নৌ প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরাপদ মনে করে ডেনমার্ক-সৌদি আরব: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা নিরাপদ মনে করে পায়রা বন্দরে বিনিয়োগ করতে চায় ডেনমার্ক ও সৌদি আরব।
তিনি বলেন, দেশ বিক্রি করার চুক্তি আমরা কারও সঙ্গে করিনি, করবও না। ডিজিটাল সিস্টেমে মানুষের বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ব আমরা।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম বন্দরের সিপিএআর এবং ৪ নম্বর গেটে বসানো স্ক্যানার উদ্বোধন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দিবে:নৌ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী সব বন্দরে স্ক্যানার বসাতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার আন্তরিকতায় অনেক স্ক্যানার বসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্দরের সঙ্গে কাস্টমসের বোঝাপড়ার অভাব ছিল। কয়েক বছরের অনেক সমস্যা তিন চার বছরেই সমাধান হয়েছে-এটা বড় প্রাপ্তি। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে দুইটি ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার এটি।
তিনি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা সীমিত সময়ে মুনাফা লাভের চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর হয়ে গেলে মেরিটাইম সেক্টরে আমরা অন্যরকম উচ্চতায় চলে যাব। বে-টার্মিনালে ১২ মিটার ড্রাফটের জাহজ আসবে। ব্যস্ততা বেড়ে যাবে। এর জন্য অবকাঠামো দরকার। প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর করেছেন, গভীর সমুদ্রবন্দর করেছেন। মেরিটাইম সেক্টরে আমরা সি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপান্তরিত বাংলাদেশের মহানায়কের নাম শেখ হাসিনা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর চেষ্টা থাকবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
রূপান্তরিত বাংলাদেশের মহানায়কের নাম শেখ হাসিনা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আদি বুড়িগঙ্গা নদীর উন্নয়নে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে পুরনো ঢাকার মানুষ আরেকটি হাতিরঝিল পাবে।
তিনি বলেন, সেটি আরও আধুনিক হবে। এলাকার পরিবর্তন হবে। ঢাকার ইতিহাস সংরক্ষণ করা, ঢাকার ইতিহাস চর্চা এবং ঢাকার ডাক শব্দ চর্চার জায়গা তৈরি হলো বুড়িগঙ্গা মঞ্চ।
এছাড়া ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদরা বুড়িগঙ্গা দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু করেছিলেন। ঢাকার ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখতে বুড়িগঙ্গা মঞ্চ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: নদী রক্ষায় ডিসিদের জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন: নৌ প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) প্রতিমন্ত্রী পুরান ঢাকার বিআইডব্লিউটিএ’র সোয়ারীঘাট ল্যান্ডিং স্টেশন সংলগ্ন ‘বুড়িগঙ্গা মঞ্চ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করতে হবে। বিআইডব্লিউটিএ রক্ষক হিসেবে কাজ করবে। মানুষের মনের অজান্তেই বুড়িগঙ্গাকে দূষিত করা হয়েছে। এটিকে রক্ষার জন্য আগে কেউ বলেনি। মানুষকে সম্পৃক্ত করেনি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকাকে রক্ষা করতে হবে। বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ২০০১ সালে নির্বাচনের পর সেসব সুন্দর চিন্তা ভাবনা প্রতিফলিত হয়নি। আবার অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাল বিল ও হাওড় রক্ষার জন্য হাওড় কর্তৃপক্ষ গঠন করেছেন। নদী রক্ষার জন্য নদী রক্ষা কমিশন গঠন করেছেন। ঢাকার চারপাশের নদী এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী রক্ষার জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছেন। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য বিআইডব্লিউটিএ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গাকে আদি অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সার্থক হবো। এ কাজটির সুফল পাচ্ছি। আরও অনেক কিছু পাওয়ার অপেক্ষা করছে। বুড়িগঙ্গায় নৌকা বাইচ হচ্ছে, বিআইডব্লিউটি ‘র কল্যাণে মানুষ মাছ ধরছে, গোসল করছে। যা বিগত সময় দেখিনি। আদি বুড়িগঙ্গার রুপ ফিরে আসবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঢাকা শহর বদলে গেছে। ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস, মেট্রোরেল, ১৪ লেনের রাস্তা, মাটির নিচ দিয়ে ট্রন চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরও বদলে যাবে।
তিনি বলেন, রূপান্তরিত বাংলাদেশের মহানায়কের নাম শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর অনেক স্মৃতি পুরনো ঢাকার মানুষের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে অনেক মায়া ও ভালোবাসা আছে। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এর প্রতিফলন ঘটাবেন। শেখ হাসিনা যদি থাকে, নৌকা মার্কা যদি থাকে বুড়িগঙ্গা মঞ্চ আরও আলোকিত হবে।
বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- মূল আলোচক অধ্যাপক ডক্টর রতন সিদ্দিকী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, বুড়িগঙ্গা মঞ্চ এর আহ্বায়ক বিশিষ্ট সাংবাদিক রাশেদ আলী।
উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম ও বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এ কে এম ফেরদৌস আলম।
আরও পড়ুন: গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর চেষ্টা থাকবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দিবে:নৌ প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর চেষ্টা থাকবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, স্থলপথে ব্যবসা বাণিজ্যের আরও প্রসারের লক্ষ্য সরকার নতুন নতুন স্থলবন্দর গড়ে তুলছে। যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কোনো দেশের সাহায্যের প্রয়োজন হবেনা।
বুধবার ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী’ স্থলবন্দরের গোবরাকুড়া অংশে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নামাঙ্কিত ফলক স্থাপনের উদ্বোধন ও সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দিবে:নৌ প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেনন সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজার রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হানুল ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার কাস্টমস রিজভী আহমেদ এবং প্রকল্প পরিচালক মো. হাসান আলী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরটি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছরের ১১ মার্চ ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী’ স্থলবন্দরের উদ্বোধন করেন। ৩১ দশমিক ১৪ একর জমির ওপর স্থলবন্দরটি নির্মাণে ৭৫ দশমিক ১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
বন্দরটি নির্মাণে ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, একটি ওয়্যারহাউজ, অফিস ভবন, ডরমিটরী ভবন, ব্যারাক ভবন, পাওয়ার হাউজ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, টয়টেল কমপ্লেক্স ও দু’টি ডিজিটাল ওয়েব্রীজ স্কেল নির্মাণ করা হয়েছে।
এ বন্দর দিয়ে সকল ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। তবে বর্তমানে প্রধানত কয়লা ও পাথর আমদানি হয়ে থাকে এবং রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য ও শিশু খাদ্য ইত্যাদি।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে ২০০১ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। স্থলপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিক নির্দেশনায় ২৪টি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
এ সকল স্থলবন্দরের মধ্যে ইতোমধ্যে ১২টি স্থলবন্দরের উন্নয়ন সম্পন্ন করে অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অবশিষ্ট স্থলবন্দরের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর’ একটি।
আরও পড়ুন: নদী রক্ষায় ডিসিদের জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন: নৌ প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দিবে:নৌ প্রতিমন্ত্রী
মোংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজ আগমন ও নির্গমনকারী সকল জাহাজের সেইফটি ও সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণ, চ্যানেলের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ, দুর্ঘটনাকবলিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তার লক্ষ্যে ‘ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিষ্টেম’ (ভিটিএমআইএস) প্রবর্তন করা হয়েছে।
বুধবার মোংলা বন্দরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ‘ভিটিএমআইএস’ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দিবে। এ লক্ষ্যে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বঙ্গোপসাগর থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটারের নৌ চ্যানেলে সাড়ে ৯মিটার ড্রাফটের জাহাজ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশনের লক্ষ্যে ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বন্দর পর্যন্ত রেললাইন সংযোজন করা হয়েছে। ছয় লেনের রাস্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,পদ্মা সেতু এবং রেল লাইন চালু হলে বন্দরের গতি আরও বেড়ে যাবে। রিজিওনাল কানেক্টিভিটি বেড়ে যাবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক ধরনের কটাক্ষ করা হয়েছিল-বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার জন্য। বঙ্গবন্ধুকে খাটো করতে পারলে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা যাবে-এ জন্য অনেকেই কটাক্ষ করতেন। ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার জন্য জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া যা যা করা দরকার তা করেছে। গত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অন্ধকার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, প্রকল্প পরিচালক মো. মামনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নদী রক্ষায় ডিসিদের জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন: নৌ প্রতিমন্ত্রী
ভিটিএমআইএস প্রবর্তনের আরো উদ্দেশ্য হলো-মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন, বন্দর সীমানায় আগত সমুদ্রগামী জাহাজসমূহ মনিটরিং করাসহ দক্ষতার সাথে হ্যান্ডলিং করার মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার মান উন্নীত করা। বন্দর এলাকায় দুর্ঘটনা পরবর্তীতে তদন্তকরণ ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণসহ জাহাজ সমূহের গতিবিধি মনিটরিং করার লক্ষ্যে আইএমও কনভেনশেনের আলোকে ইন্টারন্যাশনাল শিপ পোর্ট সিকিউরিটি কোড বাস্তবায়ন করা। বন্দর এলাকায় দুর্ঘটনা পরবর্তীতে তদন্তকরণ ও তদনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণসহ জাহাজ সমূহের গতিবিধি মনিটরিংসহ উক্ত ঘটনাবলি সংরক্ষণ করা।
মোংলা বন্দরে ইতিপূর্বে কোন ভিটিএমআইএস ছিলনা। ফলে বিদেশী জাহাজের সাথে ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি (ভিএইচএফ) এর মাধ্যেমে যোগাযোগ করা হতো। বর্তমানে
ভিটিএমআইএসএর মাধ্যমে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। মোংলা বন্দর আর্ন্তজাতিক বন্দর হিসাবে ভিটিএমআইএস এর মাধ্যমে বিদেশী জাহাজের আগমন ও নির্গমন নিরাপত্তার সাথে নিশ্চিত করা হচ্ছে। বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কারণে জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে; যা দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
‘ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিষ্টেম’ (ভিটিএমআইএস) প্রবর্তন শীর্ষক প্রকল্পের কাজের মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের প্রধান কাজ ছিল-হাইস্পীড বোট সংগ্রহ এবং ভিটিএমআইএস প্রবর্তন। এজন্য ব্যয় হয়েছে ৫৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। হাইস্পীড বোট সংগ্রহে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা এবং ভিটিএমআইএস প্রবর্তনে ব্যয় হয়েছে ৪৪ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন: পঁচাত্তরের পর সাম্প্রদায়িকতা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
নদী রক্ষায় ডিসিদের জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নদীর নাব্যতা রক্ষা, দূষণ ও দখল রোধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) আরও তৎপর হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীগুলোতে যেন নাব্যতা থাকে, নদী দূষণ এবং দখলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জেলা প্রশাসকদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কারণ আমাদের নদী রক্ষার যে জেলা কমিটি, সেটার সভাপতি জেলা প্রশাসক। তারা ইতোমধ্যে অনেক ভূমিকা রাখছেন এবং এগুলো আরও জোরদার করার জন্য বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের মধ্য দিয়ে নদীর নাব্যতা নষ্ট হয়ে যায় এবং আমাদের নৌপথগুলোতে বিঘ্নতার তৈরি হয়। এগুলো সঠিকভাবে মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে। স্থলবন্দরগুলোতে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নজরদারি আরও জোরদার করার জন্যও ডিসিদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আমাদের স্থলবন্দর যেগুলো আছে, যেহেতু সেখানে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়, সে জায়গায় কোন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড যাতে না হয়, সেজন্য জেলা প্রশাসনের নজরদারি আছে, তারা রাখছেন। তারপরেও এটা জোরদার করার জন্য আমরা বলেছি। সার্বিকভাবে আমাদের যে পদক্ষেপগুলো নেয়া হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থাগুলোর মাধ্যমে, এগুলো তাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব ছিল কী না-জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় যে মানুষগুলো আছে, যেমন হাতিয়া, ভোলা, এসব নদী বন্দরগুলোর আরও উন্নয়ন করা এবং যাত্রীবান্ধব করা। সেগুলোর ব্যাপারে আমরা ইতোমধ্যে প্রকল্প গ্রহণ করেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে নৌ দুর্ঘটনা বেড়েছে নয়, কয়েকটি বড়-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। নৌ দুর্ঘটনা কমে গেছে। নৌ সেক্টরে দীর্ঘদিন যাবত একটা অচলায়তন, অনিয়ম (হয়ে) আসছে। এটা এতবড় একটা সেক্টর, একবারেই পরিবর্তন সম্ভব নয়।
যেমন আমরা যে লঞ্চে যাতায়াত করি, আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, এটির নকশায় পরিবর্তন করা দরকার। শুধু কোভিড পরিস্থিতির কারণে নয়, বর্তমান আধুনিক যুগে এটি চলে না। এ জায়গাটায় আমরা নজর দিচ্ছি।'
এ বিষয়ে কাজ চলছে বলেও জানান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এ সেক্টরকে নিরাপদ করা।
আরও পড়ুন: দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ বাস্তবায়ন করা হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া যাত্রীদের স্থানান্তর না হওয়ার আহ্বান নৌ প্রতিমন্ত্রীর
২ বছর আগে
পঁচাত্তরের পর সাম্প্রদায়িকতা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতির উপর সাম্প্রদায়িকতা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় সংস্কৃতি চর্চাও বাধাগ্রস্ত হয়েছিল বলে জানান তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বিশ্ব ভরা প্রাণ’ এর চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যেই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে আমরা পরাজিত করেছিলাম ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, সেই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আমাদের ওপর বারবার আঘাত করেছে। এটা আমাদের মীমাংসিত একটি বিষয় ছিল, আর এই মীমাংসা করতে আমাদের ৩০ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে; আমাদের লাখ লাখ মা-বোনকে তাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু এ মীমাংসিত বিষয়টি নিয়ে আমদের আবার লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, যিনি আমাদের জাতিসত্ত্বার পরিচয় দিয়েছিলেন; সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর আমাদের উপর যে জিনিসটি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে তা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। মীমাংসিত বিষয়টিকে আবার চাপিয়ে দেয়া হয়েছে এবং দীর্ঘ সময় এটা ধীরে ধীরে আমাদের সমাজে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে শিক্ষা সংস্কৃতি সবক্ষেত্রে। এখন সে জায়গাটায় আমরা সবাই লড়াই করছি।
তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের কারণে একাত্তরে মীমাংসিত বিষয়গুলো আবার আমাদের উপর চেপে বসেছে। তারা ধীরে ধীরে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। কারণ, তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি: খালিদ মাহমুদ
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশে আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিকে সাহসের সঙ্গে উচ্চারণ করতে পারি। বীরত্বগাঁথা রচনা করা বীর মুক্তিযোদ্ধারাও পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে নিজেদের পরিচয় দেয়ার ক্ষেত্রে একটা ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে ছিল। আজকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা গর্ব করে বলতে পারে আমি মুক্তিযোদ্ধা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সেই সম্মান দিয়েছেন। তারা রাষ্ট্রীয় সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন। রাষ্ট্র তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে, যেটা পঁচাত্তর পরবর্তীতে ছিলনা।
তিনি আরও বলেন, যে জাতি তার নিজের সৃষ্টির ইতিহাসকে ভুলে যায়, সে জাতি অন্ধকারে তলিয়ে যায়। সে রকম একটি অন্ধকারে আমরা তলিয়ে যাচ্ছিলাম। সংস্কৃতি চর্চাও যেমন- রবীন্দ্রনাথ-নজরুল চর্চা বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। বর্তমানে সরকার সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে, বরাদ্দ বাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সারা বিশ্বে তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর নাম সংবাদপত্রে ছাপাতে বাধা দিয়েছিল জিয়া সরকার: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
জিয়া ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের খুনি: খালিদ মাহমুদ
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন খ্যাতিমান আবৃত্তিকার ও অভিনয় শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। সংগঠনের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কবি ইমরোজ সোহেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত আলী, সঙ্গীত শিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, আবৃত্তি শিল্পী অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী, নাট্যজন টুটুল চৌধুরী, সংগঠনের সভাপতি জাহান বশির, সাধারণ সম্পাদক নিপা মোনালিসা।
২ বছর আগে
নিজস্ব অর্থায়নে দেশের ৯৮ শতাংশ বাজেট বাস্তবায়ন হয়: নৌ প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম বন্দরকে বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের ৯৮ শতাংশ বাস্তবায়ন হয় নিজস্ব অর্থায়নে। আমাদের এখন কারো মুখাপেক্ষী হতে হয় না।
৩ বছর আগে
নৌযান শ্রমিকদের চলমান ধর্মঘট আজকের মধ্যে সমাধান হবে: প্রতিমন্ত্রী
বেতন-ভাতার সুযোগ-সুবিধাসহ বিভিন্ন দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের চলমান ধর্মঘটের বিষয়টি আজকের মধ্যে সমাধান করা হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
৪ বছর আগে