প্রচেষ্টা
নির্বাচনবিরোধী প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সামর্থ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: আইজিপি
নির্বাচন বিরোধী যেকোনো প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়ার মতো সামর্থ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে রংপুর নগরীর পুলিশ অফিসার্স মেসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
আইজিপি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত। এছাড়াও ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবসময় মাঠে থাকবে।
আরও পড়ুন: বড়দিন ও নববর্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আহ্বান আইজিপির
ভোটারদের উৎসবমুখর পরিবেশ ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, কেউ যদি ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বা অন্যভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনী পরিবেশ এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ রয়েছে বলেও জানান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে পুলিশ প্রধান রংপুর মেসে বিভাগের সব ইউনিটের পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে মত বিনিময় করেন।
এসময় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীসহ আরও অনেকে ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়: আইজিপি
১১ মাস আগে
উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দুর্নীতিবিরোধী সক্রিয় প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কোন ভুল পদক্ষেপে যেন কোনো নিরপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্বব্যাপী এটি উদযাপনের লক্ষ্য হলো দুর্নীতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
দুদকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরে দুদককে একটি আধুনিক, পেশাদার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রপতি।
একই সঙ্গে তিনি মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। দুদককে জনগণের জন্য একটি বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার আহ্বানও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ন্যাশনাল ডিফেন্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলী টানেল এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো অন্যান্য মেগা প্রকল্পসহ উল্লেখযোগ্য জাতীয় অর্জনের কথা গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন।
দুর্নীতিকে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের প্রধান বাধা হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করলে অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর এলিট স্যাটেলাইট ক্লাবে বাংলাদেশের সদস্যপদের বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমান টেকসই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি অগ্রসর ও উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলুন: রাষ্ট্রপতি
দুর্নীতির বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতিতে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে গৃহীত সব পদক্ষেপ দেশ ও জনগণের জন্য উপকারী। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দুর্নীতি একটি বৈশ্বিক ইস্যু এবং বাংলাদেশের সহনীয় দুর্নীতির মাত্রা বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি কোনো দল বা নীতি নেই। এই জাতীয় কাজের জন্য দোষী যে কেউ হোক তাকে আইনের আওতায় জবাবদিহি করা উচিত।
'উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই' শীর্ষক দেশব্যাপী আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ।
দেশের ৮টি বিভাগ, ৬৪টি জেলা ও ৪৯৫টি উপজেলায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত হয়েছে। রাষ্ট্র, কর্মকর্তা, বেসামরিক কর্মচারী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গণমাধ্যম, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, গবেষক, জনসাধারণ এবং তরুণদের সম্পৃক্ত করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার সর্বজনীন দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এই দিন। এটি দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ এবং শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন অর্জনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
১ বছর আগে
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এসডিজি ত্বরান্বিত করতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা অপরিহার্য
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংলাপ শুরু করার উদ্দেশ্যে ইউএনডিপি এবং বেসরকারি খাতের শীর্ষ অংশীদাররা ঢাকায় সোমবার (২৩ অক্টোবর) থেকে তিন দিনব্যাপী এক আলোচনার আয়োজন করেছে।
আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব বিনিময়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন আমন্ত্রিত বাণিজ্যিক নেতা, ফাউন্ডেশন ও ইউএনডিপি’র বিভিন্ন প্রতিনিধি দল এখানে অংশ নিয়েছে।
এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো- বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে ইউএনডিপি’র মিলিত উদ্যোগসমূহের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা এবং বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় সাধন করা। যাতে করে এই কার্যক্রমগুলোর সাফল্য তরান্বিত করতে প্রয়োজনীয় সম্পদ সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দরিদ্রতম মানুষের জন্য অস্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা করোনার সংক্রমণ কমাতে পারে: ইউএনডিপি
অংশীদারদের সঙ্গে এই মতবিনিময় নতুন কিছু শেখার সুযোগ তৈরি করবে, খুলে দিতে পারে আরও নতুন সংলাপের দ্বার এবং ২০২৪ সাল বা আরও বেশি সময় পর্যন্ত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে এই আলোচনার মধ্য দিয়ে।
এ সভায় বেসরকারি খাতের বিভিন্ন অংশীদার এবং ইউএনডিপি’র মধ্যে সরাসরি পারস্পরিক আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে। যেখানে দু’পক্ষের মধ্যে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে মূল প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার এবং এ অঞ্চলের সম্ভাবনাগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
ইউএনডিপি’র উপ-আঞ্চলিক পরিচালক ক্রিস্টোফ বাহুয়ে তার বক্তব্যে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইউএনডিপি’র সঙ্গে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যকার ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক সহযোগিতা এবং জাতীয় ও স্থানীয় উন্নয়নে এ সম্পর্কের ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, ইউএনডিপি ও বেসরকারি খাতের এই সহযোগিতামূলক সম্পর্কটি আগামী দিনে আরও বিকশিত হওয়ার দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। ইউএনডিপি ও কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর একসঙ্গে পথচলার এ যাত্রায় আরও অনেক কিছু অর্জন সম্ভব। আঞ্চলিক পর্যায়ের এই পারস্পরিক মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের বিদ্যমান অংশীদারিত্বের পরিসর আরও বৃদ্ধি করতে এবং এ পারস্পরিক সম্পর্কে নতুন নতুন মাত্রা যোগ করার সুনির্দিষ্ট সম্ভাবনাগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার তার উদ্বোধনী বক্তব্যে এই আয়োজনটির তাৎপর্য তুলে ধরে বলেনI
স্টেফান লিলার বলেন, ‘বেসরকারি খাত ও ইউএনডিপি এশিয়া প্যাসিফিকের প্রতিনিধিদের এ সম্মিলন থেকে। আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করতে চাই, বেসরকারি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ততা তৈরিতে পুরো অঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সকল অন্তর্দৃষ্টি, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা জড়ো করার মাধ্যমে একটি ‘সামগ্রিক আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা হবে।’
স্টেফান আরও বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্কের মাধ্যমে ইউএনডিপি এমন নীতিগুলির পক্ষে এডভোকেসি করে যেগুলো বাণিজ্যিক স্বার্থসমূহকে দীর্ঘমেয়াদে আরও জোরদার করে। আমাদের বিশাল অভিজ্ঞতা ও বেসরকারি খাতের কর্মতৎপরতার এই যুগলবন্দী টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রণীত ‘এজেন্ডা ২০৩০’ এর অভীষ্ঠ অর্জনগুলো বাস্তবায়নে অনন্য ভূমিকা রাখবে।’
সংলাপে উপস্থিত ছিলেন- ইউনিলিভার বাংলাদেশ, ওরাকল, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, ডিএইচএল, স্যামসাং, এসএপি ইন্ডিয়া, এনইসি ইন্ডিয়া, ইউগলেনা, জেট্রো, গ্রামীণফোন ও ইউনিকলোসহ বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানিগুলির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ।
এ সংলাপগুলোতে যে বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে সেগুলো হলো- নেটশূন্য অর্থনীতি অভিমুখে ন্যায্য জ্বালানী রূপান্তর, টেকসই উন্নয়নের জন্য যুব ও নারীদের ক্ষমতায়ন, বৃত্তাকার অর্থনীতি, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল রূপান্তরের মতো ক্ষেত্রগুলোতে অংশীদারিত্বের রূপরেখা তৈরি।
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
দ্বিতীয়বার ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হলেন জয়া আহসান
১ বছর আগে
অভিবাসীদের জীবন বাঁচাতে ঝুঁকি কমাতে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে আটকাপড়া অভিবাসীদের অভিবাসন যাত্রার সময় জীবন বাঁচাতে এবং তাদের ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন রিভিউ ফোরামের (আইএমআরএফ) সাধারণ বিতর্ক পর্বে এ কথা বলেন তিনি।
শাহরিয়ার আলম কোনো অবস্থাতেই জোরপূর্বক অভিবাসীদের ফেরত না পাঠানোর আহ্বান জানান ট্রানজিট ও গন্তব্য দেশগুলোর প্রতি।
আরও পড়ুন: অভিবাসীদের মানবাধিকারের ঘাটতি পূরণে বিশ্বব্যাপী সংহতির আহ্বান বাংলাদেশের
২ বছর আগে
মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান কেবল একক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা দ্বারা প্রতিরোধ করা যাবে না। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। রবিবার রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে মানব পাচার সম্পর্কিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো এবং তা অনুশীলনে উদ্ভূত সমস্যা বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।তিনদিনব্যাপী এই কর্মশালায় মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ২২ জন বিচারক অংশ নেয়। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থা (ইউএনওডিসি) এবং বাংলাদেশ সরকারের আইন ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।আইনমন্ত্রী বলেন, মানব পাচারকে একটি জঘন্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এবং এই অপরাধকে মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ প্রণয়ন এবং ২০১৭ সালে এর অধীনে বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। সাত বিভাগীয় শহরে সাতটি মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করেছে। পাশাপাশি মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮ - ২০২২ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থাও উক্ত আইন বাস্তবায়নে যথাযথভাবে কাজ করছে। যার সুফল জনগণ ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মামলাজট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিতে হবে: আইনমন্ত্রী
মানব পাচারকে একটি ভয়ানক অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের হেড অব কো-অপারেশন মাউরিজিও সিয়ান বলেন, বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে এই অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে।আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য থেকে আগত বিচারক মিশেল ব্রুয়ার এবং বিচারক হিনা রাই, ইউএনওডিসি'র মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান শাখার গ্লো-অ্যাক্ট পলিসি প্রধান সামান্থা মুনোদাওয়াফা, গ্লো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ প্রকল্পের ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মাহদী হাসান বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সহিংসতার সম্মুখীন নারীদের সহায়তা খুবই জরুরি: আইনমন্ত্রী
সরকার বিশ্বাস করে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচন: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ধনী দেশগুলোকে প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার আহ্বান
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় তহবিল ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকার, স্থানীয় সিএসও, রোহিঙ্গা প্রতিনিধি, আরআরআরসি, জেলা প্রশাসক ও আইএসসিজি’র অংশগ্রহণে একটি একক কর্তৃপক্ষ গঠনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে এ সংকট নিয়ে কর্মরত ৫০টিরও বেশি সিএসও এনজিওর নেটওয়ার্ক কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ)।
৪ বছর আগে