৩৪টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছে।
এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ১২৫৬ টন, ইতালিতে ২৯৬ টন, সৌদি আরবে ২৬০ টন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৩৭ টন, কাতারে ১১১ টন, সিঙ্গাপুরে ৫৫ টন, সুইজারল্যান্ডে ১৪ টন, জার্মানিতে ৭০ টন, ফ্রান্সে ৮৫ টন, সুইডেনে ৬৫ টন, কুয়েতে ২১৮ টন, কানাডায় ৪০ টন উল্লেখযোগ্য।
এতে আরও বলা হয়, দেশে বছরে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। কিন্তু উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম।
আরও পড়ুন: ইউরোপের ৪ দেশে পাঠানোর মাধ্যমে আম রপ্তানি শুরু
২০১৭-১৮ সালে মাত্র ২৩২ টন, ২০১৮-১৯ সালে ৩১০ টন, ২০১৯-২০ সালে ২৮৩ টন, ২০২০-২১ সালে ১৬৩২ টন, ২০২১-২২ সালে ১৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববাজারে দেশের আমের বিপুল চাহিদা থাকলেও উত্তম কৃষি চর্চাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে আম উৎপাদন ও প্যাকেজিং না হওয়ায় রপ্তানি কম হচ্ছে। তাই রপ্তানি বাড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয় রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের উত্তম কৃষি চর্চা মেনে আম উৎপাদনসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের প্রথম বছরেই গত বছরের তুলনায় ১ হাজার টন আম বেশি রপ্তানি হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুর রহমান জানান, চলতি বছর আরও ১৫-২০ দিন আম রপ্তানি হবে।
আরও পড়ুন: জাপানে আম রপ্তানি শুরু হবে শিগগিরই: কৃষিমন্ত্রী
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জন্য আম পাঠালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামী প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের জন্য ১ হাজার ৫০০ কেজি বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মৌসুমি আম শুভেচ্ছাস্বরূপ পাছিয়েছেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশন ইসলামাবাদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার আমগুলো ১০ জুলাই পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রোটোকল কর্মকর্তার নিকট বাংলাদেশ হাইকমিশন ইসলমাবাদের পক্ষ থেকে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য শেখ হাসিনার আম উপহার
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এ শুভেচ্ছা উপহার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ধন্যবাদের সঙ্গে গৃহীত হয়।
পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উপহার ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
আরও পড়ুন: জিআই স্বীকৃতি পেল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম
ঠাকুরগাঁওয়ে উৎপাদিত আম ইউরোপে রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধন
ফুলবাড়ীতে আম পাড়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গাছ উঠে আম পাড়ার সময় তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।
বুধবার দুপুরের দিকে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শাহী তানভির (১৫) ফুলবাড়ী উপজেলার ৪নং বেতদিঘী ইউনিয়নের ছিটকড়াই তিলবাড়ী গ্রামের মৃত রঞ্জু মিয়ার ছেলে। সে ফুলবাড়ী গ্রীনল্যান্ড মডেল স্কুলের দশম শ্রেণির আবাসিক ছাত্র ছিল।
স্থানীয় জানান, ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল তানভির। নিজেদের আম গাছ থেকে আম পাড়ার সময় বৈদ্যুতিক তারে তার মাথা স্পর্শ করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু
এ সময় ছিটকে পড়ে যায় সে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ফুলবাড়ী থানার ইনচার্জ আশ্রাফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ডসহ লাশের সুরতহাল করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু, আহত ১
কিশোরগঞ্জে ‘অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে’ গ্যারেজ মালিকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে উৎপাদিত আম ইউরোপে রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধন
ঠাকুরগাঁও জেলার উৎপাদিত আম ইউরোপে রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি মাহবুবুর রহমান।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদি ও সোনিয়া গান্ধীকে উপহার হিসেবে আম পাঠালেন শেখ হাসিনা
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহ. সাদেক কুরাইশী, ঢাকা খামারবাড়ি ডিএই’র (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর) রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক আরিফুর রহমান, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব সভাপতি মনসুর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষ্ণ রায়, ইউরোপে আম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেড লিংক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাওসার আহম্মেদ রুবেল, কোম্পানিটির কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মামুন উর রশিদ, আম চাষি মো. ছোটু, জিয়াউর রহমান, নুর আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তি, আম উৎপাদনকারী কৃষকসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলায় উৎপাদনকৃত বিভিন্ন প্রজাতির আম প্যাকেটজাত করে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য শেখ হাসিনার আম উপহার
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার জন্য ১২০০ কেজি আম উপহার পাঠালেন শেখ হাসিনা
ঠাকুরগাঁওয়ে আম পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে আম পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকালে উপজেলার পৌরশহরে ঘটনাটি ঘটেছে।
মৃত সন্তোষ রায় (১৯) উপজেলার রাণী ভবানীপুর গ্রামের অমেন চন্দ্রের ছেলে। তিনি পেশায় টাইলস মিস্ত্রি ছিলেন।
অন্যদিকে, আহত শিষনাথ (২০) একই গ্রামের রবেন চন্দ্রের ছেলে।
পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, রাণীশংকৈল পৌরশহরের কলেজ পাড়ায় চুন্নু কর্মকারের বাড়িতে ইলেকট্রিক ও টাইলস এর কাজ করছিলেন চারজন শ্রমিক। কাজের ফাঁকে একসময় মিস্ত্রি সন্তোষ ঘরের ছাদে উঠে লোহার রড দিয়ে পাকা আম পাড়ছিলেন।
এ সময় রাস্তার খুঁটির উপরে থাকা ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারে রড জড়িয়ে গেলে প্রচণ্ড শক পান তিনি। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে অটোরিকশায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির মৃত্যু
সন্তোষকে বাঁচাবার জন্য সাহায্য করতে গিয়ে শিষনাথ আহত হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, বিষয়টি শুনে আমি একজন এসআইকে (উপপরিদর্শক) দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছি।
এ নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই হাত হারানো শিশুকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
মালয়েশিয়ার রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য শেখ হাসিনার আম উপহার
মালয়েশিয়ার রাজা ইয়াং দি পারতুয়ান আগাং এবং প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরীর জন্য সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শন স্বরূপ উন্নতমানের বাংলাদেশি আম পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২২জুন) মালয়েশিয়ার রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যথাক্রমে ইস্তানা নেগারা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা আম গ্রহণ করেন।
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে এক হাজার কেজি আম বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, রাজনৈতিক দলের প্রধান, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বিভিন্ন কূটনীতিক উপপ্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
হাইকমিশন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার পাঠানোর এ উদ্যোগটি দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি বাংলাদোশ আম তথা কৃষিজাত পণ্যকে মালয়েশিয়ার মাটিতে একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানীপণ্য রূপে তুলে ধরতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদি ও সোনিয়া গান্ধীকে উপহার হিসেবে আম পাঠালেন শেখ হাসিনা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার জন্য ১২০০ কেজি আম উপহার পাঠালেন শেখ হাসিনা
মালয়েশিয়ার রাজা-প্রধানমন্ত্রীকে আম উপহার শেখ হাসিনার
ইউরোপের ৪ দেশে পাঠানোর মাধ্যমে আম রপ্তানি শুরু
চলতি বছর আনুষ্ঠানিকভাবে আম রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা চার হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে আম রপ্তানির উদ্বোধন করেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, আম রপ্তানি প্রকল্পের পরিচালক আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস এন্ড এলাইড প্রোডাক্ট এক্সপোটার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প এবং বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস এন্ড এলাইড প্রোডাক্ট এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।আজ ৪টি দেশে প্রায় ১০ টন আম রপ্তানি হচ্ছে।
২০১১-১২ অর্থবছরে ২ লাখ হেক্টর জমিতে ২৩ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিকটন আম উৎপাদিত হয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ২৮টি দেশে ১ হাজার ৭৫৭ মেট্রিকটন আম রপ্তানি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে কৃষিসচিব বলেন, সারাবিশ্বেই বাংলাদেশের আমের সুনাম রয়েছে। দেশে ২৪ লাখ টনের ওপরে আম উৎপাদন হয়। গত বছর মাত্র ১ হাজার ৭৫৭ টন রপ্তানি করা হয়েছে। বিশ্বে আম উৎপাদনে আমরা সপ্তম স্থানে থাকলেও রপ্তানি খুবই কম। রপ্তানি আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য যত ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে তা দূর করা হবে। প্রয়োজনে উৎপাদন স্থানের কাছাকাছি প্যাকিং হাউজ করা হবে।
রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
আরও পড়ুন: রাণীশংকৈল মিষ্টি আলু চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ২০২২ হতে ২০২৭ খ্রি. মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৭ কোটি টাকা। রপ্তানিযোগ্য মানসম্মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশের ১৫ টি জেলার ৪৬ টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রকল্প সহায়তায় উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে আম উৎপাদন প্রদর্শনী- ৩৫০ টি, রপ্তানিযোগ্য জাতের আম বাগান সৃজন-৬০৪টি, বিদ্যমান আম বাগানে সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা-২৪০ টি এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার (প্রুনিং ব্যাগিং ও বালাই ব্যবস্থাপনা) মানসম্মত আম উৎপাদন প্রদর্শনী ২০০ টি স্থাপন করা হয়েছে।
মানসম্মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রদর্শনীসমূহ ক্লাস্টার আকারে স্থাপিত করা হচ্ছে; ইতোমধ্যে ৯ টি উপজেলাতে ৩৭১ জন আম চাষীকে ক্লাস্টার প্রদর্শনীর আওতায় আনা হয়েছে।
মানসম্মত আম উৎপাদন ও পোস্ট-হার্ভেন্ট ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে কৃষক গ্রুপে ম্যাংগো প্লাকার, হাইড্রোলিক ম্যাংগো হারভেস্টার, গার্ডেন টিলার, ফুট পাম্প, এলএলপি ও ফিতাপাইপ সেট সরবরাহ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে উত্তম কৃষি চর্চা (গ্যাপ) সনদ প্রদানে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা বিদ্যমান না থাকায় ইউরোপ ও আমেরিকার মূলধারার সুপারমার্কেটসমূহে আম রপ্তানি করা সম্ভব হয় না।
আমের গ্যাপ সার্টিফিকেট প্রদানের প্রয়োজনীয় জনবল ও সক্ষমতা অর্জন করা গেলে বাংলাদেশ থেকে উন্নত দেশসমূহে আম রপ্তানির পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশ থেকে আম রপ্তানি তরান্বিত করার লক্ষ্যে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে আমের পেস্টরিস্ক এ্যানালাইসিস (পিআরএ) ও উত্তম কৃষি চর্চা তৈরি এবং জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রদর্শনী এবং কৃষি প্রযুক্তির তথ্য আদান-প্রদান ও সংরক্ষণের কার্যক্রম চলমান আছে।
এছাড়া রপ্তানিযোগ্য ৫টি আমের জাতের প্রোডাক্ট প্রোফাইল তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে: কৃষি সচিব
‘শাম্মাম’ চাষে সফল ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক মণ্ডল
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আম ব্যবসায়ীর মৃত্যু
রাজশাহীর তানোরে সড়ক দুর্ঘটনায় আম ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার মুন্ডমালা পৌর এলাকার চিনাশো মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মতিউর রহমান মতি (৪৫)তানোর পৌর এলাকার গুবির পাড়া মহল্লার ময়েজ উদ্দীনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে মুন্ডমালা থেকে আটো ভ্যানে আম নিয়ে নিজেই চালিয়ে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর যাচ্ছিলেন মতি।
এসময় সকাল ১০ টার দিকে মুন্ডমালা পৌর এলাকার চিনাশো মোড়ের কাছে আসামাত্রই হঠাৎ তার অটোভ্যানের চাকা ফেটে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আম পাঠালেন শেখ হাসিনা
ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহার হিসেবে এক মেট্রিক টন আম্রপালি আম পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আম পাঠানো হয়েছে।
গত বছরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামের মুখ্যমন্ত্রীদের উপহার হিসেবে আম পাঠিয়েছিলেন।