প্রাণিসম্পদ
সিমেন্ট শিট ব্যবহার প্রাণিসম্পদ খাতে বছরে উৎপাদন বাড়াবে ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি
প্রাণিসম্পদ খাতে, বিশেষ করে হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশুর খামারে সিমেন্ট শিট ব্যবহার করলে দেশে বছরে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন শিল্পসংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (১ জুলাই) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) আয়োজিত ‘সবুজ নির্মাণ: সিমেন্ট শিট যেভাবে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করছে’ শীর্ষক কর্মশালায় তারা এসব তথ্য জানান।
ইআরএফ ও বাংলাদেশ সিমেন্ট শিট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের যৌথভাবে আয়োজিত এই কর্মশালায় শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলেন, সিমেন্ট শিট ব্যবহার বাড়লে এক দিকে উৎপাদন খরচ কমিয়ে প্রান্তিক লোকসানি খামারগুলো মুনাফায় ফিরতে পাবে অন্যদিকে ভোক্তারা কমমূল্যে ডিম-দুধ-মাংস খেতে পারবে।
ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. নথু রাম সরকার।
এছাড়াও বক্তব্য দেন সিমেন্ট শিট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মুসাদ্দিক হোসেন ও সিমেন্ট শিট শিল্পের বড় উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান আনোয়ার গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াইজ আর হোসেন।
মুসাদ্দিক হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ উচ্চ তাপমাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে, যা প্রাণিসম্পদ ও কৃষি খাতের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ। এই দুশ্চিন্তা কমাতে সিমেন্ট শিট বড় ভূমিকা রাখতে পারে। শিটগুলো ৬ স্তরের হওয়ায় অতিরিক্ত গরমের সময় শেডের ভিতরের তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে, এতে শেডের ভিতরের পরিবেশ তুলনামূলক শীতল থাকে। যা মুরগি ও গবাদি পশুর হিটস্ট্রোকে মৃত্যু কমিয়ে দেয়।
এই শিট ব্যবহারে খামার নির্মাণ ব্যয় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়, যা উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে সহায়তা করে বলে জানান তিনি।
কর্মশালায় ওয়াইজ আর হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে গবাদি-পশু হাঁস-মুরগি উৎপাদনে সিমেন্ট শিট ব্যবহারে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। দেশে সিমেন্ট শিট ব্যবহারের ফলে ডিম, দুধ ও মাংস উৎপাদন প্রায় ৯ শতাংশ বেড়েছে। সিমেন্ট শিট মৎস্য ও গবাদিপশুকে রোগ-ব্যাধি থেকে শুধু রক্ষাই করছে না, সেসঙ্গে মৃত্যুহার প্রায় ১০ শতাংশ কমাচ্ছে।’
বিভিন্ন গবেষণার তথ্য তুলে ধরে মূল প্রবন্ধে ড. নথু রাম সরকার বলেন, সিমেন্ট শিট বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিবেশ বান্ধব, টেকসই নির্মাণ, ব্যয় সাশ্রয়ী, তাপ ও অগ্নি প্রতিরোধকসহ নানা সুবিধার কারণে বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশে ও আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প এবং কৃষি খাতের অবকাঠামো নির্মাণে ঢেউটিনের পরিবর্তে সিমেন্ট শিটের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।
প্রবন্ধে আরও বলা হয়, বিভিন্ন গবেষণা বলছে অতিরিক্ত হিটের কারণে গবাদিপশু ও মুরগি ২৫ শতাংশ পর্যন্ত খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দেয়, যার ফলে উৎপাদন কমে যায়। সিমেন্ট শিট দিয়ে তৈরি শেড নির্মাণের ফলে তাপ প্রায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ার ফলে গবাদি পশু ও মুরগির খাওয়ার পরিমাণ বাড়ে। গবাদি পশু ও পোল্ট্রি খাতে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুহার কমায় ও ডিম-দুধ-মাংসের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।
দেশে বর্তমানে মোট ১.২৫ লাখ পোল্ট্রি খামার আছে, যার মধ্যে ৩৫ শতাংশ খামের শেড সিমেন্ট শিট দিয়ে তৈরি। এতে বছরে ডিমের উৎপাদন প্রায় ১১ শতাংশ বা ২৫৭ কোটি পিস ডিম বেড়েছে। যদি শতভাগ খামারে সিমেন্ট শিট ব্যবহার করা যায় তবে বছরে প্রায় ৭০০ কোটি পিস ডিম অতিরিক্ত উৎপাদন হবে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
এছাড়া দেশে প্রায় ৪.২৫ লক্ষ গবাদি পশুর (ডেইরি ও ফ্যাটেনিং) বাণিজ্যিক খামার রয়েছে। এর বাইরে অন্যান্য গৃহপালিত গবাদি পশুসহ দেশে মাংসের উৎপাদন বছরে ৮৭.১০ লাখ টন।
গবেষণায় জানানো হয়, বর্তমানে দুগ্ধ ও পশু মোটাতাজাকরণ খামারগুলোর প্রায় ১৯ শতাংশ শেড সিমেন্ট শিট দিয়ে তৈরি। যদি শতভাগ খামার সিমেন্ট শিট দিয়ে তৈরি করা যায়, তবে দেশে বছরে মাংসের উৎপাদন অতিরিক্ত প্রায় ৬ লাখ টন বাড়বে যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সিমেন্ট শিট সেক্টরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৫টি সিমেন্ট শিট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক প্রায় ৩.৬২ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে।
কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে আরও ছিলেন ইআরএফের জয়েন্ট সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, অর্থ-সম্পাদক রহিম শেখ, আনোয়ার গ্রুপের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) হুমায়ুন ফরিদ, আনোয়ার গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার (মিডিয়া এন্ড কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স) সুমন সাহাসহ আরও অনেকে।
৫ মাস আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার। যা গত অর্থবছরে ছিল ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
আরও পড়ুন: চোরাই পথে গরু প্রবেশ ঠেকাতে মনিটরিং করা হচ্ছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার জেলেদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। বেকারত্বকালীন জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয় সরকার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চলে মাছের যথাযথ প্রজনন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত (মোট ৬৫ দিন) সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে নিষেধাজ্ঞাকালীন ১৪টি জেলার ৬৮টি উপজেলায় ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৩৫টি জেলে পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে মাসিক ৪০ কেজি হারে মোট ২৬ হাজার ৮৩ দশমিক ৪২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়। আগামী অর্থবছরেও এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
মৎস্য চাষের পাশাপাশি টেকসই জাতগুলোর উন্নয়ন এবং গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির রোগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্মার্ট প্রাণিসম্পদ খাত তৈরির কর্মসূচি রয়েছে।
এ সময় সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ধন্যবাদ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা নির্ধারিত ন্যূনতম প্রাণিজ আমিষ চাহিদা পূরণে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, প্রাণিজ স্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার টিকার উৎপাদন ও প্রয়োগ বাড়িয়েছে। 'শেখ হাসিনার উপহার, প্রাণীর পাশেই ডাক্তার' নীতিমালার আওতায় ভেটেরিনারি সেবা কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ৩৬০টি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে।
পাশাপাশি, মাথাপিছু প্রোটিনের দৈনিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য প্রজননের উন্নতি এবং গবাদি পশুর জন্য টিকা দেওয়ার মতো কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ভবনের ভিত্তি প্রস্তর ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
৬ মাস আগে
প্রাণিসম্পদ সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে জরুরি বিভাগ রয়েছে। যেকোনো রোগীকে সেখানে প্রথম সেবা দেওয়া হয়। প্রাণিসম্পদ খাতেও জরুরি সার্ভিসের প্রয়োজন রয়েছে। প্রাণি সম্পদের সম্ভাবনাকে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগাতে হলে যারা প্রাণিকে সেবা দেয়, তাদের সেবাকেও জরুরি সেবার অর্ন্তভুক্ত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এ খাতকে সামনে নিয়ে যেতে হলে এটি দরকার। তাই প্রাণিসম্পদসেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিপ্রেক্ষিতের আয়োজনে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় নিবিড় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, কোরবানিতে চাহিদা অনুযায়ী গবাদিপশুর যোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। দেশবাসী এবার ঈদুল আজহা শান্তিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারবে। কোনো চিন্তার কারণ নেই।
চামড়া প্রাণিসম্পদের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চামড়ার দাম নির্ধারণ, প্রক্রিয়াকরণ, ও বাজারজাতকরণের কাজে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।
প্রাণিসম্পদের গুরুত্ব নিয়ে তিনি বলেন, আমিষ জাতীয় খাবার খেলে সুষমভাবে দেহ ও মনের গঠন হয়। তাই এ খাতকে অবহেলা করে উন্নতি করা যাবে না। এখাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। মানুষের জীবনে পূর্ণাঙ্গ সফলতা চাইলে প্রাণিসম্পদকে বাদ দিয়ে তা করা সম্ভব নয়।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয় বলেও তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক ফেলোশিপের এ ধরনের উদ্যোগে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বেশি লাভবান হবে। কারণ সাংবাদিকেরা প্রান্তিক মানুষের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেন। আর মানুষের মানুষের স্বপ্ন নিয়ে যারা কাজ করেন তারা রাষ্ট্রের গৌরবের অংশ।
অনুষ্ঠানে ফেলোশিপ সম্পন্নকারী প্রত্যেককে ৭৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয় এবং ফেলোশিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া এ দুটি ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে অর্থ পুরস্কার ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
প্রথম স্থান অর্জনকারীকে ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৫০ হাজার টাকা ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে ২৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।
প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন ডেইলি অবজারভারের সিনিয়র রিপোর্টার মো. মিজানুর রহমান, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে বাংলা ইনসাইডারের স্টাফ রিপোর্টার শান্ত সিংহ, তৃতীয় হন বিজনেস পোস্টের স্টাফ রিপোর্টার রোকন উদ্দীন।
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন বাংলাভিশনের প্রতিবেদক মাইনুল ইসলাম শোভন, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান ও তৃতীয় হন জিটিভির প্রতিবেদক মো. বায়েজিদ হোসেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে এবং পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল, টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিবিসি নিউজের এডিটর প্রণব সাহা, এলডিডিপি প্রকল্পের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো. আব্দুর রহিম, এলডিডিপির চিফ কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রাব্বানী বক্তব্য দেন।
এছাড়াও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুকনুজ্জামান অঞ্জন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পরিপ্রেক্ষিতের রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ফাতেমা ইসলাম।
আরও পড়ুন: চোরাই পথে গরু প্রবেশ ঠেকাতে মনিটরিং করা হচ্ছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৬ মাস আগে
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ভবনের ভিত্তি প্রস্তর ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নতুন ২টি বেজমেন্টসহ ১০ তলা ভিত বিশিষ্ট ৮ তলা মূলভবণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
সোমবার(৩ জুন) রাজধানীর খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ৮২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে এ ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের পথে তার যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। প্রাণিসম্পদের জন্য এধরণের ভবন নির্মাণ তারই বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই জাতি ও দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী সারাক্ষণই দেশ নিয়ে ভাবেন, দেশের মানুষ নিয়ে ভাবেন, প্রাণি নিয়ে ভাবেন। প্রধানমন্ত্রী এ দেশকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান যেখান থেকে এ দেশ কোনো দিন আর পেছনে ফিরবে না, এদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
নানাবিধ পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত জনগোষ্ঠী তৈরির নিমিত্তে দৃষ্টি নন্দন একটি ভবন তৈরি করার ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী যে আশা নিয়ে করে দিয়েছেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তা পূরণ করবেন বলে মন্ত্রী এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর যোগান দেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই ভবন তৈরিকে সামনে রেখে যাতে কোনো বাড়তি উৎপাতের জন্ম না হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার এই বাংলাদেশে যারা দেশকে কন্ট্রিবিউট করতে চায়, যারা মানুষকে কন্ট্রিবিউট করতে চায়, যারা প্রাণিসম্পদকে কন্ট্রিবিউট করতে চায়, তাদেরকে স্বাগত জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, তবে শেখ হাসিনার এই বাংলাদেশে কোন নষ্ট মানুষের জায়গা হবে না এবং আজকের তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে দৈহিক শক্তি ব্যবহার করে কোন কিছুই করা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর যদি একসঙ্গে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে পারে তাহলে প্রধানমন্ত্রী যেটি আমাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন তা আমরা দিতে পারব।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ সেবা ত্বরান্বিত ও অধিদপ্তরের কর্মপরিবেশ ও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা উন্নয়নে ভবনটি বিশেষ অবদান রাখবে বলে এসময় তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন নান্দনিক এ ভবনটি নির্মিত হলে সেবাগ্রহীতাদের সেবাপ্রদান আরও সহজতর হবে বলেও তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ভবনটির আয়তন প্রায় ১ লাখ স্কয়ার ফিট। ভবনটিতে ২টি বেইজমেন্ট রয়েছে, যেখানে প্রায় ৪৪টি গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ থাকবে।
এছাড়া ভবনটিতে প্রায় ২২০ জনের মাল্টিপারপাস হলরুম, ৬০ জনের ১টি কনফারেন্স রুম, ২৫ জনের ১টি কম্পিউটার ল্যাব, ৬০ জনের ১টি প্রশিক্ষণ রুমের ব্যবস্থা থাকবে।
এছাড়াও ৩৫ জন নারী ও ১২২ জন পুরুষের পৃথক নামাজের ব্যবস্থা, পুরুষ ও নারীদের পৃথক ওয়াশরুম, রিসিপশন, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, ওয়েটিং রুম, সার্ভার রুম, ডে-কেয়ার সেন্টার, ডক্টরস রুম ও ক্যাফেটেরিয়ার সু-ব্যবস্থা থাকবে।
ভবনটিতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক সাবষ্টেশন, জেনারেটর ও ৪টি লিফট, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আরবরিকালচার ও ট্রেস গার্ডেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ভবনটির নির্মাণ কাজের সময়কাল ধরা হয়েছে ১৮ মাস।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন (বিভিএ) এর মহাসচিব ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন ও অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল এসময় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে সরকার সঠিক পথে রয়েছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে ডিআরএফ প্রণয়ন করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নীতি অনেক সহায়ক। এ খাতের খামারিদের জ্ঞান ও পরিষেবায় অংশগ্রহণ আরও জোরদার করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) নীতি সহায়তা দিতে ও নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ নীতিমালা ও মিথেন ব্যবস্থাপনা কাঠামো প্রণয়ন সংক্রান্ত উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ টন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্প থেকে খামারিদের সংগঠিত করে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন এবং তাদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করে আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া খামারি মাঠ স্কুল পরিচালনার মাধ্যমে এলডিডিপি খামারিদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে এরই মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন হয়েছে। প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রাণিসম্পদের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। বিশ্বব্যাংক, এফএও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে পরামর্শ ও কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে।
রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কিছু সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সব ধরনের শর্তপূরণ করে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল বিশ্বের পদার্পণ, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী ১০০ বছরের জন্য দূরদর্শী পরিকল্পনা ডেল্টাপ্ল্যান প্রণয়ন করেছেন। কীভাবে একটি দেশ পরিচালিত হবে, কীভাবে দেশের জনগণ কাজ করবে, কীভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হবে, কীভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যাবে, এর সবকিছুর পরিকল্পনায় রয়েছে।
মন্ত্রী আরও যোগ করেন, উন্নত, উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশের জন্য নয় বরং সবার জন্যই আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অন্যথায় শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি বিশ্বের মানুষের জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে বণ্টন করা যাবে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সীমানা আমাদের আলাদা পরিচয় দিতে পারলেও আকাশ, পানি, সমুদ্র, জলবায়ু আমরা আলাদা করতে পারি না। এজন্য সমগ্র বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের বঞ্চিত, অনুন্নত, দরিদ্র দেশসমূহের প্রতি বিশ্বব্যাংক, এফএও ও অন্যান্য সংস্থাসমূহের বিশেষ নজর দিতে হবে। পাশাপাশি যারা অনুন্নত, দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং যারা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার তাদের জন্যও আলাদা দৃষ্টি দিতে হবে। বিশেষ করে তাদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ১২ অক্টোবর-২ নভেম্বর ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
হালদায় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
১ বছর আগে
প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গণমাধ্যম বড় সহায়ক শক্তি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ খাতকে সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গণমাধ্যম বড় সহায়ক শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘প্রাণিসম্পদ খাতে উন্নয়ন ও সম্ভাবনা: গণমাধ্যমের ভূমিকা’- শীর্ষক কর্মশালা ও ফেলো নির্বাচনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিপ্রেক্ষিতের যৌথ উদ্যোগে এবং ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সহযোগিতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বড় একটি খাত প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এর উপকারভোগী আমরা সবাই। এ খাতে উৎপাদন না হলে দেশে খাদ্য ও পুষ্টির সঙ্কট তৈরি হবে। এ খাত পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বেকারদের স্বাবলম্বী করে, উদ্যোক্তা তৈরি করে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করে। খাবারের একটি বড় যোগান আসে মাংস, দুধ ও ডিম থেকে। তাই এ খাতকে সামনে এগিয়ে নেয়া প্রয়োজন। সৃজনশীলতা নিয়ে এগিয়ে গেলে এ খাতে ভালো কিছু করা সম্ভব। এ খাতকে সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গণমাধ্যমের বড় সহায়ক শক্তি।মন্ত্রী আরও বলেন, গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের একটি লেখা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি ও সাহস যোগায়। একটি ভালো সংবাদ থেকে মানুষ উদ্দীপ্ত হয়, উৎসাহিত হয়, সামনে এগিয়ে যাওয়ার অভাবনীয় শক্তি সঞ্চার করে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে চায় সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রীতিনি আরও বলেন, দেশের বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এখন মানুষ চাইলে তিন বেলাও মাংস খেতে পারে। প্রাণিসম্পদ খাতের এ বিকাশ সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে।মন্ত্রী আরও জানান, করোনা সঙ্কটে প্রাণিসম্পদ খাতকে রক্ষার জন্য সরকার ভ্রাম্যমাণ বিক্রির ব্যবস্থা চালু করেছে। এতে করে উৎপাদনকারী ও ভোক্তা উভয়ে লাভবান হয়েছে। ৯হাজার কোটি টাকার ঊর্ধ্বে ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বিক্রি হয়েছে। গত রমজান মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করা হয়েছে। হয়।
প্রাণিসম্পদ খাতের সম্ভাবনার পাশাপাশি ত্রুটির কথা গণমাধ্যম সামনে নিয়ে আসলে সেটি সরকারের জন্য সহায়ক হবে বলেও এসময় জানান মন্ত্রী।প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে ও পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীরের সঞ্চালনায় কর্মশালাযর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) দীপক রঞ্জন রায়। গ্লোবাল টিভির এডিটর ইন চিফ ও সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও ফিশারিজ অ্যান্ড লাভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ডা. রেয়াজুল হক ও প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ডা. মো. গোলাম রব্বানীসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রাণিসম্পদ খাতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদরা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: পশুখাদ্যে ভেজালরোধে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
মৎস্য খাতে বাংলাদেশ স্বর্ণালী অধ্যায় সৃষ্টি করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
২ বছর আগে
কাপ্তাই হ্রদের জেলেদের জন্য ৯৯৮ টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ
কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে ২৪ হাজার ৯৫৩টি জেলে পরিবারের জন্য ৯৯৮ দশমিক ১২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে সরকার।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আদেশে বলা হয়, সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় কাপ্তাই হ্রদ তীরবর্তী রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ১০টি উপজেলার জেলেদের জন্য এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি জেলে পরিবারকে মাসিক ২০ কেজি হারে মে-জুন দুই মাসের জন্য মোট ৪০ কেজি ভিজিএফের চাল দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা জেলেদের ২৩৪৯৭ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ
১০ জুনের মধ্যে ভিজিএফের চাল উত্তোলন ও জেলেদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেবলমাত্র কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত ও কার্ডধারী জেলেদের মধ্যে এ চাল বিতরণের জন্য বলা হয়েছে।
ভিজিএফ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি উপজেলা হলো রাঙামাটি সদর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল এবং খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও দীঘিনালা।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদের মৎস্যজীবীদের জন্য ৮৮৯.৯৬ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ
প্রসঙ্গত, কার্প ও অন্যান্য দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এ বছর ইতোমধ্যে ১ মে থেকে তিন মাসের জন্য এ হ্রদের সকল প্রকার মাছ আহরণ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে কাপ্তাই হ্রদে নৌ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করবে।
২ বছর আগে
বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে অব্যাহত সহযোগিতা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে তার দপ্তর কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বনের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ ও সুবোল বোস মনি, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, বিশ্বব্যাংকের এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড গ্লোবাল প্রাকটিসের গ্লোবাল ডিরেক্টর মার্টিন ভ্যান নিউকপ, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচার ইকোনমিস্ট ক্রিশ্চিয়ান বার্গার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম ও প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. মো. গোলাম রব্বানী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পশুখাদ্যে ভেজালরোধে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
এ সময় সম্পদ প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ অতীতের চেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন। করনোসহ কিছু প্রাথমিক জটিলতায় এ প্রকল্পের কাজ সাময়িকভাবে ধীরগতিতে হলেও এখন আর তা নেই। প্রকল্পের আওতায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের প্রায় ৭০০ কোটি টাকা নগদ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় চার হাজার ২০০ প্রণিসম্পদ সেবা প্রদানকারী নির্বাচন করা হয়েছে, এক হাজার ৫০০ খামারির মধ্যে মিল্ক ক্রিম সেপারেটর মেশিন বিতরণ করা হয়েছে, ৯০ হাজারের অধিক খামারিকে সম্পৃক্ত করে তিন হাজার প্রডিউসার গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। এর আওতায় প্রাণী চিকিৎসা সেবা খামারির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য ৩৬০টি মোবাইল ফ্যাক্টরি ক্লিনিক ক্রয় করা হয়েছে যার মধ্যে সম্প্রতি ৬১টি বিতরণ করা হয়েছে। প্রকল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় স্লটার হাউস তৈরির মাঠ পর্যায়ের অনেক কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। তাছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ নীতিমালা, প্রাণিসম্পদ বীমা নীতি প্রণয়ন, প্রাণীদের নিবন্ধন ও পরিচিতি দেয়ার সিস্টেম ও ডাটাবেজ উন্নয়নের কাজ চলছে।’‘সম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত তথা পোল্ট্রি, ডেইরিসহ নানা খাতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে পরিচালিত প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ হবে’-মন্তব্য করেন মন্ত্রী।মার্সি মিয়াং টেম্বন এ সময় বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশকে দেখে শিখছে। বিশেষ করে এ দেশের কৃষি খাত অনেক এগিয়ে গেছে। তবুও এ খাতে বিশেষ করে প্রাণিসম্পদ খাতে আরও অগ্রগতির সুযোগ রয়েছে। এ খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আরও অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ গতিশীল করা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: জীবাণু সংক্রমণে সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য খাতে বাংলাদেশ স্বর্ণালী অধ্যায় সৃষ্টি করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটেউডের (বিএলআরআই) বাস্তবায়নাধীন পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের ইনসেপশন, অগ্রগতি ও পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুনঃ সারা দেশে-খাঁচায় মাছ চাষকে উৎসাহিত করছি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে প্রাণিসম্পদ খাতের ব্যাপক ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। এ খাতের বর্তমান অবস্থাকে ছাড়িয়ে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পোল্ট্রি খাতের উন্নয়ন জোরদার করার জন্য গবেষণাকে সম্প্রসারিত করতে হবে, আরও গভীরে যেতে হবে। বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মেধাকে আরো বিকশিত করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি খাতে গবেষণার ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, গতানুগতিকতার বাইরে যখনই গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তখনই সারাদেশে পোল্ট্রি খাত বিকশিত হয়েছে। এতে পুষ্টি চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে, গড় আয়ু বেড়েছে, মাতৃমৃত্যু কমেছে, শিশু মৃত্যু কমেছে। এমনকি করোনায় সৃষ্ট বেকাররা পোল্ট্রি খাতে নিজেদের সম্পৃক্ত করে তাদের বেকারত্ব দূর করছে, উদ্যোক্তা হচ্ছে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে।’
আরও পড়ুনঃ প্রকল্পে অনাকাঙ্ক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্ন ও সাধনাকে বাস্তবায়নে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ দূরদৃষ্টি ছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু প্রাণিসম্পদ খাতকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর দৃষ্টি অত্যন্ত পরিকল্পিত ও বিজ্ঞানসম্মত ছিল। তাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মাংস, দুধ, ডিম সংক্রান্ত খাতকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পসহ এ খাতের সকল প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।’
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমান,মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা এবং পোল্ট্রি খাতের বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২৪ মেয়াদে ১২৭ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
৩ বছর আগে
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে প্রাণিসম্পদ খাতের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে: মন্ত্রী
মাংস, ডিমসহ দুধ থেকে উৎপাদিত প্রাণিজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ খাতের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
৩ বছর আগে