ধর্ম অবমাননা
ধর্ম অবমাননা মামলা: সিলেটে হিন্দু মহাজোটের নেতা রাকেশ রায়ের ৭ বছরের কারাদণ্ড
ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে রাকেশ রায় নামে এক ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় সিলেটের সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল কাশেম এ রায় প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ২০১২ সালে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত রাকেশ রায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী।
এই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তফা দিলওয়ার আল আজহার জানান, রাকেশের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ এর ২ ধারায় মামলা করা হয়েছিল। যা এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রূপান্তরিত হয়েছে। মামলার শুনানি ও যুক্তিতর্ক শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রাকেশ রায়কে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, রায় ঘোষণাকালে জামিনে থাকা রাকেশ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রাকেশ রায়কে ২০১৭ সালের ৭ জুন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ওই বছরের জুন মাসে রাকেশের বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেন ফুযায়েল আহমদ নামের এক ব্যক্তি। বাদী ও বিবাদী দুজনের বাড়িই জকিগঞ্জ উপজেলায়।
মামলার এজাহারে রাকেশের বিরুদ্ধে ফেসবুকে নিজের একাউন্ট থেকে ইসলাম ধর্ম, মহানবী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ আনা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন জানিয়ে রাকেশের আইনজীবী ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী বলেন, আইনজীবী হিসেবে আমি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বলতে পারি না। তবে ন্যায় বিচারের আশায় আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে তিন ভারতীয় যুবকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা: ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
১ বছর আগে
ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা, শিক্ষক দেবব্রতের ৮ বছর কারাদণ্ড
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে দেবব্রত দাস নামে এক স্কুল শিক্ষকের আট বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত।সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালত এ রায় দেন।রায় ঘোষণার সময় স্কুল শিক্ষক দেবব্রত দাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দেবব্রত নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণ চরইশ্বর এলাকার সুবল চন্দ্র দাশের ছেলে। তিনি স্থানীয় চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির থাকা আসামিকে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মোট আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়।’আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের অক্টোবরের ১৫ ও ২৮ তারিখে নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইসলাম ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে অবমাননাকর পোস্টের অভিযোগ ওঠে দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় হাতিয়া থানা পুলিশ সদস্য হুমায়ূন কবীর বাদী হয়ে তাকে আসামি করে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করে।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শিক্ষক দেবব্রত ১৫ অক্টোবর রাত ৯টা ১২ মিনিটে ও ২৮ অক্টোবর রাত ৮টা ৫৯ মিনিটে তার ফেসবুক আইডি থেকে দেয়া পৃথক দুটি পোস্টে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করে নানা বক্তব্য লিখেন। এতে ইসলাম ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত সৃষ্টি হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ওইদিনই পুলিশ দেবব্রত দাসকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: সঙ্গীত শিল্পী আব্দুল মান্নান রানার কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২ বছর আগে
লালমনিরহাটে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা: ৫ আসামি তিন দিনের রিমান্ডে
রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান মো. সহিদুন্নবী জুয়েলকে (৫০) পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৫ আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
৪ বছর আগে
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: জবি শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্মের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
৪ বছর আগে